নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাতক পাখির ডাক

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৭



আজকাল খুব সহজে মানুষ মরে যেতে পারে।
বাক্সবন্দি আবেগ,উপচে পড়া কল্পনা,শুকিয়ে যাওয়া নোনা জলের সমুদ্র,নিয়মের অনিয়ম দেখা দিলে স্বাভাবিক ভাবে মানুষ মরে যেতে পারে,মরে যায়!
আজকাল মরে যাওয়া যায় জলের দামে,যেমন মেঘ ছুঁড়ে বিষাদের বুকে অজানা বৃষ্টির বর্ষন!
তবু আমি মরিনা! আমার নিজস্ব একটি আকাশে আমি পান করি তোমার নামে একফোটা বিশুদ্ধ অনল!

আজকাল নিজস্ব অরণ্য আমি গড়ছি সীমানাহীন, যাতে শুধু তোমারই বিচরণ! তুমিহীনা যেন অকেজো সেকেলে ক্যাসেটের ফিতা,যার হিসেব মিলেনা তুমিহীন কোন সমীকরণ!
আজকাল নির্মল বাতাসে তোমার গন্ধ নেয়া অথবা তুমি ভেবে কোনো বৃক্ষকে আলিঙ্গন, ভোর কিংবা রাত, ঘুমের দেশে আমি যেখানেই থাকি শুধুই একটা তুমির বিচরণ!

আজকাল তোমার বুকে মাথা রেখে শুনতে ইচ্ছে হয় এক একটা হার্টবিট!
অথবা একটানে শুষে নিয়ে নিজেকে বড় বাধতে মনে ইচ্ছে হয়,যেমন করে তুমি চুলে দাও গিট!

শিরা উপশিরা, ধমনী, বৃক্ক,মাথা ও মগজ,কল-কব্জা প্রতিটি নড়ে যায়! তোমাকে দেখার পর
পৃথিবী ছাড়তে ও কোন আপত্তি নেই; তবু নিশ্চয় তোমাতেই নিত্য পারাপার, তোমাতেই আবেগ, কল্পনা,দুঃখ, কান্না,বিষাদের সমাপ্তি,তোমাতেই ঘর বাড়ি কারাগার!

আমার জানা নেই তোমাকে আমি কখনও কাঁদতে দেখেছি কিনা তবু আমার খুব ইচ্ছে
কপালে চন্দ্রবিন্দু টিপ আর গায়ে টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে তুমি চোখের জল ঝরাবে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে রবীন্দ্রনাথের গান বাজবে।একদিন তুমি বড্ড বিষাদী হবে! তোমার গালের চিককচিকে বালুকণার মত জ্বলে ওঠা জলকণা সেদিন আমি ঠিকই টের পাবো! তুমি আমার জন্যে কোনদিন কেঁদো একবার এভাবে! আমি ধন্য হব তবু কিছুটা জল আমার নামে গড়াবে।

আমার জন্যে না হয় একটি দিন তুমি শরৎবাবু ছেড়ে রবীন্দ্রনাথ কে ভালোবেসো?
একটিবার ভুল করে হলেও রাবিন্দ্রীক প্রেমিকা হয়ো! হয়তো আমার হাতে দামী ক্যামেরা থাকবেনা সেদিন অথবা পকেটে রেকর্ডার থাকবেনা এই মুহূর্তটায়, তবু আমি হারাব সেদিন তোমার মাধূর্যতায়!

আমাকে বুকের মধ্যে ধরে রাখতেই হবে, ম্যাটেরিয়ালের অভাবে সেইদিন টাকে বস্তুগত ভাবে রাখতে হবে,ঝিনুক যেমনন মুক্ত রাখে ঠিক সেভাবে! কিছু মনে রাখা বেশি ভাল,যেমন তুমি আছো ঠিক স্বভাবে।

আমি ঠিক জানিনা,কিভাবে মানুষ প্রতিটি নিঃশ্বাসে
এত কারুকাজ নিয়ে বেঁচে থাকে বিস্ময়ে?
ভেবেছিলাম তোমার নীল শাড়ির রঙটাও মাথা থেকে উড়ে যাবে কিন্তু নাহ্ হাজারো কঠিন কল-কব্জার কারসাজি, প্রতিনিয়ত দেহের আনাচে কানাচে তুমি নামের ষড়যন্ত্রী!
তোমার শাড়ির নীল রঙ এখনো মাথার মধ্যে নেশা তুলে চলছে,আমি তোমার দাবীতে হই গণতন্ত্রী!

আজকাল আমার মরণ সুকঠিন ঝুঁকি নিয়ে বেড়েই উঠেছে,তোমার প্রতিটি পলকে ঝলকে, ঝলকে মৃত্যুর পরোয়ানা বিশ্বাস করবে না, সেদিন থেকে নীল রঙ মানে আমার কাছে মরুভূমির নিঃস্বতা! আমি শুধু তোমাকে খুন হতে চেয়েছি আর কিছু নয়!
আমি বেঁচে আছি অবাক বিস্ময়ে,আমার নেই তুমিহীন কোন গ্রহনযোগ্যতা!

আজকাল আমি শুধু ঈশ্বরের সাথে করি চুক্তি,
আমার তবু তোমার নামেই মুক্তি মেলে এখনো!
আজ কবি আহসান হাবীবের মত বলি তোমায়
"না না বলে ফেরালেই বুঝতে পারি
ফিরে যাওয়া যায় না কখনো। "

সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়(সানবীর খাঁন অরণ্য)
তালতলা,আগারগাঁও
ঢাকা,১৮/৫/১৮।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

কাইকর বলেছেন: বাহ....

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: কেমন হয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.