নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ব্লগের খাতা।

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

সন্দীপন বসু মুন্না

অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com

সন্দীপন বসু মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামি কওমিতে হেফাজতি খুন

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

বলাত্কারের পর ৮ বছরের শিক্ষার্থীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা







পৈশাচিক একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে হেফাজতে ইসলামপন্থী এক কওমি শিক্ষক। ঘটনাস্থল সাভারের আশুলিয়া থানার গাজিরচট উত্তরপাড়ার হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা। মাত্র ৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে বলাত্কার করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই কওমি শিক্ষক, ঘটনা জানাজানির ভয়ে অবুঝ শিশুটিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যাও করেছে। পরে সে শিশুটির মরদেহ ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। গত ৩ জুন এ পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। জানাজানি হয় ঘটনার দুদিন পর।



পাষণ্ড ওই শিক্ষকের নাম হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন, হতভাগ্য শিক্ষার্থীর নাম গোলাম রাব্বী। আশুলিয়া থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের পর তার মুখ থেকেই বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ। এ ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ওই শিক্ষক। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শঙ্কিত অভিভাবকরা হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে তাদের সন্তানদের ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।



আশুলিয়া থানার ওসি শেখ বদরুল আলম বলেন, নিজের লালসা মেটাতে শিক্ষক মোশাররফ হোসেন ছাত্র রাব্বীকে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর জোর করে শিশুটিকে সমকামে বাধ্য করে। ঘটনার পর শিশুটি পায়ুপথে মারাত্মক ব্যথা অনুভব করে এবং বলে, মাদ্রাসার বড় হুজুরকে ঘটনাটি জানিয়ে দেবে। এ কথা শুনে মোশাররফ সিদ্ধান্ত নেয়, রাব্বীকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। তাই ঠাণ্ডা মাথায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর রাব্বীর লাশ নিচে ফেলে দেয়।



পোশাককর্মী কালাম গাজীর একমাত্র ছেলে রাব্বী। অর্থের অভাবে তাকে হাফেজি পড়ার জন্য ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। ৩ জুন হঠাত্ ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে কালাম গাজী দ্রুত সেখানে যান এবং জানতে পারেন তার সন্তান আর বেঁচে নেই।



পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কালাম গাজী গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, বড় আশা নিয়ে ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। আশা ছিল, ছেলে দ্বীনি শিক্ষায় মানুষের মতো মানুষ হবে। কওমি শিক্ষকদের পবিত্র ও সম্মানিত ভেবেছিলাম। আজ তাদের লালসার শিকার হয়ে আমার বুকের ধন বাড়ি ফিরেছে লাশ হয়ে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার সন্তানের মতো অনেক শিক্ষার্থীই মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষকদের সমকামী লালসার শিকার হয়। ভয়ে ও লোকলজ্জায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না।



কালাম গাজী আরও বলেন, আমাকে সান্ত্বনা দিতে এসে অনেকে বলেছেন, রাতের আঁধারে সুদর্শন শিশু শিক্ষার্থীদের কক্ষে নিয়ে পৈশাচিক নির্মমতা চালাত খুনি মোশাররফ । কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভয়ে সবাই মুখ বুজে তা সহ্য করে যেত।



এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, আড়ালে-আবডালে ওই শিক্ষক সম্পর্কে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও কর্তৃপক্ষ কখনও বিষয়গুলো যাচাই করেনি। এমনকি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করে তাকে সতর্কও করেনি। যার ধারাবাহিকতায় প্রাণ দিতে হল শিশু রাব্বীকে।



ওই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, এসব শিক্ষক আমাদের কলঙ্ক। তাদের হাতে শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ সেই প্রশ্নও তোলেন তারা।



স্থানীয় বাসিন্দারাও এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মাদ্রাসায় ইসলামের নামে অনৈসলামিক-অসামাজিক কাজ চলে। কওমি মাদ্রাসার বেশিরভাগ আলেমই আসলে জালেম। তারা প্রশ্ন করেন, জালেম না হলে কেউ ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করতে পারে?



হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, মাওলানা মোশাররফ হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা। তাদের অভিযোগ, হেফাজতি অন্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডকে মোশাররফ আত্মহত্যা বলে চালাতে চেষ্টা করেছিল।



মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই আবুল কালাম বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাব্বীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মোশাররফ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলেই তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।



সুত্র:

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.