নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ব্লগের খাতা।

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

সন্দীপন বসু মুন্না

অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com

সন্দীপন বসু মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈতিক যুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫

বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিত প্রসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল







মার্কিন প্রশাসন অবশেষে এমন একটি জাতির সন্ধান পেয়েছে, যাকে শাস্তি দেওয়া যায়- ‘বাংলাদেশ’। শাস্তির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।



দেশটির বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান বলেন, মার্কিন সরকারের লক্ষ্য, বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ ও যথাযথ কাজের পরিবেশে দেখতে পাওয়া। তবে প্রকৃত পরিণতিতে এ সুবিধা স্থগিতে মূল তিটি হবে ওই শ্রমিকদেরই। আর জয় হবে আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন্সের (এএফএল-সিআইও) সংরণ নীতির। যারা ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জিএসপি সুবিধা বাতিলের আবেদন করে আসছিল- ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের অনলাইন সংস্করণে আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘পানিশিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।



প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএসপি স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক কিংবা নৈতিক যুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। গত এপ্রিলে রানা প্লাজাধসে ১১শতাধিক পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনা ওবামা প্রশাসনকে জিএসপি সুবিধা বাতিলের একটি রাজনৈতিক অজুহাত তৈরির সুযোগ দেয়।



তবে জিএসপি স্থগিতের এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক যুক্তিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি তৈরি পোশাক। অথচ এ পণ্যগুলোর জন্য বাংলাদেশকে গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিয়ে যেতে হয়েছে। অন্যান্য অপ্রচলিত পণ্যে জিএসপি সুবিধা দেওয়া হলেও প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাকে এ সুবিধা কখনও দেওয়া হয়নি। আর স্বাভাবিকভাবেই পোশাকের ওপর আরোপিত এ শুল্ক এই শিল্পের নিরাপত্তা বাড়াতে উৎসাহিত করেনি। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক ওই পোশাক কারখানাগুলোর লাভের পরিমাণকে সঙ্কুচিত করেছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিতে বরাদ্দকৃত অর্থ হ্রাসে বাধ্য হয়েছে।



অর্থনীতি বিষয়ে পশ্চিমের প্রভাবশালী এই বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কম মজুরি কাঠামোভুক্ত শ্রমিকদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের পোশাককর্মীরা। চীনও সেই পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। আর সেটা ইঙ্গিত করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের এ পরিস্থিতি সাময়িক। গত দুই দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা মানুষের হার ৭০ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪০ শতাংশে এসেছে। দ্রুত-প্রসারিত পোশাকখাতে নিরাপত্তাজনিত সমস্যাগুলো বাংলাদেশের দুর্ভাগ্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সরকার ও সমাজ এ গতির সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।

এ শিল্প নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য বৃদ্ধি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন সহায়তা। জিএসপি কর্মসূচিতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার মাধ্যমে উন্নয়নশীল বিশ্বের শ্রমিকদের সহায়তা করতে পারে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলো যখন আরও সহজে পোশাক রপ্তানি করতে পারবে, তারা দ্রুততর সময়ে শিল্পায়নের এ ধাপের মধ্য দিয়ে উন্নতি করতে পারবে। তাদের উন্নয়নের গতিকে মন্থর করে দিলে সেটা হবে শুধু তাদের সরকারের ব্যর্থতার জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া। আর এএফএল-সিআইওর সেকেলে চিন্তাধারাকে পুরস্কৃত তথা উৎসাহিত করা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩২

নীলতিমি বলেছেন: ওরা বদ আর আমরাও কম নই - একদম বদের হাড্ডি !!

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪

সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: একমত হতে পারলাম না ভাই।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুধু খালেদার কথায় GSP বাতিল করার প্রশ্নই আসেনা।

এখানে খালেদা চরম নৈতিক অপরাধ করেছেন, তিনি বাংলাদেশ এবং নাগরিকদের ক্ষতি কামনা করেছেন!

তিনি সুধু GSP বাতিলই চাননি, সর্বাত্তক অবরোধ ও বাংলাদেশী নাগরিকদের আমেরিকায় ট্রাভেল ব্যান চেয়েছেন!
The Western powers should consider targeted travel and other sanctions
উনি আওয়ামি সরকারের প্রতি অন্ধ ক্ষোভে দেশের ক্ষতি চেয়েছেন!
Click This Link

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪

সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.