নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ব্লগের খাতা।

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

সন্দীপন বসু মুন্না

অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com

সন্দীপন বসু মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাল ফেলে বিএনপি, মাছ ধরে আ.লীগ

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মত্স্য মারিব, খাইব সুখে, কী আনন্দ লাগছে বুকে’— একটি বহুল প্রচারিত বিজ্ঞাপনচিত্রের গান। সেই গানের মতোই রাজনীতির পুকুরে একের পর এক জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু মন্দভাগ্যে সেই মাছ যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের খালুইয়ে। বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করার জাতীয়তাবাদী প্রয়াস মাঠে মারা গেছে আওয়ামী কৌশলের কাছে। সাভারে রানা প্লাজাধস ও হেফাজতে ইসলামের ৫ মে’র অবরোধ-সমাবেশ থেকে ফায়দা লুটতে চেয়েও পারেনি বিএনপি। মধ্যরাতে শাপলাচত্বরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে হেফাজতিদের উসকে দিয়েও কুঁচকে যেতে বাধ্য হয় দলটি। অবরোধকালে বায়তুল মোকাররমের ফুটপাতের দোকানে কোরআন পোড়ানোর দায়ও ঘাড়ে এসে পড়ে। ঘটনার ঘনঘটায় চাপা পড়ে যায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামও। সবমিলিয়ে বেশ কয়েকটি জুতসই ইস্যু নাগালে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বিএনপি। অন্যদিকে ইস্যুগুলোর প্রারম্ভে বিপদে থাকলেও শেষ পর্যায়ে ভালোভাবেই উতরে গেছে আওয়ামী লীগ।



গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধকালে বিপাকে পড়েছিল আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত মহাজোট সরকার। জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পানীয় জল নিয়ে হেফাজতিদের পাশে দাঁড়ালে জোটের মধ্যেই দেখা দিয়েছিল বিভাজন। কে কত বেশি মুসলমান, তার প্রমাণ দিতে তখন শুধু রাজনীতিকরাই নন, সুশীল সমাজও ব্যস্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে কপালে ভাঁজ পড়েছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। এসময় ধর্মীয় উত্তেজনায় জাল ফেলে রাজনৈতিক মাছ ধরার অভিলাষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হেফাজতিদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, হেফাজতের ইসলাম-রক্ষার জোশ আর জামায়াতের নৈরাজ্য মিলিয়ে সরকারপতন সময়ের ব্যাপারমাত্র। সেই সময়ও আবার ৪৮ ঘণ্টার বেশি নয়। কিন্তু বিএনপি জাল ফেললেও মাছের ফায়দা লুটেছে আওয়ামী লীগ— হেফাজতি অবরোধকালে সংঘটিত নৈরাজ্য-নাশকতায় ঘুরে-যাওয়া জনমতকে কাজে লাগিয়ে এক রাতেই পাল্টে দিয়েছে দৃশ্যপট। ওই রাতে RAB, পুলিশ ও বিজিবির যৌথঅভিযানে ছত্রখান হয়ে যায় শাপলা চত্বরের বিশাল হেফাজতি সমাবেশ। এ অভিযানকে বিএনপি ‘গণহত্যা’ বলতে চাইলেও জালে পানি পায়নি। বরং স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরতে পেরে মানুষ সরকারকেই সাধুবাদ দিয়েছে। এর জন্য শাপলা চত্বরে যদি কিছু প্রাণহানি ঘটেও থাকে, দুঃখজনক হলেও মেনে নিয়েছে তা। এর আগে বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় প্রচারিত হেফাজতিদের তাণ্ডবচিত্র দেখে মানুষ ছিল আতঙ্কিত। এদিকে হেফাজতের অবরোধের আগের দিন ৪ মে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার সরকার পতনের আলটিমেটাম সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু হেফাজতের অবরোধ-সমাবেশ-অবস্থান ভণ্ডুলে দমে যাওয়া বিএনপি পরে আর কোনও বৃহত্ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেনি। এতে ওই আলটিমেটামও মূল্য হারিয়েছে দেশের মানুষ, এমনকী বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছেও। এতে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সময় বিএনপির দিকে আঙুল তুলে বলছেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। তাই এসব আলটিমেটামেও কাজ হবে না।



দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভবনধস রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পরও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেছিল প্রধান বিরোধীদল। ২ মে রানা প্লাজাধসে অসংখ্য মানুষ নিহত হওয়াকে গণহত্যা, লাশগুমের অভিযোগ ও সরকারের ব্যর্থতার অজুহাতে হরতাল ডেকে প্রত্যাহারও করেছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও মাছ জালে তুলতে পারেনি বিএনপি। লাশগুমের অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে সেনাবাহিনী ও অন্য সব সংস্থার উদ্ধারকারীরা। উল্লেখ্য, উদ্ধারকারীদের মধ্যে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও ছিলেন। এ ঘটনায়ও বিএনপির ফেলা জাল থেকে মাছ তুলে নেয় আওয়ামী লীগ। ভবনধসের ১৭তম দিনে রেশমা নামে এক পোশাককর্মীকে জীবিত উদ্ধার করে বিএনপির অভিযোগ ম্রিয়মাণ করে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই সময় জনমন বুঝে রেশমা-উদ্ধারে শোকরিয়া আদায় করতে বাধ্য হন খালেদা জিয়া। একের পর এক ইস্যু হারিয়ে বিএনপি সর্বশেষ ইস্যু পায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণায়। এর প্রতিবাদে দলটি ১৯ মে হরতাল ডাকে। সে-হরতালও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় বিএনপি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে। এখন চলছে সংলাপের জলে জাল ফেলা ও মাছ ধরার খেলা। সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানও বিএনপিকে চক্রে ফেলে দিয়েছে। জনগণ দেখছে অন্য দৃশ্য— সরকার চাইলে বিএনপি পিছু হটে, বিএনপি আগ্রহ দেখালে সরকার এড়িয়ে চলে। অন্যদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্ব সম্প্রদায় মনে করছে, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ নিরপেক্ষ ও সর্বদলীয় করতে সংলাপে বসার এখনই সময়।— এ ক্ষেত্রে জাল ফেলেছে আওয়ামী লীগ। সময়ই বলে দেবে, জালের মাছ কার খালুইয়ে ওঠে।





সুত্র :

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬

বিলাল বলেছেন: একদল জাল ফেলবে আরেকদল খাবে, আর হাভাইত্যা জনগণ ভুখানাঙাই রয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.