নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চয়নিকা

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮



আমার দিন কেটে যায় শুধুই তোমার অপেক্ষায়।
তোমাকে একটু ছোঁয়ার বড় ইচ্ছে! যতবার ছুঁতে গেছি, শীতল বায়ু হয়ে হৃদয়ে প্রবেশ করে আমার হৃদপিন্ডের চারপাশে,প্রাচীরে স্পর্শ করেছো বারংবার!
বায়বীয় মন্ডলে চাপ সৃষ্টি করেছে মেঘ হয়ে,
তবু তুমি একবার ছুঁলেই বৃষ্টি হয়ে ঝরবে;
কেটে যাবে হাজার বছর মরুর শুষ্কতা,
হৃদয়ের সব বরফ গলে যাবে যা জমে ছিল হাজার বছর!

চয়নিকা

জন্ম অবধি আমার বক্ষের বা পার্শ্বে -
তোমার শূণ্যতা অনুভব করে আসছি!
নির্ঘুম রাত চলে যায়,ঘোর ভেঙ্গে যায়,
অপেক্ষার যন্ত্রনায় শুষ্ক হয় ঠোঁট;তবুও
একটা আওয়াজ বারংবার কানে পৌছে যায়!
তুমি আসছো,তুমি ডাকছো যেন আমাকে!
তুমি এমন ভাবে ডাকছো যেন কেউ আগে ডাকেনি!
তাই তোমাকে পাবার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করি।
আমি লড়াই করি এক একটা অজুহতের বিরুদ্ধে!
আমার নিঃশ্বাস যে আর বেড়ায় না!
আমি বাঁচিনা আবার মরিনা এই- নশ্বর পৃথিবীর বাতাসে!

চয়নিকা

এই যে আমি তোমাতেই ডুবি, তৃষ্ণার্ত আমি তোমাতেই বাঁচি,
তোমাকে দেখলেই আগুনের মতো ছুটে যাই!
তুমি বলেই, হাত বাড়িয়ে দিই!
হাত বাড়িয়ে রাখি,স্পর্শ না করলেও রাখি!
তোমার লাল ঠোঁটজোড়াও পলকহীন দেখি!
আমার বিছানায় তেমার নামে বালিশ জমাই!
তোমার হাতের স্পর্শ পাতে,তোমার মনের প্রেমদীঘিতে ফুটন্ত যে ৭ টি নীল-পদ্ম, আমার তা চাই!
আমি তোমার নামে প্রতিদিন অজস্র চুমু জমাই।

চয়নিকা

নিজেকে সরিয়ে রেখেছি,যেন ছোঁয়াচে কোন রোগ,
অস্পৃশ্য কোন মানবী আমায় ছুঁতে না পারে!
এই দ্যাখো ,আমার এই হাড় থেকেই সৃষ্টি হয়ে আছো যে তুমি, আমি ছুঁতে চাই তোমায় এই মাটির গ্রহে!
তুমি ছুঁলেই আমার শুচি হবে, ধুলো বালি সব ধুঁয়ে মুছে পরিষ্কার হবে, শুধু তুমি ছুঁলেই ওম,শুধু তুমি ছুঁলেই আমি পরিষ্কার!
চিৎকার করে বলবো,তুমি আঁশটে করে দিলেও আমি অশুদ্ধ হইনা;সাঁঝে বায়ূ আসে তোমারে ছুঁয়ে। আমি জানি তুমি আসবে,পূর্ণতা দিতে আমার অস্তিত্বের!
তুমি ছুঁলে আমি অশুদ্ধ হইনা।

হে চয়নিকা,
হে আমার পাঁজরের বিচ্ছিন্ন অস্থি,আমাকে কষ্ট দিবে?
তোমার মধু মেখে কষ্ট খাওয়াবে?
তথাস্তু! আমি তাই খাবো। এবং গিলে ফেলবো খুব সহজে।
আমি তোমার নামে ১০১ টা অভিমান খাই!
তোমার ভালোবাসার আগুনে হররোজ পুঁড়ি!
আমি তোমার জ্বলন্ত রুপের অগ্নিশিখায় জ্বলে দগ্ধ হতে শিখেছি।
বলো তুমি আমায় আর কতটা পুড়াবে?

হে চয়নিকা

বলো আমায় আর কতটা অপেক্ষা করাবে,
হৃদয়ে ঝড় উঠার আগেই আমি তা নিভিয়ে দিই।
সব তরনী ডুবিয়ে দাও তবু তোমাকে ছোঁবই!
আমি যে তরণী ছাড়া নদী পার হতে শিখেছি।
রুদ্রর মত আমি ইস্পাত প্রতিজ্ঞায় বলে দিই-
"হঠাৎ এলোমেলো বাতাসের পর জেগে উঠে
আমি যে নামটি কুড়িয়ে পেয়েছিলাম
সেটি তোমার,
সেই শীতে প্রথম সকালে আমি ওই নামে
তোমাকে ডেকেছি।"

হে চয়নিকা

আমি কষ্ট শুষতে শিখেছি,আমি যুদ্ধ করতে শিখেছি!
ঘুমের সাথে আড়ি দিয়ে লাল টুকটুক শাড়ি দিয়ে,
মনের চুলোয় গরম ভাতের হাড়ি নিয়ে তোমাকে বলি-
তুমি কি আর যে কোন এক নারী?
তোমার জন্যে আকাশ থেকে চাঁদকে আনি কাড়ি। চাইলে সূর্য মুঠোয় নিতে পারি!
তবু আমি রাখি কিছু অধিকার পুষে।
'তুমি' নামক গভীর দিঘীতে ডুবে মরি অতল জলে
যদি পারতাম হররোজ রুদ্র হয়ে তোমায় বলতাম প্রিয় তোমার-
"উচিত ছিলো শোবার ঘরে শাড়ির বাঁধন
খুলতে গিয়ে আমায় দেখে মুখ লুকানো
লজ্জারাঙা স্নিগ্ধ হাসা আঁচল তলে ।"

সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়(সানবীর খাঁন অরণ্য)
৯.৫.১৮
মিরপুর,ঢাকা

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: চয়নিকা কি এই কবিতা পড়েছে?
চয়নিকার ছবি দেখতে চাই।

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: চয়নিকা বলতে কেউ নেই,তবে যাকে লিখেছি সে জানে

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ!! অভূতপূর্ব ! এক চয়নিকাতে অপূর্ণতা ।
এই যে আমি তোমাতেই ডুবি,তৃষ্ণর্তা আমি তোমাতেই বাঁচি । ধারুণ লাগলো । একটু বড় হলেও কবিতা ভাল হওয়ার কারণে বিরোক্তি আসেনি ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ভালবাসা শতত

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

কাইকর বলেছেন: সুন্দর কবিতা

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.