নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফগান সিরিয়া আর কতদূর পাঞ্জেরী?

১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গিগ্রুপ জেএমবি "রোজা পালন কমিটি" নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। কল্যাণপুরে তারা হোটেলে ঢুকে ভাতের প্লেটে, চায়ের কাপে মুতে দিচ্ছে। আফগান সিরিয়া আর কতদূর পাঞ্জেরী?
সুইডেনে এখন পর্যন্ত টুপিদাড়ি ওয়ালা কোনো মুসলিম পুরুষের দেখা না পেলেও সাথে কালো বোরখা পরা নারী এবং বেশির ভাগের সাথেই ৫/৬টি করে বাচ্চা দেখে বোঝা যায় তারা কারা। এরা সিরিয়ান, আফগানিস্তানের, ইরানের, ইরাকের মুসলমান। অনেক নারীর পেটেও থাকে একটি বাচ্চা। আবার স্ট্রলারেও থাকে ১/২টি বাচ্চা। সবচেয়ে যে জিনিসটি জেনে ধাক্কা খেয়েছি মনে, তা হলো এই পেটে এবং স্ট্রলারে দুগ্ধপোষ্য দুই তিনটি বাচ্চা নিয়ে তারা সুইডেনে এসেছে দুই তিন মাস লাগাতার পায়ে হেঁটে! কেউ কেউ আরো বেশি। শুনে আমার বিশ্বাস হতে চায় না। একজন আরবি ভাষী ইরাকি বন্ধু পেয়েছি যে মুটামুটি ইংরেজি পারে। তাকে সাথে নিয়ে তাদের বারবার প্রশ্ন করে বুঝি মানুষ কতটা অসহায় হলে এতোগুলো দুগ্ধপোষ্য শিশু সাথে নিয়ে আফগানিস্তান থেকে, সিরিয়া, ইরাক, ইরান থেকে পাঁয়ে হেঁটে নাস্তিক নাসারার দেশে এসেছে, শুধু ইসলামিক দুঃশাসন এর হাত থেকে প্রাণে বাঁচার জন্য। আমি ওদেরকে অনেকক্ষণ বুকে জড়িয়ে ধরে থাকি, মানবিক অনুভবে। এই মানুষগুলো শিশুগুলো কেউ কেউ নিজের চোখের সামনে দেখেছে বোমার আঘাতে শত শত স্বজনের মৃত্যু। তার পরই হয়তো তারা হাঁটতে শুরু করেছে বাঁচার তাগিদে!
কল্যাণপুরের ঘটনা পড়ে ভাবছি আর শিউরে উঠছি!আমার স্বজনরা কবে এই রকম দলেবলে হাঁটা শুরু করবে? ইসলামিক "রোজা পালন কমিটি" মনে হয় না এই ব্রাকেটে আটকে থাকবে।
গত বছর রোজাতে বিকেলবেলা এক বন্ধু (মুসলিম নয়) কাকরাইল অফিস থেকে ফোন করে বললো-দোস্ত ক্ষুধা লাগছে। কোনো খাবারের দোকান খোলা নাই। অফিসে সবাই রোজা বলে সিগারেটও টানতে পারছে না। আমি তাকে আমার বাসায় এসে খেয়ে যেতে বলেছিলাম। খাওয়ার জন্য রাস্তার জ্যাম পেরিয়ে ধানমণ্ডি সে অবশ্য আসেনি। ক্ষুধা সহ্য করেছে। কল্যাণপুরের মানুষ যেমন চায়ের কাপে, ভাতের প্লেটে মুতে দেয়া সহ্য করছে। ইসলামের অপশাসনও বাংলাদেশ হয়তো সহ্য করে নেবে।
গ্রামাঞ্চলে বেশ প্রচলিত গল্পটি না বললেই নয়:
এক হুজুর কনকনে শীতে এক প্রত্যন্ত গ্রামে ওয়াজ করতে গেলেন।সেখানে উনি ওয়াজ করলেন যে, "পরনারী দের দেখাতো দূরের কথা, তাদের কাপড় দেখাও হারাম!" ঘটনাক্রমে ওয়াজ শেষে হুজুরকে ঐজায়গায় রাত্রি যাপন করতে হল।হুজুর ঘুমোতে এসে দেখলেন যে, এই শীতেও তাকে কোনো কাঁথা/কম্বল দেয়া হয়নি।হুজুর অনেক কষ্টে রাত কাটালেন। সকালে হুজুর রাগ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি রওয়ানা দিলে এলাকার লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করলেন "হুজুর দয়া করে বলুন কি জন্য আপনি নাখোশ হয়েছেন?" হুজুর রেগে উত্তর দিলেন "এই কনকনে ঠান্ডায় একটা কাঁথাও দিলেনা আমাকে!!!" লোকের উত্তর দিল "হুজুর সব কাঁথাগুলো তো মহিলাদের কাপড় দিয়ে সেলাই করা, আপনি তো বলছিলেন মহিলাদের কাপড় দেখাও হারাম!" হুজুর তখন অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন "আরে বেকুবের দল ওয়াজ কি আমি নিজের জন্য করেছি?
করেছিলাম তো তোদের জন্য" :
নোট_: ফেসবুকেও এখন এমন ওয়াজ নসিহত করা হুজুরের অভাব নেই। তারা বিভিন্ন ছবিতে গিয়ে ধর্মের কথা, পর্দার কথা বলে ঠিকই কিন্তু নিজেরা অনুসরন করেনা। তাদের বন্ধুতালিকায় সুন্দরী দের আধিক্য, সুন্দরী দের ছবিতে তাদের লাইকে কিন্তু কমতি নেই।তবে অন্যকে উপদেশ দিতে, অন্যকে নসিহত করতে তারা ক্লান্তিহীন। তারা নারীদের পর্দার কথা বলে ঠিকই কিন্তু পুরুষ হিসেবে নিজেদের পর্দা করার কথা ভুলে যায়। তাদের সব ওয়াজ যেন অন্যদের জন্য
পাপের এই শেষ জামানায় আমরা সবাই ই কমবেশি পাপী। হয়তো সবাই ফেরেশতা হয়ে বাঁচতে পারবনা কিন্তু আল্লাহর রহমতে ভন্ডামি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে পারব।তাই যারা অন্যদের পাপী ট্যাগ দিয়ে নিজের পাপ লুকায় তাদের জন্য আল্লাহর কাছে হেদায়েত কামনা করছি।

তথ্য কৃতজ্ঞতা-চৈতী আহমেদ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন।

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.