নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com
ছোট্ট বৃন্ত'র স্কুলটা একটু অদ্ভুত জায়গায়। চারপাশে পাহাড়ঘেরা মাঝখানে ছোট্ট একটা টিলার উপরে ওদের স্কুল। বৃন্তদের স্কুলের একটু উপরের ক্লাসের সবারই অবশ্য সাইকেল আছে। স্কুলে আসতে একটু কষ্ট করে প্যাডেল চেপে পাহাড়ে উঠতে হয় এই যা।
আর নামার সময়টাতেই আসল মজা। শুধু সাইকেলের হ্যান্ডেল চেপে ধরে থাকলেই হল। সাইকেল আপনা-আপনি পৌঁছে দেবে বাসায়।
বৃন্ত এবার ক্লাস থ্রিতে উঠেছে। যদিও ক্লাস থ্রির কোনো ছেলের সাইকেল নেই, তবু সে তার বাবার কছে সাইকেলের জন্য আবদার করল। আবদার শুনে বৃন্তর বাবার তো চোখ কপালে, তুমি যে সাইকেল কিনতে বলছ, তুমি কি সাইকেল চালাতে পার?
বৃন্ত জানত তার বাবা এই প্রশ্ন করবে। সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিল সে, বাবা তুমি ভুলে গেছ কয়েকদিন আগে ছোট মামা যখন আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল তখন আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে গেছেন।
বৃন্তের এমন উত্তরে বাবা প্রথমে কিছু বললেন না, শেষে মাথা চুলকে বললেন, তাই নাকি! তবে তোমাকে এখনই সাইকেল দেয়া যাবে না। অন্তত ক্লাস ফাইভে ওঠ।
বৃন্ত তারপরও বাবাকে অনেক অনুরোধ করল, বাবা প্লিজ, একটা সাইকেল কিনে দাও না। আমি কোনো একসিডেন্ট করব না, ঠিকমতো পড়াশোনা করব।
কিন্তু বাবার এক কথা, আগে ক্লাস ফাইভে ওঠ।
বৃন্ত যখন বুঝতে পারল বাবার কাছ থেকে ক্লাস ফাইভে ওঠার আগে সাইকেল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তখন সে ঠিক করল ঈশ্বরের কাছে ও সাইকেল চাইবে। সে একদিন ঈশ্বরের কাছে চিঠি লিখল, ঈশ্বর আমার একটা সাইকেল খুব দরকার। আমি খোঁজ নিয়েছি একটা সাইকেলের দাম মাত্র ৩৫০০ টাকা। তুমি আমাকে টাকাটা পাঠিও।
প্রাপকের ঠিকানায় ঈশ্বরের নাম দেখে ডাক বিভাগের লোকজন কৌতূহলী হয়ে খামটি খুলল। তারপর এ-হাত ও-হাত ঘুরে চিঠিটি পৌঁছে গেল সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।
চিঠি পড়ে প্রধানমন্ত্রী মুচকি হেসে বলেন, শিশুটির মনে কষ্ট দেয়া ঠিক হবে না। ওকে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, আর টাকা পেয়ে ছেলেটি কী করে আমাকে জানিও।
যথারীতি ডাক বিভাগের মাধ্যমে বৃন্তের কাছে এক হাজার টাকা চলে এলো।
পরের সপ্তাহে আবার ডাক বাক্সে পাওয়া গেল ঈশ্বরের নামে লেখা বৃন্তের চিঠি।
ডাক বিভাগের লোকজন এবার তড়িৎগতিতে খামটি পাঠিয়ে দিল সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। উৎসুক প্রধানমন্ত্রী খাম খুলে চিঠি পড়লেন।
এই চিঠিতে বৃন্ত লিখেছে, ঈশ্বর, টাকা পাঠানোর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমি জানি তুমি ৩৫০০ টাকাই পাঠিয়েছিলে, কিন্তু তোমার ভুল হয়েছে টাকাটা তুমি পাঠিয়েছ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে। কেন পাঠালে তুমি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে? তারা কী করেছে জান? আমাকে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে বাকি ২৫০০ টাকা মেরে দিয়েছে।
মন্তব্য: প্রধানমন্ত্রীর পদটা এমনই। যা-ই করুন না কেন দোষ হবেই।
সুত্র: সন্দীপন বসুর পলিটিক্যাল জোকস বই থেকে। প্রকাশক : ভাষাচিত্র প্রাকাশনী
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
এই জাতীয় কৌতুক আগেও বেশ কয়েকটি নেটে পড়েছিলাম।