নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com
বেকার হবে কয়েক হাজার মার্কিনি
বাংলাদেশের পোশাককলের কাজের পরিবেশ এবং শ্রমিকের সুরা নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য দেশটিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা হারাবে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, আগামী ৩১ জুলাই থেকে বিভিন্ন অভিযোগে উন্নয়নশীল আরও কয়েকটি দেশের নির্দিষ্ট পণ্যের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বাংলাদেশসহ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান একটি বিশ্লেষণী প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, কিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বাতিলের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার মধ্যে এর প্রভাব পড়বে। এর ফলে তাদের গুনতে হবে বাড়তি করের বোঝা।
বিশ্লেষণে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সুবিধা বাতিলের ফলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে তেমন ক্ষতির সম্মুখীন না হলেও দেশের বাণিজ্যিক ভাবমূর্তি হুমকির মুখে পড়েছে।
আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হওয়ার কারণ বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে এমনিতেই জিএসপি সুবিধা পায় না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নকে প্রভাবিত করলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য বিপদের। কারণ ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়।
জানা গেছে, শুধু উন্নয়নশীল দেশের শিল্প উদ্যোক্তারা নয় মার্কিন ব্যবসায়ীরাও জিএসপি সুবিধাতে লাভবান হন। জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে হাজার হাজার মার্কিনশ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। এমনকী শতশত মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ১৩০টি উন্নয়নশীল দেশের জিএসপি সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ জুলাই। আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ভয়ার্ত চোখে এই দিনটির দিকেই তাকিয়ে আছে। কেন না, জিএসপি সুবিধা উঠে গেলে তাদের করের নতুন বোঝা বইতে হবে। এতে করে বন্ধ হয়ে যেতে পারে একাধিক মার্কিন শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বেকার হয়ে পড়বে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশসহ সব উন্নয়নশীল দেশের জিএসপি সুবিধাই পুনর্নবায়ন করার জন্য চাপে রয়েছে ওবামা নেতৃত্বাধীন সরকার। মার্কিন ব্যবসায়ীরা ‘কোয়ালিশন ফর জিএসপি’ নামের একটি আন্দোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে। আন্দোলনের লক্ষ্য হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা পুনর্নবায়ন করা।
গত ২৭ জুন ইউএস চেম্বার অব কমার্স কংগ্রেস নেতাদের কাছে জিএসপি সুবিধা পুনর্নবায়নের আবেদন জানিয়ে একটি পিটিশন পাঠিয়েছে দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৬টি সংগঠন।
ইউএস চেম্বার অব কমার্সের এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জিএসপি শুধু উন্নয়নশীল দেশের জন্য ইতিবাচক নয়, মার্কিন ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের জন্যও সহায়ক।
এছাড়া জিএসপি সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের ২৩০টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান মার্কিন কংগ্রেসের কাছে জিএসপি সুবিধার মেয়াদ বাড়াতে আবেদন জানায়। জিএসপি সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে বর্তমানে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠান যোগ দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিদিন ২ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত করের বোঝা বইতে হবে। যা তাদের জন্য অসম্ভব।
©somewhere in net ltd.