নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ব্লগের খাতা।

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

সন্দীপন বসু মুন্না

অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com

সন্দীপন বসু মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেমোরি কার্ডের সাতকাহন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৮





এখন মোবাইল শুধু কথা বলার যন্ত্রই নয়। কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল পরিণত হয়েছে বিনোদনের একটি অত্যাবশ্যকীয় মাধ্যম হিসেবে। আর মোবাইলের এই বিনোদনমাধ্যম হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সম্ভবত মেমোরি কার্ডের। মোবাইলে ছবি, অডিও-ভিডিও গান, নাটকসহ বিভিন্ন রকম ডাটা-সবই রাখা সম্ভব হচ্ছে মেমোরি কার্ডের কল্যাণে। সেই মোবাইল মেমোরি কার্ডের আদ্যোপান্ত থাকছে এই লেখাটিতে।





এড়িয়ে চলুন নকল মেমোরি কার্ড



মোবাইলের এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদানটির হরেক রকম ব্র্যান্ড পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। আসল মেমোরি কার্ডের পাশাপাশি বাজারে ছেয়ে গেছে চীন এবং ভারতে তৈরি নকল মেমোরি কার্ডে। ব্র্যান্ডেড কার্ডের বাইরে এই নকল মেমোরি কার্ডে ডাটা ট্রান্সফারের গতি অনেক কম থাকে এবং উল্লিখিত ধারণক্ষমতা থেকে অনেক নিচুমানের। দেখা গেছে, একটি ২ জিবি নকল মেমোরি কার্ড তার ধারণক্ষমতার অর্ধেক ধারণ করতে পারে।



এছাড়া নকল মেমোরি কার্ড ব্যাবহারে আপনার সাধের মোবাইল ফোনটির স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। বাজারে বেশিরভাগ নকল মেমোরি কার্ড জীর্ণ বা পুরনো বাক্সে প্যাকেটজাত হয়ে থাকে। প্রসিদ্ধ ব্যান্ড, যেমন-সানডিস্ক এবং সনি তাদের প্যাকেটজাতকরণের সময় প্রকৃত হলোগ্রাম স্টিকার যুক্ত করে থাকে। অপরদিকে নকল মেমোরি কার্ডগুলো পুরনো বক্সে কোনো প্রকার হলোগ্রাম স্টিকার ছাড়া প্যাকেটজাত হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো প্রকার প্যাকেট ছাড়া অনেক কম দামে এগুলো বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে।



তাছাড়া ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর আসল মেমোরি কার্ডের অবশ্যই একটি সিরিয়াল নম্বর থাকে। প্রতারকরা অন্য পথ অনুসরণ করছে, তারা যে মেমোরি কার্ডগুলো বাজারে ছাড়ছে তাতে কোনো প্রকার সিরিয়াল নম্বর থাকে না। যদিও থাকে সেগুলো ভুলভাবে প্রিন্ট করা। প্রকৃত প্রস্তুতকারকদের মতো করে মেমোরি কার্ডের মধ্যে তারা প্রিন্ট করতে পারে না, এতে যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ থাকে সেগুলো অস্পষ্ট মনে হয়। সাইজ ও ডিজাইন অনুসারে মেমোরি কার্ডের এ মাধ্যমগুলো প্রকৃতভাবে বসে না, যা কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেমোরি কার্ড বাজারজাত করার সময় একটি করে ওয়ারেন্টি কার্ড থাকে। সুতরাং সেটাও দেখে নিতে পারেন।





মেমোরি কার্ডের যত্নে



১. মেমোরি কার্ডকে অনেকে পেনড্রাইভ হিসেবেও ব্যবহার করেন। এতে মেমোরি কার্ডে ভাইরাস এবং অন্যান্য সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর যদি নেহাত পেনড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করতেই চান তাহলে কার্ড রিডার ব্যবহার না করে মোবাইলের ডাটা কেবল ব্যবহার করুন।



২. মোবাইল ফোন দিয়ে একটানা বেশি সময় ধরে গান শোনা বা ভিডিও দেখা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে মেমোরি কার্ড ও ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।



৩. মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করার প্রয়োজন হলে কম্পিউটারে ফরম্যাট না করে মোবাইল দিয়ে ফরম্যাট করুন।



৪. প্রতি তিন মাস পর পর অন্তত একবার আপনার মেমোরি কার্ডটি গ্লাস ক্লিনার দিয়ে সংযোগ স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অনেক সময় ধুলোবালি কিংবা গরমে ঘেমে মেমোরি কার্ড নষ্ট হতে পারে।



৫. মেমোরি কার্ড ভালো রাখার জন্য আপনার মোবাইল ফোনে যতটুকু পরিমাণ মেমোরি কার্ড সমর্থন করে তার অর্ধেক পরিমাণ মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন এবং তাতে আরও অর্ধেক পরিমাণ ডাটা রাখুন। যেমন : আপনার মোবাইল যদি দুই গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি সাপোর্ট করে তাহলে এক গিগাবাইট মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন এবং এতে ৫০০-৬০০ মেগাবাইট ডাটা রাখুন।





মেমোরি কার্ডের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে



মোবাইলের মেমোরি কার্ডের গোপনীয় তথ্যাবলি সংরক্ষণ করার সময় নিরাপত্তার খাতিরে ফোল্ডার লক করে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন অনেকে। এই ফোল্ডার লকের অনেক সুবিধার পাশাপাশি একটি অসুবিধা হল পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া। তবে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও বিকল্প উপায়ে তথ্যগুলো রিকভার করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য অবশ্য ‘মোবাইল এফ এক্সপ্লোরার’ নামের একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে হবে।



http://www.gosymbian.com/FE/download.html থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে সফটওয়্যার ইনস্টল শেষে চালু করতে হবে। এরপর সফটওয়্যারটির লগের C:/System/ (mmcstore) ফাইলটি কপি করে মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে। এবার মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করা mmcstore ফাইলের নামের শেষে .txt এক্সটেনশন যুক্ত করতে হবে। ফাইলের নাম হবে mmcstore.txt এরপর কম্পিউটারে ফাইলটি ব্ল–টুথ, ডাটাকেবল বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। এবার ফাইলটি কম্পিউটারে খুললে টেক্সট ডকুমেন্টে দেখা যাবে মেমোরি কার্ডের পাসওয়ার্ডটি দেওয়া রয়েছে। এবার পাসওয়ার্ডটি সংরক্ষণ করুন কিংবা নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে নিন।





মেমোরি কার্ডের ফাইল হাইড হয়ে গেলে



পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ডের একটি সাধারণ সমস্যা হল ফাইল অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। এতে মনে হতে পারে কোনো কারণে বুঝি ফাইলগুলো মুছে গেছে। কিন্তু প্রোপার্টিজ এ গেলে দেখা যায় ফাইলগুলো ঠিকই জায়গা দখল করে আছে। এই সমস্যাটি সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এরকম সমস্যায় মেমোরি কার্ডটি কম্পিউটারে ওপেন করে run-এ গিয়ে cmd লিখে এন্টার চাপুন। এবার মেমোরি কার্ড যে ড্রাইভে আছে তার নাম ( যেমন L: হলে L) টাইপ করুন। এরপর নিচের কমান্ড লিখে এন্টার চাপুন, attrib -s -r -h -a /s /d । এখানে attrib বলতে attribute- এর সংক্ষিপ্ত রূপ বোঝায়। এছাড়া s-এর অর্থ system file or super hidden; r-এর অর্থ read only; h-এর অর্থ hidden; a-এর অর্থ archive, /d-এর অর্থ directory বোঝায়। এন্টার চাপার পর এবার ফাইলটি এলে ফাইল সেভ করে .EXE ফাইলটি ডিলিট করে দিন।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ আপনাকে , সন্দীপন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ তনিমা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.