নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেইমান

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫২

বঙ্গবন্ধু সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন মনোরঞ্জন ধর। বঙ্গবন্ধু তাকে সম্মান করে দাদা বাবু বলে ডাকতেন। মনোরঞ্জন ধরকে মন্ত্রী হতে অনুরোধ করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন-

‘দাদা আপনার কথার উপরে জীবনে কোন কথা বলিনি, আপনি যা বলবেন, যা করবেন সেটাতেই আমি রাজি।'

এই দাদা বাবু ১৫ই আগস্টের পর মোশতাকের আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এই মনোরঞ্জন ধর ছিলেন কুখ্যাত ইনডেমনিটি নামক অধ্যাদেশের রচয়িতা। ‘দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড বাই অথরিটি’ লেখা অধ্যাদেশটিতে দুটি ভাগ ছিল।

প্রথম অংশে বলা হয়েছিল-

'১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবত্ আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।'

দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছিল-

'রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো। অর্থাত্ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।'

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার ২১ মন্ত্রীকে ১৫ই আগস্টের পর মোশতাকের মন্ত্রীসভায় দেখা যায়। আরও উল্লেখ্য যে সেই ২১জন বিশ্বাস ঘাতকের কয়েকজন পরবর্তীতে আবারও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আজকাল বিভিন্ন সমাবেশে হাফপ্যান্ট পরা ছাত্রনেতাদের প্রায়শই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে সর্বহারা-জাসদ-কমিউনিস্ট পার্টি, ইনু-মতিয়া-মেনন ইত্যাদিদের সংযোগ নিয়ে গাল বড় করে লেকচার কপচাতে দেখা যায়।

অথচ নিজেদের হাতে লেগে থাকা থকথকে রক্তের দিকে তাদের কোন নজর নাই...

-আরিফ রহমান

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৬

কেএসরথি বলেছেন: এইসব অতীত ও বর্তমান বেইমানদের খুজে বের করতে হবে। তারপর তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা-পয়সা খেয়ে তাদের মন্ত্রী বানাতে হবে।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৫

এলিয়ান বলেছেন: এটাই বাস্তবতা। সত্য কথা বলতে বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা ছিলেন তাদের খুব কম লোকে তাকে ভালবাসতেন। আর তাজউদ্দীনের মত যারা তাঁকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেচ ৭৫ এর দিকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাদের দূরুত্ত তৈরীহয়। সবাই সুযোগের জন্য বঙ্গবন্ধুর নাম , ক্ষমতা ব্যাবহার করেছে, তাঁর সরলতার সুযোগ নিয়েছে ।

সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো, আজকের আওয়ামীলীগ (সব পর্যায়ে) বঙ্গবন্ধুকে সবচেয় বেশী বেচে খায়।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি " প্রেসিডেন্টের ইমডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারী" ও উহাকে "পাস করার" মাঝে পার্থক্য বুঝেন না; এদিকে ম্যাঁওপ্যাঁও পোষট লিখে ভরায়ে ফেলছেন, ব্যাপার কি? কিছুদিন আগেও তো কবি ছিলেন, মনে হয়!

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনোরন্জন ধর'কে মিলিটারী কি করেছে, আপনি তো জানার কথা নয়; জিয়ার সোনিকদের সামনে পড়লে, আপনার প্যান্টও ভিজে যেতো, এতে সন্দেহ নেই।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৪০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

বেইমান বিচ্চু সব জায়গায় থাকে।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: অল্প কিছু বেঈমান। সবাই না।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

Mohammad Israfil বলেছেন: দূর! মিয়া, বেইমান তো শুধু বিরোধীরাই হবে। ইন,মতিয়া,মেনন এরাই প্রকৃত বন্ধু। আর নিজ নিজ দায়িত্বে ইতিহাস ভূলে যাবেন

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

তিক্তভাষী বলেছেন: তার মানে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী-বাকশালীরাই ইনডেমনিটির ড্রাফট করে, অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করেছিল? আওয়ামী-বাকশালীদের করা ইনডেমনিটির ধারাবাহিকতায় কেবল সংসদীয় সীলমোহর দেয়াতেই যত দোষ নন্দ ঘোষ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.