নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম খরচে আবার ভারত ( পর্ব - গৌরচন্দ্রিকা )

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

অন্য পর্ব

আমার ক্লাসের পোলাপান এতো খারাপ যে চিন্তাই করা যায় না। পরীক্ষার ডেট দিলে তারা পিছাতে পিছাতে এমন সময়ে নিয়ে আসে যে আমার ট্যুরগুলো মাঠে মারা যায়। এবার অবশ্য আমি ঠিক করেছিলাম যে দরকার হলে পরীক্ষাই দেব না। তবে এবার উল্টো ব্যাপার ঘটলো। পরীক্ষার ডেট তারা টেনেটেনে দু’মাস এগিয়ে নিয়ে আসলো। পাচ-ছজন বিশিষ্ট ভদ্রমহিলা যে পরীক্ষা পেছানোর বিশেষ চেষ্টা করেনি তা নয়। তবে তারা আর হালে পানি পায়নি।

যেহেতু ইন্ডিয়া যাবার ইচ্ছা এজন্য ভিসা করাতে হবে। আর ইন্ডিয়ান ভিসা করতে হলে ই-টোকেন মাস্ট। কয়েক জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানলাম ই-টোকেনের সর্বনিম্ন মূল্য ২,৫০০টাকা। কি আর করা যাবে! গেলাম ফরম পূরণ করতে। কিন্তু বিধি বাম! কারেন্ট নেই। রোজার মধ্যে আর কতক্ষণ বসে থাকবো? দোকানে কাগজ-পত্র জমা দিয়ে এলাম।
পড়ালেখা শেষ হয়নি, কিন্তু স্টুডেন্ট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অস্থায়ী ঠিকানা ভুল করে ফেলাছি। এজন্য এডিট করে নতুন স্টুডেন্ট কার্ড আর বিদ্যুৎ বিল তৈরী করে দিল আমার বড়মামী। এবার ডলার এনডোরস এর পালা। ভেবেছিলাম স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতিঝিল শাখা থেকে ডলার এনডোরস করাবো। তাহলে নাকি ভিসা পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তো সেখানে গিয়ে শুনি তারা নাকি এখন আর ডলার এনডোরস করেন না। তার বদলে ট্রাভেল চেক ইস্যু করেন। আরে বাবা ট্রাভেল চেক দিয়ে আমি কি করবো? আমার তো ডলারও দরকার নেই। দরকার শুধু ডলারের সার্টিফিকেট।

যাই হোক কৃষি ব্যাঙ্কে কর্মরত আমার মেজ মামী জানালেন যে তাদের ব্যাঙ্ক খুব কম খরচে, প্রায় বিনা পয়সায় ডলার এনডোরস করে থাকে। তো গেলাম সেখানে। ডলার কেনার জন্য টাকা জমার লাইনে দাড়ালাম। ১০ জনের পিছনে ১১ নম্বর সিরিয়ালে। আড়াই ঘন্টা পর কাউন্টারে যখন পৌছালাম তখন দেখি সেখানে কর্মরত ভদ্রমহিলাটি সন্তান-সম্ভবা। তিনি একই সাথে টাকা জমা নিচ্ছেন আবার টাকা প্রদান করছেন। এগারো জন গ্রাহকের জন্য তার সময় লাগলো আড়াই ঘন্টারও বেশি। সত্যি এই সরকারি ব্যাঙ্কগুলি যে কবে আরো উন্নত হবে! তো টাকা জমা শেষে সার্টিফিকেট সহ ডলারগুলো হাতে এলো। দেরি না করে তক্ষুনি ছুটে গিয়ে ডলারগুলো বিক্রি করে দিয়ে এলাম। আর টাকাগুলো দিয়ে এলাম মেজ মামীকে। কারণ তিনিই তো এই অর্থের জোগানদাত্রী। এই কাজগুলো শেষ করতে আরো একটা রোজার দিন পার হয়ে গেছে।

এবার ইচ্ছা ছিল সিমলা, মানালি, কাশ্মিরের লাদাখ, শ্রীনগর, জম্মু এই অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখার। এই জায়গাগুলো সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেট থেকে ভালো উপায় তো আর নেই। কারণ আমার পরিচিত কেউই সেখানে যায়নি। তো এই তথ্যগুলো জানতে চেয়ে ব্লগে পোস্ট দিলাম। তা এই পোস্ট দেখে একজনের সে কি রাগ! তার মন্তব্য হচ্ছে, এইসব ব্যাক্তিগত বিষয় নাকি পোস্ট করা উচিৎ নয়। আরে বাবা ভ্রমণ ব্লগগুলো তো ব্যাক্তিগত তথ্যেই ভরপুর। তবে জহিরুল ভাই আমার খুব উপকার করেছেন।

১০ দিনের মধ্যেই ভিসার এপয়েন্টমেন্ট ডেট পেয়ে গেলাম। কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায়। দেখি ফরমে একগাদা ভুল। ব্যাটা দোকানদার ঠিকমতো চেক না করে আমার ফরম ভুল পূরণ করেছে। তাকে চেপে ধরতেই সে আমাকে প্রবোধ দিলো যে এসব ভুল নাকি কোন সমস্যাই না, এগুলো নাকি ভিসা অফিসের লোকজন খেয়ালই করে না, আরো হাবিজাবি কতো কি! কিন্তু আমার এসব প্রবোধ বাক্যে মন গলে না। অথচ কিই বা আর করার আছে! এতোগুলো টাকা নষ্ট। একদিকে রোজার মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষা চলছে, আর অন্যদিকে এইসব সমস্যা। এসব চিন্তায় একেবারে অস্থির হয়ে গেলাম আমি।

পরীক্ষা শেষ হলে মাথা থেকে চাপ কিছুটা কমলো। ভাবলাম যাই আবেদনপত্রটা জমা দিয়েই আসি। টাকা তো এমনিতেই নষ্ট হচ্ছে। দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে ২৭শে রমজান ভোরবেলা বের হলাম ফরম জমা দিতে। গুলশান অফিসে গিয়ে দেখি বিরাট লম্বা লাইন। আর লাইনে শুধু গুজবের ছড়াছড়ি। এই করতে হবে নাহলে ভিসা হবে না, ওই করতে হবে নাহলে ভিসা হবে না,দালালদের টাকা দিলে আগে ঢোকা যায়, আরো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি আগেও এগুলোতে কান দিইনি, এখনো দিলাম না। আমার সময় ছিলো সোয়া আটটায়। আটটা থেকে ঝুমঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। শরীর বাঁচানোর কোন জায়গা নেই, পুরোই ভিজে গেলাম। ততোক্ষণে অনেকের পাসপোর্ট পুরোই নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ভাগ্যিস প্লাস্টিকের ফাইলে করে পাসপোর্ট আর কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলাম বলে রক্ষা।

সাড়ে আটটার দিকে ভিতরে ঢুকতে পেলাম। ভিতরে ঢুকে প্রথমে লাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। সেটি নিচতলার ঘরে জমা দিয়ে অন্য আরেকটি টিকিট নিলাম। আমার সিরিয়াল পড়লো দোতলায়। আগে ভিসা প্রসেসিং ফি ছিল ৪০০টাকা, এখন ৬০০। এই টাকা জমা দেবার জন্য ফরম পূরণ করে ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলতে হলো। তারপর সেই একাউন্টে U cash এর মাধ্যমে টাকা জমা নিল। এসব কাজ শেষে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমার ফরম জমা দেবার পালা এলো এক মহিলার কাছে। সে দেখি অন্যদের খুব ঝাড়ি দিচ্ছে আর ফরমে ভুল খুঁজে বের করে পাসপোর্ট জমা না নিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে। আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফু দিয়ে ভয়ে ভয়ে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।

আমি সবসময় ভিসার জন্য একগাদা কাগজ জমা দিই। এমনকি আমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পর্যন্ত। তো সেটি দেখেই ভদ্রমহিলা জিজ্ঞাসা করলেন যে, আমি কোথায় পড়ি। জানালাম জগন্নাথে পড়ি। কোন সাবজেক্টে জিজ্ঞাসা করায় বললাম,সাইকোল্যজিতে। তো সেটা শুনেই মিষ্টি একটা হাঁসি দিয়ে তিনি জানালেন যে তিনিও সাইকোল্যজিতে ইডেন থেকে পাশ করেছেন। আরি শালা , আমি তো ভাবতাম এগুলো সব ইন্ডিয়া থেকে আসে! এখন তো দেখি সব বাংলাদেশের জিনিস। তা এরা এতো খটমট ব্যাবহার করে কেন আল্লাই জানে। যাই হোক ভদ্রমহিলা আমার সবগুলো তথ্য যাচাই না করে আমার সাথে গল্প করতে করতে আমার ফাইলে সই করে দিলেন। পাসপোর্ট ফেরতের সময় দিলেন ঈদের ছুটির চারদিন পর। মনোবিজ্ঞানে পড়ি শুনলে সবাই কেমন যেন নাক সিটকায়। জীবনে বোধহয় এই প্রথম মনোবিজ্ঞানের কারণে পার হয়ে গেলাম।

নির্দিষ্ট দিনে সন্ধ্যা ছ’টার দিকে ভয়াবহ বৃষ্টি উপেক্ষা করে গেলাম পাসপোর্ট আনতে। আমি কিন্তু মোটামুটি নিশ্চিত যে আমার ভিসা হবে না। গিয়ে দেখি পুরো অফিস ফাঁকা। শুধু একজন দুঃখ কাতর মানুষ বসে আছে যার ভিসা হয়নি। আনেকক্ষণ ধরে কাউন্টারে শব্দ করার পর একজন এসে বিরক্ত সহকারে আমার পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে গেল। খুব ভয়ে ভয়ে পাতা উল্টালাম। প্রথম ও দ্বিতীয় ভিসার পাতা উল্টে দেখি আমার জন্য খুব সুন্দর একটা উপহার অপেক্ষা করছে। নিজের বদখত ছবিটাও কি সুন্দর দেখাচ্ছে। এতোক্ষণে শরীরে প্রাণ ফিরে এলো। অফিস থেকে বের হয়ে দৌড়ে এক মসজিদে গিয়ে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলাম।

কিন্তু সমস্যা তো কেবল শুরু হলো সেখান থেকে। সব মামা মামীরা আমার উপর প্রচন্ড বিরক্ত। আমি নাকি কোন কাজ তো দূরে থাক, এমনকি পড়াশোনা পর্যন্ত করি না! শুধূ ঘুরে বেড়ানোর ধান্দায় থাকি! তারা সম্মিলিত ভাবে আমার এই ট্যুর প্রতিহত করার চেষ্টা শুরু করলো। বিশেষ করে আমার মেজ মামী সন্দেহ প্রকাশ করলো যে, ইন্ডিয়াতে নিশ্চয় আমার বিয়ে করা কোন বউ আছে! নাহলে আমি এতো ঘনঘন ইন্ডিয়া যাই কেন?

এদিকে আমার ব্যাবহারিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না। আমার ইচ্ছা ছিল লাদাখের দিকে যাবার। লাদাখে যাবার রাস্তা নাকি বছরে সাড়ে তিন মাসের জন্য খোলা থাকে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাডামকে অনেক রিকোয়েস্ট করে পরীক্ষার ডেট নিলাম। অনেক সাধ্য-সাধনার পর ব্যাবহারিক আর ভাইভা শেষ হলো। এবার যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হবার পালা। আমার মামাতো বোন ডাক্তারি ভর্তি পরীক্ষা দেবে। ওর সীট পড়েছে যশোরে। সেও আমার সহযাত্রী হলো।

২০১৫’র সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পয়সা ও সময় বাঁচানোর জন্য আমরা দু’ভাইবোন গাবতলী থেকে সকাল সাড়ে আটটায় দ্রুতি পরিবহনের লঞ্চ পারাপারের বাসে উঠে বসলাম। ভাড়া ২৫০টাকা করে। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু সমস্যা হলো পাটুরিয়া ঘাটের ১০ কিঃমিঃ আগে। ভাগ্যিস আমি বাসা থেকে বের হবার আগে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে এসেছিলাম! কারণ আমাদের বাসটা ভয়াবহ এক্সিডেন্ট করেছিল এবং আমি ছাড়া বাসের অন্য সকলেই আহত হয়েছিল। বাসের সামনের অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে উঠেছিল। আল্লাহর রহমতে সে সময় বৃষ্টি পড়ছিল বলে কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিভে গেল। যারা বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছিল তারা আহত হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। তবে কেউ মারা যায়নি।

আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম আমার মামাতো বোন ভারি ভারি তিনটি ব্যাগ নিয়ে আমাকে মাড়িয়ে হুড়মুড় করে নেমে গেল দেখে। পরে দেখি পায়ের যন্ত্রণায় ও দাড়াতেই পারে না। কিন্তু তখন লাফিয়ে নামলো কিভাবে! যাই হোক অন্য একটা লোকাল বাসে করে আমরা ঘাট পর্যন্ত এলাম। লঞ্চে নদি পার হবার পর দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছালাম। এপাশে আরেকটি বাস অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য। সেটাতে চড়ে বসলাম। আল্লাহর রহমতে আর কোন দুর্ঘটনা ছাড়ায় দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে যশোরে এসে পৌছালাম। বাড়ি পৌছে দেখি মা উদ্বিগ্ন মুখে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

পরের পর্ব

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: আমি ও দেখেছি যখন কোথাও বের হই খুবই কঠিন কাজ , কাজটা হবে কি হবে না চিন্তায় থাকি। কিন্তু দু'রাকাত নফল পড়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করে বের হবার পর দেখি খুব সহজে হয়ে যায় । অনেক সময় অলসতা করে দু'রাকাত নামাজ না পড়ে বের হয়ে পড়ি , দেখি সহজ কাজ ও হচ্ছে না সমস্যায় পড়ে গেছি । সকল বন্ধুরা আপনারা ট্রাই করে দেখতে পারেন । চমৎকার ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

সারাফাত রাজ বলেছেন: কোথাও বের হবার আগে দু'রাকাত নফল নামাজ পড়া যে কতো প্রয়োজন তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। ইন্ডিয়া যাবার পূর্বে আমি দু'রাকাত নফল নামাজ পড়ে বের হয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে এই ১৯ দিনে আমার কোথাও কোন সমস্যা তো হয়নি, বরঞ্চ ওখানকার মানুষের এতো অযাচিত সাহায্য পেয়েছিলাম যে কল্পনা করা যায়না।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

লালপরী বলেছেন: ভয়াবহ ঘটনা। আল্লাহর অনেক রহমত ছিল বিধায় বেচে গেছেন। আমিও বাড়ী হতে বাইরে গেলে দোয়া পরে বের হতে চেস্টা করি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় আয়াতুল কুরসি খুব শক্তিশালি একটি দোয়া। বাড়ি থেকে বের হবার সময় আমি এই আয়াতগুলি পাঠ করি।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

ভিটামিন সি বলেছেন: ইন্ডিয়ার ভিসা নিতে এত প্যারা!!!
আমি আর আমার ফ্রেন্ড গতবছর সিংগাপুরে ইন্ডিয়ান এম্বাসিতে গিয়েছিলাম বন্ধুর ভিসার জন্য। বন্ধুপত্নী থাকেন ঢাকায়, তিনি চিকিৎসা করাতে যাবেন কলকাতায়, বাই ট্রেন। ইনফরমেশন ডেক্সে গিয়ে তথ্য জানতে চাইলে তারা জানায় সিংগাপুর থেকে ভিসা নিলে বিমানে বা জাহাজে যেতে হবে। ভিসা পেতে কোন সমস্যা হবে না। ট্রেনে যেতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিতে হবে। পরে বন্ধু দেশে গিয়ে দালালের মাধ্যমে মাত্র ৩ দিনে ভিসা বের করে বন্ধু, বন্ধুপত্নী ও তার ছেলের। চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলে ভিসা কি দ্রুত প্রসেস হয় নাকি?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ইন্ডিয়্ন ভিসা নিতে অনেক ধরনের কাগজ-পত্র জমা দিতে হয়। তবে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক হচ্ছে ই-টোকেন। দালাল ছাড়া এটি পাওয়া সম্ভব না। আর এজন্য কমপক্ষে ২৫০০ টাকা খরচ হবে। নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট জমা দিতে গেলে অফিসের লোকজন নানা ছুতোয় ফরম জমা নিবে না। ততোক্ষণে কিন্তু ৬০০ টাকা জমা নিয়ে নিয়েছে। কপালগুণে কারো ফরম গ্রহণ করলেও তার যে ভিসা হবেই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কি কারণে আপনার ভিসা দিলনা তার কোন কৈফিয়ত এরা দেবে না। তবে ভিসা হয়ে গেলে সবাই এই যন্ত্রণার কথা ভুলে যায়। কারণ ইন্ডিয়া্ন ভিসা পাওয়া লটারি জেতার চাইতেও কঠিন।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভিসার জটিলতা শেষ করেও দেখি বিরাট বিপদে পড়েছিলেন। নামাজ আর দোয়ার বরকতে অনেক বড় বড় বিপদ থেকে আমিও আল্লাহর রহমতে রক্ষা পেয়েছি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: সবই আল্লাহর রহমত। এমন এমন জায়গায় ঘুরেছি যেখানে আল্লাহর রহমত ছাড়া আমার পক্ষে জীবনেও যাওয়া সম্ভব ছিল না। সঙ্গেই থাকুন, এর পরেরগুলো ছবি সহ পোষ্ট দেব।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

সুমন কর বলেছেন: মনোবিজ্ঞানে পড়ি শুনলে সবাই কেমন যেন নাক সিটকায়। জীবনে বোধহয় এই প্রথম মনোবিজ্ঞানের কারণে পার হয়ে গেলাম। ;)

পোস্ট পড়ে মজা পেলাম। +।

এ পোস্টের আরো পর্ব কি হবে?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২

সারাফাত রাজ বলেছেন: আছে মানে? কমপক্ষে আরো ১৫ বড় বড় পর্ব আছে ছবি সহ। কিন্তু ভাই টাইপ করা খুব কঠিন :( । এইটা টাইপ করতেই পুরো একদিন লেগেছে :||

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ভিসা নেয়ার কথা শুনলেই আইলসামি লাগে, লাইনে দাঁড়ানো তো আরো পরের বিষয় /:)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: এখন তো লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নাই। ফরমে যে সময় দেয়া থাকবে সেসময় উপস্থিত হলেই চলবে।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

আলিফ ১২৭৭ বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। আচ্ছা, আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। এরপর ছবিসহ মোটামুটি আরো ১৫ পর্ব হবে। কোথায় কোথায় গিয়েছিলাম সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য। তবে এটা জেনে রাখুন এই ১৯ দিনে আমি প্রায় ৮,০০০ কিঃমিঃ ট্রাভেল করেছি।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল লাগল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

সারাফাত রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

বন্যলোচন বলেছেন: আমি গেছিলাম মাসখানেকের জন্যে। তামিলনাড়ু। ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে তেমন সমস্যা হয় নাই :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, আপনি তো দেখি আমার মতো ভাগ্যবান। আমারও ভিসা পেতে কোন সমস্যা হয়নি।
তামিলনাড়ু ভ্রমণের গল্প শুনবো কবে?

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১২

খেপাটে বলেছেন: ভাইয়া আমিও সাউকোলজিতে,,,
ঢাবিতে,,,,আমিও ইন্ডিয়া ট্রাভেল করতে চাই,,,কিন্তু সামনে পরীক্ষা :(

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই আপনি ঢাবিতে হইলে তো আমার বড়ভাই :-B
পরীক্ষা শ্যাষ হইলে ইন্ডিয়া থেইকা ঘুইর‍্যা আসেন, :-/ ইন্ডিয়া তো আর পালাইয়া যাইতেছে না B-)
আরেক কাজ করতে পারেন, পরীক্ষা না দিয়া ঘুইরা আসেন :P

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১২

খেপাটে বলেছেন: *সাইকোলজিতে

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: বুঝেছি ভাই বুঝেছি =p~

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

খেপাটে বলেছেন: ইন্ডিয়া পালায় না,,,আমার টাকা সমস্যা হয়,,,

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: কয়েকটা মানসিক রুগি দেখেন, দেখবেন টাকা কোন সমস্যা না। ;) আমি তো আমার আত্মীয় স্বজন দিয়ে শুরু করছি :) তারা সবাই মনে করে সাইকোলজি মানে পাগলের ডাক্তার B-)

১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

খেপাটে বলেছেন: আর পরীক্ষা না দিলে তো ভার্সিটিতে আদু ভাই হইতে হইবো,,, আমার আদু ভাই হওয়ার ইচ্ছা নাই

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: পরীক্ষা না দিলেও আদু ভাই হওয়া যায়, যে পরিমান সেশনজট। চার বছরের কোর্স ছয় বছর লাগে।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

খেপাটে বলেছেন: ভাই সেশনজট কি,,,এটা খায় না পিন্দে কয়েকবছর ধরে ডিপার্টমেন্টে সেশনজট কথাটা উধাও,,, অক্টোবরে এক্সাম নেওয়া শুরু করছে,,,বিগত কয়েক বছরে সেশনজট মুক্ত কাটাইতেছে

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছি :|

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমত অনেক সুন্দর লিখা লিখেছেন। দ্বিতীয়ত একই লিখা দুবার রিপিট হয়েছে। সম্ভত লিখা কপি পেস করে লিখেছেন।

তৃতীয়ত পাসপোর্ট, ইন্ডিয়া ভিসা পেত কত কষ্ট হয় যে করেছেন তার দুঃখ শুধু তারাই বুঝবে যারা ভূক্তভূগি। এজ মি।।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, লেখা যে রিপিট হয়েছে আমি একেবারেই বুঝতে পারিনি।
এখন ঠিক করে দিয়েছি।

কষ্ট করে পাসপোর্ট আর ভিসা করে কোথায় কোথায় ঘুরলেন?

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: ভিসা রেডি, যাওয়ার ইচ্ছা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। বাচ্চার সরকারি স্কুল গুলোর এডমিন পরিক্ষার পরে। তবে ভিসা অভিজ্ঞা খুব খারাপ। আমরা তিন মানে স্বামী স্ত্রী বাচ্চা একসাথে ভিসা করতে দিয়েছিলাম। স্বামীস্ত্রী দুজনের হয়ে গেল আটকে গেল বাবুর। এই বাবুর ভিসা কেন আটকে গেল তা জানার জন্য ৩ দিন ইন্ডিয়ান হাই কমিশন কার্যালয়ে ঘুরতে হয়েছে। প্রথম দিনে গিয়ে দেখি বিরাট লাইন, লাইনে দাঁড়ালাম ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত দাঁড়ানোর পর সুযোগ পেলাম। ভিতরে গিয়ে জানতে পারলাম আজ পেন্ডিংএর কাজ করবে না। আর বলে দেয়া হল আগামীকাল আসুন কাজ করে দিব। আমি বললাম লাইনে দাঁড়াতে হয় অনেক ক্ষন, তিনি বললেন কাল লাইনে দাঁড়াতে হবে না ১১/৩০ চলে আসুন।

পরের দিন দেখা করলাম, সেই ব্যাটা বলে আজ অনেক জন এসেছেন পেন্ডিং কাজ করার জন্য লাইন ছাড়া হবে। আমি অবাক হয়ে বললাম কেন? আপনি ত কালকে বলেছিলেন লাইনে দাঁড়াতে হবে না? আর ১১/৩০ এ লাইনে দাঁড়ালে কখন কাজ হবে ১২ টার পরে ত আর লোক নেন না। তিনি কোন উত্তর না দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।


৩য় দিন খুব সকালে সম্ভত ৫ টাই গেলাম বাইকে করে আমি আর আমার স্ত্রী। গিয়ে দেখি পুরুষ লাইনে ৬৫ জন অথচ নিবে ৫০ জন আর মহিলা লাইনে মাত্র ৮ জন।

চিন্তা ভাবনা করে বঊকে লাইনে দাঁড় করে দিলাম। তারপর শুধুই অপেক্ষা। ১০ টার দিকে ভিতরে গিয়ে কমিশনের সাথে দেখা করার সুযোগ পেলাম। তাকে বলাতে তিনি শুধু এই টুকু বললেন ও বাচ্চার তো। কাজ হয়ে যাবে আগামীকাল স্ট্যাট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় চলে যাবেন।

কি আর করব বাধ্য হয়ে চলে আসলাম অথচ মনে অনেক প্রশ্ন ছিল কিছুই বলতে পারলাম যদি আবার আটকিয়ে দেয়।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

সারাফাত রাজ বলেছেন: ইয়াল্লা কি যন্ত্রণা :-& পরে কি হলো? বাবুটার ভিসা হয়েছে?
আপনাদের কোথায় কোথায় যাবার ইচ্ছা?

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: হয়েছে ভাই। কলকাতা, দিল্লি আজমির শরীফ, আগ্রা তাজমহল, কুতুব মিনার ইত্যাদি ইত্যাদি ৩০ দিন মোটামুটি থাকার ইচ্ছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

সারাফাত রাজ বলেছেন: এতোদিন থাকবেন B:-)
ভালোভাবে ঘুরে আসুন, এই দোয়ায় করি।
ডিসেম্বরে কিন্তু দিল্লীতে প্রচন্ড শীত আর কুয়াশা। তাপমাত্রা প্রায় ২ডিগ্রীর কাছাকাছি থাকে। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন।

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: বাহব্বা! একগাদা ভুল নিয়ে মিষ্টি হাসিতে ভিসা পরম জমা নিয়ে আবার ভিসা পাওয়া! আপনার তো ভাই চাঁদ কপাল। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। একটা ছোট্ট ভুলের জন্য কয়বার যে ফিরতে হয়!

চেন্নাই হতে্ বাই রোডে দিল্লী যাওয়ার সহজ উপায় টা জানার ইচ্ছা রইল। এ পর্যন্ত এয়ারে গিয়েছি। তাই খুব বেশি ভালো জানিনা। নেক্সট এ বাই রোডের প্ল্যান। আপনার ভ্রমন পোস্ট বেশ কাজে দিবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: আসলে ভিসা হবার ব্যাপারটা সবই আল্লাহর রহমত।

তবে একটা মজার বিষয় জানেন, আপনি যসি ইন্ডিয়ান এমব্যাসির গুলশান শাখায় ভিসা ফর্ম জমা দিতে যান,আর আপনার ভিসা ফরমে যদি কোন ভুল ধরা পড়ে তবে ওদের কাছে একটু কাঁদ কাঁদ হয়ে রিকোয়েস্ট করলে একটা নির্দিষ্ট ফি জমা দেবার মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ ভুল সংশোধনের সুযোগ থাকে। তবে এজন্য ওরা বেশ ঝাড়িঝুড়ি দেয়। কিন্তু ভুল সংশোধনের বিনিময়ে একটু ঝাড়ি খাওয়া কিছুই না। কারণ একবার ফর্ম বাতিল হলে আবার ই-টোকেন করা আর আবার ফর্ম জমা দিতে আসা যেমন ঝামেলা, তেমন কষ্ট, তেমন সময় নষ্ট, তেমন একগাদা টাকার শ্রাদ্ধ। তবে গুলশান ছাড়া অন্য শাখায় এই সুযোগ আছে কিনা জানি না।


আমি চেন্নাইয়ের দিকে যায়নি বলে আপনাকে এ ব্যাপারে কোন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবো না। এজন্য আমি দুঃখিত। তবে পুরো ভারতেই সব জায়গায় ট্রেন যোগাযোগ খুব ভালো। আপনি নেটে ইন্ডিয়ান রেলের ওয়েবসাইডে ঢু মেরে দেখতে পারেন। ইন্ডিয়ান ট্রেনের টু-টায়ার, থ্রী-টায়ার ক্লাসগুলো খুব আরামদায়ক। আর রাজধানী,দুরন্ত,শতাব্দী এই ট্রেনগুলোতে ট্রেন থেকেই খাবার দেয়, অন্য ট্রেনে খাবার কিনে খেতে হয়।

তবে আপনার বোধহয় প্লেনে চড়ার অভ্যাস। আমার পোস্ট ফলো করলে আপনার বেশ কষ্টই হবে, কারণ আমি সবজায়গাতেই সবচেয়ে সস্তা খুজি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনি যশোরের লোক আমিও কিন্তু যশোরের

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: তাইলে চা খাওয়ান :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.