নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৭৫

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৬

প্রিয় ভেনাস,
আমি যদি জীবনে কোন মেয়ের পেছনে ঘুরি তাহলে সেটা তুমি।কোন মেকাপ করা সাজানো গোছানো সুন্দরীর পেছনে না।হুমম আমি ঘুরি কারন ঐ মায়াবী চাহুনীতে আমি বারেবার আটকে যাই ঠিক পোকা যেমন আলোকফাঁদে।আমি এমন একজনের পেছনে ঘুরি একই সাথে কঠোর আবার কোমল কিন্তু আবার সকলের চেয়ে আলাদা। যার জগতে আছে অসংখ্য গ্রহ তারা নক্ষত্র প্রকান্ড আঁকাশ কিন্তু সকলের কাছে তা ঢেকে রাখতে সে খুব সচেতন।যে বাইরে থেকে কঠোর বাস্তবতার আলোকে পৃথিবী লুকুয়ে রাখে দিন শেষে তারই ঘরে চাঁদ সুরুজ খেলা করে।যে ঘুমানোর সময় পাশে একহাজার টা রুপ কথার গল্প নিয়ে ঘুমায়,ডালিম কুমার,রাক্ষস খোক্ষস ইত্যাদি।পড়ার বইয়ের ফাকে যে ঘুরে আসে পুরো পৃথিবীর সবুজ শ্যামলিমায়,এক আঁকাশ নক্ষত্র ইউরেনাস অভিযানে।বিশ্বাস করো,ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে তোমার সাথে কখনও রাগ করব না।বা তুমিও অভিমান করবে না ভাঙা ভাঙা ছন্দে একটা কবিতা লিখে দেইনি সেটা নিয়ে।তবে একবেলা ভালবাসা কম হলে,তোমার জনে একটু পাগল কম হলে তুমি অভিমান করো,সে অভিমান দেখার মধ্যেও একটা আলাদা শান্তি আছে।করো কিন্তু না হলে হরতাল দিব।
আমি এই তোমাকে প্রতিনিয়ত মেয়ে খুজে বেড়াই,যে সিরিয়াল দেখে কিন্তু হিন্দী বাংলা সিরিয়াল দেখে না। পাখি,রশ্নি এসবে যার বিরক্তি। যে দেখে ব্রেকিং ব্যাড কিংবা শার্লক অথবা মন থেকে খুঁজে বেড়ায় একজন মাসুদ রানাকে।বিশ্বাস করো, এই তোমার সাথে জাগতিক এক হাজারটা গল্প কঠোর বাস্তবতা বা হাজারটা মেকি কথা দিয়ে সারারাত কাটাতে হবে না বরং তোমার অদ্ভুত সব গল্প বলে আপনাকে মোহাচ্ছন করে রাখবে।
আমি এই তোমাকেই খুঁজেছি সস্তা আবেগের হিন্দী গান শোনে না, বরং অনিকেত প্রান্তর শোনে,অলস সময়ের পাড়ে শোনে,রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনে,বাংলা গান শোনে।রাতে চাঁদের আলোতে একা বসে আমায় ম্যাসেজ পাঠাবে 'wish you were here'!আমি এই তোমাকেই ভালবেসেছি কারন অকারণ ঢং, আহ্লাদ আমাকে কখনোই দেখতে হবে না বরং তোমার মাঝে আমি ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাবো,কিছু সাহস খুঁজে পাবো,আর খুঁজে পাবো চির প্রতিবাদী এই আমিকে।
আমি এই তোমাকেই ভালোবাসি যে ঘন্টার পর ঘন্টা মেকাপ না নিয়ে এতটুকু মায়ার কাঁজল দিয়ে,কপালে সামান্য একটা টিপ দিয়ে,শাড়ি পরে মেয়ে থেকে মায়াবতী হয়ে যায়।এই তোমাকে পেয়ে গেলে,আমার আর সাদামাটা জীবন থাকবে না। আমার জীবন রঙিন স্বর্গ হয়ে যাবে!এই শহরটা হয়ে যাবে আমার কাছে তিলোত্তমা।
মৃত্যুকে বড় রোমান্টিক মনে হয়। আমার প্রায় মনে হয় আমি মারা যাচ্ছি।কখনও মনে হয় ঐ মায়াবী আঁখিতে কখনও বা ঐ বাচ্চাদের মত গাল ফোলানোতে।
আমার সাগরে যেতে ভয় হতো মাঝে মাঝে।যখন সূর্যটা ডুবে যায় আমার মনে হয় এই শহরে আর সকাল হবে না, সন্ধ্যার পরই আসছে মহাজাগতিক এক রাত; যেই রাতের কোন অবসান নেই। এই রাতকে আমার জীবন মনে হতো যতক্ষন না তোমার দেখা পেয়েছিলাম।নতুন সূর্যের উদয় দেখেছিলাম।আমার এখন দৌড়ে গিয়ে সূর্যটাকে ধরে রাখতে ইচ্ছে করে। আমি একটু একটু করে হাটু পানি থেকে গলা পানির দিকে দৌড়াতে থাকি।
ঐ সূর্যটাকে আটকে রাখতে হবে- মনে দীপ্ত শপথ। অথচ একদল মানুষ মনে করে আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি! কি হাস্যকর! তারা আমায় পাগল বলে।একবার আমি ভেবে দেখেছি তারা অবশ্য ঠিকই বলে।আমি তো তোমার জন্যই বদ্ধপাগল।এই তোমাকে আমি যতবার দেখি,নিজের শরীরে সূচ ভরে দিয়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে- “আমি কি স্বপ্ন দেখছি?”
কিন্তু আমার প্রশ্ন করার মত সাহস নেই, আমি জানি আমার কাছে উত্তর নেই। নিজেকে হারতে দিতে ইচ্ছে করে না। আমি হাস্যকরভাবে জীবনে প্রথম থাকতে চাই।চাই তোমাকে চাওয়াতে আমি অপ্রতিরোধ্য হতে। আমার চাওয়ার প্রতিটি পাওয়াও বিলুপ্ত হাসি নিয়ে আমার পিছনে ছুটতে থাকে। আমি কি বেঁচে আছি?এই তোমাকে দেখে আমি যে প্রতিদিন এক একবার আত্মহত্যা করি।জীবন আমাকে আমার মৃত লাশ কাধে নিয়ে ছুটতে বলে। আমার মৃত লাশ মৃত আমি নিজেই বহন করেছি। কি হাস্যকর।
যতবার আমি তোমাকে দেখি আমার সব বিবেচনা শক্তি অনুভূতি হারিয়ে প্রাকৃতিক হয়ে যাই।রাস্তার দুরন্ত ছুটে চলা মানুষগুলো আমার দিকে তাকায়। তারা আমাকে অদ্ভুত বল,সোমবারে একটি মেয়ের ওড়না ধরে টান দেয়া যুবকটাকে আমি ঘুষি দিই, কান ধরে উঠবস করাই। আমার লাল চোখের দিকে সে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায়। লোকে আমাকে সত্যিকার নায়ক বলে অথচ সেই সোমবারে আমি তোমার নেশাতে মোজে রাত জেগে চোখ রাঙিয়েছিলাম।
আমি সবাইকে বলে দিয়েছি কোন এক শুভ পূর্নীমায় তোমাকে যেদিন আবলোকন করেছিলাম আমার এই দৃষ্টি দিয়ে,আমি তো সেদিনই মরে গেছি।আমার ফরমালিনে ডোবানো শরীরের প্রতিটি কোষকে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে বেঁচে থাকতেও কি আমি এমন ভাল ছিলাম,এই তোমাকে এভাবে ভালবাসতে পারতাম না তুমি আমার জীবনে ছিলে?
আচ্ছা, ফরমালডিহাইডের ৩০.০৩১ গ্রাম অনুর প্রতিটি অনু কি হাসছে? ওদের হাসির কম্পাঙ্ক কত হার্জ?এরা কি বলছে ছেলেটা পাগল হয়ে গেছে?
হ্যা,আমি তাই পাগল তো আমি হয়েছি আমি তোমারই জন্যে বদ্ধ পাগল হবো।আমি তোমারই নেশায় মজে এই শহরের সবথেকে বড় গাঞ্জাখোড়,হেরোইন খোড় বা ইয়াবা খোড়ের সাথে পাল্লা দিব।সবাই তা পাড়ে না।আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়ার মত ইচ্ছা শক্তি ও সাহস থাকা লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আত্মা স্পর্শ করার পরে জগত ভয়ংকর মেঘলা লাগে। তখন আর আলো দেখতে ইচ্ছে হয় না। অন্ধকারেই ডুবে থাকতে ইচ্ছে হয়।হৃদয়ের অতল গহীনে ডুবে মরা লাগে।ধন্য এই মৃত জীবন আমার।আমার সমস্ত হাহাকার,ছাড়খাড় ও বরবাদে তুমি মিশে আছো আমার লীলাবতি।
তোমারই
জিউস

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

পঞ্চগড় জয় বলেছেন:

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

মার্কো পোলো বলেছেন:
চমৎকার।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.