নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম খরচে আবার ভারত পর্ব-২১ ( আধিক্য মোর প্লেনস আর পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দ্বিতীয় সড়ক তাগলাংলা পাস - ৫)

০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৩


আগের পর্ব
পরের পর্ব
অন্য পর্বগুলো
আলী ভাই আর তার বন্ধু খাওয়া দাওয়া করার জন্য হোটেলে ঢুকলেও আমি গেলাম না। আমার ততোটা খিদে লাগেনি। আর আল্লাহর রহমতে আমার এখনো পর্যন্ত কোন সমস্যাই হয়নি। না বমি লাগা, না মাথা যন্ত্রণা,না দম বন্ধ হওয়া। কিচ্ছু না। আমি তো খুব অবাক। এমনকি আলী ভাই আর তার বন্ধু পর্যন্ত। তারা নাকি এখনো পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কোন সুস্থ পর্যটক দেখেনি। সবারই কোন না কোন সমস্যা হয়েছে। ব্যাপারটি শুনে আমি খুব চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তবে কি অসুস্থ না হয়ে পড়াটা আমার কোন সমস্যা। কিন্তু একটু চিন্তা করতেই কার্যকরণটা আমি খুঁজে পেয়েছিলাম।



আলী ভাই আর তার বন্ধুর খাওয়া শেষ হলে তারা গাড়িতে এসে উঠলেন। ঠান্ডার কারণে আমি আর তানজিং আগেই গাড়ির ভিতরে বসে ছিলাম। আলী ভাই গাড়ি ছেড়ে দিলেন। কিলং থেকে লেহ এর পথে চলার সময় বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি থামাতে হলেও আলী ভাই কখনো গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করেননি। কারণ বাইরে এতো ঠান্ডা আর অক্সিজেনের পরিমাণ এতো কম যে যে একবার স্টার্ট বন্ধ করলে পরবর্তীতে আবার গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট নাও নিতে পারে।



প্যাং এর একটা পাহাড় পরের রাস্তাটা একেবারে সোজা আর সমতল। দুপাশে উঁচু পাহাড় আর মাঝখানে সমতল রাস্তা চলে গেছে। রাস্তাটার কোথাও কোন উঁচু- নিচু নেই। এটাকেই মোর প্লেনস বলে। আলী ভাই এর পুরোপুরি সুযোগটা নিলেন। তিনি একশো কিঃমিঃর উপরের গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে দিলেন। দুপাশের সুদৃশ্য পাহারগুলো সাঁ সাঁ করে পিছিয়ে চলেছে। পুরাই অস্থির জায়গা। এই এলাকাটায় নাকি বিভিন্ন বন্য জীব-জন্তুর আবাসস্থল। তারা নাকি একসাথে হাজারে হাজারে চরে বেড়ায়। কিন্ত সেগুলো চাক্ষুস দেখার মতো অতোটা সৌভাগ্য আমার হলো না। তবে গাটালুপে তো আমি একগাদা বুনো পাহাড়ী হরিণের পাল দেখতে পেরেছিলাম।





তবে আমি আশেপাশের অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যগুলো হা করে গিলে চলেছি। এই রাস্তাটা প্রায় ৭০ কিঃমিঃ লম্বা।
জায়গাটা এতো অপূর্ব সুন্দর যে বলার মতো না। দুপাশে বালুর পাহাড়, যেগুলোর মাথায় বরফের ছটা। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মরুভূমিতে ছুটে চলার আনন্দই অন্যরকম। সারাদিনের আস্তে চলার পথ এখন আমরা উড়ে চলেছি। কারণ লেহ এখনো অনেক দূরে। আমি সেই রহস্যময় শহরের প্রতি অন্যরকম একটা আবেগ অনুভব করছি। যে শহরের পৌছানোর রাস্তা এতো অদ্ভুত রকমের, সেই শহরটা না জানি কতো সুন্দর।





অবশেষে বেলা পাঁচটার দিকে এসে পৌছালাম তাগলাংলা পাসে। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম সড়ক পথ। অর্থাৎ এটি হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় উঁচু রাস্তা যেখানে ইঞ্জিন চালিত গাড়ি যেতে পারে। তাগলাংলা পাসের উচ্চতা হচ্ছে ১৭,৫৮২ ফিট। এটি আমার জীবনে এখনো পর্যন্ত ওঠা সবচেয়ে উঁচু জায়গা।



জায়গাটা অসাধারণ সুন্দর। এটি মানালি থেকে লেহ যাত্রাপথের সবচেয়ে উঁচু জায়গা।



মাইলফলকে বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুশাসনে বিভিন্ন রঙ-বেরঙের ছোট ছোট কাপড়ের পতাকা টাঙ্গানো রয়েছে।



এই পাহাড়ের রঙটা কেমন যেন লালচে বাদামী ধরনের। বরফে সুসজ্জ্বিত হয়ে জায়গাটা কেমন যেন ঝকমক করছে।



জায়গাটাতে এসে আলাদা একরকম ভালো লাগায় আক্রান্ত হলাম। সত্যিই অদ্ভুত।



আল্লাহর রহমতে কোন রকম শারীরিক সমস্যা ছাড়াই আমি যাত্রাপথের সবচেয়ে উঁচু জায়গাটা পার হতে পেরেছি।



আমি নিজেই নিজের প্রতি অভিভূত। তাগলাংলা পাসের ঝোড়ো বাতাস ভয়ঙ্কর ঠান্ডা।



কয়েকটা ছবি তোলা শেষ হতেই আবার গাড়িতে চড়ে বসলাম। কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা নেমে আসবে। আসলে অনেক উঁচু পাহাড়ে রয়েছি বলে এখনো পর্যন্ত সূর্যের আলো পাচ্ছি, পাহাড়ের নীচের অংশে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। লেহ এখনো অনেক দূর।



গাড়ি এবার নীচের দিকে নামা শুরু করেছে। কিছুদূর নামার পরে রাস্তাটা এমনভাবে হলো যে সূর্যের আলো সরাসরি আমার চোখে লাগা শুরু করলো। আর এর ফলেই আমার চোখ যন্ত্রণা শুরু হলো। এমনিতেই আমি সূর্যের আলো সহ্য করতে পারিনা, তারউপর বরফের উপর প্রতিফলিত হয়ে আসা শেষ বিকেলের আলোতে আমার চোখ ধাধিয়ে গেছে। আর এর ফলেই কিছুক্ষণ পর টুকটাক মাথায় যন্ত্রণা শুরু হলো।

চারিদিকে এতো বরফ তবুও আমার খুব গরম লাগছে। এমনকি আমার হাত-পা পর্যন্ত ঘেমে যাচ্ছে। ব্যাপার দেখে আলি ভাইতো অবাক। তিনি নাকি জীবনেও দেখেননি যে বরফের এলাকায় কারো ঘাম হচ্ছে। তাদের নাকি শীত করছে, আর আমার গরম লাগছে।



এখানকার পাহাড়গুলোতেও বরফ জমে আছে। পথের পাশের একটা পাহাড়ে দেখতে পেলাম যে কিভাবে প্রাকৃতিক বরফ জমাট বাধছে। এটা আমার কাছে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা ।



দুপুরে কিছু না খাওয়ার খেসারত দিতে লাগলো আমার শরীর। তবু আমি সামলাতে পারলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে অনন্ত কাল ধরে শুধু চলেই যাচ্ছি। কিন্তু আমি তখন আমার জীবনের সেরা জায়গাটি পার হচ্ছি। রাস্তাটা এতো অসাধারণ সুন্দর যে কল্পনাতীত। ততোক্ষণে আমরা সমতল জায়গায় নেমে এসেছি। ব্যাটারিতে চার্জ নেই বলে একটাও ছবি তুলতে পারিনি। আর এই জায়গাটার বর্ণনা দেয়া আমার পক্ষে পুরোপুরি অসম্ভব। ছোট একটা পাথুরে নদী। তাতে পানির চাইতে পাথরের সংখ্যা বেশি। পাশে খাড়া উঁচু পাহাড়। আর তাতে লাখ লাখ নয় কোটি কোটি ছোট আকারের পাথর। মনে হচ্ছে কেউ যেন সাজিয়ে রেখেছে। কিছু কিছু গাছপালা আর তার নীচে ঝরা পাতা পড়ে আছে। এই জায়গাটার দিকে তাকিয়েই শুধু মুগ্ধভাবে একটা জীবন কাটানো সম্ভব। আমি অপলক চোখে সবকিছু দেখছি।

অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছটার দিকে কারু পৌছালাম।



নদীটা তখনো সঙ্গে সঙ্গে আছে। ততোক্ষণে অন্ধকার নেমে গেছে। এখানে আলী ভাই আর তার বন্ধু খাওয়ার জন্য থামলো। আমার তখন লেগেছে প্রচন্ড ভাতের খিদে। এইসব মোমো আর নুডুলসে আমার পোষাবে না। আমি শুধু পানি খেলাম। তানজিং দেখি ঝাল মোমো খেতে গিয়ে শিউরে উঠছে, তবু সেটা খাওয়া থামাচ্ছে না। ওর মুখটা এতো মিষ্টি দেখাচ্ছে।

কারু বেশ বড় একটা জনপদ। ছোট্ট একটা লোহার ব্রীজে নদী পার হয়ে এখানে পৌছাতে হয়। একপাশের রাস্তা লাদাখের রাজধানী লেহ এর দিকে চলে গেছে, আর অন্যটা চলে গেছে প্যাংগং লেকের দিকে। এখানে একটা পুলিশ চেক পোষ্ট আছে। সেখানে দেখলাম কড়া চেকিং হচ্ছে। আলী ভাই খাওয়া শেষ করে দৌড়ে চেক পোষ্ট থেকে ঘুরে এলেন। তারপর আমাদের গাড়িতে উঠিয়ে জোরে টান। এখানেও পুলিশ আমাকে চেক করলো না। কারণ এখানেও তিনি আমাকে ইন্ডিয়ান আর তার আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে পার করেছিলেন।

এখানেই জানতে পেলাম এতোক্ষণ ধরে পাশ দিয়ে বয়ে চলা স্রোতধারাটি আসলে নদী নয়, এটি বিখ্যাত সিন্ধু নদ। শিহরিত হলাম। যার থেকে এই উপমহাদেশের নাম হয়েছে হিন্দুস্থান অথবা ইন্ডিয়া আর সনাতন ধর্মীয়রা পরিচিত হয়েছে ইন্ডুস বা হিন্দু নামে সেই বিখ্যাত সিন্ধু নদকে আমি পাশে নিয়ে চলেছি। শরীরে এক অপূর্ব শিহরন বয়ে গেল। খুবই সরু একটা পানির প্রবাহ। কিন্তু সে তার পূর্ণ গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলেছে। পৃথিবীর সেরা প্রাচীন একটা সভ্যতার গর্বিত জনক সে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০১

হািসব্ের্ জা বলেছেন: টাগলাংলা পাস এর সর্বোচ্চ চুড়া তে নেমে ছবি উঠানোর পর আমার ও মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছিল। এটা সম্ভবত বাতাসে অক্সিজেন এর পরিমান আর গাড়িতে বসে থাকা আর হাটাচলা করায় অক্সিজেন এর প্রয়োজন এর তারতম্যের এবং দ্রুত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারনে।

আর ভ্রমনজুড়ে খাওয়ার খুব অনিয়ম দেখছি। আশা করি আপনি সুস্থই ছিলেন। চমতকার বর্ননা।

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার কিন্তু পুরো এই ভ্রমণজুড়ে কখনোই অক্সিজেনজনিত সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিলং এ থাকার সময় যখন কিলং মূল জনপদ থেকে ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে এর বাড়ির পিছন দিয়ে, ওর বাড়ির উঠোন দিয়ে, তার বাড়ির পায়খানার পাশ দিয়ে খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠেছিলাম তখন মাঝে মাঝে থেমে রেস্ট নিতে হয়েছিলো। তবে অক্সিজেন স্বল্পতার মাথা যন্ত্রনা, বমি লাগা বা দম বন্ধ হয়ে যাওয়া এই রকম কোন সমস্যা হয়নি।
কিন্তু আমি সূর্যের আলো একেবারেই সহ্য করতে পারিনা, আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ে। আর তাগলাংলা পাসের পর সূর্যের আলো সরাসরি আমার চোখে ধাক্কা মারছিলো, এছাড়া বরফের কারণে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে আমার চোখ আরো ধাধিয়ে দিওয়েছিলো। এজন্যই আমার চোখে যন্ত্রণা শুরু হয়েছিলো।

আমি পুরো ভ্রমণজুড়ে খাওয়া-দাওয়ার যে পরিমাণ অনিয়ম করেছি তা পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো জানতে পারবেন ;)

২| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২১

কৌশিক মোদক বলেছেন: আপনার শরীর কি ধাতু তে তৈরি কে জাণে, নয় ত রক্তে লোহিত কণিকা বেশী। শরীরে অক্সিজেন এর মাত্রা বেশী থাকে। এক্লেমাঈটেশণ এর দরকার ই পড়ে নি দেখছি, আপনি এর পর হিমালয়ের সুউচ্চ পীক গূলী তে অভিযান করুন, না পারলে বেস ক্যাম্প অবধি যেতে পারেন, কষ্ট পাবেণ না , এই ধরণের শারীরিক গঠণ ঈশ্বরের দাণ বলা যেতে পারে। যাই হোক আর একটা জিনিশ জানার আছে, বিষয় ভিত্তিক ব্লগ কি ভাবে লিখব, আমি সিকিম নিয়ে লিখছি কিন্তু ভ্রমণ ভিত্তিক ব্লগে দেখাচ্ছে না, আশা করি আপনার কাছ থেকে এ বিষয়ে সাহায্য পাব। ভাল থাকুন আরও লিখুন।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার সুমহান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ;)
আমার শরীর কি ধাতু দিয়ে তৈরী তা একমাত্র আল্লাহ পাক বলতে পারবেন। তবে আমার রক্তে মনে হয় লোহিত কণিকা অন্য সাধারণের থেকে একটু বেশিই। এটা জেনেছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে। একজন পোড়া রুগীকে রক্ত দিতে গিয়েছিলাম। পরদিন যখন আবার সেই রুগীর খোঁজ নিতে যাই তখন তার আত্নীয় আমাকে বলেছিলো যে ডাক্তার নাকি বলেছে রক্তদাতার ( অর্থাৎ আমার ) রক্তটা ভালো। ;) সত্য মিথ্যা জানি না।
দোয়া করেন যেন হিমালয়ের সুউচ্চ পর্বতগুলোতে অভিযান করতে পারি। আসলে পাহাড় আমাকে খুবই টানে।
তবে আমার শারিরীক গঠন একেবারেই ভালো না। অন্যরা যে রকম দৌড় ঝাপ বা মারামারি করতে পারে আমি তা একেবারেই পারি না। একবার নিয়ন আমার হাত মুচড়ে ধরেছিলো। আমি তো হাত ছাড়াতেই পারিনি, অনেক অনুনয় করে হাত ছাড়িয়েছিলাম। টানা তিনদিন আমার হাতে ব্যাথা ছিলো। অথচ রাসবিহারী থেকে গড়িয়াহাট আমার সাথে হেটে গিয়ে হোটেলে ফেরত এসে নিয়নকে শরীরে মলম লাগাতে হয়েছে। B-))
বিষয় ভিত্তিক ব্লগ নামে কোন আলাদা ব্লগ লিখতে হয় না। আপনি প্রথম পাতায় যা লিখবেন তা যে বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত সামু মডারেশন বোর্ড তা পরে বিষয় ভিত্তিক পাতায় সংযুক্ত করবে। তবে সামুর মডারেশন বোর্ড বেশ অলস। :P তারা বেশিরভাগ সময় বিষয়ভিত্তিক ব্লগ আপডেট করেনা।
আমার মনে হয় আপনার লেখা প্রথম পাতায় শো হচ্ছে না। আপনার ব্লগের নূতন লেখা পোস্ট করার সময় বামপাশে দেখুন "পোস্টটি প্রকাশিত হবে" এই লেখাটার নীচে প্রথম পাতা নামে একটা অপশন আছে, ওটাতে টিক চিহ্ন দিন। তাহলে আপনার লেখা প্রথম পাতায় শো করবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। :<

৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমিও পরের পর্ব দেবার অপেক্ষায় আছি :-P

৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ধুর ! রাসবিহারী থেকে গড়িয়াহাট এমন কি দূর হল ?

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২

সারাফাত রাজ বলেছেন: সেটাই তো :-&
আমার মনে হয় শরীরের চাইতে মনের জোরটা বেশি প্রয়োজন। তাই বলে ভেবে বসবেন না আমার গাদাখানেক মনের জোর আছে। ;)
আমার এক খালা আছেন তার শরীরে দুই ধরণের ক্যান্সার বাসা বেধেছে। শরীরের অনেকটা অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। প্রতিমাসে কেমোথেরাপি দেবার পর তার প্রচন্ড শারীরিক কষ্ট দেখে আমরা যখন দিশেহারা হয়ে যাই তখনও তিনি আমাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলেন। তিনি এখনও রাস্তাতে একা চলাফেরা করেন। আমি তার এই মনের জোর দেখে অনুপ্রাণিত হই।

৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চালিয়ে যান এটা। খুব ভাল পোস্ট!!

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই :)
চেষ্টা তো করছি, দেখি কতোদূর টেনে নিয়ে যেতে পারি। B-))

৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

চমৎকার পোস্ট।

চালিয়ে যান আছি সাৃথে.............. :)

০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :>

৭| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

যমুনার চোরাবালি বলেছেন: রাজ ভাই, কি কারনে আপনার এই জটিল ভ্রমণে কোনরুপ সারিরিক সমস্যা হলোনা তা জানবার আগ্রহ নিয়ে বসে আছি। বুঝলাম আপনার রক্ত ভালো, তাই বলে এমন একটা দীর্ঘ ভ্রমণে আপনার কোন সারিরিক সমস্যা হলোনা বলে বড়ই অবাক হয়েছি। কোন টেকনিক ছিলো কি?

আমি বাসে বা ছোট গাড়িতে দীর্ঘ ( ১৫০+ ) ভ্রমণ করতেই অস্থির হয়ে পড়ি। মাথা ঘুরানো বা বমি ভাবটা প্রায়শই হয়। যেমন গাড়িতে পাহাড়ে উঠবার সময় কোন সমস্যা হয়না কিন্তু নামবার সময় প্রতিটি টার্নিঙ আমার জন্য বেশ অস্বস্থিকর, মাথা ঘুরানো বা বমি ভাব। একবার পানছড়ি থেকে রাঙামাটি গিয়েছিলাম। লোকাল বাসে, অসাধারণ সৌন্দর্যে ভরপুর। যাবার সময় কোন সমস্যা হলোনা। কিন্তু ঢাকা ফেরার পথে যখন বাস নিচের দিকে নামতে থাকলো বাস অবস্থা খারাপ। কোন টেকনিক আছে নাকি এর থেকে রক্ষা পাবার?

আপনার লোখাগুলো পড়ছি নিয়মিত। চমৎকার লাগছে। গল্পগুলো আরেকটু বেশি হলে অন্তত আমার খারাপ লাগবেনা।
শুভেচ্ছা।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

যমুনার চোরাবালি বলেছেন:

রাজ ভাই, কি কারনে আপনার এই জটিল ভ্রমণে কোনরুপ শারিরিক সমস্যা হলোনা তা জানবার আগ্রহ নিয়ে বসে আছি। বুঝলাম আপনার রক্ত ভালো, তাই বলে এমন একটা দীর্ঘ ভ্রমণে আপনার কোন শারিরিক সমস্যা হলোনা বলে বড়ই অবাক হয়েছি। কোন টেকনিক ছিলো কি?

আমি বাসে বা ছোট গাড়িতে দীর্ঘ ( ১৫০+ ) ভ্রমণ করতেই অস্থির হয়ে পড়ি। মাথা ঘুরানো বা বমি ভাবটা প্রায়শই হয়। যেমন গাড়িতে পাহাড়ে উঠবার সময় কোন সমস্যা হয়না কিন্তু নামবার সময় প্রতিটি টার্নিঙ আমার জন্য বেশ অস্বস্থিকর, মাথা ঘুরানো বা বমি ভাব। একবার পানছড়ি থেকে রাঙামাটি গিয়েছিলাম। লোকাল বাসে, অসাধারণ সৌন্দর্যে ভরপুর। যাবার সময় কোন সমস্যা হলোনা। কিন্তু ঢাকা ফেরার পথে যখন বাস নিচের দিকে নামতে থাকলো বাস অবস্থা খারাপ। কোন টেকনিক আছে নাকি এর থেকে রক্ষা পাবার?

আপনার লেখাগুলো পড়ছি নিয়মিত। চমৎকার লাগছে। গল্পগুলো আরেকটু বেশি হলে অন্তত আমার খারাপ লাগবেনা বা বেশি ভালো লাগতো।
শুভেচ্ছা।

১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: কোন টেকনিক ছিলোনা তা বলাটাও ভুল হয়ে যাবে। তবে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ কাকতলীয় ব্যাপার ছিলো। আশা করি পরবর্তী পর্বে এটা জানাতে পারবো, পরের পর্বেই এই অংশটা শেষ হবে তো।

আপনি কি ধুমপান করেন? ধুমপান আর মদ্যপানে আসক্তি থাকলে নাকি অনেক সমতলবাসীর পাহাড়ে গেলে সমস্যা হয়।

লেখা ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি পরের পর্বটা অনেক বড় করে দেব, কিন্তু পড়ার ধৈর্য থাকবে তো?

৯| ১৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার ।

২০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: B-)

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওহ্ এসব দেখে মনটা শিহরিত হয়ে উঠে.......কবে যে যাবো এমন রূপ সাগরে!

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১

সারাফাত রাজ বলেছেন: আর আপনার তোলা ভুটানের ছবিগুলো দেখলে যে আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়! সেই বেলা!! X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.