নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবির মেট্রোরেল, ঢাকার মেট্রোরেল

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

আমার মনে হয় যারা ঢাবির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেলের বিরোধিতা করছে তারা মেট্রোরেল কি এই জিনিসটাই জানে না।
মেট্রোরেলের পিলারের নিচে যদি বস্তি বসে তাহলে সেটা ঢাবিরই ব্যারথতা। কুড়িল বা বনানির ফ্লাইওভারের পিলারের নিচে কোন বস্তি নেই। এখন তো ঢাবির ভিতরে মেট্রোরেলের কোন পিলার নেই,তাহলেও ঢাবির ফুটপাত আর রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে পায়খানা-প্রসাব ছড়িয়ে থাকে কেন? আর ময়লা আবর্জনা তো ঢাবির সব জায়গায়। বরঞ্চ বনানি ফ্লাইওভারের নিচে দিনে সুবাসিত ফুলের বাগান আর রাতে ঝলমলে রঙ্গিন আলোর খেলা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

মেট্রোরেল কি জিনিস এটা বোঝার জন্য একটু কষ্ট করে দিল্লী, নাহলেও কলকাতা ঘুরে আসা উচিত। দিল্লীর মেট্রোরেল এতই আধুনিক যে দিল্লীর মেট্রোতে চড়ার সময় আমি কতগুলো আমেরিকানকে এর প্রশংসা করতে শুনেছি।
কলকাতার মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে ৩২ বছর আগে। তবে দিল্লীর মেট্রোরেলের তুলনায় সেটা কিছুই না। কিন্তু কলকাতাতে সার্কুলার রেল আছে। ১ মিনিট ২মিনিট ৩মিনিট ৪ মিনিট পরপর সেগুলো চলাচল করে। ভাড়া সমগ্র কলকাতার যেকোন স্টেশনে ৫রুপি। পুরো কলকাতাতে ১০০’র বেশি রেল ষ্টেশন আছে। সেই স্টেশনগুলোতে গাদাগাদা পাবলিক টয়লেট আছে। সেগুলো সম্পূর্ণ ফ্রী। সবাই সেই টয়লেটগুলোই ব্যাবহার করে। এজন্য কলকাতার ফুটপাতে প্রসাবের নহর বয়ে যায় না। ঢাকার রেল ষ্টেশন মাত্র ৬টা। আর ঢাকার ফুটপাতে প্রসাবের পরিমান……….। এতো গেল পুরুষদের প্রসাবের পরিমান, তারা না হয় ফুটপাতের ধারে প্রসাব করতে পারলো, কিন্তু দিনে চার-পাঁচ ঘন্টা যানজটে আটকে থাকা মহিলা যাত্রীরা কিভাবে বাথরূম চেপে রাখে সে কষ্টের কথা কেও কি জানে। কারণ ঢাকার পাবলিক টয়লেটের কি হাল সেটা আমরা সবাই জানি। যদি মেট্রোরেল হয় তবে প্রতিটি স্টেশনে নিশ্চয় নিরাপদ এবং পরিস্কার টয়লেটের ব্যাবস্থা থাকবে।

মেট্রো রেলের দরজা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্টেশনের বাইরে খোলে না। আর এটি পুরোপুরি এসি। অর্থাৎ এর জানালা খোলা যায় না। অর্থাৎ মেট্রোরেলের মধ্য থেকে কোন ময়লা বাইরে ছুড়ে ফেলা একেবারেই সম্ভব না। কিন্তু বর্তমানে ঢাকায় চলাচলকারী সব বাস আর প্রাইভেট কার থেকে সহজেই ময়লা আর থুতু ফেলা সম্ভব।

তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমিও ঢাবির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল চাই না। কারণ দুপক্ষের ছাত্ররা যখন তখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মেট্ররেলের দিকে ইট ছুড়ে মারবে, টিকিট না কেটে মাগনা উঠতে না পারার কারনে ষ্টেশন ভাঙ্গচুর করবে, নিজেদের কোন দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ফ্লাইওভারের উপর উঠে ট্রেন রাস্তা অবরোধ করবে। তার চাইতে সেটা না হওয়াই ভালো।

তবে প্রথম পর্যায়ে তো উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত মেট্রোরেল ব্যাবস্থা চালু হবার কথা,সেটির সুবিধা ভোগ করার পর আমাদের সকলের মাঝে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে আশা করি।

আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। পৃথিবীর সবচাইতে অবহেলিত বিশ্ববিদ্যালয় এটি। কোন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য কোন আবাসিক হলের ব্যাবস্থা নেই। সবাই পুরানো ঢাকায় শুয়োর গাদাগাদি করে থাকে। আর আমরা যে সকল ভাগ্যবান বাসায় থাকি, তাদেরকে ভয়ঙ্কর ভাবে সদরঘাটে আসতে হয়। পাবলিক বাসে মিরপুর থেকে সকাল সাতটায় রওনা দিলে সদরঘাট পৌছাতে সাড়ে দশটা বেজে যায়। মেট্রোরেল চালু হলে আসতে কতোটা কম সময় লাগবে তা শুধু আমরা ভুক্তভোগিরাই অনুধাবন করতে পারি। ঢাবির অনেক ছাত্রও তো উত্তরা থেকে আসে। তারাও তো খুব কম সময়ে আসতে পারবে।

তবে ভার্সিটি বাসে ভার্সিটি আসলে পাবলিক বাসের চাইতে কম সময় লাগে। এর কারণটা হচ্ছে ভার্সিটি বাস অনেক সময় রং সাইড দিয়ে চলাচল করে। এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিৎ। যদিও আমি নিজেও এর সুবিধাভোগী কিন্তু এটি পরিহার করা উচিৎ। পাবলিক বাসে অনেক বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ ব্যাক্তি ,মহিলা, বাচ্চা-কাচ্চা চলাচল করে। তারা যদি তিন-চার ঘন্টা বাসে থাকতে পারে তাহলে ভার্সিটির তারুণ্যে প্রাণোচ্ছল তরুণরা কেন আইন মেনে সঠিক রুটে চলতে পারবে না? তাদের এই নিয়ম না মানাটাই যানজট আরো বাড়ায়। আর ভিআইপিরা তো স্বর্গের দেব-দেবী। তাদের কথা সম্পূর্ণ বাদ।

ঐতিহ্য শুধু টিকিয়ে রাখা না, ঐতিহ্য তৈরী করতেও জানতে হয়। কলকাতার মেট্রো স্টেশনগুলো রবীন্দ্রনাথের কবিতা, তার আঁকা ছবি, নেতাজির ভাষণ, কালীঘাটের পটশিল্প ইত্যাদি দিয়ে সাজানো। ৩২ বছর আগে তো এগুলো ছিলো না। কিন্তু এখন তো এগুলো কলকাতার ঐতিহ্য।

স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে সবচাইতে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। আমরা চাই ভূমিকম্পে এখানকার ছাত্ররা দ্বোতলা-তিনতালা থেকে লাফ দেবে না। যেখানে গার্মেন্টসে নাইট ডিউটিতে থাকা অশিক্ষিত শ্রমিকরাও হূড়োহুড়ি করে আহত হয়নি। আমরা বরঞ্চ চাই ঢাবিরা আহতদের সেবা করবে। তারা সব বিপদের মুখেও মাথা ঠান্ডা রেখে সব ভালো কাজের নেতৃত্ব দেবে। তারা বরঞ্চ ঢাকার যানজট কমানোর জন্য মেট্রোরেল, মনোরেল, পাতালরেল, সার্কুলার রেল, ট্রাম, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ইত্যাদি গনপরিবহনের জন্য আন্দোলন করবে। আমরা তাদের কাছে সবচাইতে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি।

আমি কাউকে আঘাত করে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকার কষ্ট থেকে বলতে বাধ্য হয়েছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

বিপরীত বাক বলেছেন: ঢাকা ইউনি র বেশিরভাগ পোলাপান হলো হুজুগে মাতাল টাইপ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: কি জানি! হইতেও পারে!

তাও বা বলি কিভাবে? সবাইতো মেট্রোরেলের বিরোধিতা করছেনা, কেউ কেউ তো মেট্রোরেলের পক্ষেও আন্দোলন করছে।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: সময়েই বলে দেবে মেট্রোরেল ঢাবির জন্য উপকারী না অনুপুকারি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: আসলেই। সময়ই তো সবচাইতে সেরা উত্তরদাতা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

খোচা বাবা বলেছেন: ঢাকার যানজট কমানোর জন্য মেট্রোরেল, মনোরেল, পাতালরেল, সার্কুলার রেল, ট্রাম, বাস র্যা পিড ট্রানজিট ইত্যাদি গনপরিবহনের জন্য আন্দোলন করবে। আমরা তাদের কাছে সবচাইতে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি।

একমত।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: সহমতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

সুমন কর বলেছেন: তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমিও ঢাবির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল চাই না। কারণ দুপক্ষের ছাত্ররা যখন তখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মেট্ররেলের দিকে ইট ছুড়ে মারবে, টিকিট না কেটে মাগনা উঠতে না পারার কারনে ষ্টেশন ভাঙ্গচুর করবে, নিজেদের কোন দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ফ্লাইওভারের উপর উঠে ট্রেন রাস্তা অবরোধ করবে। তার চাইতে সেটা না হওয়াই ভালো। -- ভাই আপনার এ কথাগুলোর সাথে একমত নই। বাংলাদেশের যে কোন ভালো পরিবর্তনের জন্য যখন আন্দোলন করার প্রয়োজন হয়েছে এবং হবে--তখন ঢাবি'ই আগে এসেছে এবং আসবে। সেটার স্বাধীনতার আগে এবং পরেও প্রমাণিত।

আর ওটা হলে পরিবেশ নষ্ট হবে না--তার নিশ্চয়তা কে দিচ্ছে ?? আজ পর্যন্ত সরকার (যে কোন) কতবার হকার উঠিয়েছে এবং আবার কিছুদিন তা আবার বসেনি বলতে পারবেন ?? ভাইজান, এটা বাংলাদেশ। সব সম্ভব !!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আমি আপনার একটা কথা বুঝতে পারিনি,
"আর ওটা হলে পরিবেশ নষ্ট হবে না--তার নিশ্চয়তা কে দিচ্ছে ?? আজ পর্যন্ত সরকার (যে কোন) কতবার হকার উঠিয়েছে এবং আবার কিছুদিন তা আবার বসেনি বলতে পারবেন ?? ভাইজান, এটা বাংলাদেশ। সব সম্ভব !!"
মেট্রোরেল যাবে মাটির ৩০-৪০ ফুট উপর দিয়ে, যেখানে শুধু রেল ট্রাক থাকবে, ট্রেন ছাড়া কোন যানবাহন যাবে না এবং ওখানে কোন মানুষ দাঁড়াবার কোন প্রশ্নই আসবে না। সেখানে কোন হকার বসবে কিভাবে? ব্যাপারটা এমন যে পদ্মা নদীর উপর হার্ডিঞ্জ রেল ব্রীজের উপর হকার বসেছে, যেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
আর ফ্লাইওভারের নীচে কোন হকার বসতে দেয়া বা না দেয়া এটা সম্পূর্ণ ঢাবির প্রশাসনের উপর নির্ভর করবে। তার যদি চাই নির্দিষ্ট তোলা (চাঁদার) বিনিময়ে হকার বসাবে তাহলে অন্য কেই বা কি করতে পারে। টিএসসিতে বেশ কতগুলি হকার বসে, চারুকলার সামনে বসে, দোয়েল চত্ত্বরে আছে। সবচাইতে মজার ব্যাপার এইসব হকার থেকে কেনার জন্য ঢাবির বাইরে থেকে কেউ আসে না। বরঞ্চ ঢাবির ছাত্ররাই এর প্রধান ক্রেতা।
আবার ঢাবি প্রশাসন যদি চাই তাহলে ফ্লাইওভারের নিচে পিলারগুলোতে বনানি ফ্লাইওভারের মতো সুন্দর বাগান করতে পারে, যেগুলো রাতে রঙ্গিন আলোতে সাজানো হয়। আমার মনে হয় এতে ঢাবির সৌন্দর্য আরো বাড়বে।

আপনার এই কথার সাথে পুরোপুরি একমত,''বাংলাদেশের যে কোন ভালো পরিবর্তনের জন্য যখন আন্দোলন করার প্রয়োজন হয়েছে এবং হবে--তখন ঢাবি'ই আগে এসেছে এবং আসবে। সেটার স্বাধীনতার আগে এবং পরেও প্রমাণিত।'' নাহলে মেট্রো রেল করার জন্যওতো ঢাবির অনেকে আন্দোলন করছে।

যাই হোক ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: ঢাবি নিয়ে আপত্তির পক্ষের যুক্তিগুলো হাস্যকর। এরচেয়ে বিমানবাহিনীর দাবী অনেক যৌক্তিক, যৌক্তিক না হলে আমলারাও মেনে নিতনা। হাসিনা ঠিকই বলছেন, যার জন্য করি চুরি সেই বলে চর। এই কাজও সেনাবাহিনী দিয়ে করালে ভালো, মগবাজার ফ্লাইওভারও করানো দরকার ছিলো, তাহলে সময়ের আগে কাজ শেষ হতো। তবে একমাত্র যে প্রতিষ্ঠানটার ভেতরে কিছুটা হলেও শৃংখলা এবং সততা আছে, বাইরের এসব কাজে বেশি লাগালেও তা নষ্ট হতে পারে। অসত সঙ্গে সর্বনাশ সত্যি হয়...

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় যে, বিমানবাহিনী মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন করে তাদের ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ করেছে। সেটিও পুরোপুরি যৌক্তিক নয়। কিন্তু এজন্য ঢাবিও যে মেট্রোরেলর রূট বদলাবে এটা কাম্য নয়। কারণ বিমানবাহিনীর চাইতে ঢাবির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের কোন মানে হয় না। বিমানবাহিনীর অনেক গাড়ি আছে, তারা স্বয়ংসম্পূরন, তদের বাইরে বের হবার দরকার হয় না। কিন্তু ঢাবির অনেক ছাত্র উত্তরাতে টিউশনির জন্য যায়। মেট্রোরেল হলে তাদের কতো সুবিধা হতে পারে!

তবে একথা সম্পূর্ণ সত্যি যে, সেনাবাহিনীর কাজ অনেক মানসম্মত। এবং তারা পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেও জানে। প্রত্যেকটা ক্যান্টনমেন্ট ঝকঝকে তকতকে। তাদের তৈরী মিরপুর ফ্লাইওভারের নীচটা কতো পরিচ্ছন্ন, অথচ চানখারপুল গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নীচে কি ভীষণ নোংরা!

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

গুল্টু বলেছেন: দিল্লীর মতো মেট্রো হলে ঢাকা শহরের জ্যাম অনেক কমে যাবে। নিঊ দিল্লী থেকে দিল্লী এয়ারপোর্ট যেতে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: দিল্লির মেট্রোতো অসাধারণ। এর কোন ষ্টেশন মাটির ৫০ ফিট উপরে আবার কোনটা মাটির ৯৮ ফিট নিচে। শহরের সব বড় বড় রেল স্টেশন, এয়ারপোর্ট মেট্রোর মাধ্যমে সংযুক্ত। কলকাতা থেকে ৩ দিনের ট্রেন জার্নি শেষে দিল্লী স্টেশনে পৌছে একথা ভাবতে হয় না যে, ওআল্লাহ, গন্তব্যে পৌছাবো কিভাবে! সিএনজি বা ট্যাক্সি ড্রাইভার অচেনা পেয়ে পকেট খালি করে দেবে তো! বরঞ্চ তারা আরাম করে মেট্রোতে চড়ে বসে।

তবে সবচাইতে ভালো লাগে গিরিগিটির মতো দিল্লী মেট্রোর রং বদলানোর ব্যাপারটা।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: রানওয়ে বরাবর (সম্ভবত রানওয়ে লাইন থেকে ৩০ ডিগ্রী ধরে একটা হিসেব আছে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে। দৃষ্টিসীমার এ হিসেব বরাবর একটা নির্দিস্ট দুরত্ব পর্যন্ত একটা নির্দিস্ট উচ্চতার বেশি স্থাপনা থাকতে পারে না। আর মেট্রোরেলের প্রস্তাবিত পথের একটা অংশ সে সীমায় পরে গিয়েছিলো। আবার এর ঠিক বাইরের নভোথিয়েটার এর মধ্যে পরেনি, কিংবা কিছু সুউচ্চ ভবন পড়েনি, কারন ওগুলো পাশে ছিলো, রানওয়ে বরাবর সরাসরি ছিল না।

অনেকের যুক্তি হচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট কেন ঢাকার ভেতরে থাকবে। মিলিটারী স্ট্রাটেজী অনুসারে সাধারনত ক্যান্টনমেন্ট প্রতিটা শহরের উপকন্ঠে থাকে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টও তাই ছিলো। কিন্তু ঢাকার দ্রুত এবং অপরিকল্পতি বিস্তারের কারনে ক্যান্টমেন্টই হয়ে গেছে ঢাকার কেন্দ্র, এমনকি শাহজালাল বিমান বন্দরও ঢাকার ভেতরেই ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেই এগুলো ঢাকার উপকন্ঠ হিসেবেই বিবেচিত হতো। এখন কেউ যদি বলে ক্যান্টনমেন্ট সরিয়ে অন্য জায়গায় নিতে হবে, সেটা বিশাল সম্পদ আর সময়ের ব্যাপার। হাজার হাজার বিল্ডিং আর স্থাপনা আছে। জায়গা অনেক যেটা আর অন্য কোথাও অধিগ্রহন করে নেয়া সম্ভব নয়। আর ক্যান্টনমেন্ট এবং ঢাকা ভার্সিটি কিংবা বটানিক্যাল গার্ডেন ঢাকার হার্টের মত, এ খোলা জায়গাগুলো না থাকলে ঢাকায় নিঃশ্বাস নেয়া যেতোনা।

সবচেয়ে ঝুকিপুর্ন হচ্ছে বিমানবন্দর, ঘনবসতির এতো কাছে কিংবা মাঝে এমন বিমানবন্দর সত্যি ঝুকিপুর্ন। এবং একমাত্র আমাদের দেশেই স্থানের অভাবে সামরিক এবং বেসাম্রিক বিমান একই রানওয়ে ব্যবহার করে। এই বিমানবন্দর স্থানান্তর সম্ভব না। নতুন যে বিমানবদরই করতে যান, জায়গা নেই আশেপাশে কোথাও। করতে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে ভয়াবহ আন্দোলুন হবে। এবং ঢাকার কাছে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রয়োজন হলেও একেবারেই অসম্ভব, কোন সরকারই স্থানীয় জনগনকে সরিয়ে আন্দোলনের মুখোমুখি হতে চাইবে না। এই বাস্তবতাগুলো মেনে নিতে হবে। আর সত্য হলো এটাই যে এজন্য ভোগান্তিও হবে ভবিষ্য্যত প্রজন্মের।

বিমানবাহিনী তার অবস্থান ধরে রেখেছে এবং বেসামরিক সরকারকে মানতে বাধ্য করেছে তাদের যুক্তি দিয়ে যা বেসাম্রিক আমলারা খন্ডাতে পারেনি। দেশের প্রতিটাসেক্টর তাদের দ্বায়িত্ব সম্পর্কে এমন সচেতন হলে দেশ অনেকটাই এগিয়ে যেতো,আফসোস, তারা কেউ এমন নয়...

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনি কষ্ট করে এতো বড় একটা মন্তব্য লেখেছেন। আপনার লেখার মাধ্যমে সকলে জানতে পারবে বিমানবাহিনীর আপত্তির ব্যাপারটা। আর একটা ব্যাপার, পরিকল্পনায় বিমানবাহিনীর সামনে কোন স্টপেজ ছিলো না, শধুমাত্র রূট পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু ঢাবির মধ্যে ২টি স্টপেজ আছে। যেটার পরিবর্তনে মেট্রোর সুবিধা অবনমন হবে।

আমি আপনার সাথে একমত যে, ক্যান্টনমেন্ট তার নিজের জায়গাতে দাড়িয়ে আছে কিন্তু ঢাকা শহর সেদিকে হামলে পড়ছে। একটা দুর্লভ স্টীল পিকচারে দেখেছিলাম, সত্তরের দশকে ঢাকার মানুষ শীতকালে বাস রিজার্ভ করে বর্তমান বিমানবন্দর এলাকায় পিকনিক করতে যাচ্ছে। আর আজ সেখানে কি অবস্থা!

আর এটা তো পুরোপুরি সত্য যে, ক্যান্টনমেন্ট, ঢাবি, রমনা এরকম কিছু সবুজ জায়গা আছে বলেই এখনও ঢাকার মানুষ নিঃশ্বাসে অক্সিজেন পাচ্ছে। নাহলে সবজায়গাতেই তো বড় বড় দালান। গাছপালা কই? বারান্দায় টবে ফুলের গাছ লাগানোর জন্য একটু মাটি কোথাও পাওয়া যায় না।

যাই হোক, প্রার্থনা করি যেন ভালো কাজের ব্যাপারে আমাদের সবার সুমতি হোক। আপনি ভালো থাকবেন সবসময়। আবারো ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

রাজীব বলেছেন: যে জীবনে মেট্রো রেল দেখে নাই সে কি করে বুঝবে মেট্রোরেল কি জিনিস!!
প্রতিদিন ৬ ঘন্টা সময় রাস্তায় ব্যায় করি। মানে ৪০ বছর কাজ করলে ১০ বছর সময় রাস্তায় খরচ হয়ে যাবে! ভাবা যায়?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: রাজীব ভাই, যেখানে ঢাকার জ্যামে এম্বুলেন্স আটকে রুগী মারা যাওয়া অথবা হাসপাতালে পৌছানোর আগেই জ্যামের মধ্যে বাচ্চা প্রসব করা অহরহ হচ্ছে সেখানে জীবনের এক-চতুর্থাংশ রাস্তায় কাটানো কোন ঘটনাই না।

স্কুলে আমাদের বিজ্ঞান পড়াতেন মেঘমালা অধিকারী ম্যাডাম। তিনি প্রায়ই আমাদেরকে একটা গল্প বলতেন। এক লোক এক জন্মান্ধকে সাদা রং চেনাচ্ছে ।
অন্ধ ব্যাক্তিঃ সাদা দেখতে ক্যামন?
ভালো ব্যাক্তিঃ দুধের রঙের মতো।
অন্ধ ব্যাক্তিঃ দুধের রং ক্যামন?
ভালো ব্যাক্তিঃ বকের রঙের মতো।
অন্ধ ব্যাক্তিঃ বকের রং ক্যামন?
ভালো ব্যাক্তিঃ বেলী ফুলের মতো।
অন্ধ ব্যাক্তিঃ বেলী ফুলের রং ক্যামন?


রাজীব ভাই, আপনি শত চেষ্টা করেও একজন জন্মান্ধ ব্যাক্তিকে সাদা রং চেনাতে পারবেন না। যদি বিজ্ঞানীরা কখনো জন্মান্ধ ব্যাক্তির দৃষ্টি দান করতে পারেন, তাহলে সেটা সম্ভব। কিন্তু যে চোখ বন্ধ করে আছে তাকে সাদা রং চেনাবেন কিভাবে? সেতো সাদা রং চিনতেই চাচ্ছে না।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

রঞ্জন সরকার জন বলেছেন: এই অতি সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। শুধু বলব আমাদের নিজেদের মন-মানষিকতা পরিবর্তন করতে হবে সুন্দর ঢাকা পেতে চাইলে। যেমন: রাস্তা-ঘাটে মূত্রবিসর্জন করাটা লাঠির বাড়ি দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। নিজেদের বদলাতে হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: কিন্তু ভাই, আপনি যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছেন সেটিতো আরো সংবেদনশীল। বংশদন্ডের B-)) চাইতে সবেদনশীল কিছু দুনিয়াতে নেই। হা :P হা ;) হা :-P

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

রাফা বলেছেন: এই ব্যাপারটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তির কারনে আমি পুরাই হতবাক।এখন মনে হোচ্ছে আসলেই আমরা কোন কিছু না বুঝে না শুনে হুজুগেই মেতে উঠা জাতি।মেট্রোরেল হলে কুফল'তো হবেইনা হাজারো সুফল লাভ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই।

পৃথিবীর বড় বড় শহরে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য পাগল থাকে সাধারণ মানুষ।আর আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখি।উন্নত বিশ্বে এই যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারনে এলাকার মূল্য বৃদ্ধি পায়।কারন এটাই সংযোগ রক্ষা করে চারিদিকে।

ধন্যবাদ,আপনার পোষ্টের জন্য।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমাদের ঢাকা শহরে যেকোন প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ঢাবির সবচেয়ে বেশি পরিবহন সুবিধা আছে। যদিও তারা মনে করে যে সেটা অপ্রতুল। কিন্তু সাধারণ মানুষের গণপরিবহন খুবই নগন্য। একটি পাবলিক বাসে যখন সাধারণ মানুষ ভয়ঙ্কর গাদাগাদি ভাবে জ্যামে আটকে থাকে তখন অন্য পাশ দিয়ে গর্বিত রাজহংসীর মতো ঢাবির লাল দ্বোতলা বাস ছুটে চলে। এই দ্বোতলা বাসের জানালা থেকে ছাত্ররা হয়তোবা সাধারণ মানুষের গাদাগাদি ভাবে জ্যামে আটকে থাকার দৃশ্য উপভোগ করে। এজন্যই হয়তো তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চায় না। কারণ তাহলে তো তারা আর সাধারণ মানুষ সমান হয়ে যাবে।

কিন্তু তারা একটা জিনিস বোঝে না, অনার্স-মাস্টার্স শেষে তারাও তো সাধারণ মানুষ হয়ে যাবে।
আমি শুধু তাদের কথাই বলছি যারা মেট্রোরেলের বিরোধিতা করছে।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

রাঘব বোয়াল বলেছেন: অত্যন্ত যুক্তি নির্ভর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: 'WE WANT METRO RAIL TO PROTECT TRAFFIC JAM ।






এরা কি ঢাবির আই কমে পড়ে? ;) এরা মেট্রো রেলের ভালো মন্দ কিভাবে বুঝবে?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশে যখন মেট্রোরেল হবে তখন এখন যারা মেট্রোরেলের বিরোধিতা করছে তাদেরকে মেট্রোরেল ব্যাবহার করতে দেয়া উচিৎ হবে না। এটাই হবে তাদের উচিৎ শাস্তি।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

ভুলুয়া বলেছেন: আপনার কথা গুলোর সাথে একমত। কিন্তুু আমার চিন্তাটা অন্য যায়গায়।সরকার শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়নের চিন্তায় ব্যাস্ত কেন? অপরিকল্পিত উন্নয়নে ঢাকা তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। সরকারের উচিত বিভাগ পর্যায়ে উন্নয়ন করা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় বিভাগ পর্যায়ে উন্নয়নের সাথে সাথে ঢাকার সঙ্গে দেশের সব এলাকায় দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা উচিৎ। বিশেষ করে ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজিপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী এরকম আশেপাশের এলাকার সাথে মেট্রোরেল চালু করা উচিৎ। যেন এসব এলাকার লোক সারাদিনে কয়েকবার ঢাকায় যাওয়া- আসা করতে পারে। দিল্লীর সাথে তার আশেপাশের জেলাগুলোর মেট্রোরেল সংযোগ আছে। সর্বচ্চ মাত্র ৩০ রুপিতে আধাঘন্টা সময়ের মধ্যে আশেপাশের এইসব জেলা থেকে দিল্লীর যেকোন অংশে যাওয়া যায়। তারপরও দিল্লীতে আরো নতুন নতুন মেট্রো রুট তৈরী হচ্ছে। আর আমাদের পাশের শহর কলকাতায় গঙ্গা নদীর নীচ দিয়ে কলকাতার সাথে হাওড়া জেলার মেট্রো রেল তৈরী হচ্ছে। সেখানে আমরা ঢাকার একটা অংশে মেট্রো রেল তৈরী করতে পারছি না, হায় আফসোস!

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: টেলিভিশন আবিস্কারের সময় এর বিরোধীতা হয়েছিলো। এমনকি আমরা ছোট থাকতেও অনেক ধার্মিক লোকদেরও টেলিভিশনের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখেছি, এখন তারা টেলিভিশনেই জাকির নায়েকের লেকচার শোনেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একটি অত্যাধুনিক বাহনের বিরুদ্ধে অদ্ভুত মধ্যযুগীয় কিছু যুক্তি দেখিয়ে আন্দোলনে নামতে পারে এটা কেন জানি নিজেরও বিশ্বাস হচ্ছে না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, কি আর বলবো! কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া ভুমিকম্পে ঢাবির কিছু কিছু হলের কিছু কিছু ছেলে দ্বোতলা থেকে লাফ দিয়েছে। এটাতো মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ। যেখানে গার্মেন্টস কারখানায় নাইট শিফটে কর্মরত অশিক্ষিত শ্রমিকেরা হুড়োহুড়ি করেনি।

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভুমিকম্পে ঢাবির কিছু কিছু হলের কিছু কিছু ছেলে দ্বোতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছে।
এটাকে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ বলাটা অতি সরলিকরন হয়ে যায়।
যারা লাফ দিয়েছিল, সবাই একতালা থেকেই লাফ দিয়েছে। একজন সুঠাম দেহের তরুনের এই নিচু বারান্দার একতালা থেকে লাফ দিয়ে নামা তেমন কোন ব্যাপার না। পুলিশের ধাওয়ায় ৩ তালা থেকেও লাফ দিতে দেখা গেছে।
মুল ব্যাপার ছিল শিড়িতে জাম দেখে অনেক ছাত্র হিরোইজম দেখাতে ধমা ধম লাফয়ে নিরাপদে নেমে হেটে যাচ্ছে দেখে আনফিট অনেকেই লাফ দিতে যেয়ে ব্যাথা পেয়েছে, অনেকে অন্ধকারে লাফ দিয়ে অন্যের গায়ে পড়ে আহত হয়েছে।

আর সব ব্যাপারে আপনার সাথে একমত।
মেট্ররেল রুট লাইন একটেন্ড করার সুযোগ নকশায় রাখা হয়েছে কি না জানিনা। মেট্র চালু হওয়ার পরপরই রুট ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকার দিকে বর্ধিত করার তাগিদ দেখা দিবেই।

আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্যের ছায়া এই পোষ্টে দেখা ভাল লাগলো।

২০১১ তেও আমি এ বিষয়ে লিখেছিলাম,

মেট্ররেল, বিমানবাহিনীর বাধা
মেট্রোরেল, ঢাবির কি সমস্যা, বুঝি না ....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য থেকে সবাই ভূমিকম্পের সময় ঢাবির কিছু কিছু হলের কিছু কিছু ছেলে দ্বোতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হবার কারণটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পারবে।

'হিরোইজম' শব্দটার মধ্যেই আপনি অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন।

আর আপনার মেট্রোরেল সম্পর্কে লেখা আমি আগেই পড়েছি।

সরকারের যা কিছু ভালো উদ্যোগ শুধু নতুন ঢাকার জন্যই যার মধ্যে ধানমন্ডিও অন্তর্ভুক্ত, সেখানেও হয়তো মেট্রোরেল হবে কোন একসময়। আশা করি পুরানো ঢাকার সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের মাঝে সত্যিকারভাবে ভালোবাসার উদ্ভব হবে কোন একদিন।

১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সারাফাত রাজ,



আপনার লেখায় অপ্রিয় অনেক সত্য উঠে এসেছে ।
আসলে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্ব্বোচ্চাধিকার দিয়েই আমাদের আগানো উচিত যদি পুরো দেশটিকে এগিয়ে নিতে হয়।
ঢাকার মতো এই ছোট্ট একটু জায়গাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারনে যতোদূর সম্ভব কম্প্রোমাইজ করার মানসিকতা তৈরী না হলে আর কদিন পরে পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলো ঠায় জ্যামে পড়ে অচল হয়ে যাবে ।তখন হাটা ছাড়া উপায় থাকবেনা কারো । মনে রাখতে হবে , হেটে হেটে মিরপুর থেকে মতিঝিল , উত্তরা থেকে নীলক্ষেত যাওয়ার দৃশ্য দেখার সময় কিন্তু খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে ।
সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক , এমন কামনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই ।


২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ঢাকার ফুটপাতে যে হাঁটবেন, হাঁটার মতো অবস্থা ঢাকায় আছে? হয় দখল নাহলে প্রসাব। মেট্রোরেল যদি হয় তখন সেটা বানানোর সময় পুরো রাস্তার কি অবস্থা হবে এটা ভাবলেই আতঙ্ক লাগে। সরকারে এ দিকটাতেও নজর রাখা উচিৎ। যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার তৈরী হবার সময় আমরা জুরাইনে থাকতাম। অবস্থা এতো চরমে ওঠে যে আমরা কোন কারণে নীলক্ষেত বা নিউমার্কেট গেলে সেখান থেকে হেটে আসতে হতো।

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩১

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সব রাজনীতি নেতাদের রাজধানির প্রতি উন্নায়নে আগ্রহ বেশি

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

সারাফাত রাজ বলেছেন: ঢাকায় তো কমপক্ষে ২০ টি সংসদীয় আসন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন তো আছেই। তাছাড়াও সব মন্ত্রীরা তো আছেই। কিন্তু খুব বেশি উচ্চমার্গ উন্নয়ন তো চোখে পড়ে না। আর প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি সাজানো গোছানো নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে থাকে, সেটা তাদের উন্নয়নের পৃথিবী।

আপনার দেশের কি অবস্থা? আপনাদের নূতন দিল্লীতো খুবই উন্নত। আপনাদের অন্যান্য যে কয়টা রাজধানী দেখেছি সেগুলোও বেশ উন্নত। কিন্তু আপনাদের দেশের অন্যান্য জায়গার অবস্থা আমার কাছে খুব বেশি উন্নত মনে হয়নি। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে সকালবেলা রেলরাস্তার ধার ঘেঁসে খুবই খোলামেলাভাবে সবার টয়লেট করার ব্যাপারটি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক অনেক অনেক এগিয়ে। আমাদের দেশের লোকেরা অনেক আগেই এ অভ্যাস ত্যাগ করতে পেরেছে। তবে আপনাদের যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই ভালো। বিশেষ করে ট্রেন। সবজায়গার সাথেই রাজধানীর যোগাযোগ ভালো। আপনাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে গুলোও মুদ্ধ করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে আপনাদের দেশে গনপরিবহনের ভাড়া সংক্রান্ত নৈরাজ্য নেই। তবে আপনাদের পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ থেকে তো বটেই আপনাদের অন্যান্য অনেক রাজ্য থেকেও অনেক পেছানো মনে হয়েছে। কলকাতাকে ঐতিহাসিক শহর মনে হয়েছে , যে শহর নিজের ঐতিহ্য অটুট রাখতে পেরেছে, কিন্তু ঢাকা অনেক প্রাণবন্ত, ঝাঁ চকচকে আর আলো ঝলমলে শহর। এই কথাগুলোর আবার দালিলিক প্রমাণ চেয়ে বসবেন না, কয়েকদিনের ভ্রমণে দেখে যা মনে হয়েছে তাই বললাম। প্রবাদ আছে না, অতিথি একঘন্টায় যা দেখে গৃহকর্তা একবছরেও তা দেখে না।



অন্যপ্রসঙ্গঃ
আপনাদের বাংলা ব্লগ আমার কাছে সমৃদ্ধ মনে হয়নি। এগুলোতে ''কথা আর ছবির মধ্যে মুগদ্ধতার অপূর্ব সমাহার'' এই ব্যাপারটা নেই। এটা হতে পারে আপনাদের ভালো ব্লগ আমার চোখে পড়েনি। তবে বাংলাদেশের ব্লগগুলো অনেক আকর্ষণীয়, প্রাঞ্জল আর জনপ্রিয়।
আপনাদের কলকাতাতে বাংলার প্রচলন খুবই কম। অনেকেই বাংলা বোঝেনা। তবে আমি সবচেয়ে আহত হয়েছিলাম কলকাতায় জোড়াসাঁকোতে নেমে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি খোজার সময়। প্রথম ৬জন ব্যাক্তি আমাকে রবীন্দ্রনাথের বাড়ির খোজ জানাতে পারেননি। তাদের কথা শুনে মনে হয়েছিল জীবনে তারা রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি। অবশেষে ৭ম ব্যাক্তি আমাকে ঠাকুর বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছিল। আমার জীবনে সবচেয়ে বিস্মিততম দিন ছিলো এটি। আমাদের দেশে এটা আমরা কল্পনাই করতে পারিনা। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের যে তিনটি জমিদারি এলাকা আছে, এছাড়া খুলনায় তার যে শ্বশুরবাড়ি সব জায়গাতেই ঐ এলাকার কোন ভিক্ষুককে জিজ্ঞাসা করলেও সে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি দেখিয়ে দেবে।

যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম, কিছু মনে করবেন না। ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: এরকম হবার কথা তো না ৷ কেননা আমারও এখন যাওয়া হয় নি ৷ আসলে ভারত বহু ভাষাভাষির বাস ৷ তাই অসুবিধাটা আমাদেরও হয় ৷ তবে আমরা ভারতীয় এটাই আমাদের বড় পরিচয় ৷ তুমি শুনলে অবাগ হবে অনেকেই আছেন চারটা পাঁচটারও অধিকভাষা জানে ৷

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকে কিছু কথা বলি? দয়া করে এগুলো ব্যাক্তিগত ভাবে নেবেন না। বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আলাদা যে আলাদা বৈশিষ্ট্য সেটা বোঝানোর জন্য বলছি। কলকাতার বাঙালিরা খুব সহজেই অন্যকে তুমি করে বলে। বাংলাদেশে এটা আমরা করি না। ভারতে গিয়ে আমাকে অনেকবার এই তুমি সম্বোধনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমি বিরক্ত হয়ে যে আমাকে তুমি করে ডেকেছে আমিও তার সাথে তুমি করে কথা বলেছি।


আসলে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি কলকাতার যে অঞ্চলে সেখানে বাঙালির বসবাস কম, এজন্যই তারা রবীন্দ্রনাথের বাড়ি চেনেনা। তাই বলে একটি দেশের মানুষ তার একই এলাকায় জাতীয় কবির বাড়ি চিনবেনা? সবচেয়ে মজার ব্যাপার জানেন, আমি হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ আর কাশ্মীরে গিয়ে ভারতের জাতীয় কবির নাম জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা কেউই সেটা বলতে পারেনি।

অধিক ভাষা জানার ব্যাপারে ভারতীয়রা অবশ্যই গর্ব করতে পারে। আমি অনেককেই অনেকগুলো ভাষায় অনর্গল সতস্ফূর্ত ভাবে কথা বলতে দেখেছি।

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গে ব্লগ আছে নাকি? আমার কিন্তু জানা নাই ৷ তোমার জানা থাকলে লিংটা দিবে ৷

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপাতত একটাই মনে পড়ছে , ভ্রমণ ব্লগ ছিলো এটি। অবসর। পরে আরো দেখলে আপনাকে জানিয়ে দেব।

২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: লিংক দাও

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: তোমাকে কেন লিংক দিব? তোমাকে লিংক দিলে তো তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে।

তবে দিতে পারি এক শর্তে। তুমি আগে কথা দাও যে তুমি আমাদের ছেড়ে যাবে না। এমন কথা দিলেই তোমাকে লিংক দিব।

এটা দেখো

আচ্ছা, তোমাদের মন্তব্যগুলো চিরকুটের মতো এতো ছোট হয় কেন?

২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: এটা কি গ্রুপ ব্লগ ।এখানে কি নিজস্ব আইডি খোলা যায়? তোমার কি আইডি আছে এখানে???

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: এ ব্যাপারে তোমার আগ্রহ থাকলে তুমিই খোজ-খবর করো।

বাংলাদেশের এতো ভালো ভালো ব্লগিং সাইট থাকতে তোমাদের জোড়াতালি দেয়া অসম্পূর্ণ ব্লগে আমি আইডি খুলতে যাবো কেন?

২২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮

রাজীব বলেছেন: আমার মনে হয় ভারত থেকে আপনি শব্দটি উঠি যাচ্ছে। আমি ভারতে যেয়ে হিন্দিতে আপ বলেতে শুনি নি। আমার মনে হয় তারা ইংরেজীর মত শুধু মাত্র ইউ মানে তুমি/তুম শব্দে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনি বা আপ শুধু টিভি বা সিনেমায় রয়ে গেছে।

তবে হ্যা, তারা কিন্তু অবহেলা করে তুমি বলে না, আসলে আপনি শব্দটি সেখানে ব্যাকডেটেট হয়ে গেছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

সারাফাত রাজ বলেছেন: কি আর বলবো ভাই! একটা প্রবাদ আছে না, '' রোম শহরে গিয়ে রোমানদের মতো আচরণ করতে হবে"।

আমি তো ইন্ডিয়াতে গিয়ে ওদের সাথে তুমি করে কথা বলেছি, কারণ ওরা আমার সাথে তুমি করে কথা বলেছিলো। তবে এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গে, অন্য রাজ্যগুলোতে হিন্দি ভাষীরা কিছুক্ষণ আলাপ করার পর যথেষ্ট পরিচয় হবার পর তুমি করে কথা বলেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কথাই শুরু করে তুমি দিয়ে।

যাই হোক, আমি এই পোস্টে "তুমি" নিয়ে অবহেলা বা ব্যাকডেটেট বিষয়ের অবতারনা করতে চাইনি। যাস্ট ফান করতে চেয়েছিলাম। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.