নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৯৪

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১২

প্রিয়তা,
অনেকদিন তোমাকে এভাবে হাহাকারের চিঠি লিখিনা।সবসময় তোমাতে মজে তুমিময়তার এক একটা গল্প বলেছি তোমায়। কিন্তু আমি দেখলাম আমি তোমাতে এতটাই বিলীন যে আমার সকল কাজ তুচ্ছ মনে হয় সকল ভাবনা পন্ড হয় আর তাই লেখা তোমাকে।জ্বর, সর্দি আর মাথা ব্যথা নিয়ে বাসায় বসে আছি।তবুও তোমাকে লিখতে ভাল লাগছে।
এই চিঠিটা কেন লেখা? কারণ,এই অপদার্থ মানুষটা জানতে চায় আমার পৃথিবীতে কেন আমি অকাল পাথারে ডুবে যাচ্ছি?কেন ক্ষয়ে যাচ্ছি আমি? কেন থমকে যাচ্ছে তুমিহীনতায় আমার পৃথিবী।আমি তো এখনও মরে যাই নি তবে তুমিহীনতায় এমন অদ্ভুত মরন কেন?
শেষ কবে আমি তোমাকে ভুলে থেকেছি মনে পড়ে না। আমি শত অপেক্ষায় থাকি তোমার আগমনের এমনকি জ্বরের ঘোরেও তোমার ছবি দেখি।জানি রাগ হয়েছে বা স্বার্থপর ভেবেছো আমিও ঠিক তাই হয়তো।তবে জানো,আমার বারে বারে মনে হয় আমি দৌড়ে ছুটে যাই তোমার কাছে যদিও কথাটা আগেও বহুবার বলেছি।কিন্তু তখন মনে হয়েছে আমি হয়তো জ্বরে উঠে দাড়াতে পারবো না এখন যতটা পারি।
কয়দিন হলো তোমার মুখে খাঁন সাহেব ডাকটা শুনি না। হয়তো হারাবার ভয়ে আমি কি বলতে বলতে তোমায় কষ্ট দিয়ে ফেলি তা নিজেও জানিনা।এমন না যে ইচ্ছে করে বলি বুঝলে হারাবার ভয়ে আমি শঙ্কিত থাকি। যখন বুঝতে পারি নিজে কষ্ট পাই দ্বিগুণ। তোমাকে এভাবে চিঠি লিখিনা কোনদিন ।তবে একটা পুরনো কথা।তোমার ছোট ছোট রিপ্লাই না পাওয়ার বেদনা তো আমাকে পোড়ায়।তোমার পৃথিবীটা অনেক বিশাল । সেই বিশাল পৃথিবীর পুরোটা জুড়ে শুধু তোমার সব।তবে সেই মানুষটা যার পৃথিবীটা তুমি বাবা আর মা এর বিকল্প হলে কেমন যেন আমি খোলস বন্দী হয়ে যাই।কেউ তো আর আমাকে হঠাৎ হঠাৎ ফোন দিয়ে কিচির মিচির করে না,বা বঁকা দেয় না।আদেশ দেয় না। আমি জানি সবাই তোমার মত ভাল না। আর সবাই আমার মত খারাপও না।তবে এতটুকু জানি মনের অজান্তে তুমি কবে আমার পৃথিবী হয়ে গেছো তা আমি নিজেও জানি না।আসলে কিছু সম্পর্ক স্রেফ প্রয়োজনের হয় না হয়ে যায় এমন ভাবে মনে হয় যেন হাজার বছর চিনি।তখন আমরা ক্রমেই পরিচিত থেকে এমন একজন হয়ে যাই মনে হয় শতবর্ষ থেকে অপেক্ষা। নিজের দোষটাকেই বড় করে দেখি আমি। মানুষকে কষ্ট দিয়ে বরং উল্টো পেয়ে যাই।
যখন গাঙ্গীনাপাড়ে চা খাই হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ে আমার কি যেন নেই।তখন তোমাকে মনে পড়ে নতুন ভোরের আলোর মত সব ঝলমলিয়ে উঠে।আবার তুমি পাশে নেই ভেবে আকাশ কালো হয়ে যায় আমার । মন খারাপের কারণ হও তুই মাঝে মাঝেই। মনে হয় তখনই তোমাকে ফোন দিই। ওপাশে তোমার কিচিরমিচির শব্দ শুনি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে তোমার এলাকায় যাই। কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়ে তুমি হয়তো ব্যাস্ত থাকবে।খুব ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে সেন্টমার্টিন যাই সেখানে কোরাল পাথরে বড় করে তোমার আমার নাম লিখে আসি।মনে হয় পাহাড় থেকে তোমার নাম বলতে বলতে ঝাপ দি বলতে বলতে তোমারই নাম।তুমি পাগল বলো আর ঐ একটা নামই আমার নামই হয়ে গেছে।আচ্ছা একটা কথা যখন রাগ করে থাকো বা থাকো অন্যখানে তখন কি একটুও মনে পড়ে আমাকে। যদি কখনো পাই যা স্বপ্ন দেখি।আমি তোমাতেই ডুবে থাকি।
প্রেমিকা নয়,তুমি বরং চাদর হও,বা চাঁদের আলো! আমি তোমায় চাঁদ বলে ডাকবো।
আচ্ছা, তুমি বরং হাসি হও,কলকলে কৈশোরের সূর্যমাখা হাসি হও পৃথিবীর সব মায়ের মুখে।অ্যাই, তুমি কিন্তু আমার স্বপ্ন হও!জেগে জেগে তোমাকে দেখে আর হয়না, জানো?তুমিতো জানোই আমি বড্ড আলসে! দুনিয়া গোল্লায় যাক, তুমি আমার স্বপ্ন হও!আমি চোখ বুঁজে থাকবো, তোমায় একটু দেখতে দিও।আচ্ছা শোনো, তুমি কিন্তু আমার ইচ্ছে হও!রাস্তার ধারের ঐ বাচ্চাগুলো অনেক কাঁদে, জানো?ওরা যে খেতে পায়না!ঈদ আসে, ঈদ যায়!তুমি কি একটু সুখ হবে,আমার এক আকাশ নীলপেড়ে সুখ?ইচ্ছে মতন বেলাবো তোমায়, মুছবো ওদের দুঃখ!আচ্ছা শোনো, আমার ইচ্ছেগুলো সব ওদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি!তুমি একটা একটা করে কুঁড়িয়ে নিও!
ওদের কান্না আমার করে নিও, ওদের চোখে আমায় দেখে নিও!আর শোনো, যাবার সময় একটু হেসে যেও!এই শোনো, তুমি কি একটু আমি হবে?ঘোরলাগা গোধুলীতে সন্ধ্যের রহস্যমাখা কুয়াশায় আমার চোখ হবে একটু?নাহ থাক! তুমি বরং আমার ইচ্ছেটাই হও।খুব করে আমার ইচ্ছেটাই হও!তোমার চাঁদের আলো হয়ে যেও!
আচ্ছা আরেকটু শোনো না,বেলীর খোঁপা মাথায় পড়ে মেঠোপথের বাঁকে,আসবে তুমি, ডাকবো তোমায়,অন্যকোনো রূপে!তখন আমায় চিনে নিও!

এই দেখো আমি হাত পেতেছি তোমার কাছে।নিছক প্রেমে তো নয়।চেয়ে দেখো আমার সারা শরীর,তোমার জন্য ভালবাসা লেগে আছে।আমার চোখে তোমার জন্য,অপেক্ষায় জ্বলজ্বল করছে।এক বার এই বুকে কান রেখে শোনো,কত নিবিড়ভাবে তোমাকে ভালবাসার প্রয়াস।আমার নিশ্বাসের উষ্ণতর অধ্যায়,একবার পাঠ করে দেখো।আমার চিবুকে লেগে থাকা,নির্ঘুম কান্নার দাগ স্পর্শ করে যদি বলো,আমার প্রচন্ড জ্বরের ঘোরে ভুল করে তোমার নাম নেয়াকে শুনে দেখো।আমি কোনদিন তোমার দুয়ার থেকে ফিরে যাবো না।তোমার উঠোনে ঋতু পাল্টাবে,জ্যোৎস্না আর মেঘের খেলা চলবে।
সময় করে মনে করো একবার আমায়।নিছক প্রেমে নয় ঠিক আমি যেমন করি প্রার্থনার মতো।আমি যেমন হাত পেতেছি তোমার কাছে।
বুঝলে পৃথিবী আমার এই পৃথিবীতে কত মেয়ে, কিন্তু আমার শুধু এই নির্দিষ্ট একজনের জন্যই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে দুনিয়াতে শুধু একজনই আছে যাকে না দেখে আমি থাকতে পারবো না। যাকে দূর থেকে একটা বার দেখলেও মনে হয় সে আছে, এখনো আছে।আমি হয়তো উড়িষ্যা বিহার জয় করে এনে কারো পায়ে ফেলতে পারবোনা। বরং আমি তোমার আশে পাশে থাকে তোমাকে আগলে রাখতে পারবো।তোমায় এগিয়ে চলার সাহস দিতে পারবো।তোমাকে জয় করার জন্যে আমার মানবিকতাসম্পন্ন একটি মন আছে। চলবে তো?
ইতি
বদ্ধ পাগল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২৭

লেখা পাগলা বলেছেন: ভালো ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.