নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৮৫

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

প্রিয়তমা,
আমি চাই কিছু দুরত্ব কমুক আমাদের।পরস্পরের বুকে নিঃশ্বাস ফেলার মতো ঘনিষ্ঠ হই আমরা।খুব ভেবে দেখেছি আসলে তুমি ছাড়া আমি অস্তিত্বহীন।আমার পরিচয়,আত্মসত্বা সব,সবটুকুই তোমাকে ঘিরে। আমার ঢাকা শহর,তার জ্যাম,আমার ফার্মগেট, তার উপচে পরা ভীড়,শাহবাগ,পল্টন,রাজপথ,ফুটপাত কোথায় নেই তুুমি বলোতো?তুমি তো আমার সবটা জুড়েই।শুধু তোমাকে বলি নিজ রাজ্যে আমি তুমি ছাড়া আমি হীন।
সেই প্রথম দেখা তখন আমি ছাত্রজীবন শেষের পথে চাকুরীর চিন্তায় আম জনতার মাঝে নির্জনতায় ভোগা প্রচণ্ড বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত এক মানুষ আমি। শত শত মানুষের ভিরে তখন আমার মুখটি করুণ হয়েই থাকত।দেখতাম সবাই উচ্ছ্বাসে ভাসছে।বড় ভাইয়েরা আমায় জীবনের মারপ্যাঁচ বোঝাতেন,আমি হয়তো তখনও সফল হবার ১০১টা সূত্র মুখস্ত করে যাচ্ছি। এই আমি তখন বসে-বসে কবিতার কবিতা সাজাই। একা থাকার কবিতা, তুমিহীনতার কবিতা,পাশে থাকার কবিতা।
এর মাঝেই তোমাকে দেখলাম।আমার মাঝে সাজ-সাজ রব ওঠল, তৈরি হলো বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা,তোমার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হাতে নি বিবিধ কর্মসূচি এই যেমন প্রিয়তমা,কেশবতী বা মেঘবালিকা নামে বিবিধ কবিতা রচনা।ঠিক এমন করেই হৃদয়ের মাঝে বজ্রবিদ্যুৎ এর মত তোমার চলাচলের সূচনা যেন এক মায়াবতী বালিকার আবির্ভাব ঘটল। তোমায় যখন দেখতাম তখন দেখামাত্রই আমার হৃদমাঝারের হৃৎপিণ্ডে বিদ্যুৎ চমকায়, সবশ পা অবশ হয়, সচল রক্ত অচল হয়। তার নাম আবিষ্কারের চেষ্টা করি, ব্যর্থ হই; তার হেতু আবিষ্কারের চেষ্টা করি, ব্যর্থ হই।
পরে একলা একাকী আমি নিজের সাথে পরামর্শ করি তোমাকে সরাসরি কথাটা বলে দিব; প্রস্তাব না হোক,অন্তত তুমিহীনা কি যে মর্মপীড়ায় ভুগছি তা বলে দিব।কিন্তু অনেকেই জানে— আমি হাজারো লোকের মাঝে চিৎকার করতে পারি, লাখো লোকের সমাবেশে ফাঁসি চাই বলে আগুনঝরা স্লোগান দিতে পারি; কেবল পারি না সরাসরি তোমাকে বলতে কথাটি, এক্ষেত্রে আমার পৃথিবীজুড়ে ১২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
প্রথম মনে হয়েছে বলি তোমাকে না অনেক সুন্দর লাগছে।সেই মোতাবেগ সাহস নিয়ে লিখতে লাগলাম। তার পর বেশি হয়ে যাচ্ছে এই ভয়ে ব্যাক স্পেশ দিয়ে সেই যাত্রায় অফ গেলাম।
বুঝলাম আমাকে দিয়ে হবে না, কিছুতেই আমি হয়তো তোমাকে সেই কথা বলতে পারব না। সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথমে হাই হ্যালো বলে শুরু করতে হবে;পরে নয় ভালবাসি কথাটি বুঝিয়ে বলা যাবে। চলে গেলাম কত জনের কাছে কিভাবে বলি তোমায় তা বুঝতে, তাদের গল্প শুনলাম।সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানো,এক এ্যাড এজেন্সির বন্ধু বললো "তোমার হৃদয়ের খালি প্লট আমার জন্যে বরাদ্দ চাই প্রিয়তমা"এ বলে বিজ্ঞাপনও দিতে বললো!তবে বন্ধুকে বললাম বিজ্ঞাপন নয় সরাসরি বলে দিব।তার পর কেটে গেল কত মাস।এই কত মাস ছিল আমার জীবনের কঠিনতম মুহূর্ত।এক একটা একশো বছরের সমান।
মাঝে বিরতি নিলাম এবং এর মাঝে আমার অনুসন্ধানী চোখ বারবার চলে যেত তোমার ওয়ালে,শত কোটিবার আমি খুঁজেছি তোমার মুখ।তারপর ভাবলাম যাই হোক এবার বলেই দি।
তুমি কি জানো এ হৃদয় প্রতিবার আন্দোলিত হয় কেবল তোমারই জন্য? তুমি কি জানো তোমার সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলা ছেলেটি কেবল তোমাকে আস্ত একটি লাইন কতটা হৃদম্পন্দন প্রসারনের পরে বলতে পারে?কতটা পথ তোমায় নিয়ে ভেবে আসলে ভুল সময়ে বিড়বিড় করে ও তোমার নাম সকল হিসেবে ঢুকে যায় তুমি কি জানো?তুুমি কি জানো এখন আমি নিজ নাম সই করতে গেলেও ভুল করে তোমার নাম সই করে ফেলি।
এর পর তোমাকে আমি একটা দিনের জন্যেও ভুলিনি । শুনেছি জেনেছি বুঝেছি তার পর তোমাকেই ভালবেসেছি,শুধু তোমাকেই।দিনের পর দিন না বলার অসহ্য যন্ত্রনার পরেই এই মেয়েটিকে আমি বলেছি ভালবাসি।তুমি বাসলেও বাসি তুমি না বাসলেও বাসি।আমার জীবন মরন চাওয়া পাওয়া সকল কাজে তুমি।আমাকে জড়িয়ে রাখে অদ্ভুত তুমিময়তা।
কবিতার ভাষায় বলি এমন ভাবে,
আমারো কিছু কথা ছিলো কিছু নীল ব্যর্থতা কিছু বিনষ্ট ফসলের ক্ষেত
আজীবন নির্বাক অপেক্ষার সাহস,আমারো কিছু কথা ছিলো কিছু লালিত বেদনা কিছু বিপরীত নদীতে ফেলে আসা নিজস্ব প্রতিকৃতি
আমার কিছু কথা ছিলো কিছু দুঃখ ছিলো,আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে !
তোমার
পাগল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.