নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৮০

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩০

প্রনয়িনী,
ভাবছো মুখে যা বলা যেতো তা’ চিঠিতে লিখছি কেনো? কারণ আমি চাই এই চিঠিটা তুমি সময় নিয়ে পড়ো। বারবার পড়ো।
তোমাকে আমি দেখেছি কত দিনেরই বা হবে?এক বছরের বেশী নয়। এর মাঝে জীবনের সামান্যতম আনন্দের সময়ে আমি তোমাকে দেখে কাটিয়েছি। তোমার কাছেই নত হওয়া যায়,তোমাকেই বাঁধনহীন সব বলা যায়, তাই তোমার পরামর্শ চাইবার জন্যেই এই চিঠি লেখা।
প্রথম দেখা কবে বলতে পারিনা,তোমার পরিপাটি চুলে চোখ রেখে উশকো খুশকো চুলের এই আমি তোমাকে দেখেছিলাম।আমার ভেতর দিয়ে দেখেছিলাম তোমায় ‘নকশালদের শেষ সুর্য্য’ আর সুনীলের ’ছবির দেশে কবিতার দেশে’নিয়ে কাটিয়ে দেয়া আমার রাজ্যে তুমি দোলা দিয়েছিলে।এর পরের সময়টা মহা ঘোরের সময়,মহামোহের সময়। মোহভঙ্গের আশা করিনি আমি আশঙ্কায় ভুগেছি দেখার পর থেকেই। যদিও জানি এ ভাললাগা ভাঙ্গার নয়।
বোধহয় বেশ খানিক বাড়াবাড়িও করি মাঝে মাঝে তোমায় নিয়ে।এতবেশি কিছু জানা ছিল না শুধু জানি আমার চিন্তার,আমার কল্পনার তুমি বাসা বেধেছো।তোমার চোখে দেয়া গাঢ়তম কাজলে জড়িয়ে ফেলেছি নিজেকে।
বুঝলে মাঝে মাঝে খুব স্বপ্ন দেখি,জয়দেবপুরে পাতা ঝড়েছে ভীষণ, তাপ মাত্রা বেড়ে যাবে। ওমনি তুমি আরআমি ছুটব পাতা দেখবো বলে, খালি পায়ে ঝড়া পাতায় হাঁটবো বলে। এমন করে ছুটে যাবো শীতের পাখী দেখতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝিলের ধারে। কার্তিক সন্ধ্যেরঠান্ডায় নিশ্চুপ ঝিলে ওদের ভাসতে দেখবো। একসাথে উপভোগের মাত্রাটা বেশীই হবে।তুমি হয়তো বলবে এই কেমিষ্ট্রি ঠেকাবে কি করে? মনে মনে বলবো তখন, ‘ঠেকাচ্ছে কে?’
খুব ইচ্ছে রথের মেলাদেখবো ধামরাইয়ে।তুমি হয়তো বিরক্ত হবে তবুও তোমার বিরক্তে হবে আমার সে কি আনন্দ।
সোয়ারী ঘাটে এক হাঁটু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে মাছ ধরা দেখব আর সর আলা দুখের চা খাব।হয়তো মাঝে মাঝে তোমার অভিমানের নাগাল পাবো না, তবে জানি কীভাবে একটা দুটো মিষ্টি কথায় তোমার অভিমান ভাসিয়ে দিতে হয় নিমিষেই।
ঢাবি ভাষা ইনস্টিটিউটের কাছে গুরুদুয়ারায় তুমি আর আমি চত্বরে বসে গানের সুরে মেতে উঠবো ।তোমার মাঝে শান্তি খোঁজার জন্যে আমার কি আমুদে প্রয়াস হবে।আমি প্রকৃতিকে ভালবাসি বলেই হয়তো আশ্বিনের ছলছল মেঘের দুপুরে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা না বলে পাশাপাশি বসে কাটিয়ে দিতে পারি তোমার সাথে। শিউলি ফোঁটা সকালে বিরান মাঠে বিধবার সিঁথির মতো মলিন পথ ধরে হেঁটে যাব কত না সময়।হূমায়ুন স্যারের স্বপ্নের জোৎস্নায় যখন বাতাসে হাস্নুহেনা ফুলের মাতলামো করবে,আমরা তখন নয় ২০ এর রাতে শহীদ মিনারের সামনে আলপনা আঁকা দেখেবো। প্রতিটা ক্ষণ আমরা ভালো লাগায় ভাসবো,প্রতিটা পল আমার মনে হবে,স্বর্গে যাচ্ছি অবশ্য তুমি পাশে থাকলেই আমি নিশ্চিত স্বর্গে যাব।আর এমন ইচ্ছেটা থাকবেও অনন্ত কাল।
তোমার সাথে মতপার্থক্য যে হবে না বা নাই তা নয়। তোমাকে লেখার উদ্দেশ্য একটাই।শত শত প্রেম নিবেদনের চিঠির পড়ে হাসতে আবার কখনও সেই তুমিই বিরক্ত হও নিশ্চই।কোন একদিন হয়তো তুমি বলবে, আমায় আগলে রেখো,বহন করো,আর আমি চাইবো প্রেমের অত্যাচার করো,দম নিতে যেন না পারি তোমার খবরদারিতে।তুমি হয়তো উশকো খুশকোচুল দেখে বন্য ঘোড়া পোষ মানানোর, বশ করার আনন্দ পাবে। আমিই বলবো,তোমাকে না দেখতে ঘোড়া গাড়ীওয়ালা মনে হচ্ছে।
মাটির গয়না,তামার গয়না তোমার প্রিয় কিনা জানিনা। গাওছিয়ার থেকে একজোড়া পায়েল কিনে পকেটে নিয়ে ঘুরছি কতদিন তোমাকে না বলা হয়নি?খুব ইচ্ছে যতদিন রঙ চটে যাবেনা, ততদিন তুমি ছমছম করে হাঁটবে আমার সামনে ওগুলো পরে।ভাবছো প্রেম থাকলে এগুলো কি ঘটবেই? হ্যাঁ,ঘটবে। কারন, যৌথ জীবনের দাবীই অন্যরকম।যখন নিত্য দিন নিত্য বেলা সঙ্গে থাকা হবে তখনও কিন্তু আমি এমনই পাগল থাকবো।আমি জানি তোমার বিরহেও যেমন কষ্ট তেমনি মিলনেও নিশ্চই অনন্ত সুখ হবে।
পরিশেষে একটা কথা বলি খুব সামান্য কথা,তোমার জীবনে আমি নিকোটিন হয়ে ধোঁয়ার সাথে মিশে তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্র ঘুরে বেড়াতে চেয়েছিলাম।প্রতি টানে তোমার ভিতর প্রেমের উত্তাপে গলে যেয়ে
তুলতে চেয়েছিলাম ভালোবোসোর তুমুল সাইক্লোন তোমায় লন্ডভন্ড করে তবেই শ্রান্ত হতে চেয়েছিলাম অনাদিকাল। এখন তেমন কিছুই চাইনা আমি বা চাওয়াগুলো অল্পতেই সীমাবদ্ধ।খুব বেশী কিছু নয়,তুমি থাকলেই আমি আঁকাশে উঠি তুমি দূড়ে গেলেই আমি মাটিতে নেমে আসি ভেঙ্গেচূড়ে।।উঠানামায় চলুক আমাদের এই সম্পর্ক।তবে একটা ইচ্ছে আছে,খুব বড় কিছু না।সামান্য কলার ভেলার মতো।প্রতি ভোরে তোমার মুখে যে প্রথম সূর্যের কিরন পরে আলোকিত করে।আমি সেই উজ্জ্বল মুখখানি দেখার জন্যে ভোরের কাক হতে চাই।
ইতি,
তোমারই মহাকাল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাহ!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: শুভেচছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.