নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মান্তরের ডাক

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২


রক্তপ্রবাহে তোমার এইভাবে প্রবল উপস্থিতি তোমার,
তোমাকে চেয়ে আমি অহঙ্কার রাখতে চাই অটুট।

যদি একবার বলে দি ভালবাসি তবে ফেরাতে পারি না আমি চাইলে,
আমাকেও ফেরাতে পারি না!
সব ছেড়েছুড়ে ইচ্ছে করে তোমার হৃদকোণে পড়ে থাকতে... আকুতি করতে!
তুমি গন্তব্য বলে স্পষ্ট চিৎকার করে আমি তোমাকে ডাকি,
তুমি কেবলি রাগ দেখ,ক্রোধ দেখ, উত্তেজনা দেখ, আকুতি দেখ না?
আমি যে না মরেও মরছি তা দেখ না!

আমি চাই তুমি বলো চুমু দাও একটি,
নাহলে কিন্তু জীবনে আর হাত ধরাধরি প্রেম করবো না,
বা বলবে একবার জড়িয়ে ধরো নাহলে কিন্তু জীবনে আর শার্টে মুখ লুকিয়ে পারফইউমের ঘ্রাণ নিবো না।
আমি বোঝাতে পারি না কথা তোমাকে,অথচও কতটা নতজানু আমি,
দেখি তোমার মুখের একটা শব্দ শুনব বলে স্থিরচিত্তে বসে! তোমার নামেই হৃদয়ে ওঠে ঝঙ্কার!


মাঝে মাঝে মনে হয় এঁটেল মাটির ছোট্ট একটা ঘর,
সামনে তোমার একটা আলপনা আঁকা চৌকাঠ আর একটা বড় ভাস্কর্য
উহু মহান কারো না তোমার খোলা চুলের আমিয় চেহারা।
তোমার সান্নিধ্যে এলে তুমি গা থেকে তুমি বাতাসে ছড়াও একটি মিষ্টি ঘ্রান!
তোমার দৃষ্টির বাইরে যেতে চাইলেও তুমি দু চোখে কী ইন্দ্রজাল মেলে রাখ,
আমি সরতেও পারিনা নড়তেও পারিনা!

আমি চাই গোসল শেষে নীল শাড়ি পরে চুল মুছতে মুছতে আমার সামনে যখন আসবে,
কিছু তোমার শরীর মিস্ত্রিত আতর ন্যায় জল হয়তো গড়িয়ে পড়বে,
ওই ছোট্ট মাটির ঘরের ভালবাসার উৎসবের মত শাড়ির একান্তর কোণের ভাঁজের পেছনে
একটুখানি লুকোচুরি খেলা হবে তখন।
তোমায় দৃষ্টির কবলে পড়লে হৃদক্ষতস্থান জ্বলে ওঠে!
তোমার নামে হৃদয়ে ছোটে উষ্ণ রক্তস্রোত,আমি তোমাকে অবলোকন করে ধন্য হই!
অপেক্ষায় হই ঋজু, যেন পরিষ্কার হয় হৃদজঞ্জাল!
তোমাকে কেমনে বলি আমি কতটা তেমার স্বভাব-কাঙাল !

মাঝেমাঝে মধ্যে হয় তুলে নিয়ে আসি তোমাকে,
অবশ্য তুমি কি এত ছোট্ট ভয়ে কাবু হবে?
নাকি বলবে -"একটা চুমু দাও নাহলে জীবনে আর বৃষ্টিতে আর খিচুড়ি রেঁধে খাওয়াবো না।
একবার জড়িয়ে ধরো নাহলে জীবনে আর ঠোঁটের কোণায় চুমু খেতে দিবো না।"
আমি চাই গোধূলির গোলাপী আভাসকে হার মানিয়ে কপোলের আভায় বেধে রাখবে আমার দুচোখ!
আর নিশুতি নিভৃতে হবে প্রণয়িনী মৃন্ময়ী।
আমি আলপনার বৃত্তে আহবান করবো বাঁশির সুর!
আমি আত্মাহুতি দেবো শুধু একবার প্রেমযজ্ঞ করো!
আমার আনন্দলোকে শুধু একবার যতটা আমি মরি ততটা মরো!

আমি একবার বলতে আসবো, তোমাকে একবার চাইব,
তুমি যা মন চায় কোরো,যতটা আঘাত চাও করো!
আমি শুধু অনুভব করতে চাই,তুমি আমার পাশে আছো,
আর কিচ্ছু চাই না কোন জন্ম না কোন মৃত্যু না!
তোমাকে চাওয়া কেমন যেন দীপ্র স্বর্গীয় প্রতাপ, যার নেই মৃত্যু নেই জন্মান্তর!
আমি তোমার দাবীতে বসে আছি এক কালান্তর,
বোঝো??

আমি তোমার দাবীতে ছুঁটাতে পারি আমার রক্তের প্রতিটি নহর!
আজ পূর্ণেন্দু পত্রী হলে তোমায় বলেই দিতাম-
"যতক্ষণ তোমার কাছে,
ততক্ষণই আমি পালতোলা সপ্তডিঙার বহর।"

সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়(সানবীর খাঁন অরণ্য)
২০.৫.১৮
তালতলা,ঢাকা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কাইকর বলেছেন: বাহ.......

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৪১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: যদি আর কোনো ফুল না ফোটে
যদি আর বৃষ্টি না ঝরায় মেঘে ঢাকা আকাশ,

যদি মরে যাই একদিন, যেন মরি ফুলের বনে।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৪২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ঠিক ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.