নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্যতার সংকট

০৭ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০১

বাঙাল মুল্লুকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি সাখাওয়াত তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন- 'আদালত প্রাঙ্গনের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোন সম্প্রদায়ের প্রতীক থাকতে পারেনা। যদি তা থাকে, তা বাংলাদেশের স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরোধী।' তিনি বলতেই পারেন তবে তার উত্তর লুকিয়ে আছে সভ্যতা এবং অসভ্যতার মধ্যে।আমেরিকাতে এই তো কিছুদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পরপর একটা মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তার পরপর মুসলমানদের নামাজের সুবিধার্থে স্থানীয় ইহুদীরা তাদের উপসানালয় সিনাগগের চাবিটা পর্যন্ত হস্তান্তর করে দিয়েছিল। ভ্যাটিকানের পোপ ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি রিফিউজিদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়ার আহবান করেছিলেন। এসবই হচ্ছে একটা সুস্থ, সভ্য সমাজের লক্ষন। মুসলমানদের চার্চ খুলে দিলে, সিনাগগের চাবি দিলে সেসব প্রশংসনীয়। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির, বৌদ্ধদের প্যাগোডা পুড়িয়ে দিলে কোনদিন এরা মসজিদ খুলে দিতে রাজি হবে না। বরং কেউ যদি এই উদারতাটা দেখানোর আহবান করে তবে তাকে বর্বরেরা হয় কুপিয়ে, পিটিয়ে হাড্ডি-গোশত আলাদা করবে নইলে দেশছাড়া করতে চাইবে। সুলতানা কামালের ব্যাপারে হেফাজতের বর্তমান মনোভাব ঠিক তাই। এই উপমহাদেশে সবচাইতে বেশি চার্চ পোড়ানো হয়েছে পাকিস্তানে। সেখানেও কেউ কোনদিন মসজিদের চাবিটা খ্রিস্টানদের হাতে তুলে দিয়েছে এমন নজির নাই। সামান্য সহানুভুতিটাই জুটে না, আর মসজিদের চাবি সে তো বহুদুরের ভব্যতা সভ্যতার ব্যাপার।

যেমনটা হয়েছে এক্ষেত্রে-

সৈয়দ শামসুল হক বলেছে,
'ও কাক তুমি জোরে জোরে কা কা কর,
যাতে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে না পাই।" তাই নাস্তিক শামসুল হক!
ভাস্কর্য না থাকলে বাংলাদেশে মসজিদও থাকার
দরকার নাই"
-তাই নাস্তিক সুলতানা_কামাল!
এগুলো সত্য না জানা ৮০% সাধারন লোক যারা ধর্মভীরু তাদের কথা। তারা ঘটনা গুলোর সত্যতা জানেনা । যেমন প্রথম আলোর শিরোনামের মতন লিখে দিয়েছে রনবীরের ফ্ল্যাটে প্রিয়াংকা শিরোনাম,
তারা আর বিস্তারিত জানবে না চেস্টা ও করবে না তারা ভাববে নেগেটিভ কিছু । আসলে সেদিন রনবীরের জন্মদিন ছিলো সকল নায়ক, নায়িকা কে দাওয়াত দেওয়া হইছে , প্রিয়াংকা ও সেখানে ছিলো।
.
"ও কাক! তুই জোড়ে জোড়ে কা কা কর,
যাতে মুয়াজ্জিনের আযানটা আর শোনা না যায়!!"
.
শামসুল হক এর "Dead Peak" এর বঙ্গানুবাদ "মরা ময়ূর" কাব্যনাটক এর দুই লাইন এটা!!
কাব্যনাটকের প্লট টা এমন ছিল.... এক মেয়েকে একজন মুয়াজ্জিন ধর্ষণ করে, তাকে এমনভাবে ভয় দেখানো হয়, যাতে সে কারো কাছে মুখ না খুলে এবং সে প্রায়ই মেয়েটার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো!
.
মেয়েটার বাড়ি মসজিদের পাশেই ছিল... প্রতিদিন সকালে যখন সে মুয়াজ্জিন আযান দিতো, মেয়েটা তখন ঘৃণায় বলতো..." ও কাক তুই জোড়ে জোড়ে ডাক, যেন অই মুয়াজ্জিন এর গলায় তার আযান শুনতে না হয়!!
কাব্যনাটকের লাইন দুটো অই মেয়ের ভাষায়ই বলা!!
.
সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেয়া থেমিস দেবীর মূর্তি বিষয়ে একটি টিভি চ্যানেলে হেফাজতের এক নেতার উপস্থিতিতে টকশো হয়েছিল। সেখানে সুলতানা কামাল ছিলেন।
.
টকশোতে হেফাজতের প্রতিনিধি সুপ্রিমকোর্টের ভাস্কর্যের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘এটা মূর্তি, ধর্মীয় স্থাপনা। কোর্ট এলাকায় কেন ধর্মীয় স্থাপনা থাকবে?’
.
তার জবাবে সুলতানা কামাল বলেছিলেন, ‘আমিও আপনার কথায় একমত। আমিও মনে করি, কোর্ট এলাকায় কোনও ধর্মীয় স্থাপনা থাকা উচিত না। মূর্তি যেমন ধর্মীয় স্থাপনা, তেমনি মসজিদও। আপনার কথা অনুযায়ী সেখানে মসজিদও তো থাকা উচিত না।"
.
এই কথাটা এখন ৮০% লোকের টাইম লাইনে পাওয়া যাচ্ছে অন্য ভাবে বাংলাদেশে মূর্তি না থাকলে মসজিদ থাকবে না, কিভাবে এরা কথাটাকে তাল থেকে তিল করলো।



তথ্য-শান্ত সিধার্থ ও
আজম খান

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:২৭

কানিজ রিনা বলেছেন: সুলতানা কামাল বোলতার চাকে ঢিল মেরেছে
মাত্র। একটা রাজ্য পোড়াতে একটা ম্যাচের
কাঠিই যথেষ্ঠ। উগ্র জ্ঞান পাপি আর উগ্র
তেতুল মোললার কথার ম্যার প্যাচ।
দুটি দল সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই দলের কথায়
দেশ চলবে। বাঃ বেশ ভাল।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৩৩

তপোবণ বলেছেন: একটা মুল্লুকের ৯০% মানুষত দেখছি ভাষাই বুঝেনা! হোক সেটা কবিতার ভাষা অথবা গদ্যের ভাষা। এটা ভয়ানক ব্যাপার দেখছি। এই বাঙ্গালী কবে নাগাদ সুরে সুর মিলাবে কবে বুঝবে পদ্যের ভাষা? নাকি কবিগণ ৯০% মানুষের অনুভূতির খবর রাখেন না। আই'ম কনফিউজড।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

খরতাপ বলেছেন: দেশে এত সাফাত নাইম থাকতে শামসুর রাহমানের মুয়াজ্জিনকে দিয়েই ধর্ষণ করাতে হল কেন? এটা কি বাংলাদেশের বাস্তবতা? কোন খবরের কাগজ খুলে দেখাতে পারবেন যে মুয়াজ্জিন বা ইমাম দ্বারা কেউ কোনদিন ধর্ষিত হয়েছে?

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

মোঃ আবুল হোসেন (হাবিব) বলেছেন: খরতাপ বলেছেন: দেশে এত সাফাত নাইম থাকতে শামসুর রাহমানের মুয়াজ্জিনকে দিয়েই ধর্ষণ করাতে হল কেন?

ভাই এটা হল এদের প্রচারভিযানের একটা অংশ। দাড়ি টুপিওয়ালা মানুষগুলো সম্পর্কে শিশু-নবীন পাঠক ও দর্শকদের কাছে একটা বাজে চরিত্র ফুটিয়ে তোলাই এদের উদ্দেশ্য। যাতে নতুন প্রজন্ম এদের চরিত্র সম্পর্কে, দাড়ি-টুপি সর্ম্পকে, মাদ্রাসা শিক্ষা সর্ম্পকে, সর্বপোরি মুসলিম সম্পর্কে ভূল ভাবতে শেখে। দাড়ি টুপিওয়ালা কুলাঙ্গার যে দেশে নেই বা হয়না তা নয়, কিন্তু তাদের সংখ্যা সাফাত নাইমদের তুলনায় অতীব নগন্য হওয়া সত্বেও (যত নগন্য সংখ্যকই হোকনা কেন অপরাধ, অপরাই। তারা প্রত্যেকেই কঠোর শাস্তিরযোগ্য অপরাধী) এই একচোখা লোকগুলোর প্রধান কাজ হলো এই লেবাশের চরিত্রগুলোকে জঘন্যতম ভাবে উপস্থাপন করা, বাজে চরিত্রে ফুটিয়ে তোলা। দেখবেন বেশিরভাগ (সব নয়) নাটক সিনেমায় রাজাকার চরিত্রগুলোতে, লু্ইচ্চা বদমাস চরিত্রগুলোতে দাড়িওয়ালা লোক, দাড়ি না থাকলেও টুপিওয়ালা একজনকে, জঙ্গী বুঝাতে একজন মাদ্রাসা পড়ুয়াকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভাবখানা এমন যে, সর্বকালের সকল রাজাকার, সকল বদমাইশগুলির চেহারা চরিত বুঝি এমনই হয়। ক্লীন শেভ করা, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত লোক বুঝি এসব চরিত্রের হয়না। শিশুমন বা নবীনরা যখন এসব দেখে এরা ভাবতেই শেখে যে, এই টাইপের মানুষগুলো বুঝি এমনই, আর এখানেই এদের স্বার্থকতা।

আর বেশিরভাগ মিডিয়ার কাজ হল কার খুজলি-পাচড়া আছে, এলার্জির সমস্যা আছে তাদেরকে ধরে সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক বানানো, তারাই সুশীল সমাজ। তাতে কোন তেনা কামালই হোক, কোন মুরগী কবিরই হোক আর কোন কাটমোল্লাই হোক। কেউ পাদ দিয়েছে......, মুরগী কবীরের ইন্টারভিউ নাও, দেখ সে এ সম্পর্কে কি বলে? কেউ হাগু করেছে, কোন মাথা মোটা ধর্মবিদ্বেষী কে জিগ্গেস কর, তার কি মতামত? যেন দেশে স্বাভাবিক সুস্থ মস্তিস্কের ব্যাক্তিত্বের আকাল পরে গেছে।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো একটা ইস্যু পেলেই আমরা প্যাচাতে শুরু করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.