নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com
অভিযোগ উইকিলিকসে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস
বর্তমান শতাব্দীর কূটনীতিতে সবচাইতে আলোচিত ঘটনার সূত্রপাত এই ব্যাক্তির হাত ধরেই। তার ফাঁস করা গোপনীয় কূটনৈতিক তারবার্তা প্রকাশ করেই বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল উইকিলিকস। আর উইকিলিকসের ফাঁস করা সংবাদের জেরে দুনিয়াজুড়ে মার্কিন মসনদের অনেকটুকুই হয়ে পড়েছিল টালমাটাল। তার কল্যাণেই এত হৈচৈ, এত আলোড়ন। তার কারণেই রাজনীতিকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বিশ্বের বহু দেশ জড়িয়ে পড়েছে স্নায়ুপীড়নে। ছাইচাপা আগুনে দগ্ধ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক। সিরিয়া ও ইসরায়েল তো প্রকাশ্য বিবাদে লিপ্ত হল উইকিলিকসের তথ্যকে কেন্দ্র করেই।
এ সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে বিপুল পরিমাণ গোপন মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করার মূল কৃতিত্ব কিংবা দোষের (!) ভাগিদার ২০১১ সালে গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ বছর বয়সী মার্কিন প্রাইভেট সেনা ব্র্যাডলি ম্যানিং। গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এ সেনাকে গতকাল সোমবার মার্কিন কর্তৃপ প্রথম সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করল। মেরিল্যান্ডের ফোর্ড মিডে সামরিক আদালতে গতকাল ম্যানিংয়ের বিচার শুরু হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনলাইন সংস্করণের এক বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে উইকিলিকসের কৃতিত্বের অন্যতম ভাগিদার ব্রাডলি ম্যানিংয়ের কথা।
আইন লঙ্ঘনের দায়ে বাকি জীবনের অনেকটাই হয়ত সামরিক কারাগারে কাটাতে হবে মার্কিন সেনাবাহিনীর এ তরুণ সদস্যকে। তবে যা করেছেন, সেটার জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই ম্যানিংয়ের। বরং ‘যুদ্ধের সত্যিকারের মূল্য’ মার্কিন নাগরিকদের জানার অধিকার আছে মনে করেই উইকিলিকসকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদী এ মার্কিন সেনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হওয়ার আগের প্রাক শুনানিতে ২২টি অভিযোগের মধ্যে ১০টির কথাই স্বীকার করে নেন তিনি। আর বাকি ১২টি অভিযোগ সম্পর্কে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। বিশেষভাবে ‘শত্রু পক্ষকে সহয়তা করার’ যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সেগুলো অস্বীকার করেছেন ২৫ বছর বয়সী মার্কিন সেনা। নিস্তব্ধ আদালতঘরে বসে ম্যানিং বলেছেন, তিনি মার্কিন সেনাদের উন্মত্ত রক্তলোলুপতা দেখে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে এ যুদ্ধের পাকে জড়িয়ে পড়েছে সেটা মেনে নিতে না পারার হতাশা থেকেই এই আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, আমরা আমাদের রাষ্ট্রের ল্য-উদ্দেশ্যের কথা ভুলে মানুষ হত্যা আর গ্রেপ্তারে মেতে উঠেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, যদি সাধারণ মানুষ, বিশেষত আমেরিকার সাধারণ নাগরিক যদি এগুলো দেখতে পায়, তাহলে এটা আমাদের সেনাবাহিনী ও আমাদের বৈদশিকনীতি নিয়ে অনেক বিতর্ক তুলবে। যার ফলে হয়ত আমাদের সমাজ এই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে জড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নতুন করে ভাববে।
ব্রাডলি ম্যানিংয়ের এই অকপট স্বীকারোক্তি খুবই ব্যতিক্রমী ব্যাপার বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও। এ ধরনের একটা গুরুতর অপরাধের শুনানির সময় নিজের শাস্তির কথা না ভেবে খোলাখুলি নিজের মনের কথাগুলো বলেছেন। স্বীকার করেছেন যে, তিনি স্ব-প্রণোদিত হয়েই এই গোপন তারবার্তা ও কিছু ভিডিও উইকিলিকসকে সরবরাহ করেছেন। ব্রাডলির বিরুদ্ধে আনা ২২টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। যার ফলে প্রতিটি অভিযোগের জন্য ন্যূনতম দুই বছর করে কারাদণ্ডের সাজা পেতে হবে তাকে। তার মানে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী এই প্রতিবাদী যুবককে জীবনের আরও প্রায় ২০ বছর কারা অন্তরালেই কাটাতে হবে। এছাড়া বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে ২৫ বছর বয়সী ম্যানিংয়ের ১৫৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে।
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: সত্যিই।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫২
অরন্য জীবন বলেছেন: স্যালুট দিয়ে আর লাভ কি। কোনো লাভই হয়নাই তথ্য ফাস করে।
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: লাড়া খাইছে জবর।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: +++++++++++++++
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
অনন্ত আরেফিন বলেছেন: Click This Link
এই সাহসী মানুষগুলোর জন্যেই মনে হয় পৃথিবীটা এখনো টিকে আছে!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
মোমের মানুষ বলেছেন: স্যালুট এই তরুন সেনাকে........।
বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠন গুলোর এখানে এসে নীরবতা খুবই অবাক করে আমাদের