নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্য সবার মতোই জীবনে স্বপ্ন ছিল অনেক। তবে আপাতত বাসা টু অফিস টু ক্লাস টু ঘুম। এক সময়ের স্বপ্ন গল্পকার হওয়া আজ গল্পের মতোই লাগে। বাংলার সাহিত্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ! ;) ;) তারপরও ভাবি...এই বেশ ভালো আছি... সামু বা অন্যান্য ব্লগ সাইটগুলোতে প্রায়ই ঘোরঘুরি হয়। অনেক কিছুর পরও এই বিলাসিতাটুকু বাদ দিতে পারিনি। তবে শৌখিন ব্লগ লেখালেখি আপাতত বন্ধ। তবুও কাজের খাতিরে লেখাগুলো দিয়ে আপলোড চলছে-চলবে (একই সাথে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনও সম্ভবত!)। ছবিসত্ত্ব: গুগল ও ইন্টারনেটের অন্যান্য ইমেজ সাইটস। যোগাযোগ - ফেইসবুক: https://www.facebook.com/sandipan.Munna ইমেইল: sbasu.munna এট্ gmail.com
১.
টেস্টটিউব শিশু
১৯৭৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে মাতৃগর্ভের বাইরে টেস্টটিউবে শুক্রাণু ও ডিম্বানুর নিষেক ঘটিয়ে মানব ভ্রুণ উৎপাদনের প্রচেষ্টা হয়। ভ্রুণ বেঁচে থাকতে পারেনি বলে এই চেষ্টা বিফল হয়। ১৯৭৮ সালে শারীরবিদ রবার্ট এডওয়ার্ড ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ স্টেপ্টোয়ের নেতৃত্বে একটি বৃটিশ দল বিশ্বের সর্বপ্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্ম দিতে সক্ষম হন। ১৯৭৮ সালের জুলাইতে জন্ম নেয়া বিশ্বের সর্বপ্রথম টেস্টটিউব শিশুটির নাম লুইস ব্রাউন।
ছবি- প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস ব্রাউন
২.
হোমিওপ্যাথ
মনে করা হয় যে হিপোক্রেটিসের চিকিৎসা পদ্ধতি ছিলো আসলে হোমিওপ্যাথিক। তবে তিনিএ চিকিৎসা পদ্ধতির কোন ভিত্তি বা নিয়মনীতি তৈরি করতে পারেননি। ১৭৯৭ সালে জার্মান শারীরবিদ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান সর্বপ্রথম হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ভিত্তি তৈরি করেন। হ্যানিম্যান ও তার সহযোগীরা নিজেদের তৈরি ঔষধ নিজেদের ওপরই পরীক্ষা করেছিলেন। অল্প সময়েই তাদের উদ্ভাবিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি পুরো ইউরোপব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। আজও পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সমান জনপ্রিয়।
৩.
ইনসুলিন হরমোন
প্রাণিদেহে ইনসুলিন হরমোনের উপস্থিতিত সনাক্ত করা ও নিষ্কর্ষণ করার কাজটি সর্বপ্রথম সম্পন্ন করেন ১৯২১ সালের কানাডীয় বিজ্ঞানী ফ্রেড্রিক বেনটিং। বেনটিং ও তার ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টো মেডিক্যাল স্কুল এর সহযোগীরা মানব দেহের অগ্নাশয় হতে ইনসুলিন নিষ্কর্ষণ করেন এবং বহুমূত্র (ডায়াবেটিস) রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কারের উদ্দেশ্য কুকুরের দেহে পরীক্ষা কনে।
১৯২২ সালে বেনটিং ও তার ব্রিটিশ বংশদ্ভূত সহকর্মী জন ম্যাকলিওড ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪.
চাঁদের আলো
খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর গ্রিক দার্শনিক বিশেষত অ্যানাক্সাগোরাস, এম্ফিডক্লিস, পারমেনাইডস প্রমুখ দার্শনিক বলতেন চাঁদের আলো তার নিজের নয়। তারা মনে করতেন চাঁদের আলো হল সূর্যালোকের প্রতিফলন। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে চীনা গ্রন্থ ‘কক্ষ ও ঘড়ির কাঁটার গাণিতিক পাঠ’ বইতে এই ধারণার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। তাই মনে করা হয়, চীনা গণিতবিদদের ব্যাখ্যাই এ ধারণা সম্পর্কে সবচেয়ে পুরনো ব্যাখ্যা।
-বুক অব ফার্স্ট অবলম্বনে।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: জ্ঞান বিষয়ক পোষ্ট । ভালো লাগলো । তবে সোর্স দিয়ে দিলে অনেকে আরেকটু ভালোভাবে জানার ইচ্ছে পোষন করতো ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৩
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ সন্দীপন বসু মুন্না :
আপনি বলেছেন।-------
"খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর গ্রিক দার্শনিক বিশেষত অ্যানাক্সাগোরাস, এম্ফিডক্লিস, পারমেনাইডস প্রমুখ দার্শনিক বলতেন চাঁদের আলো তার নিজের নয়। তারা মনে করতেন চাঁদের আলো হল সূর্যালোকের প্রতিফলন।"
আমি একটু আশ্চর্যই হয়ে গেলাম।
তবে, লেখাগুলির এক বা একাধিক সূত্র সাথে সাথে দিয়ে দিলে লেখার আকর্ষনীয়তা আরো বৃদ্ধি পেতো।
যাই হোক, গ্রিক ও চানারা যদি এই বিষয়টা জানতো বা মনেই করতো, তবে কেন পৃথিবীবাসীরা বহুদিন ধরে চাঁদের নিজেস্ব আলো আছে বলে মনে করতো?
বিষয়টা ব্যাপক ভাবে কেন প্রচার পায়নি?
কেন এই কথা বলা হয় যে, আধুনিক বিজ্ঞানই সর্বপ্রথম এই বিষয়টা আবিস্কার করেছে?