নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৮১

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

চন্দ্রাবতী,
অাজ রাত্রে বাড়ি না ফিরলে,ভাববে অামি মরে গেছি।অাবার লিখছি, ধরেই নেবে, অামি মরে গেছি।যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম
তখনও জানা ছিলনা, তুমি কে?তোমায় দেখে ভাল লেগেছিল,জীবন স্পন্ধন ছিল ঐ মধুময় চাহুনীতে।তারপর যখন আবার দেখলাম তোমার চাহুনীতে অজানাকে জানার স্পীহায় অনন্তে তরি ভাসালাম।
তোমার প্রতিবার আঘাত দেয়ার সিদ্ধান্ত দেখে যখন হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়,
তখন অন্তরের কান্না চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে মনে চায় তোমার সামনে
কেন এমন করো?কেন জয়ের বদলে পরাজিত পরিনতি লিখে দাও?
তুমি লক্ষ্য করনি,ভুল মানুষের ভীড়ে তুমি আমায় দেখনি আমি দেখেছিলাম,সেই দিন, হ্যাঁ সেই দিনই প্রথম তোমার দিকে চেয়ে দেখেছিলাম! দেখেছিলাম অদ্ভুত গভির চোখ।সত্য বলতে কি! চোখ কেমন হয় আমার জানা নেই,কখনো অন্য কারো চোখে তাকানো হয়নি।
কারো চোখে যে, এই চোখ পরেনি তা বলবো না কিন্তু এই তাকানো, এই দেখা অন্য রকম সেই চোখে কি ছিল জানিনা,আমার সকল প্রশ্ন সেই চোখের অতলে হারালো;এমন অদ্ভুদ মায়াবী চোখ কখনো দেখা হয়নি
কখোনো তাকানো হয়নি।এমন চোখের অনন্তহীন গভীরতায় যে চোখে আজও এখনও আমি ডুবে যাচ্ছি,প্রতিনিয়ত শুধু একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছি।যে দিন তোমার চোখের নিমজ্জিত জলে ডুবে হৃদয়-মাটির স্পর্শ পাবো সেদিন ঠিকই তোমার কাছে উপস্থিত হবো আমার প্রশ্নবান নিয়ে।
এটা কখনোই ভেবোনা যে দেখা হবেনা।আমি তোমার কাছেই আসবো,
শুধু তোমারই কাছে, তৈরী থেকো।আমি নেমে যাবো আলো হয়ে, ল্যাম্পপোষ্টের শরীর বেয়ে।উড়ে যাবো তোমার রিকশার ছায়ার শরীর ছুঁয়ে!পিছু নিবো পুরো পথ, দরজা আঁটকে শরীর আঁটকে ফেলবে ঠিক
আমি ল্যাম্পপোষ্ট থেকে নেমে আসা প্রেমিক আলো।যেভাবে ঢুকে সকালের পত্রিকা, সূর্য্যের আলো, গাছের ছায়া।এভাবেই ঢুকে ঘাপটি মেরে থাকবো, তোমার ঘরের জানলার পর্দায় শীতল মেঝেতে, বিছানার আঁটসাঁট বালিশে কিংবা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায়!একলা ছটফট করো না বিছানায়, কোথায় অাছি ভেবে। ঘুমিয়ে পড়ো। কোল বালিশটা বুকে নিয়ে ওপাশ ফিরে।রাত্রে গাড়ির সাইরেন শুনে ঘুম ভেঙে গেলে,অাহত কোথাও বেঁচে অাছি ভেবে হাসপাতালে ফোন দেবে না। শহরে অনেকগুলো হাসপাতাল। ওরা কেউ অামাকে চিনবে না। ওদেরকে চেনাতেও পারবে না। শুধু শুধু ফোনের পয়সা ফুরাবে। ছিনতাইকারী সন্দেহে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে ভেবে হুট করে থানাগুলোয় ফোন দিও না অাবার। ওরা শুধু বাজে কথা দেখাবে। বলবে, "দেখেন গিয়ে, কোথায় মদ টদ খেয়ে পড়ে অাছে। অামরা নাম টুকে রাখছি। পরে খোঁজ পেলে জানাবো।" ওরা অাসলে তোমাকে কিছুই জানাতে পারবে না।
পুলিশ হয়তো একটু নড়েচড়ে বসে সিরিয়াসলি দেখবে বিষয়টা। হয়তো, সন্দেহবশত তোমাকেও দু একবার থানায় ডাকতে পারে। সেখানে সাংবাদিকরা 'অনুভূতি' জিজ্ঞেস করে বসলে, কি জবাব দেবে?তাই বলছি, লাশও খুজতে যেও না। সকালে ফ্রেশ হয়ে খালিপেটে অফিস চলে যাবে। গিয়ে ডেস্কে বসে কারো 'নাস্তা করেছ কিনা' ফোনের অপেক্ষা না করে, বাজারের লিস্ট করে নেবে। অফিস ফেরার পথে কষ্ট করে বাজারটা তোমাকেই করতে হবে। তারপর বাসায় এসে বুয়াকে বাজার কুটতে দিয়ে রেস্ট নেবে। তারপর তো সেই অাগের রুটিনই! এর মাঝে কষ্ট করে হারানো অামাকে খুঁজতে যাবার কোন মানে হয় না।খবরদার চন্দ্রাবতী ,কিছুতেই ফোন দেবে নামফিদুল ইসলামে।ওরা তোমাকে ভুল লাশ গছিয়ে দেবে। কিংবা,ভুল কবর দেখিয়ে বলবে, ওটা অামি।তুমি খালি নখ দিয়ে কবরের মাটি খুঁড়তে চাইবে। ভেতরের অচেনা মানুষটার নাগাল পাবে না।জানতেও পারবে না, ওখানে অামি নেই।
বাদ দাও চন্দ্রাবতী,
আজ আকাশের চাঁদটা দেখেছো? জানো তো প্রত্যেকটা এমন জোছনায় আমি কল্পনা করি,নদীর তীরে একটা ছোট্ট কুড়ে ঘর,এক চিলতে উঠোন আর উঠোনে জোয়ারের পানি!চোখ বন্ধ করে ভাবো তো একবার এমন এক জোছনা রাত,আকাশে কিছু মেঘদল। আর উঠোনের এক কোনে বকুল গাছের লম্বা ডালে একটা ঝুল-দোলনা! আর সেই দোলনায় তুমি আর আমি বসে দোল খাচ্ছি। আমাদের পায়ে নদীর পানি একটু পর পর লাগছে। তুমি দু'চোখে রাজ্যের ঘুম নিয়ে বসে আছো। আমার পরনে কচি কলাপাতা রঙের তাঁতের শাড়ি,দুহাত ভর্তি সাদা কাঁচের চুরি আর আলতামাখা পায়ে নুপূর। আমার কাঁধে তোমার মাথা। বাতাসে আমার খোলা চুলেরা তোমার মুখে গিয়ে পড়ছে। আর আমি আলতো হাতে তোমার চুল সরিয়ে দিচ্ছো।
জানি কল্পনার কোন রং হয় না। তবু প্রতিটা মুহুর্তে আমি কল্পনার রঙ্গে স্বপ্ন বুনি ভালবাসি,বড্ড বেশিই ভালবাসি।
তোমার একলব্য

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.