নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী

কিছুই না

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতিথি

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩



পথে বলার মত আর তেমন কিছু ঘটেনি। সোহেলের ফিরে আসবার তথ্যটা এবার সেভাবে অ্যাফেক্ট করল না। আগেরবার যেমন সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়েছিল, এবার হল না। বাট হোয়ায়? অ্যাম আই ফিলিং কনফিডেন্ট? নীলার এই পাল্টে যাওয়া কি কোন সিগন্যাল দিচ্ছে?
নাইট জার্নি। বাস চালু হওয়ার পরে কিছুক্ষণ ভেতরে আলো ছিল। এরপরে সব আলো নিভিয়ে দেয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে মুল লাইটগুলো সব বন্ধ। মোটামুটি অন্ধকার বলা যায়। মাথার ওপরে ছোট লাইট আছে। যাদের ইচ্ছে জ্বলিয়ে রেখেছে। আমি জ্বালাইনি। আমার সামনের জন জ্বালিয়েছে। আর সেই হাল্কা আলোতেই মাঝে মাঝে নীলার দিকে তাকাচ্ছি। উইন্ডো সিটে বসেছে নীলা। বেশ নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাচ্ছে। বার কয়েক শার্লক হোমস দৃষ্টিতে তাকিয়ে বোঝার চেস্টা করলাম, সোহেলের ফিরে আসার খবরে ও এক্সাইটেড কি না। ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। মনে তো হচ্ছে না, ও খুব একটা টেন্সড। বেশ রিলাক্সড আর স্নিগ্ধ লাগছে। অল্প আলোর ইফেক্ট? না প্রেমিকের চোখ? তাকিয়ে থাকব আরও কিছুক্ষণ?
— অনেকক্ষণ দেখেছো। এখন ঘুমাও।
চোখ বন্ধ রেখেই ফিসফিস করে কথাটা বলল। হেসে ফেললাম। মানে জেগে আছে। আসলেই বোধহয়, মেয়েদের একটা স্পেশাল সিক্সথ সেন্স থাকে।
এনিওয়ে, উত্তর না দিয়ে আমিও ঘুমাবার চেস্টা করলাম। হল না। এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে একসময় ঢাকায় পৌছে গেলাম। খুব ভোর ঢাকায় পৌছলাম। ড্রাইভার ওয়েট করছিল। অ্যান্ড তেমন নতুন কোন ঘটনা ছাড়াই আমরা বাসায় পৌছে গেলাম।
ভেবেছিলাম, ঘুম হবে না, বাট ফ্রেস হয়ে বিছানায় পড়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ছোট্ট কিন্তু সুন্দর একটা ঘুম হল। সুন্দর বলছি, কারণ মাত্র দুঘন্টা পরেই নীলার ডাকে ঘুম ভাঙ্গল।
— ওঠো, ব্রেকফার্স্ট রেডি।
নীলা পুরো রাস্তা ঘুমিয়েছে, সো, হাল্কা একটা ঘুমেই ও ফ্রেস হয়ে গিয়েছে। বাট আমার অবস্থা তেমন না। বাট রিয়ালাইজ করলাম, নীলার সাথে একসাথে ব্রেকফার্স্ট করতে ইচ্ছে করছে।
ধীরে ধীরে আবিস্কার করলাম শুরু হয়ে গেছে আমাদের দাম্পত্য জীবন পার্ট টু। পার্ট টু বলছি, কারণ ইট ইজ ডিফ্রেন্ট ফ্রম দ্যা ফার্স্ট ওয়ান। নীলা ওয়াজ ডিফ্রেন্ট, অ্যাপ্রোচ ওয়াজ ডিফ্রেন্ট অ্যান্ড, মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, আই ওয়াজ অলসো ডিফ্রেন্ট।
ফর একজাম্পল, আজকে সকালের একসাথে নাস্তা করা। টিপিক্যাল সো কলড ‘সিলি দাম্পত্য' ব্যাপার। ব্যাপারটা ইরিটেটিং হবে ভেবেছিলাম। ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে হয়েছিল। বাট ইট ওয়াজ নট সো। মন্দ লাগছে না।
ফ্রেস হয়ে ডাইনিং টেবিলে আসলাম। নীলাও এসে বসল। স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি। খেয়েই বেরোবে। কি যে হল, হঠাৎ বলে ফেললাম
— আজ ছুটি নিলে পারতে।
নীলা মুখে খাবার দিয়ে দিয়েছে। উত্তর দিতে পারছে না। আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে দেখল। ঠোঁটে দুষ্টুমির হাসি
— ইউ র বিহেভিং লাইক অ্যা জাস্ট ম্যারিড হাজব্যান্ড।
ওয়ার্নিং দিল? না দুষ্টুমি? আই থিঙ্ক বোথ। সকালে ভেবেছিলাম, ছুটিটা আজকে পর্যন্ত এক্সটেন্ড করব। আইডিয়াটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম। বেশি রোমান্টিক ফিল করতে শুরু করেছিলাম, আই থিঙ্ক। আই স্যুড কন্ট্রোল মাইসেলফ। সবচেয়ে জরুরী, গত কদিনের স্মৃতি মন থেকে মুছে ফেলা।
উত্তর দিলেই কথা বাড়বে। ভাবলাম উত্তর দিব না, কিন্তু দিলাম।
— জার্নি করে এসেছো, তাই বললাম।
নীলা এবার উত্তর দিল না। কেমন সন্দেহভরা দৃষ্টিতে তাকাল। ‘আর ঢং দেখাতে হবে না’ টাইপ দৃষ্টি?
একসময় ব্রেকফার্স্ট শেষ হল। নীলা দ্রুত হাতে চা ও সেরে ফেলল। ওর সময় হয়ে গেছে। এক্ষুণি না বেরোলে ওর দেরী হয়ে যাবে। বাট ইচ্ছেও করছে ও চা টাও যেন আমার সাথে খায়। কথাটা কি বলব?
— আমাকে একটু ড্রপ করে দিতে পারবে? তাহলে চা টা খেয়ে যেতে পারতাম।
কথাটা শুনে কেমন লাগল? আই কান্ট ডিসক্রাইব। দ্যা ফিলিং ওয়াজ অসাম।
ওকে ড্রপ করে করে আসলাম। খুব বেশিদুর না। কাছেই। যখন চাকরীটা পায়, তখন অবশ্য অফার করেছিলাম, ড্রাইভারকে সকালে আসতে বলব কি না, ও রাজী হয়নি। আসলে আমার কাছ থেকে পাওয়া যেকোন ব্যাপারকেই ও ফেভার ভাবত। আর তাই চেস্টা থাকত, যতটা কম নেয়া যায়।
বাট নিজে ড্রপ করার অফারটা কখনও করিনি। এখন নিজের কাছেই ব্যাপারটা অবাক লাগল, এই কাজটা আগে কেন করিনি। ওকে, নীলা আগে কখনও বলেনি, বাট আই স্যুড অফার হার।

এনিওয়ে, সকালের এপিসোডের আপাততঃ 'দ্যা এন্ড'। এখন আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি কি করব। আজকের দিনটা ছুটি নেয়া আছে। সো, না গেলেও চলে। কিন্তু বাসায় একা থাকা বোরিং হয়ে যাবে, আই গেস। ঘুম ফেরত আসবে বলে মনে হচ্ছে না। অফিস যাওয়া যায়, বাট একে তো অফিসের জন্য সময়টা টু আর্লি, তার উপর ইচ্ছে করছে না।

হাসপাতালে ফোন করলাম। জানালাম, আমি আসছে। ইউজুয়ালি তাই আরেকটু দেরি করে বেরোই।সকালে উঠলে এই এক সমস্যা হয়। এই সময়টা কাটতে চায় না। না ঘুম হয়, না জেগে থাকা হয়।
বিয়ের পরে প্রথমে কিছুদিন এভাবে উঠেছিলাম, তারপর যখন দেখলাম এরপরের সময়টা বোরিং কাটছে, তখন সিদ্ধান্ত নিই, পুরনো রুটিনে ফিরে যাব। অ্যানাউন্স করিনি, বাট নীলা যখন দেখল, সকালে উঠছি না, ও আর ডিস্টার্ব করত না। অ্যান্ড এভাবেই চলে আসছিল।
আজ ব্যাপারটায় ব্রেক পড়ল।পত্রিকা পড়ার চেস্টা করলাম। হচ্ছে না। টিভি ছাড়লাম। লাভ হল না। টেন্স ফিল করতে শুরু করেছি? বোধহয়। কেমন একটা ভয় কাজ করছে। কিন্তু কেন? এ ব্যাপারটার জন্য তো তৈরিই ছিলাম। জানতামই তো যেকোন সময় সোহেল দেশে ফিরবে অ্যান্ড…
এই কটা দিন কি সবকিছু ওলট পালট করে দিল? বাট ইট স্যুডন’ট বি। নীলা তো ব্যাখ্যা দিলই। ইট ওয়াজ নট এনিথিং রোমান্টিক। ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যা ম্যাটার অফ ইগো। তারপরও কেন যে…।
শাওয়ারে ঢুকলাম। একটু বেশি সময় নিয়েই সারলাম। সময় কাটছে না। সিদ্ধান্ত নিলাম, ইউজুয়াল টাইমে না, এখনই হাসপাতালে যাব। পোষাক পড়তে শুরু করলাম। নটা এখনও বাজেনি। ড্রাইভার এখনও আসেনি। ও হয়তো এখনও বাসা থেকে বেরও হয়নি। সো চাইলেই ওকে আসতে বারণ করে নিজেই ড্রাইভ করে যেতে পারি।
এভাবে বোর হওয়ার চেয়ে সেটাই বেটার হবে। সিদ্ধান্ত নিলাম, আগামীকাল থেকে দাম্পত্য লাইফ ওয়ানে ফিরে যাব। মোবাইলটা হাতে নিলাম। ড্রাইভারকে ফোন করে বারণ করলাম। বললাম হাসপাতালে চলে যেতে। এরপরে ধীরে ধীরে দরজার কাছে রাখা কী স্ট্যান্ড থেকে গাড়ীর চাবিটা উঠিয়ে নিলাম। বেরোতে যাব এমন সময় কলিং বেল বাজল। অ্যান্ড দেয়ার ওয়েটেড দ্যা সারপ্রাইজ।

— কি ব্যাপার? স্কুল বন্ধ?
— নাহ।
আই সি। নীলা ছুটিটা এক্সটেন্ড করেছে। বাট দ্যাট ওয়াজ নট দ্যা সারপ্রাইজ। দ্যা সারপ্রাইজ ওয়াজ, আই লাইকড ইট।
আমার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইল
— বেরোচ্ছ?
উত্তরে ‘হ্যা' বললেই হত। বাট শুনতে পেলাম আমি বলছি
— একা ভাল লাগছিল না, তাই…
— এখন তো আর একা না।
— দেন?
— ইউ ডিসাইড।
মনের ভেতর তোলপাড় হওয়া বলতে যা বোঝায়, এই মুহুর্তে সেটা হচ্ছে। ব্যাপারটা নীলাকে এক্সপ্লেইন করে বলা যায়। বলা যায়, উই স্যুড রিস্ট্রেইন আওয়ারসেলভস। বাট পারছি না। মনের এক অংশ বলছে, চলুক না। কটা দিন একটু আনন্দে কাটুক। নীলা আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। জানতে চাইল
— বাইরে কোথাও যাবে?
উত্তর না দিয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। শি ইজ লুকিং গর্জিয়াস। নীলা ভ্রু নাচিয়ে জানতে চাইল, ‘কি ব্যাপার?’ ওর চোখে কিছু একটা ছিল। কি সেটা? প্রশ্রয়? জানি না। বাট এরপরে যে কাজটা করলাম, রিয়েলি, আই নেভার থট আই উইল ডু এনিথিং লাইক দ্যাট। আই কিসড হার।

চলবে

আগের পর্বগুলো

http://www.zainuddinsani.com/category/serial/otithi/

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বটিও দারুণ লাগল। ভাল থাকবেন। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: এ পর্ব টা অগোছালো লাগলো।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.