নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম খরচে আবার ভারত পর্ব-৩ ( আধিক্য কালকা মেইল-১ )

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

অন্য পর্ব

স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বোর্ডে প্রদর্শিত হয় ট্রেনের কোন বগি কোথায় দাঁড়াবে। আমার বগির নম্বর হচ্ছে s 10 সিট নম্বর ৪৯। সেদিকে যাবার চেষ্টা করতেই দেখি একটা জায়গায় ইয়া লম্বা লাইন। রেল পুলিশ মারধোর দিয়ে লাইনটা ঠিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আসলে হয়েছে কি প্রতিটি দূরপাল্লার ট্রেনে অসংরক্ষিত কিছু আসন থাকে, সেখানে যে আগে উঠতে পারবে সিটটা তার। আসন বিহীন যাত্রীরা আগে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করে বলে পুলিশ একটা লাইন তৈরী করে দেয়।




s 10 লেখা ডিসপ্লে বোর্ডের সামনে দাঁড়াতেই ট্রেন এসে গেল। উঠতে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। কিছুক্ষণ পর ট্রেনের লোক এসে ভিতর থেকে দরজা খুলে দিলো। হুড়মুড় করে উঠে পড়লাম। নিজের সিটটা দখল করে বসে রইলাম। তখন সবে সন্ধ্যা সাতটা বাজে। ট্রেন ছাড়তে এখনো চল্লিশ মিনিট বাকি আছে। প্রচন্ড গরম লাগছে। আশেপাশের সিটের সহযাত্রীরা ততক্ষণে আসা শুরু করেছে। বুঝতে পারলাম মোটামুটি একটু নিম্নবিত্তের মানুষেরাই স্লিপার ক্লাসে ভ্রমণ করে।



ট্রেন ছাড়ার ঠিক মিনিট দশেক আগে দুটো রাজপুত্র উঠে এলো। বিলাসিতা তাদের শরীর আর লাগেজ দিয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে। পুরো বগিতে যা সম্পূর্ণ বেমানান। খুব সন্দেহ হলো। কাছে এসেই প্রথমে তারা আমার নাম ধরে ডেকে উঠলেন। অবাক হলাম না, কারণ প্রতিটি যাত্রীর নাম-ঠিকানা ট্রেনের দরজার পাশে সাঁটানো থাকে। নিশ্চয় সেখান থেকে আমার নাম দেখে এসেছে। যেচে এসে তারা যখন আমার সাথে পরিচিত হলো তখন আমার সন্দেহ সম্পূর্ণরূপে সঠিক প্রমাণিত হলো। তারা দুজনেই বাংলাদেশী। সেতু আর নিয়ন। ফেয়ারলি প্লেসে টিকিট কেটে বের হবার সময় তারা নাকি আমাকে দেখেছে। অবশ্য তারা নাকি তখন আমাকে ইন্ডিয়ান মনে করেছিল।

পরিচিত হওয়া মাত্রই তাদের সাথে বকবক শুরু করে দিলাম। আমার উপরের সিটদুটি তাদের। সারাটা দিন ইন্ডিয়ানদের উদ্ভট বাংলা উচ্চারণ শুনে শুনে মাথায় যে যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল তা এক মিনিটেই কেটে গেল। আমার কথার যন্ত্রণায় নিয়ন ভাই কিছুটা দূরে সরে বসলেন, আর সেতু ভাই দূরে সরতে না পেরে অস্থির হয়ে গেলেন। কিন্ত আমি এসব গ্রাহ্যের মধ্যেই আনলাম না। আমার কথা চালিয়েই যেতে লাগলাম। নিজের ভাষায় বকবক করলে যে মাথা যন্ত্রণা সারতে পারে তা এই প্রথম জানলাম।

সেতু আর নিয়ন ইন্ডিয়া ঘুরতে এসেছেন। এখন যাবেন দিল্লিতে, সেখান থেকে আগ্রা, রাজস্থান এইসব দিকে। সিমলার দিকে যাবারও ইচ্ছা আছে। তাদের কাছে আমিও আমার ট্যুর প্লানের কথা শেয়ার করলাম। দিল্লীতে মেট্রোতে করে সাইট সিয়িং এর ব্যাপারে আমার একটা লেখা ছিলো। লেখাটার প্রিন্ট কপি বের করে তাদের দেখাতেই সেতু ভাই চাপনিছে সেটা গাপ করে দিলেন। মেট্রোতে দিল্লী ভ্রমণ

বকবকের ঠেলায় কখন যে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে বুঝিনি। টের পেলাম গায়ে বাতাস লাগায়। আহ কি আরাম! শেকল দিয়ে লাগেজ বেঁধে থিতু হয়ে বসলাম। বকবকানি থামিয়ে টুকটাক কথা বলা শুরু করলাম। নিয়ন ভাই খুব চুপচাপ, কথা একেবারেই কম বলেন। ততোক্ষণে বেশ রাত হয়ে গেছে। সেতু ভাইরা খাবার জন্য এক বয়াম জেলি, এক প্যাকেট পাউরুটি আর কি কি যেন নিয়ে এসেছে। আমি আমার পাউরুটি আর মিষ্টি বের করলাম। আমার খাবারগুলোই ভাগাভাগি করে খাওয়া হলো। সারাদিন বেশ উত্তেজনা আর পরিশ্রম গেছে। খাওয়া-দাওয়া শেষে শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড বেগে ট্রেন ছুটছে। তাছাড়া চলন্ত ট্রেনের দুলুনিও আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সহজেই ঘুমিয়ে গেলাম।

২০শে সেপ্টেম্বর’২০১৫
আমি সবসময়েই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি। ভারতে সবচেয়ে মজার দৃশ্য দেখা যায় ভোরবেলায়। এদেশের লোকজন ভোরবেলা ট্রেন রাস্তার দুপাশে উদোম হয়ে লাইন দিয়ে বসে পায়খানা করার জন্য। ট্রেনের যাত্রীরা যে তাদের এই খোলামেলা ভাবে পায়খানা করার দৃশ্যটি দেখছে এ ব্যাপারে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। কিছুক্ষন এই মজাদার দৃশ্য উপভোগ করলাম। তারপর ভীড় হবার আগেই টয়লেটের দিকে গেলাম। ইন্ডিয়ার ট্রেনের প্রতিটি বগিতে চারটে করে টয়লেট। তিনটিতে ভারতীয় রীতি আর একটিতে হাই কমোডের ব্যাবস্থা। কোনটিতেই বদনা অথবা মগ নেই, তবে কিছু বোতল রাখা আছে। প্রতিটি টয়লেটের ভেতরে ও বাইরে হাতমুখ ধোয়ার বেসিন রয়েছে। পরে দেখেছিলাম দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার এই টয়লেটগুলি পরিষ্কার করা হয়। শুধু তাই নয়, ট্রেনের প্রতিটি বগিই দিনে কয়েকবার করে ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেয়া হয়।



ঘণ্টা খানেক পর সেতু ভাই উঠলেন। একটা স্টেশনে ট্রেন থামা মাত্র আমি তাকে নিয়ে নিচে নামলাম। তিনি স্টেশনের কল থেকে হাতমুখ ধুলেন। তারপর আমরা এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি শুরু করলাম। দেখি নিয়ন ভাইও উঠে পড়েছেন। জানালা দিয়ে তিনি আমাদের ডাকাডাকি শুরু করলেন । কিন্তু আমরা কর্ণপাত করলাম না। বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা যখন ট্রেনে উঠে আসলাম তখন দেখি নিয়ন ভাই ক্ষেপে ভোম হয়ে আছেন। আসলে তার জোর আকারে টয়লেট চেপেছে ,আর মালপত্র ফেলে রেখে তিনি টয়লেটেও যেতে পারছিলেন না। সেতুকে দেখতে পেয়ে গালাগাল দিতে দিতে টয়লেটের দিকে দৌড়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত যখন টয়লেট থেকে যখন বের হলেন ততোক্ষণে কিছুটা শান্ত হয়েছেন।

রামপেয়ারি চায়ের অনেক নাম শুনেছিলাম। নেয়া হলো তিন কাপ। আর তারপর আমি সেতু ভাইদের পাউরুটিতে ভাগ বসালাম। ইন্ডিয়ান স্টাইলে সকালের নাস্তা হিসাবে পাউরুটি আর চা মন্দ হলো না। কলকাতা থেকে কাশ্মির পর্যন্ত পুরো ইন্ডিয়া সফরে চা নিয়ে একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করেছি, তা হচ্ছে, সকালে চা না খেলে ইন্ডিয়ানরা পাগল হয়ে যায়। একেবারে মারা যাওয়ার মতো অবস্থা হয় তাদের। ট্রেনের মধ্যে দেখি অন্যান্য যাত্রীরা উন্মাদের মতো চা চা করছে। যাই হোক সকালের নাস্তা শেষ করে সুস্থির হয়ে জানালার পাশে বসলাম।



বসলামতো কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে অস্থির হয়ে গেলাম। ট্রেন বোধহয় ততোক্ষণে বিহারের মধ্যে দিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। প্রচন্ড গরম। দুপাশে সবুজ আছে, কিন্তু বাংলাদেশের মতো চোখ জুড়ানো সবুজ নয়। কেমন যেন রুক্ষ সবুজ। চোখের আরাম না হয়ে কেমন যেন যন্ত্রণা হয়। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে গরম বাড়তে লাগলো। অথচ তখন কেবল সকাল ন’টা বাজে। ভাবছি দুপুরে কি অবস্থা হবে! আমি তো দাঁতে দাঁত চেপে গরম সহ্য করছি, কিন্তু সেতু আর নিয়নের অবস্থা সুবিধার না। তারা প্রথমে টি-শার্ট খুলে ফেললো। তার কিছুক্ষণ পর প্যান্ট বদলে লুঙ্গি পড়লো। কিছুক্ষণ পর দেখি সেই লুঙ্গিও হাঁটুর বেশ অনেকখানি উপরে বিপদজ্জ্বনক জায়গায় উঠে গেছে। আর এদিকে কোন ঠান্ডা পানীয় বিক্রেতা গেলেই তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জুসের বোতল কিনতে লাগলো। আমিও সেই জুসের ভাগ পেতে লাগলাম।



কলকাতা থেকে কালকা পর্যন্ত ১,৭১৩ কিঃমিঃ যাত্রাপথে হয়তো অনেক নদী ছিল, কিন্তু আমার চোখে পড়েছে মাত্র দু’টি। একটির কি নাম জানিনা। তবে অন্যটি হচ্ছে গঙ্গা, যমুনা আর সরস্বতি নদীর মিলনস্থল। এই জায়গাটার নাম হচ্ছে সঙ্গম। আমাদের দেশে ট্রেন ভ্রমণে যেমন কিছুদূর পরপর নদী পার হতে হয়, এখানে কোন নদী তো দূরে থাক ছোট নালাও পার হতে হয় না। নদী দেখতে না পেরে শরীরের মধ্যে কেমন যেন খাঁ খাঁ অনুভূত হচ্ছে। প্রচন্ড দ্রুত বেগে ট্রেন ছুটে চলেছে। পাশাপাশি কমপক্ষে দুটো লাইন। একটি যাবার অন্যটি আসার। কিছুক্ষণ পরপর প্রচন্ড বেগে অন্য ট্রেন পাশ কাটাচ্ছে। যাত্রাপথে ছোটছোট স্টেশনগুলিও এতো বিশাল বিশাল যে অবাক হতে হয়। এই যাত্রাপথে আসানশোল, ধানবাদ, গয়া, মোঘলসরাই, এলাহাবাদ, কানপুর, আলীগড় এইসব বিখ্যাত স্টেশন পড়ে। মাঝে মাঝে যে স্টেশনগুলোতে দাড়াচ্ছে দৌড়ে গিয়ে বোতল ভরে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসছি। এসব স্টেশনে নর্মাল পানির পাশাপাশি ঠান্ডা পানিরও ব্যাবস্থা আছে।
পরের পর্ব

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

সুমন কর বলেছেন: আর পর্ব হবে না.....

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

সারাফাত রাজ বলেছেন: হবে ভাই...

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

রাজীব বলেছেন: চলুক। গপাগপ গিলছি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: থ্যাঙ্কয়ু ভাই, থ্যাঙ্কুয়ু।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দিল্লী থেকে একবার বাধ্য হয়ে কলকাতে চড়ে কলকাতায় ফিরেছিলাম। আহারে....

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার যাওয়া আসা দুটোয় কালকা মেইলে, আমার কিন্তু খারাপ লাগেনি বরং বেশ উপভোগই করেছিলাম। আমিতো তাও একা ছিলাম।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে। পরের পর্ব পড়ে আসি

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
দেখেন পরের পর্ব ভালো কিনা!

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

bond007 বলেছেন: কোলকাতার লোকাল ট্রেন থেকে দমদম এ যত লোক একত্রে নামে তার চেয়ে বেশি লোক একত্রে বিহার স্টেশন থেকে উঠতে দেখেছি। আপনি দেখেছেন কি? আমার সবচেয়ে বাজে লেগেছিল ইন্ডিয়ান ট্রেন ও ষ্টেশন এর খাবার গুলো। সৌভাগ্যবশত আমি উত্তর, দক্ষিন ও পষ্চিম ভারতে রেল ভ্রমন করেছি। সবচেয়ে বিদঘুটে খাবার ছিল দক্ষিন ভারতে। না হোটেল, না ট্রেন । বাঙ্গালীরা সেখানে খাবারের কষ্টটা বেশিী ভোগ করে। আর একটা কথা। আপনার বল্গ থেকেই হোটেল শান এ উঠেছিলাম। উরা আমাকে লাষ্ট মোমেন্ট এ এমন এক উপকার করেছে যার জন্য সত্যিই হোটেল ওয়ালা ও আপনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আর পোষ্টের জন্য +++++++.

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: কলকাতার সবগুলো স্টেশনেই প্রচন্ড ভিড় হয়। তবে আমি যেহেতু রবিবার বিহার পার হয়েছি, ঐদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ভীড় কম ছিল। পুরো ভারতের খাবারই যেন কেমন!

হোটেল শানের ঠিকানা পেয়েছিলাম সজল ভাইয়ের কাছ থেকে, তাকে অনেক ধন্যবাদ।
হোটেল শান কি উপকার করেছিল জানতে পারি কি?
আপনার ভ্রমণ কাহিনী কবে পাবো?
আর সবকিছু মিলিয়ে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের কলকাতা-দিল্লী যাত্রা ছিল রাজধানী এক্সপ্রেসে, ফলে যন্ত্রণা পেতে হয় নাই, বরং বেশ উপভোগ করেছি খাবারগুলো। তবে যেহেতু আপনার লক্ষ্য ছিল কম খরচে ভ্রমণ সম্পন্ন করা, তাই এই যাত্রাই ঠিক ছিল। পরেরবার আপনার এই রুটে আপনার স্টাইলে জার্নি করার ইচ্ছে আছে।

এই পর্বে খরচীর খেরোখাতা গেল কোথায়?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমি শুনেছি যে ইন্ডিয়ান লোকের জীবনে একটা ইচ্ছা থাকে যে সে কোন একদিন রাজধানী এক্সপ্রেসে ট্রেনে উঠবে। স্বভাবতই এটি একটি ভালো সার্ভিস। কিন্তু আমার কাছে রাজধানী এক্সপ্রেসের চাইতেও দুরন্ত এক্সপ্রেস বেশি ভালো লেগেছিল। এগুলো পুরোটায় এসি, খাবার নিয়েও কোন চিন্তা করতে হয় না। আর এখন যেহেতু আমি সস্তা খুজি এজন্য একটু কষ্ট হলেও স্লিপার ক্লাস নেবার চেষ্টা করি। স্লিপার ক্লাসে যেন সারা দুনিয়ার সব জাতের লোক ওঠে। এটা দেখাও এক অন্য রকম অভিঞ্জতা। আর এসিতে সাধারণত এলিট শ্রেণির যাত্রী ওঠে। আমার কাছে মনে হয় সারা পৃথিবীর সব এলিট লোকের চরিত্র একদম একরকম।


খরচের হিসাব প্রতিটি মৌলিক পর্বের শেষে দেয়া থাকবে, যেমন আধিক্য কলকাতা১ও ২ এই দুটি পর্ব মিলে একটা মৌলিক পর্ব।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

bond007 বলেছেন: সজল ভাই মানে কি সজল এর বাংলা ব্লগ থেকে? আমার কোলকাতার টু্র এর গাইডলাইন উনার ব্লগ থেকেই নিছিলাম। আর আমার প্ল্যান ছিল প্রথমে আগ্রা তারপর দিল্লী তারপর ইউ.কে. অর্থাৎ. উত্তরাখন্ড এবং হরিদ্বার থেকে হাওড়া । তাই বাংলাদেশ থেকেই রেল টিকেট করছিলাম সেই সিডিউল মিলিয়ে। (১) হাওড়া-দিল্লী (২) দিল্লী--আগ্রা (৩) আগ্রা--দিল্লী..(৪) দিল্লি--হরিদ্বার (৫) হরিদ্বার--হাওড়া। কিন্তু ৪ঘন্টা ট্রেন লেইট খেয়ে সিডিউল পন্ড হয়ে গিয়েছিল। তো দিল্লি টু আগ্রা যাওয়া ও আসার কথা ছিল তাজ এক্সপ্রেস এ। আর রাত ৯.৩০ টায় ছিল দিল্লী হরিদ্বার ট্রেন। রাতে শান হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে বিল দেওয়ার জন্য যখন রিশিপসনে গেলাম তখন ম্যনেজারকে কথা প্রসঙ্গে আমার সিডিউল এর কথা বললাম আর উনি এমন চেহারা করলেন যেন আমি মস্তবড় অন্যায় করেছি। বিষয় কি জিজ্ঞেস করাতে বললো আমার এই সিডিউলে নাকি আমি হরিদ্বার ট্রেন মিস্ করব। আর হরিদ্বার ট্রেন মিস করা মানে ২দিন পরের হাওড়া ট্রেন মিস্ করা। তার উপর ছিল ৫জনের ফ্যমিলি টু্র যেখানে আবার ২জন সিনিয়র সিটিজেন। বোঝেন ঠেলা। তারপর ম্যানেজার আমাকে রাতারাতি গাড়ী ঠিক করে দিয়ে আমার সমস্যার সমাধান করেছিল। যদিও সেজন্য তাকে ১০০০রুপি দিতে হয়েছিল। কিন্তু উনি এই উপকারটা না করলে আমার আগ্রা দেখা মিস হতো।সো থ্যংকস্ দ্যাট ম্যনেজার এন্ড ইউ অলসো।

কোলকাতায় এইবার সহ ৫বার গেছি কিন্তু কোন বারই ১০ঘন্টার বেশী স্টে করতে পারিনাই। তাই এই মাসেই কোলকাতা যাচ্ছি। পারলে হ্যল্পায়েন আমার ব্লগে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

সারাফাত রাজ বলেছেন: মনে হয় আপনি আর আমি একই সজল ভাইয়ের কথা বলছি।
আগ্রাতে কি কি দেখলেন? আমার অবশ্য সবচেয়ে ভালো লেগেছিল ফতেপুর সিক্রি। আপনি গেছিলেন?

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

bond007 বলেছেন: আর এইবার ট্রেন টিকেট যাতে নিজের মোবাইল থেকে করতে পারি সেই এন্তেজাম করে রাখছি। তো যদি কারো লাগে আওয়াজ দিয়েন এই ঠিকানায়[email protected]. আপনার টিকেট পৌছে যাবে আপনার ঘরে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার টিকিটও কেটে দিয়েন। কমিশন ;) কতো?

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়ছি আর পড়ছি....আপনার উপর হিংসে হচ্ছে

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: হিংসা করে লাভ নেই। হিংসা পতনের মূল। যদিও আমার পছন্দের জায়গায় অন্য কারো যাওয়া দেখলে আমি হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.