নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com
বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র নির্মাতা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বছরে বাড়বে অস্ত্র ব্যবসা। এমনটাই অভিমত বিশ্বজুড়ে তাবৎ সামরিক বিশেষজ্ঞের। অর্থনৈতিক মন্দা ও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গোটা বিশ্বের অস্ত্র ব্যবসার দুই-তৃতীয়াংশই এখনও মার্কিনিদের দখলে। ২০১২ সালে প্রায় ২১ হাজার ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্রসামগ্রী বিক্রি করেছে অন্যান্য দেশে। যা ২০১১-র তুলনায় ৫.৪% বেশি। নতুন বছরে অস্ত্রের কারবারিটা আরও বাড়বে বলে অনুমান মার্কিন কংগ্রেসের। এদের মধ্যে প্রতিরামূলক ও নজরদারির কাজে লাগা মানববিহীন বিমান ড্রোন বিক্রি করেই বহু লাখ ডলার কামাতে চলেছে আমেরিকা।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও অস্ত্র ব্যবসায় আমেরিকা তার নিজস্ব বাজারকে ধরে রাখতে পেরেছে। এমনকি গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময়কালে কিছু দেশ আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে যারা এতদিন ধরে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনত। সম্প্রতি রয়টার্স প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর আরব আমিরাত সাড়ে ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিনেছে আমেরিকার কাছ থেকে। মরক্কো কিনেছে ২১০ কোটি ডলারের জেট ফাইটার। যুদ্ধের জন্য ব্যবহৃত হেলিকপ্টার কেনার জন্য তাইওয়ান ও ভারত অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি করেছে আমেরিকার সঙ্গে। এছাড়াও ওই সময়কালে আমেরিকার কাছ থেকে বিশাল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম কেনার জন্য চুক্তি করেছে ভারত, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, দণি কোরিয়া এবং ব্রাজিল। নতুন বছরে এসে এ অস্ত্রচুক্তি আরও বাড়বে বলে স্থির বিশ্বাস অনেকেরই। এশিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ বিতর্ক এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, উত্তর কোরিয়ার পেণাস্ত্র উৎপেণ, চিনের ক্রমশ বাড়তে থাকা সামরিক মতা এসবই নতুন বছরের রাজনৈতিক আলোচনার খোরাক। আর এর ফলশ্রুতিতেই আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ে জোয়ার আসবে বলে মনে করছে লকহিড-মার্টিন করপোরেশন, বোইং কোম্পানি, নরথ্রপ-গ্রুমান করপোরেশনের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের নামকরা অস্ত্র বিক্রেতারা। নতুন বছরে যুদ্ধ যদি নাও হয় তবুও অস্ত্রাগার সাজাতে চেষ্টা ত্রুটি রাখবে না অনেক দেশই। ২০১২-কে অনেকেই বিদায় দিয়েছে দুরু-দুরু বুকে। যুদ্ধ হয়নি ঠিকই, কিন্তু হব হব পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল একাধিক ক্ষেত্রে। নতুন বছরে যে সেই জায়গাগুলোর পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে না এমন নিশ্চয়তাও নেই। তাই অস্ত্র কিনে আগাম সাবধানতা!
কারোর সর্বনাশের সম্ভাবনা দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য কারোর পৌষমাস হতে বাধ্য। এশিয়ার পূর্ব প্রান্তে যখন চিন-জাপানের সেনকাকু দ্বীপ বিতর্ক ক্রমশ দানা বেঁধে উঠেছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার পেণাস্ত্র উনহা ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ ঘটিয়েছে, তখনই আমেরিকার থেকে নানা রকম প্রতিরামূলক হাতিয়ার, রাডার ফাঁকি দেওয়া যুদ্ধ বিমান ও বলাই বাহুল্য দূরপাল্লার পেণাস্ত্র কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। এই দলের মধ্যে শামিল অবশ্য ভারতও। প্রতিবেশী চিনের বাড়তে থাকা শক্তি ভারতের কাছেও বেশ চিন্তার বিষয়। অস্ত্র নির্মাতা নরথ্রপ গ্রুমানের কাছ থেকে আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক' ড্রোন কেনার জন্য ধরণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখা। শুধু সেনা ছাউনিগুলোর ওপরই নয়, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের ওপরে কড়া নজর রাখতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। আর কোরীয় উপদ্বীপের একেবারে উত্তরে চিন সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকার এই কেন্দ্রে নজর রাখতে এমন আমেরিকান ড্রোনই ভরসা। গ্লোবাল হক ড্রোনে লাগানো রয়েছে রেডিও সেন্সর নামে বিশেষ এক রকমের প্রযুক্তি। যা দিয়ে আকাশের বহু ওপরে থেকেও দিন বা রাত নির্বিশেষে মেঘ ভেদ করে মাটির শত্রুর ওপর নজর রাখা সম্ভব। এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে নরথ্রপ গ্রুমানের পক্ষ থেকে। আর এমন ড্রোন তৈরি করা এই মার্কিন সংস্থার বিশেষত্ব। গত চার বছর ধরে এমন ড্রোন কিনতে আমেরিকার কাছে বায়না করে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আমেরিকা নানা রাজনৈতিক কারণে সময়ক্ষেপণও করেছে। কিন্তু কিম জং ইলের ছেলে কিম জং উনের জমানায় এসে বাবা উনের নামে তৈরি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র উনহা-৩ উৎপেণের পর আর কোনওভাবেই ভোলানো যাচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে। আর তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় আগামী বছরে শুধুমাত্র ড্রোন বেচেই বহু কোটি ডলার কামিয়ে নিতে চলেছে মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা সংস্থা।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও সফল পরীক্ষায় শঙ্কিত জাপানও। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র অনায়াসেই আঘাত হানতে পারে টোকিওতেও। আর তাই লকহিড-মার্টিনের তৈরি ইজিস' প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মোড়কে দেশকে ঢেকে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে জাপান। যে কোনও ধরনের দূরনিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখে দিতে এই ব্যবস্থা নাকি একেবারে অব্যর্থ। অতএব এ বছরের মধ্যভাগে ২৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের ডিল একেবারে পাকা। আর শুধু নজরদারি বা আর সুরক্ষাই নয়, প্রয়োজনে আক্রমণের ব্যবস্থাও তৈরি থাকছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এমনকী সিঙ্গাপুরেরও। আর এই কাজে অব্যর্থ রাডারকে ফাঁকি দেওয়া যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর চাহিদাও বেড়েছে বিভিন্ন দেশে। দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপান ইতোমধ্যেই তাদের বিমানবাহিনী থেকে পুরনো এফ-৪ বিমানগুলো সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সবারই চাহিদা অত্যাধুনিক এফ-৩৫। যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড-মার্টিন যুক্তরাষ্ট্রেরই। এফ-৩৫ ছাড়াও একই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বোয়িংয়ের তৈরি এফ-১৫ সাইলেন্ট ঈগল বা ইউরোফাইটারের টাইফুন বিমান কেনার কথাও ভেবে রেখেছে অনেকেই। এই দলে আছে তাইওয়ানও। চিনের সঙ্গে যাদের তেতো সম্পর্ক তো এখন কারোরই অজানা নেই।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: গনতন্ত্রের ফেরিওয়ালারা যতদিন নিপাত না যাবে ততদিন বিশ্ব শান্তির বারোটা বাজতেই থাকবে। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ, একনায়কতন্ত্র এসব কোন কিছুই আমেরিকার মাথাব্যাথার কারন নয়। তাদের ধান্ধা শুধু বিশ্বে অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রেখে অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা করা। একমত হলে আওয়াজ দিয়েন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
মানবতা বাদি দেশ লু রে লু --
বিশ্ব শান্তি হবে না যত দিন আম্রিকা ক্ষমতায়ে শীর্ষ আছে - মৌলবাদ টাদ কিছু না গনতন্ত্রও কিছু না - হয়তো ভুল বলছি