নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৯৬

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

সূপর্না,

তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি কতোবার দ্বারস্ত হয়েছি আমি গীতিকবিতার, কতোদিন মুখস্ত করেছি এই নদীর কল্লোল কান পেতে শুনেছি ঝর্ণার গান,শুধু তোমাকে লিখবো বলে জীবনের গূঢ়তম চিঠি হাজার বছর দেখো কেমন রেখেছি খুলে বুক।তোমার উষ্ণ ঠোঁটে আলতো চুম্বন দিতে ইচ্ছে করে,যদি দাও আমার কাছে এক প্রকার 'ঘুষ' মনে হবে তা।আমি না হয় অনৈতিক ভাবে যখন তখন এঁকে দিব;তোমার ঠোঁটে, গালে, কপালে-তুমি বলবে আইন মানো না বুঝি?জানো না'ঘুষ' দেয়া-নেয়া দন্ডনীয় অবরাধ!অতঃপর কারাগার আর জরিমানা।আমি বলবো ও আমি নিকুচি করি সব আইনের।সামলে নিব ঠিকই আমি সব?
তোমার সাথে কথা হয়না শীতের আগেই।। কুয়াশার দিনে শূন্যতা ভয়প্রিয় অন্তর গুড়িয়ে দিয়েছিল। শেষ যে রাতে আমাদের যোগাযোগ ছিল সে রাতে আমি শুনেছিলাম একটি বাচ্চা মেয়ের ব্রেড ক্রাম্প না আনাতে ঘরময় কি চিৎকার।কত কথা আমার শহরে তোমায় নিয়ে থাকার স্বপ্ন,তোমার শত বন্ধন ছিন্ন করে আসার স্বপ্ন।এই স্বপ্ন দেখে আমি ঘুমিয়েছিলাম নিশ্চিন্তে।জেগে দেখেছি নির্মম শূন্যতা,তোমাকে রোজ লিখা চিঠির উপর চিঠি,অক্ষরেরা রক্তাক্ত। চিঠির প্রতিটি অক্ষর যেনো আমাকে বুকটাকে বুলেট হয়ে ঝাঁজরা করে দিলো। প্রতিটি চিঠির শেষে এক একটা দীর্ঘশ্বাস।প্রতি মূহুর্তে হাজারটি স্বপ্ন চিঠিতে লিখা তোমাকে নিয়ে দেখা হাজার টা স্বপ্নের মধ্যে কয়েকটি স্বপ্ন খুব কানে বাজে "বাচ্চা জানো? আমার অনেক ইচ্ছা একদিন কোনো এক শীতের সকালে খুব ভোরে আমরা হাত ধরে সারা শহরে ঘুরে বেড়াবো। ঘন কুয়াশায় কেউ দেখবেনা আমাদের হাত ধরে থাকা!,বাচ্চা জানো? আমার অনেক ইচ্ছা একদিন তোমাকে নিয়ে ট্রেনে চড়ে অনেক দূরে যাবো, তুমি ট্রেনের জানালার পাশে বসবে, বাতাসে তোমার চুল বার বার মুখের এসে পড়বে আর আমি সে দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে দেখবো,বাচ্চা জানো? আমার অনেক ইচ্ছা আমার বিয়ের দিন আমাদের বাসর ঘরে বিছানা ফুলের পরিবর্তে তোমাকে নিয়ে লিখা হাজারটা চিঠি দিয়ে সাজানো থাকবে। তুমি আমার বুকে চিঠি পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাবে।
সেই স্বপ্ন গুলোকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তুমি খালি যাও আর ফেরার নাম নেই।তাই আমি ঠিক করেছি তোমার সারা শহরের দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দিব পোস্টার আমার চিঠির ভাষায় "বাচ্চা জানো? চিঠির প্রতিটি অক্ষর যেনো আমাকে বুকটাকে বুলেট হয়ে ঝাঁজরা করে দিলো। প্রতিটি চিঠির শেষে হবে "বাচ্চা জানো?" বলে তোমাকে নিয়ে দেখা আকাশ সমান সব স্বপ্নের কথা।তোমার সারা শহরের দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দিব পোস্টার আমার চিঠির ভাষায়।বাচ্চা জানো একজন মুমূর্ষু মানুষের জন্য ভালবাসা প্রয়োজন।এবং ওটা উষ্ণ তোমার হৃদয় কারন তুমি যে আমার হৃদয়ের ভিতরে রক্ত কনিকা হয়ে বাসা বেধেছিলে। আমার ভিতরে তুমি রক্ত কণিকা হয়ে প্রেম জমিয়ে রাখতে। আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে। আমাকে নিশ্বাস নিতে দিতে। পোস্টার তুমি দেখবে কিনা জানিনা।আমি কত মধ্যরাতে উদাস হয়ে বসে থাকি ছাদের উপরে।ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করি কখন আমার সময় শেষ হবে। চোখে আমার এক প্রশান্ত মহাসাগর পানি।আমি চাই ঠিক রাতের সব নীরবতাকে দুমরে মুচরে বেজে উঠুক আমার মুঠো ফোন। ওপাশের গলাটা শুনে মনে হোক ঈশ্বর যেন আমার ডাকে সাড়া দিতে দূত পাঠালো।এবং সেই দূতটার নাম হোক তুমি।তোমার বাচ্চা মায়াবী কন্ঠটি শুনে পাথর থেকে যেন মোম হয়ে যাই।তুমি খুব যত্ন নিয়ে পাথরকে গলিয়ে মোম করে বলো আজ নাকি আকাশে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠেছে?তুমি কি একটু আমার শহরে আসবে একসাথে চাঁদ দেখব।
বাচ্চা জানো? পোস্টারের গল্প। এর সাথে সুবোধ কিংবা দেশের কোনো কিছুরই সম্পর্ক নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার মন জয় করার জন্য অনেক কিছুই করেছে। কিন্তু প্রেমিকার জন্য সারা শহরে পোস্টার লাগানোর মত কাজ কেউ আজ পর্যন্ত করেনি আমি তাই করবো তোমার শহরে।
তমি জানো তোমাকে দেখি, মাঝে মাঝে, লুকিয়ে লুকিয়ে,তোমার দেয়ালে কেমন গ্রাফিতি,কার সাথে কুসুম কুসুম সখ্যতা - বুঝি,আবার কোথাও দেখি না, শ্বাসের কাছে, নিকটে, দূরে কিন্তু তোমাকে দেখতে যাই।মাঝে মাঝে হ্যালুসিনেশন হয়, তোমাকে দেখি,
তুমি গোলাপী রঙের শাড়ি পরে কোথাও যাচ্ছো,তোমার না ঢাকা নাভীতে প্রবারণা'র চাঁদ ডুবে যাচ্ছে বা দোলছে-এমন লুঘুপাপ দৃশ্য দেখে উত্থিত হই, স্বপ্নে!
তোমাকে মাঝেই মাঝেই দেখি,দেখি - গল্প করছো আমার সাথে,হাসছো- আমার ভালো লাগে,দেখি - কাতান পরে পায়ে পায়েল পরে আমার আঙুল ধরে হাঁটছো সোডিয়াম সন্ধ্যায়,দেখি আমার বুকে মাথা রেখে প্রেম পোহাচ্ছো প্রিয় পাগলী!
আবার তোমাকে দেখি না,আরব্য রজনীর জাদুকরের মত তুমি নিমিষেই মিলিয়ে যাচ্ছো,
দেখি- তুমি নেই পাগলী তুমি নেই।শিশির নেই।শান্তি নেই।স্থিরতা নেই!ডাক্তার দেখিয়েছি- যা নেই তা কেন দেখি?হ্যালুসিনেসন? হোক।আরোগ্যে অসুখী,তুমি একটা অসুখের নাম, ডাক্তার না জানুক।
পরিশেষে বলি,তোমার হৃদয়ে স্থান অথবা চিরমৃত্যু তার আগে আমি হার মানছিনা।কেবল আজ নয় এক শতাব্দীএই শহরটা জানে,এই কনক্রিটের বুকে আমি আঁঁকি
তোমার মানচিত্র এমন মায়া মেখে।তোমার ছোট্ট বুকের ভেতর এমন করে যেদিন কাঁপবে হৃদয় ভেবে নিবো-তুমিও আমাকে ডাকছো।
ইতি
তোমার পাগল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে দিন দিন পাগলের সংখ্যা বেড়েই চলেছেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: হুমম ভবের পাগল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.