নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম খরচে আবার ভারত, বিশেষ পর্ব-১ ( আমার কিছু কথা ছিলো )

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫


আগের পর্ব
পরের পর্ব
অন্য পর্বগুলি

ব্লগে আমার লেখা “কম খরচে আবার ভারত” পড়ে অনেকেই আমার সাথে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে অল্পবয়সী ছাত্রদের সংখ্যাই বেশি । তারা আমার রুটটা ফলো করে ট্যুর দিতে খুবই আগ্রহী।

আমি সবাইকেই বলেছি যে, আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার এবং সাথে একজন পরিব্রাজক। আমি কোন জায়গায় গেলে খুবই হাঁটাহাঁটি করি। অন্যদের মতো গাড়ি রিজার্ভ করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সাধারণত ঘুরি না। পায়ে হেঁটে না কুলালে আমি লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যাবহার করি। এতে খরচ যেমন কমে তেমনি স্থানীয়দের জীবন যাত্রা সম্পর্কেও মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়।

আর আমার ভ্রমণ ধরনও একটু অন্যরকম। সবাই সাধারণত যেখানে বেড়াতে যায় আমি সেখানে যাবোই ব্যাপারটা সেরকম না। আমার যেটা ভালো লাগে আমি সেটাই দেখি। সেই জায়গাটা অন্য কারো পছন্দ নাও হতে পারে। আমি কলকাতার পার্কস্ট্রীটের খ্রীষ্টান কবরস্থান দেখেছি। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার সেই বিখ্যাত গোরস্থান। আমার কাছে জায়গাটা অসাধারণ লেগেছে। অদ্ভুত একটা জায়গা। কিন্তু কলকাতায় বেড়াতে গেলে সবাই অবশ্যই যে জায়গাটায় যায় পার্কস্ট্রীটের কাছে সেই বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যাবার সৌভাগ্য আমার এখনো হয়ে ওঠেনি। হা হা

আমি কলকাতার নীমতলা শ্মশান ঘাটে বসে বসে মড়া পোড়ানো দেখেছি। কাঠে পোড়ানো আর মেশিনে পোড়ানো দুটোই। কিছু কিছু লাশের অর্ধদগ্ধ অংশ গঙ্গায় ফেলে দেয়া হচ্ছে আর বিরাট বড় বড় পাখি, বোধহয় চীল বা শকুন সেগুলো টেনে হিঁচড়ে খাচ্ছে। পাশেই আবার কতোগুলো লোক সেই পানিতে ভক্তি সহকারে গোসল করছে।
শ্মশানের একধার দিয়ে বিভিন্ন ধরণের দোকান। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পূজোর উপাচার সামগ্রীর দোকানের সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ তার সদ্য কেনা বাইক নিয়ে এসেছে পূজোর জন্য, পুরোহিত সেই বাইকে সিঁদুরের তিলক কেটে দিচ্ছে।

আর আছে হরেক রকম খাবারের দোকান। পুরি তরকারি কচুরি মিষ্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম খাবার বিক্রি হচ্ছে সেখানে। লোকজন সেখান থেকে সেগুলো কিনে খাচ্ছে, হৈ-হুল্লোড় করছে। অথচ মড়া পোড়ানোর গন্ধে চারপাশ এতো ভারী হয়ে আছে! বীভৎস বীকট দুর্গন্ধ। আমার মনে হয়েছিলো এখান থেকে কোন একটা জিনিস কিনে ৫০ মাইল দূরে নিয়ে গেলেও জিনিসটা থেকে মড়া পোড়ানোর গন্ধ পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিশ্চয় এখানকার লোকের কাছে স্বাভাবিক, কারণ তারা এর মধ্যে থেকেই অভ্যস্থ।

আপনারা বোধহয় একটা তথ্য জানেন না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৎকার কিন্তু এই নীমতলা শ্মশান ঘাটেই হয়েছিলো। তার স্মরণে এখানে একটা সমাধী আছে। আমিও কিন্তু ব্যাপারটা জানতাম না, এখানে এসেই জেনেছি।


শ্মশানের পাশ দিয়েই রেল লাইন। হাজার হাজার লোক সেই রেল লাইন ধরে হেঁটে চলেছে। আবার যখন ট্রেন আসছে তখন লোকগুলো রেল রাস্তা ছেড়ে নীচে নেমে দাড়াচ্ছে। বৈদ্যুতিক চালিত এই সার্কুলার ট্রেনগুলি প্রচন্ড গতিতে ছুটে চলে। আর এই ট্রেনগুলোতে রয়েছে হাজার হাজার মানুষের উপছে ওঠা ভীড়। সার্কুলার ট্রেনের বিশাল চওড়া দরজায় ঝুলছে অসংখ্য মানুষ, এমনকি মহিলারাও।


আমি সবচাইতে অবাক হয়েছিলাম জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়ি খুঁজতে গিয়ে। পুরো হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কেউ রবীন্দ্রনাথের বাড়ি চেনে না। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, কেউ ২০ বছর ধরে শাহবাগে থাকে অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চেনে না।

প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বিভিন্ন মানুষ জনকে জিজ্ঞাসা করতে করতে একটা গলির বস্তির মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম। আমাকে অনেকক্ষণ ধরে ঘুরঘুর করতে দেখে এক মুশকো লোক এসে আমাকে ধরেছিলো। আর অবশেষে সে লোকটাই আমাকে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছিলো। এই ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে আমি এই লোকটাকেই পেয়েছিলাম যে বাংলায় কথা বলে। এই এলাকার যে লোকগুলোকে আমি রবীন্দ্রনাথের বাড়ির হদিস জিজ্ঞাসা করেছিলাম তারা বাংলা বলা তো দূরে থাকুক কেউ কেউ বাংলা বুঝতেও পারে না। এরা রবীন্দ্রনাথের বাড়ি চিনবে কিভাবে! হায় কপাল, যে লোকটা সবচাইতে বড় বাংলা সাহিত্যিক তার নিজের পাড়ার লোকেরাও বাংলা জানে না, তাকে চেনা তো দূরে থাকুক!!!

হাওড়া ষ্টেশনটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আমি যেবার প্রথম কলকাতায় গিয়েছিলাম দূর থেকে এই বিশাল লাল কাঠামোগুলোকে কোন রাজপ্রাসাদ ভেবেছিলাম। আসলেই আসাধারণ আমার কাছে। আমি একবার সারাটা দিন ধরে এই ষ্টেশনটা ঘুরে দেখেছি। কি বিশাল ভীড়। কতো লোক আর কতো ট্রেন আর কতো ব্যাস্ততা! সারাটা দিন ধরে দেখেও আমার আঁশ মেটেনি। কিন্তু অন্য সবার কাছে এটা হয়তো শুধুই স্টেশন।

পরে আমি একবার হাওড়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে সারা রাত ধরে এই ষ্টেশনটা দেখেছি। মধ্যরাতের পরে এই ষ্টেশনটা একেবারেই অন্যরকম। কোন বাইরের লোককে তখন সেখানে থাকতে দেয়া হয় না। পুরো স্টেশনটা জুড়ে তখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলে। সে এক বিশাল কর্মজজ্ঞ। এতো বড় ষ্টেশনটা সেসময় ধুয়ে মুছে সাফ করা হয়। তখন মনেই হয় না যে সারাদিন ধরে এই স্টেশন দিয়ে প্রায় ১১ লাখ লোক চলাফেরা করেছে।

রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত হাঁটাহাঁটি করে ক্লান্ত হয়ে আমি এক প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখনো আমার পকেটে প্রায় ১০ হাজার টাকা, অনেকের কাছে এটা হয়তো কোন টাকাই না কিন্তু এটা আমার মতো একজন বাজেট ট্রাভেলারের কাছে এটা অনেক বড় একটা এমাউন্ট। অথচ আমি বিদেশের এক রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে ঘুমাচ্ছি কোন রকম নিরাপত্তা ছাড়া। হোক না সে পাশের শহর কলকাতা। হা হা

কলকাতার ট্রাম আমার দেখা সবচাইতে অসাধারণ একটা বাহন। কলকাতায় গিয়েছি অথচ ট্রামে চড়িনি এরকম কখনো হয়নি। সর্পিল গতিতে ট্রামের চলা দেখে মনে হয়েছে যে এটি বুঝি খুব আস্তে চলে। আমি বেশ কয়েকবার ট্রাম চলন্ত অবস্থায় উঠতে বা নামতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে একবারও সফল হইনি। এটি আসলে বেশ দ্রুতই চলে। ছুটন্ত অবস্থায় এটাতে ওঠা বা নামা যায় না।

সবচাইতে ভালো লাগে ট্রামের ক্রসিং গুলো দেখতে। প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে ট্রামের কিছু বিহারী কর্মচারী শাবল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিহারী কর্মচারীগুলো ট্রামরাস্তার ক্রসিঙে যে ট্রামের যে রুট, শাবল দিয়ে ট্রামের লাইন সেইদিকে ঘুরিয়ে দেয়। এই বিহারী লোকগুলো কিন্তু বেশ দরিদ্র। আমি যখন এদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম তখন আমার মতো গরীব লোককে দেখেও ওরা বেশ বড়লোক ভেবেছিলো। হা হা


আমার কাছে সবচাইতে সুন্দর লেগেছে এসপ্ল্যানেড থেকে খিদিরপুর যাবার ট্রামপথটি। ময়দানের পাশ দিয়ে এই ট্রাম রাস্তাটি চলে গেছে। দুপাশ দিয়ে সবুজ ঝাকড়া গাছের সুড়ঙ্গ আর মাঝখান দিয়ে দুই সারি ট্রাম পথ চলে গেছে, ট্রাম পথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই ব্যাপারটি দেখতে এতো ভালো লাগে যে বলার মতো না। কিন্তু ট্রামের ভিতরে বসে থেকে এই ব্যাপারটি পরিপূর্ণ ভাবে হৃদয়াঙ্গম করা সম্ভব না।

তবে সবচাইতে উপভোগ্য লেগেছে বিবাদি বাগ থেকে উত্তর কলকাতা হয়ে শোভাবাজার যাবার ট্রাম রুটটি। এটা আমার এতো ভালো লেগেছিলো যে আমি একবার সারাটা দিন ধরে এই রুট ধরে কয়েকবার চলাচল করেছি। পুরানো কলকাতার সরু সরু রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলে গেছে এই ট্রাম রাস্তা। দুপাশে দুশো তিনশো বছরের পুরানো তিনতলা-চারতলা বাড়ি। দেখলে মনে হয় যেকোন সময় ভেঙে পড়বে। আর সরু সরু গলীর মধ্যে ছোট ছোট মন্দির। সেই মন্দিরগুলো থেকে ঘন্টা ধ্বনি ভেসে আসছে। দুপাশের লোকের ব্যাস্ততা আর জ্যাম। দোকানগুলোতে কাসা তামা পিতলের জিনিস বিক্রী হচ্ছে। প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে পানির চৌবাচ্চা। গঙ্গা নদী থেকে পানি এসে তাতে জমা হচ্ছে, তারপর চৌবাচ্চা উপছে উঠে সেই পানি নর্দমা দিয়ে আবার গঙ্গায় মিশে যাচ্ছে। পুরুষেরা প্রায় নগ্ন হয়ে কোনরকমে ছোট একটা জাঙ্গিয়া পড়ে সেই চৌবাচ্চার পানি দিয়ে গা ডলে ডলে গোসল করছে।
কুমোরটুলি পার হবার সময় দেখা যায় দেব-দেবীর বিভিন্ন ভঙ্গিমার কাঠামো। কোনটা তৈরীর পর রোদে শুকাচ্ছে আবার কোনটাতে কেবল মাটির প্রলেপ লাগানো হয়েছে। কী করুণ যে লাগে এই অসম্পূর্ণ মাটির প্রতিমার ভঙ্গিগুলো দেখতে। তার মধ্য দিয়ে ঘন্টা বাজিয়ে ট্রাম এগিয়ে চলেছে। উফ! ব্যাপারটা পুরাই অস্থির আমার কাছে! কোন ভালো ফটোগ্রাফার নিশ্চয় এই বিষয়গুলো খুবই রুচিসম্পন্নভাবে তার ক্যামেরায় চিরবন্দী করে রাখতে পারতো। কিন্তু আমার তো সেই ক্ষমতা নেই, তাই আমি শুধু চোখ দিয়ে সবকিছু বুভুক্ষের মতো গিলি।

আবার যেখানে সেখানে হুট করে নেমে পড়ি আমি। কলকাতার স্ট্রীট ফুডগুলো খুবই রীচ, আর খুব সস্তা। বিশেষ করে মিষ্টিগুলো। আমি একটা জিনিস দেখেছি, বড় দোকানগুলোর তুলনায় পাড়ার মোড়ের ছোট দোকানগুলোর মিষ্টি বেশি মজার হয়। শোভাবাজারে রাস্তার ধারে এক ছোট দোকানে আমি একদিন সকালবেলা গরম গরম মিষ্টি খেয়েছি। আমি প্রথমে বুঝিনি যে মিষ্টিটা গরম ছিলো। আস্ত মিষ্টি মুখে পুরে আবার সঙ্গে সঙ্গে বের করে ফেলেছি। হা হা । এর স্বাদ আমার মুখে এখনো লেগে আছে। মনে হয় শুধুমাত্র ওই দোকানের মিষ্টি খাবার জন্যই আবার কলকাতায় যেতে হবে।

আমি একা ঘুরতে ভালোবাসি। একা ঘোরা সবচাইতে ভালো। বিরক্ত করার কেউ থাকে না। যখন যা খুশি তাই করা যায়। যদিও একা ঘুরতে গেলে খরচ একটু বেশি পড়ে যায়, কিন্তু এই টাকায় অনেক স্বস্তি কেনা যায়। ইচ্ছা হলো সারাদিন হাটলাম, কেউ কিছু বলার নেই। ইচ্ছা হলো সারাদিন না খেয়ে থাকলাম, কারো কিছু বলার নেই। ইচ্ছা হলো সারাদিন হোটেল থেকে বের হলাম না, তাতেও কারো কিছু বলার নেই। একা ট্যুর দেয়া মানে পুরাই স্বাধীন একটা অবস্থা। আর একা ট্যুর দেবার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আশেপাশের সবকিছু খুব মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করা যায়। কিন্তু কোন সঙ্গী থাকলে বেশীর ভাগ মনোযোগ সঙ্গীর প্রতিই চলে যায়। তবে দলগত ট্যুরের নিশ্চয় আলাদা আকর্ষণ আছে। নাহলে এরকম কথা কেন হবে, একা ভোগ করা যায় কিন্তু উপভোগ করতে দল লাগে।

ট্যুর দেবার জন্য যে অনেক দূরেই যেতে হবে তা কেন? আমার সবচাইতে প্রিয় শহর ঢাকা। এখানেও তো দেখার জিনিসের কমতি নেই। আমি তো প্রায়ই গুলিস্তানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এতো মানুষ আর তাদের এতো রকম ব্যাস্ততা। কতো কিছু আছে দেখার। কতো রকম হকার যে আছে, তা শুধুমাত্র যারা চাঁদা তোলে তারাই জানে। পুরানো জুতো থেকে শুরু করে হিরোইন বিক্রেতা পর্যন্ত।

আর আছে বিভিন্ন ধরনের যাত্রী। স্যুটেড ব্যুটেড ঝকঝকে পুরুষ থেকে শুরু করে সদরঘাটে লঞ্চ থেকে সদ্য নেমে আসা ১০/১১ বছরের বাচ্চার হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ষাটোর্ধ বোরকা পরা মা পর্যন্ত। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় এইরকম মহিলাদের হাতে একটা করে পুরানো সেলাইকরা ছেঁড়া ময়লা কাপড়ের ব্যাগ,যা সে খুব শক্ত করে ধরে আছে আর অন্য হাতে ধরে আছে তার ছেলেকে, যে ছেলের হাতে খুব মমতায় ধরে রাখা একটা চটের ব্যাগ, যার মধ্য দিয়ে একটা জীবন্ত পাতিহাঁস উঁকি মারছে। গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে তারা ওইপথে চলাচলকারী সব লোকাল বাসের হেল্পারকেই জিজ্ঞাসা করে যে বাসটা কোথায় যাবে।

ঢাকা শহরে দেখার মতো আরেকটা মজার জিনিস হচ্ছে, যারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে প্রসাব করছে তাদের ভঙ্গিগুলো। খুবই মজাদার! একেকজনের ভঙ্গি একেকরকম। কেউ মোবাইলে কথা বলতে বলতে প্রসাব করছে, কেউ সিগারেট খেতে খেতে প্রসাব করছে, কেউ সবাইকে দেখিয়ে প্রসাব করছে, কেউ খুব সাবধানে প্রসাব করছে যেন অন্য কেউ তারটা দেখে না ফেলে, আবার কেউ উঁকিঝুঁকি অথবা আড়চোখে আরেকজনের প্রসাব করা দেখার চেস্টা করছে। হা হা


ঢাকার দ্বোতলা বাসগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আমি প্রায়ই কোন দ্বোতলা বাস দেখলে সেটাতে উঠে পড়ি।দ্বোতলার একদম সামনের সীটটাতে বসলে মনে হয় আমিই রাজা। ভারতীয় কাশ্মীরের শীতকালীন রাজধানী জম্মু থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী নয়াদিল্লীতে আসার সময় দ্বোতলা বাসে উঠেছিলাম। ওদের ওখানে দূরপাল্লার বাসেও শোবার ব্যাবস্থা। ৬০০ কিমি যাত্রাপথ কিভাবে কেটে গেল আমি একেবারেই টের পাইনি। অনেকটা স্বপ্নের মতো। রাতে এতো ঠান্ডা পড়ে আমি তো জানতাম না। বাধ্য হয়ে আমার অচেনা ঘুমন্ত সহযাত্রীর গা থেকে চাদর টেনে নিয়ে আমার গায়ে দিয়েছি। হা হা । পরে কাশ্মিরী এই তরুনের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে।

আরো অনেক কিছু লেখার আকাঙ্ক্ষা ছিলো, কিন্তু সেসব পরে অন্যএক সময় হবে।
আমি স্যামহোয়ার ইন ব্লগের প্রতি একরাশ ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ঝকঝকে লেখা আর ছবি দেখে এই ব্লগটার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। পরে দেখলাম এখনকার সবগুলো লেখার মান অন্যান্য বাংলা ব্লগগুলোর তুলনায় খুবই ভালো। সদস্য হয়ে গেলাম। আজ দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেছে। সামুর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সামুকে আমার ব্যাক্তিগত কারণে একটা বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার লেখা “কম খরচে আবার ভারত” সিরিজের একটা পর্ব প্রথম পাতা, নির্বাচিত পাতা, আলোচিত পাতা, ভ্রমণ পাতা আর ছবি পাতা এই ৫টা পাতায় একই সাথে স্থান দেবার জন্য। সামুর মতো কোন প্ল্যাটফর্ম আছে বলেই আমি আমার মনের কথাগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারছি।

সামু ব্লগের বোকা মানুষ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বোকা মানুষ নামের এই লোকটা মাস শেষে সমস্ত ভ্রমণ লেখাগুলো সংকলন করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার ট্যুরের ধরণ তাদের অনেক ভালো লাগে। শুনে প্রীত হলাম। তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু ভাই, আমার ট্যুর স্টাইল ফলো করে ঘুরতে গিয়ে যদি কারো কোনরূপ সমস্যা হয় তখন কিন্তু আমাকে দোষ দিবেন না। হা হা। আমার লেখা পড়ে আমার সাথে যারা দেখা করতে এসেছেন তারা সবাই পরে আমাকে বলেছেন যে আমার মাথায় কোন সমস্যা আছে। কি কারণে ব্যাপারটা বলেছে আমি একেবারেই বুঝতে পারিনি। যাই হোক আমি কিন্তু কিছুই মনে করি নাই। হা হা। তবে আমি সবাইকেই বলেছি ট্যুর শেষে দেশে আসার সময় অবশ্যই আমার জন্য ভালো কোন উপহার আনতে হবে। একজন তো আমাকে জানিয়েছে সিমলা থেকে আমার জন্য ভালো দেখে একটা মহিলা পুলিশ নিয়ে আসবে। হা হা হা। ভালো থাকবেন সবাই। সবশেষে আমার এই ট্যুর সিরিজটার প্রতি এতো সাড়া দেবার জন্য আপনাদের সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

আরাফআহনাফ বলেছেন: কেউ কেন মন্তব্য করছেনা কে জানে?
এ রকম একজন ব্লগার পেয়ে সামুর ধন্য হওয়া উচিৎ।
আপনার লেখার হাতের প্রশংসা না করে পারছিনা। উদাহরন: "একা ঘুরতে গেলে খরচ একটু বেশি পড়ে যায়, কিন্তু এই টাকায় অনেক স্বস্তি কেনা যায়"/ "আমার তো সেই ক্ষমতা নেই, তাই আমি শুধু চোখ দিয়ে সবকিছু বুভুক্ষের মতো গিলি।"

প্রশংসা না করে পারছিনা - আপনার "দেখার চোখ", "ভ্রমন বাতিকতা" আর "প্রাণ খোলা হাসি"।

ভালো থাকুন সবসময়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা হা।

আপনাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অসংখ্য প্রানখোলা ভালোবাসা।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২

আবদুল্লাহ সাফি বলেছেন: হা হা হা

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকেও হা হা হা :P

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

আরাফআহনাফ বলেছেন: কেউ কেন মন্তব্য করছেনা কেন কে জানে?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: আর কেউ মন্তব্য না করলেও আমার লেখা নিয়ে আপনি যে এতো উচ্ছাস প্রকাশ করছেন, এতেই আমি প্রচন্ডভাবে খুশি। :>

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার লেখা দারুন।আপনি খুব ভাগ্যবান যে অনেক জায়গা ঘুরেছে।আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ইস আপনার মত করে যদি একটু ঘুরতে পারতাম।
ভাল থাকবেন আর এভাবে ঘুরতে থাকুন আর আমাদের সবার সাথে শেয়ার করুন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: লেখা ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে বেড়ানোর ব্যাপারে সবই আল্লাহর রহমত। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন বলেই বেড়াতে পেরেছি।
আমার মতো ঘুরতে হবে কেন, আপনি আপনার নিজের মনের মতো ঘুরবেন। নিজের মনের মতো ঘুরে বেড়ানোটাই তো আনন্দ।
আপনিও ভালো থাকবেন। আশা করি আমার সব ট্যুরের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

সৌদি প্রবাসী আশরাফ বলেছেন: ভবঘুরে ভাবুক পথিক স্বপ্নরাজ (সারাফাত রাজ) ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন বর্ননা। আপনার ভ্রমন পিপাসু মনটা অনেক ধনাট্য, দেখার চোখ তীরের ন্যায় তীক্ষ্ণ। - ধন্যবাদ নিজের ভূমি ভ্রমনের স্বপ্ন পূরনের স্মৃতিকথা চমৎকার লেখনীর মাধ্যেমে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

সারাফাত রাজ বলেছেন: বাপরে বাপ :) , আপনি যে হারে আমাকে বিশেষনে বিশেষায়িত করলেন :#)


আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

ছোট মন বলেছেন: হা হা হা :P

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকেও হা হা হা :P

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আপনার মাথায় আসলেই ক্রাক আছে, হা হা :P
বর্ষ পূর্তির শুভেচ্ছা !

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: ক্রাক আবিস্কারের জন্য থ্যাংকইয়ু B:-)


শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ :>

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে একজন সত্যিকার পর্যটক। আমরা কোথাও গেলে ফিরে এসে সেই জায়গার বদনামই বেশি করে থাকি, বিশেষ করে কোলকাতা আরকি। নোংরা দূর্গন্ধময় একটা শহর। আমাদের কাছে সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় জায়গাগুলোই হলো দেখার বস্তু। কিন্তু একজন সত্যিকারের পর্যটক তা করবেনা, সে সবকিছু দেখেই আনন্দ পাবে, অভিযোগ করবে কম। রেলস্টেশনের ভীড় দেখে আমরা ভূয়া পর্যটকেরা বিরক্ত হব, প্লেনে যাওয়ার চিন্তা করবো, সত্যিকারের পর্যটক সেই ভিড় দেখাতেই আনন্দ পাবে, যেমন আপনি। সে রাস্তাতেও রাত কাটাতে প্রস্তুত থাকবে, ফাইভস্টার হোটেলেও রাত কাটাতে প্রস্তুত থাকবে, আপনি রেলস্টেশনে থেকে সেটা প্রমাণ করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: আসলে আমরা সবাই সত্যিকারের পর্যটক। ঘরের মধ্যে বসে থেকেও তো আমরা আমাদের মনকে সুদূরে ভাসিয়ে দিই। এটাই তো সত্যিকারের ভ্রমণ।
প্রত্যেকটা জায়গারই দেখবেন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে, যার জন্য অন্য যেকোন জায়গার তুলনায় সে একটু আলাদা। কষ্ট করে এই বৈশিষ্ট্যগুলোই একটু খুঁজে বের করতে হয়।
কোথাও ভ্রমনে গেলে সেই জায়গা সম্পর্কে নিজের অনেক অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু এটা ভেবে নিলেই হয় যে, আরে আমি তো এখানে বেড়াতে এসেছি , এখানকার সবকিছুই আমার উপভোগ্য। এরকম ভাবতে পারলে দেখবেন সবকিছু অনেক সহজ হয়ে যায়। যদিও সবসময় এমনটা ভাবতে পারা যায় না, তবু চেষ্টা তো করা যেতে পারে।


আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

ফারদিন ২৮৮ বলেছেন: ভালো বলেছেন। ২ দিন আগে একটা গ্রুপের সাথে গিয়েছিলাম , কি যে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে বলে বুঝানো যাবে না। আর যাবো না গ্রুপের সাথে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমি তো আপনার একটা লেখা পড়েছি একক ভ্রমণের উপকারীতা সম্পর্কে। সেই আপনিই দল বেঁধে ট্যুর দিচ্ছেন! হা হা হা =p~

তবে আপনজনের সাথে বোধহয় সবজায়গায় যাওয়া যায়। আমার নিজস্ব ছোট্ট পৃথিবীর সবচাইতে আপনজনের মধ্যে একজন প্রিয় মানুষ বলে সে নাকি আমার সাথে কোন ডাস্টবিনেও বেড়াতে যেতে পারে। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য জানেন, আমরা এতো চেষ্টা করি, অথচ জীবনে কোনজায়গায় দুজনে একসাথে বেড়াতে যেতে পারিনি। আর এটা বোধহয় কখনো সম্ভবও না। তারপরও এই স্বপ্নটুকু দুজনে প্রচন্ডভাবে দেখে চলেছি। আর এই স্বপ্ন নিয়েই এখনো পর্যন্ত বেঁচে আছি।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার, খুব ভাল লাগল। ভ্রমন বিষয়ে আপনার সাথে আমার কিছুটা মিল আছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশা করি আপনার ভ্রমন কাহিনীগুলোও পড়তে পারবো।
ভালো থাকবেন সবসময়।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

লুৎফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ।
আপনি একজন ভাল ট্রাভালার নন,একজন ভাল লেখকও বটে।
বই মেলায় আসছেন না কেন।
দোয়া রইল।
আরও পোষ্ট চাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: এতো গুলো মন্তব্যের মধ্যে আপনিই একমাত্র দোয়া করলেন। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।

সবাই বলেছে আমি নাকি ভালোভাবে ভ্রমণ কাহিনী লিখে চলেছি, শুধু আপনিই আমাকে একজন পরিপূর্ণ লেখকের মর্যাদা দিলেন। আপনি সত্যিই অন্য সবার থেকে ব্যাতিক্রম।

আপনার প্রতি অসংখ্য ভালোলাগা।
একটা মজার বিষয় জানেন, পৃথিবীতে ভালোবাসার চাইতে ভালোলাগার শক্তি বেশি।

আমি এখনো পর্যন্ত কখনোই বইমেলায় যায়নি। বললাম না, সবাই অবশ্যই যেখানে যায়, বেশিরভাগ সময় আমার সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে আমার কাছে নীলক্ষেত ভালো লাগে, সেখানে বইমেলার চাইতে কম দামে বই পাওয়া যায়তো এজন্য।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

রঞ্জন সরকার জন বলেছেন: :) খুবই ভাল লেখনি। পোস্টে প্লাস।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: লেখা ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।


শুধু পোস্টে প্লাস দিলে হবে? একদিন দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালে তো পারেন! B-))

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি মনে করি জীবনকে দেখার একটা চোখ রয়েছে আপনার। সবার এই চোখ থাকে না। একটা সময় আমি নিজেও খুব একা একা বেড়িয়েছি। একা একা ঘুরবার মজাই আলাদা। পরে আবার দল নিয়ে ঘুরেছি। দুইটার মজা দুই রকম।

আপনার ভ্রমন পোস্টগুলো আমার কাছে খুব আকর্ষনীয় ছিলো। এক নিঃশ্বাসে সবই পড়েছি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভ্রমন পোস্টগুলো আকর্ষনীয় ছিলো মানে কি! :D এখন আর আকর্ষনীয় নেই :#)
হা হা হা =p~ =p~ =p~

অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ভাই আপনি একজন সুখী মানুষ। আপনি জানেন, কিভাবে হাজারো সম্যসার মাঝেও জীবনকে উপভোগ করা যায়।আপনার মত মানুষেরাই জীবনকে ষোলআনা উপভোগ করতে পারবেন।ভাল থাকবেন ভাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪১

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনি এটা কি বলেন ভাই! :-B আমি সুখী মানুষ! B:-)
বুড়ো বয়স হয়ে গেল, একটা চাকরি এখনো পেলাম না। বাসা থেকে মনে হয় খুব শীঘ্রই বের করে দেবে। #:-S
খুবই যন্ত্রনার মধ্যে আছি রে ভাই :|

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

রাবার বলেছেন: কাজের পোস্ট, প্রিয়তে রাখলাম, সামনে মাসে প্রথমবারের মত কলকাতা যাবার কথা আছে ভাই। :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

কলকাতা থেকে ফেরত আসার সময় অবশ্যই মনে করে উপহার নিয়ে আসবেন :>

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লিখেন আপনি।
শুভকামনা ||

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: শুভকামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

বিজন রয় বলেছেন: অসাম।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাই থ্যাঙ্কু :>

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪

মারুফ তারেক বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :#)

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: সিরাম একখান বর্ণনা। আমিও যাবো খুব শীঘ্রই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: শুভকামনা রইলো :)

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৯

মাছুম আহমদ বলেছেন: একটু পরে পড়বো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা। আমি কিন্তু আপনারটা পড়ে ফেলেছি।

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩১

সুদীপ্তা মাহজাবীন বলেছেন: চমৎকার তুলে ধরেছেন লেখায় । দারুণ লাগল পড়ে !

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

আলাপচারী বলেছেন: দারুণ।

সৈয়দ মুজতবা আলীর ষ্ট্যাটাসের ভ্রমণকারী আপনি । জাত পরিভ্রাজক। অভিনন্দন।
সবচেয়ে ভালো লাগলো বিদেশে সব কিছুই দেখে আহা উহু করেন নি।
নিজের দেশের (গুলিস্তান)মজার জায়গাও দেখে মজেছেন।
বাই দা বাই, গুলিস্তান আমারও প্রিয় জায়গা। আমার ফিগার আর চাউনি দেখে পকেটমার / ধড়িবাজ / টাউট আমার কাছে ভেড়ে না। কিন্তু আমি ওদের কান্ড কলাপ দেখতেই প্রায়ই গুলিস্তান ঘুর ঘুর করতাম। দেখে মজা লাগতো। (এখন সময় পাই না।)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১১

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিদেশের সবকিছু দেখেই আহা উহু করবো কেন B:-) হা হা হা B-)
আমার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে আমি যা দেখেছি তারই নির্মোহ বর্ণনা দেবার চেষ্ট করেছি।

তবে আপনাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে। যাকে দেখে পকেটমার / ধড়িবাজ / টাউট কাছে ভেড়ে না তাকে দেখার ইচ্ছা তো থাকতেই পারে। হা হা হা :P

ভালো থাকবেন সবসময়।

২৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১২

শামীম আরেফীন বলেছেন: আপনি তো মশাই আমার মাথার পোকাটাকে একেবারে নাড়িয়ে দিলেন। এমন ভ্রমণের নেশা আমারও প্রচুর। তবে এখনও অব্দি দেশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছি। দেখা জায়গাও তিন-চারবার করে দেখা হয়ে যাচ্ছে। দেশের বাইরে কবে যে বের হবো জানি না। আপনার ভ্রমণ লেখা পড়ে ভালো লাগল। শুভ কামনা রইল, অনেক অনেক ঘুরুন আর সেসব লিখে লিখে আমাদের মাথার পোকাগুলোও এভাবে নাড়িয়ে দিন :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: পোকা নাড়িয়ে দেবার জন্য কেউ এভাবে শুভকামনা জানায় B-))

;) :P :)

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণের বর্ননা। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই।

২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

বিনিদ্র বলেছেন: ইন্ডিয়া যাবার ইচ্ছে অনেক দিনের। আপনার লেখাটা পড়ে তা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেল। এখনো আমি অনেক ছোট আর হতদরিদ্র। জানিনা এই আশা কোনদিন পূরণ হবে কিনা। আমার ভ্রমণপিপাসু মন থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভ্রমণপিপাসু মনের আন্তরিক ধন্যবাদ সাদরে গ্রহন করা হলো।

এখন ছোট আর হতদরিদ্র থাকলেও বড় হতে হতে নিশ্চয় ধনীলোক হয়ে যাবেন। :)

ভ্রমনের জন্য অনেক টাকা লাগে কে বলেছে? সবচাইতে বেশি যেটা লাগে সেটা হচ্ছে সদিচ্ছা। সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই কোন একসময় নিজের স্বপ্নের জায়গা থেকে ঘুরে আসা সম্ভব।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সবসময়।

২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

সামিয়া বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতায় আমাদের ও অভিজ্ঞতা হল, খুবই ভালো লাগলো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।

২৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

একাকী পর্যটক বলেছেন: যাক তাহলে একাকী পর্যটক শুধু আমি একাই না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: নারে ভাই। আমরা সবাই একাকী পর্যটক।

উচ্চমারগীয় কথা ( আমরা দুনিয়াতে একা এসেছি, একাই চলে যাবো )

:( :| :((

২৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

রায়হান মজিদ বলেছেন: I went in coxsbazar on 2001 from khulna alone when I was 21. my budget was around 2500.

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: বাহ B-)

২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯

রঞ্জন সরকার জন বলেছেন: খাওয়াব। একটু সময় দেন। :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: নারে ভাই, আপনার সাথে ঠাট্টা করি :P

আপনি খাওয়াতে চাইছেন, এতেই আমি খুশি :>

৩০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

কৌশিক মোদক বলেছেন: আমি কোলকাতার কাছেই থাকি, কর্মসূত্রে এই শহরে প্রায়দিনই আমার যাতায়াত , হাওড়া ষ্টেশনের ভিড় ঠেলে বাসে ঝুলে যাতায়াত ,সেই একই রাস্তা, বাস ট্রামে হাঁকডাক, আম আদমির ভিড়, তবুও প্রতিটা মুহূর্তে কোলকাতা আমার কাছে নতুন, আপনি পাশের দেশ থেকে এসে হাওড়া ষ্টেশনের লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য খুজে পেয়েছেন, কোলকাতার অলি গলির মাঝে আবেগ উচ্ছ্বাস কে তুলে ধরেছেন, এ এক অসাধারন প্রাপ্তি, আপনার লেখা যেন নকশি কাঁথা , এরকম একজনের সাথে কোলকাতা দেখার মজাই আলাদা। জানি না দেখা হবে কিনা, তবে অতিথি সেবার অপেক্ষায় রইলাম ।

০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার আতিথ্য সাদরে গ্রহণ করা হলো B-)
একই সাথে আপনাকেও অতিথির সম্মান দেবার অপেক্ষায় রইলাম :>

৩১| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

কৌশিক মোদক বলেছেন: বিবাদি বাগ স্টেশন থেকে আর একটু এগিয়ে গেলে বাবু ঘাট, সেখানে নেমে নদীর তীর বরাবর প্রদেনন দিয়ে খিদিরপুরের দিকে হাঁটতে থাকুন, কিছুক্ষণ পর বড় বড় বনস্পতির ভিড়ে নিজেকে খুঁজে পাবেন, এবার ্লাইন টপকে নদীর পারে চাতালে বসুন, সময়টা বিকেল বেলা হলে দারুন লাগবে, পশ্চিমে সূর্য অস্তাচলে, নদীর বুকে গোধূলির রং লেগেছে, ডিঙ্গি নৌকর অলস যাতায়াত, নদীর মাঝে সারিবদ্ধ গাদা বোটের ভিড়, কি সুন্দর তাদের নাম, চেনা অচেনা পতাকার ভিড়, খালাসি নাবিক দের অলস জীবন যাপন, ওপারে হাওড়া থেকে ফেরি জল কেটে এপারে আসছে, তাতে নানা রঙের যাত্রী, নদীর জলের রং কালচে হয়ে উঠছে, দ্বিতীয় হুগলী সেতুর আলো জ্বলে উঠল,অনেক উচুতে চলমান গাড়ির হেডলাইটে হলদে আলোর নকসা ফুটে উঠছে, আর আপনার মনে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি গুলো আবার জীবন্ত হয়ে উঠছে। এই রকম টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ নিয়েই আমার শহর আমার কোলকাতা

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমি এই রাস্তাগুলো ধরে হেঁটে বেড়িয়েছি। কখনো নিজের আনন্দে, আবার কখনো বাধ্য হয়ে। বাধ্য হয়েছি একারণে যে আমার মনে হয়েছে, কলকাতার বাসিন্দারা তাদের এলাকা সম্পর্কে কম জানে। কোন একটা জায়গায় যাবার কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা ঠিকমতো বলতে পারে না। এমনকি বাস বা ট্রামের কন্ট্রাকটারকে জিজ্ঞাসা করেও আমি পথের সঠিক হদিস জানতে পারিনি। আর তারা যে জানেনা সেটা অকপটে স্বীকার করে, ঢাকার লোকের মতো উল্টোপাল্টা রাস্তা দেখিয়ে দেয় না। আমি অনেক জায়গা হেঁটে হেঁটে খুঁজে বের করেছি। তবে হাঁটতে আমার কখনোই খারাপ লাগেনি। কলকাতার ফুটপাত ধরে শান্তিভাবে হাঁটা যায়।
বিদ্যাসাগর সেতুর রাতের ঝলমলে আলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তবে হুগলি নদীতে লোকজনের গোসল এবং গোসলের ভঙ্গির দৃশ্য বেশ পীড়াদায়ক।

৩২| ২০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩

ফয়সাল আহেমদ বুলবুল বলেছেন: আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারতেছি না...। ভাই আপনার মতো একজন বন্ধু পেলে আমার ভারত ভ্রমণ ভালোই হতো।কিন্তু আফসোস আপনিতো দ্বিতীয়বার আর যাবেন না.. আমি িএকা যেতে সাহস পাবো না। যা হোক কখনো আবার অল্প খরচে যাওয়ার প্ল্যান করলে আমাকে রাখবেন । আমার মেইল দিলাম ওখানে আপনার নাম্বার আমাকে দিবেন আ্শা করি। [email protected] আপনার নাম্বারটা আর পরিচয়টা আমকে মেইল দিলে আমি আপনার উপর কৃত্জ্ঞ থাকবো। মারা যাওয়ার আগে আমি ভারত ঘুরতে চাই তাও আবার কম খরচ।ে বাজেটেড পকেট কম বাজেটেই ঘুরতে চাই।

৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪১

তাওহিদ হিমু বলেছেন: সিমলার সেই মহিলা ট্রাফিক পুলিশ আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধির ছবি তোলে আনলে খুব ভাল করতেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: ট্রাফিক পুলিশের ছবি তোলার সাহস পাইনি ;)

প্রিয়াঙ্কা গান্ধির ছবি আছে, কিন্তু সেটা ইচ্ছা করেই দিইনি। B-)

৩৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪০

জে আর সিকদার বলেছেন: দি বস। গ্রেট

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, অতিরঞ্জিত মন্তব্য। B-))
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। B-)

৩৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

রাজীব বলেছেন: আমিও নিজেকে একজন বাজেট ট্রাভেলার মনে করি। বাসায় থাকলে কখনো সকালে ১০টার আগে আমাকে ঘুম থেকে জাগানো কঠিন, ইদানিং চাকরীর খাতিরে সকালে উঠতে হয়। তবে ছুটির দিনে ১০-১১ টার আগে বিছানা ত্যাগ নয়। কিন্তু কোথাও বেড়াতে গেলে কি করে যেন ভোর ৫-৬টায় ঘুম ভেংগে যায়। অচেনা জায়গায় সকালে বেড়ানো আমার ভ্রমনের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট। সকালে বেড়িয়ে সাধারনত কোন লোকাল বাসে চড়ে বসি, এটিই সকারে বেড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো মনে হয় কারন বেশীরভাগ শহরেই সকালে যানজট থাকে না। ১-২ ঘন্টা বেড়ানোর পর রাস্তার পাশের কোন স্ট্রিট ফুড বা কোন সাধারন হোটেলে নাস্তা। তারপর মন মত হাটাহাটি, কখনো দেখা যায়
দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এভাবেই কেটে যায়। তারপর হোটেলে ফিরে ১ ঘন্টা রেস্ট নিয়ে আবার বেড়ানো। ভ্রমনে বের হলো আমার দুপুরের খাবার খাও্য়া হয় না। সকালে ও সন্ধায় বা রাতে খাই। ফলে যারা আমার সাথে ভ্রমনে যায় তাদের সমস্যা হয়। জীবনে খুব কম বিষয়ই নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু দলগত ভ্রমনে গেলে কি করে যেন নেতৃত্ব আমার উপর চলে আসে। তাই যারা আমার সাথে নিয়মিত ভ্রমনে যায় তার দুপুর হলে আমার অপেক্ষা না করে চুপিচুপি সুযোগ মত কোন হোটেলে খেয়ে নেয়।
বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে গেলে আমি সবসময়ে পাবলিক পরিবহনকে গুরুত্ব দেই। কারন স্থানীয়দের সাথে মেশা বা তাদের জীবনযাত্রা জানতে এটির বিকল্প নেই।
আমার এক বন্ধু প্রায়ই বলে, পাশের দেশ ভারত, সেখানে বাসে চড়লে কোন ঝগড়া ঝাটি নেই। অথচ আমাদের দেশে ৫ মিনিটের জন্য লোকাল বাসে চড়েছেন এবং ঝগড়া দেখেননি এমনটি বিড়ল।

৩৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

রাজীব বলেছেন: দেশে ও বিদেশে ট্রেন আমার খুবই প্রিয়। যেখানে ট্রেনে যাবার সুযোগ আছে সেখানে আমি ট্রেন ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেই। ভারতের ট্রেন সার্ভিস খুবই ভালো। কলকাতা-মুম্বাই(তখন নাম বোম্বে ছিল), প্রায় ৪০ ঘন্টার পথে ট্রেনে আরামেই কাটিয়েছি, যদিও নন এসি ছিল। কলকাতা-মুম্বাই আমি একাধিকবার ট্রেনে গিয়েছি। ট্রেনে কখনো ইউরোপিয়ান, বা কখনো এশিয়ান সাদা চামরার লোকদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে সময় কেটে গেছে। ট্রেনে নন এসি ক্লাসেও কিন্তু অনকে বিদেশী থাকে। আমাদের দেশে অনকেই ভারতকে পছন্দ করেন না, ভারতের নামেও এলার্জী এমন অনেকেই আছেন। কিন্তু ভ্রমনের জন্য ভারত আমার পছন্দ কারন--

১। ভারতে অনকে প্রকারের প্রাকৃতিক সিনারি রয়েছে, পাহার, সাগর, মরু, বরফ কি নেই। সেজন্যই কথায় আছে ভারত দেখলে পৃথীবির অর্ধেক দেখা হয়ে যায়। আমি অবশ্য এখনো ভারতেরই অর্ধেক দেখতে পারিনি।

২। এটি সবচেয়ে বড় কারন। এটি হচ্ছে ভারতে খরচ খুবই কম। এমনকি দেশে বেড়ানোর চেয়েও কম খরচে ভারতে বেড়ানো যায়। রেলের ভাড়া, হোটেল ভাড়া (কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা ব্যাতীত), খাবার খরচ, গন পরিবহন খরচ সবই অনেক কম। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আদর্শ। ভারতের পরই বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আরেকটি দেশ হলো থাইল্যান্ড।

৩। নানা জাতির, সংস্কৃতির মানুষ দেখা যায়।

৩৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

রাজীব বলেছেন: ৪। ভারতীয় লোকজন ট্রাভেলারদের প্রতি খুব হেল্পফুল (কলকাতা নিউমার্কেট এলাকা ব্যতীত)। সাধারন জনগন বাংলাদেশীদের খুবই পছন্দ করে।
৫। সরকারী অফিসাররা পর্যটকদের প্রতি হেল্পফুল।
৬। কম টাকায় ভালো শপিং করা যায়। যদিও আদর্শ ট্রাভেলরারদের জন্য শপিং কোন প্রয়োজনীয় বিষয় না, তারপরও পরিবারের লোকজন আশা করে কিছু গিফট।
৭। ইতিহাস জানা, ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা দেখা। আমাদের দেশের ইতিহাস আসলে উপমহাদেশের ইতিহাস। সুলতান, মোগল শসকরা দিল্লী, আগ্রা থেকে পুরা উপমহাদেশ পরিচালনা করেছেন। সেই ঐতিহাসিক স্থাপন সমুহ দেখা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.