নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যাবর্তন

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৬



এই যে,প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটি আকাশ থাকে,
আর আমার সেই আকাশে তুমি উড়ছো।
তুমি হাসছো তুমি খেলছো,আমার ভোরের আলোয় ছুটে চলা,
তোমার কল্পনায় সময় চলে যাওয়া,
এমনকি রাতের আঁধার ঘিরে এলে ভয় পেয়ে আমি তোমাকেই ডাকছি!
তার মানে কি এই নয়,অন্তহীন এ পৃথিবীর পথে
আমি তোমার সাথেই পথ চলতে চাই?
অতএব আমার একজীবনে ভয় পাওয়া রোধক হতে হলেও
তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো।

এই যে তুমিহীনা ক্লান্তিকর নিজস্ব অরণ্য,আমি
গড়েছি যে বসতি, তোমারই বিচরন তাতে হোক!
ভোর আসুক তোমাকে ভেবেই,
রাতে ঘুমের দেশে যাবার সময় তোমার ভাবনা
আচ্ছন্ন করুক এটাই তা একান্ত কাম্য।
এই যে নির্ঘুম রাতে একা আমি, একাকি আমার বাসর,
ঘুমঘোরে চিৎকার করে বলি তোমাকে লাগবেই
এবং একমাত্র তোমার ভালোবাসা আমার চাওয়া;
অতএব সে একাকি বাসরের দোসর হতে হতেই
তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো!

এই যে -পৃথিবী ছাড়তেও কোন আপত্তি যাকে ছাড়া,
তোমাকে ছাড়া যে বাঁচাতে এত সংশয়,
এই যে- কত বর্ষা আমি কিভাবে সন্ধ্যাগুলো কাটিয়েছি,
তুমিহীনা যে কত শীত লেগেছে;
এই প্রশ্নাত্মক বিষয়গুলো তুমি কিভাবে ব্যাখ্যা করবে?
এই আঁধার জীবন একমাত্র যে আলোকিত করতে পারে,
মহাকালের ডায়েরি তে তা লিখে চলি,
আমার যা আমি ছিল সবই তা তোমার আজও তোমার!
বিকেলে রিক্সার হুডগুলো শুধু হুড হয়েই আছে,
চুম্বনের অস্ত্র হতে পারেনাই তোমার ঠোঁটাভাবে!
রিক্সায় উঠলেই যে গন্ত্যবে পৌছে যাওয়ার তাড়া,
পাশে বসে তোমাকেই শুষে নেয়ার কথা;
অতএব আমার গন্তব্যে পৌঁছে যাবার তাড়া দূর
করতে তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো!

এই যে ভোরের স্তব্ধতা আমার প্রিয় হয়ে উঠেনি,
লাল আকাশটাকে মনেহয় রক্তের রঙে রাঙানো
অথচও আমার যত প্রেমের সরলরেখা,
সহস্র বার জন্ম নিয়ে তোমার কাছে শেখা।
আমার যত ভালোবাসা হিসেব যদি আমার করতে হয়,
তার চেয়ে বেশি এক পলকে তোমার জন্য রয়!
এই যে যত রঙ থাকে এক ফাগুনের গায়,
ঈশ্বরও জানে তুমিহীনতায় থাকাটাও অন্যায়!
অতএব একজীবনে আমার সকল অন্যায় থেকে মুক্তি দিতে হলেও
তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো!

এই যে "অসম্ভব" আমার অসম্ভব প্রিয় ,
ব্যতিক্রম আমি সবসময় পছন্দ করি।
হয়ত আমার দেখা সেরা চেহারার অধিকারিণী তুমি নও,
তবে আমার জীবনে দেখা একমাত্র রাজকুমারী তুমি!
এইযে তোমাকে দেখলেই মনে হয় যেনো কতশত জন্মান্তর আমি শুধু তোমার তপস্যা করছি,
তুমি আমাকে আত্মহাহাকারের অনল থেকে মুক্তি দাও!

সাধারণ সব রাস্তার একটু একটু আড়াল,
কতোটা অসাধারণ হতে পারে, এই দীক্ষাটা তোমার কোথায় লুকানো? একটু দ্যাখাও!
এতএব একজন্মের হাহাকার থেকে মুক্তি দিতে তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো!

এই যে তোমাকে দেখে আমার রক্ত আস্ফালন করে, আমি তা পরীক্ষা করি
এবং ডাক্তার আমায় প্রেসক্রিপশন দেয়,
তুমি নামক ভিটামিনের অভাবে আমার ঠোঁটে ঘা হয়েছে!!
এই তো সেদিন নির্দোষ বর্ষায় সমস্ত শহর দুপুরের বুকে বসেই ভিজলো দ্বিধায়,
এমনকি সমস্ত দুপুরটাই ভিজে গেলো বর্ষায়,
আমার যে তোমার অভাবে ভেজা হলোনা!
যেটা কতটা কষ্টের ব্যাপার, সেটা কি করে বোঝাই তোমাকে!!

এই যে দেশের তথাকথিত রাজনৈতিক সমাবেশ কিংবা অপহরণের নাটক কেন্দ্রিক খবর গুলো
নিয়ে ভাবতে ভালো লাগেনা তার বদলে তোমার-আমার পারিবারিক সমাবেশ হওয়া উচিত ছিলো!
আমার অপহৃত হওয়া উচিত কিছু হৃদস্পন্দন তোমার নামে,
এই ব্যাপারটাকে তুমি কিভাবে দ্যাখো?
তোমার হৃদয়ে গুম হয়ে যাওয়া এক বালকের
নিত্যদিনের রাষ্ট্রীয় গুমের খবর আর শুনতে ভাল লাগেনা,
দেশের অবস্থা ভালোনা কেউ ভালোনেই!

আমি ভাল নেই অতএব তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো!

সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়(সানবীর খাঁন অরণ্য)
আগারগাঁও, মিরপুর,ঢাকা
৩.৬.১৮

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
মনোমুগ্ধকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.