নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব ২৩ ( লাদাখের শহর লেহ আর সম্ভাষণ জুলে)

১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

পৃথিবীতে কাশ্মীরের তিনটা অংশ। একটা পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর, একটা চীন শাসিত কাশ্মীর আর একটা ইন্ডিয়া শাসিত কাশ্মীর। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরটির নাম হচ্ছে “আজাদ কাশ্মীর”। আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী হচ্ছে মুজফরবাদ।



চীনের মধ্যে কাশ্মিরের যেটুকু রয়েছে তার সবচাইতে বড় অংশের নাম তিব্বত। স্বভাবতই এর রাজধানী হচ্ছে লাসা।



এছাড়া রয়েছে জিঞ্জিয়াং।



চীন থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত কাশ্মীর অংশ দিয়ে একটা হাইওয়ে আছে। নাম কারাকোরাম হাইওয়ে। আমার ধারণা এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আন্তর্জাতিক সড়ক।



ইন্ডিয়াতে কাশ্মিরের যে অংশ রয়েছে তা ইন্ডিয়ার একটি স্বতন্ত্র রাজ্য। এই রাজ্যটার নাম হচ্ছে “জম্মু এন্ড কাশ্মীর”। এই জম্মু এন্ড কাশ্মীর রাজ্যের তিনটা অঞ্চল রয়েছে। একটা হচ্ছে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মু অঞ্চল। যে অঞ্চলটার সবচাইতে বড় শহর হচ্ছে জম্মু। জম্মু হচ্ছে ভারতের “জম্মু এন্ড কাশ্মীর” রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী।



আরেকটা হচ্ছে মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীর অঞ্চল। যে অঞ্চলটার সবচাইতে বড় শহর হচ্ছে শ্রীনগর। শ্রীনগর হচ্ছে “জম্মু এন্ড কাশ্মীর” রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। মজার ব্যাপার হচ্ছে একই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েও জম্মুবাসী আর কাশ্মীরবাসী মোটামুটি কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না।



আর আরেকটা অংশ হচ্ছে লাদাখ অঞ্চল। বৌদ্ধ অধ্যুষিত লাদাখ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু আর শীতল মরুভূমি অঞ্চল। লাদাখ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহরটির নাম হচ্ছে লেহ। কোন একসময় দুনিয়ার বুকে যখন লাদাখ একটা আলাদা রাজ্য ছিলো তখন লেহ ছিলো লাদাখের রাজধানী।



আমরা বলে থাকি লেহ হচ্ছে লাদাখের রাজধানী। হয়তো কোন একসময় তাই ছিলো। কিন্তু এখন বাস্তবতা হচ্ছে লেহ ভারতের জম্মু এন্ড কাশ্মির রাজ্যের লাদাখ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর। রাজধানীর মর্যাদা সে বেশ আগেই হারিয়েছে।

লাদাখি ভাষায় জুলে শব্দটার মানে হচ্ছে, সুপ্রভাত থেকে শুরু করে শুভরাত্রি, ধন্যবাদ, সালাম, সম্ভাষণ সবকিছু।



*** আমার তথ্যে কিছুটা ভুল থাকতে পারে, তবে মোটামুটি পুরো ব্যাপারটি প্রায় এরকমই। উপরের ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত।

আগের পর্ব
পরের পর্ব
অন্য পর্ব

২৬শে সেপ্টেম্বর’১৫
ভোর প্রায় সাড়ে ছটার দিকে ঘুম ভাঙলো। আড়ামোড়া ভেঙে উঠে বসলাম। আমি বেশ রাতেই এই হোটেলটাতে এসেছি। খুব ক্লান্ত ছিলাম বলে তখন ভালোভাবে কোন কিছু লক্ষ্য করিনি। এখন কৌতুহলবশত রুমের জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকালাম, আর কি দেখলাম জানেন! আমার রুমের সামনে হোটেলের বাগান। ভোরের প্রথম সূর্যের আলো দূরের বরফ জমা পাহাড়গুলোতে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে এসে পড়ছে সেই বাগানে।



আর সেই বাগানে নানান ধরনের অর্কিড ফুলের মধ্যে কতোগুলো আপেল গাছ দাঁড়িয়ে আছে, যে গাছগুলোতে ধরে আছে টসটসে লাল আপেল।



লাদাখ অঞ্চলে এসে নাকি প্রথম দুদিন গোসল করতে নেই। এতো উচ্চতার এই ঠান্ডা অঞ্চলের সাথে শরীরের খাপ খাইয়ে নেবার জন্য নাকি প্রথম দুদিন শুধুই বিশ্রাম নিতে হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তাড়াতাড়ি করে বাথরুমে ঢুকে হুড়মুড় করে গোসল করে নিলাম, অবশ্যই ঠান্ডা পানি দিয়ে। কারণ আমি তো জানি একবার গরম পানি দিয়ে গোসল করা শুরু করলে শরীর আর ঐ আরাম ছাড়তে চাইবে না। তখন দেখা যাবে আমি ঘোরাঘুরি না করে সারাদিন ধরে শুধু হোটেলের বাথরুমে গরম পানি দিয়ে গোসল করেই চলেছি। এইদিন অবশ্য লেহ শহরের তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রীর কাছাকাছি।

গাদাখানিক জামাকাপড় গায়ে চাপিয়ে রুম থেকে বের হয়ে হোটেলের বাগানটিতে গেলাম। ছোট্ট একচিলতে বাগান, কিন্তু বাগানটি তার মালিকের রুচির বর্ণনা দিয়ে চলেছে। কতোগুলি গোলাপ গাছের মাঝে বসার জন্য কতোগুলি চেয়ার আর টেবিল রয়েছে আর সেগুলোকে ছায়া দেবার রয়েছে জন্য বড় বড় গার্ডেন আমব্রেলা। হোটেলের একপাশের দেয়ালজুড়ে লতানো ঝোপ, আমার কাছে মনে হলো এগুলো আঙুরগাছ। আর পুরো বাগানজুড়ে কতো ধরনের রং-বেরঙের অর্কিডের সমারোহ রয়েছে তার কোন ইয়াত্তা নেই।







আমি আপেলগাছের তলে দাড়িয়ে ছবি তুলছি এসময় এক সুন্দরী ভদ্রমহিলা বিল্লি বিল্লি বলে ডাকাডাকি শুরু করলেন।



প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও একটু পরে বুঝলাম বেচারীর সাধের বিড়াল ছানা হারিয়ে গেছে। তিনি সেটাই খুজছেন। আমিও কিছুক্ষণ তার সাথে বিড়াল ছানা খুঁজলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর একটা ধাড়ী বিড়ালকে দেখিয়ে বললাম যে আমি তার বিড়ালটাকে খুঁজে পেয়েছি। সেটিকে দেখে তিনি জানালেন যে এই ধাড়ী বিড়ালটা না, তার বিড়ালটা হচ্ছে ছোট্ট একটা বাচ্চা বিড়াল। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে তার বিড়াল খোঁজা বাদ দিয়ে আমি আবার আমার ফটোসেশন শুরু করলাম।













কিছুক্ষণ পর ভদ্রমহিলা একটা চায়ের মগে চুমুক দিতে দিতে এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন সকালে আমার রুমে চা দেয়া হয়েছে কিনা। ধন্যবাদ দিয়ে তাকে জানালাম যে আমি চা পান করতে চাচ্ছি না। টুকটাক গল্প করলাম তার সাথে। তিনি এ হোটেলের মালকাইন। তার বাপের বাড়ি সিকিমে। তিনি টুকটাক বাংলা জানেন। প্রেমের বিয়ে করে এসে উঠছেন লেহতে। এখন তিনি তার স্বামীর হোটেলটা দেখাশোনা করেন। লাদাখ তার খুব ভালো লাগে। শীতকালে এখানে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে। যদিও এখনো শীতকাল আসেনি, তবে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রীর নীচে চলে যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। তখন এই পুরো এলাকা চাপা পড়বে একরাশ বরফের তলায়।

লেহ শহরের দ্রষ্টব্যগুলো কি কি, কোথায় কোথায়, আর কিভাবে সেগুলোতে যেতে হবে তা ভদ্রমহিলার কাছ থেকে জেনে নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হোটেল থেকে বেড়িয়ে পড়লাম।



রাস্তায় বের হয়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করলাম। কাল সারাদিন আমি সকালের ওই পাউরুটি ছাড়া আর কিচ্ছু খাইনি। তার উপর ঐ ভয়ঙ্কর রাস্তায় ১৩ ঘন্টা জার্নি করেছি। আমার এখন ভয়াবহ খিদে লাগেছে। প্রায় চব্বিশ ঘন্টা না খাওয়ার কারনে খুবই ক্লান্ত অনুভব করছি। খাবার দোকান খোঁজা শুরু করলাম। কিন্তু এতো ভোরে কোন দোকানই খোলেনি।

হাঁটতে হাঁটতে লেহ শহরের মসজিদের সামনে এলাম। ওমা এখানে দেখি কাছাকাছি দুটো মসজিদ আছে।



আমার মনে হয় এদুটি মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মসজিদ। কারণ লেহ শহরটি ১১,৬০০ ফীট উচ্চতায় অবস্থিত। মসজিদ দুটির কারুকার্য খুবই সুন্দর। বড় মসজিদটি অনেক পুরানো। এটি ১৬৬৬-৬৭ সালে তৈরী হয়েছে। তিব্বত নাকি একবার লাদাখ আক্রমণ করেছিলো, ঘটনাটি সপ্তদশ শতাব্দির শেষ ভাগে। তখন লাদাখের রাজা নামগয়্যাল মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে। সেসময় লাদাখ রাজা আর মোঘল সম্রাটের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে চুক্তি হয়। যার ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠে এই সুদৃশ্য মসজিদটি।





লেহ শহরের সব জায়গা থেকে যে ভবনটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে লেহ প্যালেস। এটি হচ্ছে একসময়ের লাদাখ রাজ্যের রাজার রাজপ্রাসাদ। শহরের প্রানকেন্দ্রের সবচাইতে উঁচু পাহাড়ে এটি অবস্থিত। নয়তলা উঁচু এই প্রাসাদটি পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাতিক্রমী প্রাসাদ। মাটির তৈরি এই ভবনটি পাহাড়ের গায়ের সাথে একেবারে মিশে গেছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে তৈরী হওয়া এই স্থাপনাটি কয়েক শতাব্দি ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসাবে বিবেচিত ছিলো। শুধু নয়তলা দেখলে তো চলবে না। জায়গাটির অবস্থানও তো দেখতে হবে, ৩.৫০৫ মিটার।



পুরো লেহ শহরটাতে খোড়াখুড়ি চলছে। দেখে মনে হলো শহরের সব ড্রেন, রাস্তা আর ফুটপাতগুলোর সংস্কার কাজ চলছে। বিশেষ করে মেরামত করা হচ্ছে শহরের প্রধান রাস্তাটি। এই সুন্দর শহরটি আরো সুন্দর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। লেহ শহরের মসজিদের সামনের রাস্তাটির মাঝখান ধরে স্থায়ী বড় বড় ফুলের টব আর বসার জায়গা তৈরী করা হচ্ছে। দেখে মনে হলো লেহ শহরের এই রাস্তাটিকে সিমলা, মানালি বা দার্জিলিং এর ম্যালের মতো করে তৈরী করা হচ্ছে।



পরে জেনেছিলাম, লেহ রাজপ্রাসাদ নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত ১০০ টি প্রত্ত্বতাত্তিক নিদর্শনগুলোর একটি। এজন্য সরকার এই ভবনটি সংস্কারে বেশ জোরে-শোরে হাত দিয়েছে। শুধু রাজপ্রাসাদটিই নয়, পুরো পুরানো লেহ শহর বেশ ব্যায়বহুলভাবে সংস্কার করে পুরানো রূপ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। পরিপূর্ণভাবে এই কাজ শেষ হলে লেহ শহরটি নিশ্চয় আরো আবেদনময়ী হয়ে উঠবে। ইশ!! সেই রূপটা যদি দেখতে পেতাম!!



লেহ প্রধানত বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল। তবে বেশ বড় সংখ্যক মুসলমানও বাস করে এখানে। এদেরকে লাদাখী মুসলমান বলা হয়। যারা মূলত শীয়া মতাবলম্বী। লেহ শহরটি মূলত ক্যান্টনমেন্ট দ্বারা আবৃত। এই শহরটি বছরে প্রায় পাঁচ মাসের জন্য সড়ক পথে খোলা থাকে। তবে শ্রীনগরের যাবার রাস্তাটি আরো কিছুদিন খোলা থাকে। বাকী সময়টা বরফের তলায় শহরটা লুকিয়ে থাকে। তখন পৃথিবীর সাথে এর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লেহ শহরের বিমানবন্দরটি। এর মাধ্যমে এটি শ্রীনগর আর দিল্লীর সাথে আকাশপথে যোগাযোগ রক্ষা করে। শীতকালে লেহর তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রী পর্যন্ত নেমে যায়।



লাদাখীরা খুব ফুল পছন্দ করে। বিভিন্ন রঙের অর্কিড ফুলের সমারোহ দেখলে সত্যিই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। প্রতিটি বাড়ির ছাদ আর জানালার কার্নিশে এইসব অর্কিডগুলো লাগানো।



এখানকার বাড়িগুলোর স্ট্রাকচার একটু অদ্ভূত। সকল জানালা, সানসেট আর কার্নিশগুলো এতো সুন্দর কাজ করা যে সেগুলো থেকে চোখ ফেরানো দায়। ভবনগুলো সাদা রঙের। আর জানালাগুলো নীল অথবা মেটে রঙ করা। তবে আমার মনে হয় কাঠের কারুকার্যে লাদাখীরা সারা বিশ্বকে ছাড়িয়ে গেছে। লেহ শহরের প্রত্যেকটা বাড়ি বেশ সাদামাটা কিন্তু একটু খেয়াল করলে এর কারুকার্য মন হরণ করে।




এখনো পর্যন্ত কোন খাবার দোকান খোলা পেলাম না। খিদেতে প্রায় মারা যাবার মতো অবস্থা। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। ভাবলাম সময়টুকু নষ্ট না করে শান্তিস্তূপাটা দেখে আসি। শহর থেকে কিছুদূর ছাড়িয়ে শান্তিস্তূপা। এটা বৌদ্ধদের একটা বিশাল বড় মন্দির। দূর থেকে আমি মন্দিরটা দেখতে পারছি, কিন্তু যাবার পথ খুঁজে পাচ্ছি না। আসলে অনেকগুলো সরু সরু রাস্তা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে গেছে বলেই এই সমস্যা।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: ভাই আপনি যেভাবে বর্ণনা করেন তা নিজের মধ্যে সেসব জায়গা ভ্রমনের আকাঙ্খাকে তীব্র করে তোলে। ইস কবে যে যাবো , ভিসা ক্যাম্প থেকে ১ বছরের ভিসা পেয়েছি।

১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: কিন্তু আপনি তো এখন আমাকে হিংসিত করে দিলেন। #:-S

হা হা হা :D
যান, ঘুরে আসেন। B:-/

২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

কল্লোল পথিক বলেছেন:


অসাধারন ছবি ও বর্ণনা।

১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই :)

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

আমি গাডডুর বাপ বলেছেন: ছবি গুলু সব কি আপনার নিজের তোলা। মারাত্মক সুন্দর হয়েছে। আপনার রুট টা ফলো করে একটা ট্যুর দেব। তার আগে সামনে নভেম্বর এ দার্জিলিং ও সিকিম যাব

১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রথম ৮টি ছবি আমার তোলা না। ওগুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা। তবে মোটরসাইকেলের ছবিটা থেকে সবগুলো আমার তোলা।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০১

জসিম বলেছেন: অনেক পরিচিত কিছু জায়গা আবার দেখা হলো. বেশ কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম. খুবই সুন্দর আর শান্তিপূর্ণ লেহ, লাদাখ. আমার অনেক ভালো লাগার একটি স্থান. সময় পেলে আবার যাবার ইচ্ছা আছে এক সময়.

আপনাকে ধন্যবাদ.

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আশা করি আপনি আবারো আপনার ভালো লাগার জায়গাটিতে যেতে পারবেন। :)

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা, ছবি আর অভিজ্ঞতা মিলিয়ে দারুণ পোস্ট। +।

যদি যাওয়া যেত....!!

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

যাওয়া যাবে না কেন?

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

ভাণ্ডারীমামা বলেছেন: যখন বরফ এ শহর ঢাকা থাকে অনেক দিনের জন্য । তখন ওখানকার বাসিন্দারা কি করে কিছু কি জানতে পেরেছেন এই ব্যাপারে ? আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো ।। আগেও পরেছি আপনার লেখা

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: হোটেলের মালকাইনের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু আমি তো আসলে বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় সড়গড় না, এজন্য তিনি জবাবে কি বলেছিলেন তা আমার বোধগম্য হয়নি। :||

আর তার বাংলা জ্ঞান হচ্ছে, কেমন আছেন, ভালো এই রকম একটা-দুইটা শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

ভদ্রতা করে বলতেও পারিনা যে তার কথা বুঝতে পারছিনা, এজন্য বেশি ভদ্রতা করে এমন ভাবে মাথা ঝাকিয়েছিলাম যে সব বুঝে গিয়েছি। :|


লেখা ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আর একটা পিলাচ দিয়া গেলাম ;)

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১০

সারাফাত রাজ বলেছেন: শুধুই পিলাচ? রেন্স, স্ক্রু-ড্রাইভার এইগুলা নাই? #:-S

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কোরবানীর ঈদের পর লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বোকা মানুষ বলতে চায় এর সাথে।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১১

সারাফাত রাজ বলেছেন: অগ্রিম শুভকামনা রইলো। আশা করি খুব ভালোভাবে সবকিছু ঘুরে আসতে পারবেন। :)

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভাণ্ডারীমামা বলেছেন: যখন বরফ এ শহর ঢাকা থাকে অনেক দিনের জন্য । তখন ওখানকার বাসিন্দারা কি করে কিছু কি জানতে পেরেছেন এই ব্যাপারে ? ..........বিষয়টা আমার ও খুব জানার ইচ্ছে।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১২

সারাফাত রাজ বলেছেন: উত্তরটা দিয়ে দিয়েছি। B-))

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আরমিন বলেছেন: লাদাখ এবং লেহ এর বেশ কিছু ছবি দেখেছিলাম নেট এ। খুবই যাবার ইচ্ছে!! দেখি কখনও সুজোগ হলে ......

সুন্দর পোস্টে ভালোলাগা।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের টুকু পড়ার অপেক্ষায় রইলাম

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: দেখি কবে দেয়া যায় |-)

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

অদৃশ্য বলেছেন:



কি সারাফাত ভাই, পরীক্ষার কি অবস্থা... গ্রুপ পেলেন নাকি এখনো আপনি একঘরে... তবে আপনার পোষ্ট পেয়ে মনে হচ্ছে কিছু একটা সমাধান করে ফেলেছেন আপনি...

প্রথমের কয়েকটা ছবি অসাধারণ... আর পরের আপনার ছবিগুলো মোটামোটি হয়েছে আরকি... অবশ্য তার ভেতরে দু'তিনটি বেশ ভালো লাগলো... যদিও আপনার সবক'টি ছবিই মন কে হরণ করেছে... না দেখাকে দেখায় রুপান্তরিত করবার জন্য... ছবি মানেতো দৃশ্য... আপনার ছবিতেই আমি লেহ এর হোটেল, আপেল গাছ আর অনেক কিছুর ছবি দেখলাম... সব মিলিয়ে অসাধারণ...

আজকের উপস্থাপনাও চমৎকার হয়েছে... আমার মনে হচ্ছে যে আপনার সকালের নাস্তার আগে আরও দু'তিনটি পর্ব হয়ে যাবে... আর সেটা নিশ্চয় মন্দ হবেনা... আপনার অতিবাহিত সময় ও স্মৃতিকে ফ্রেম বন্দী করে আরও চমৎকারভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করুন এমনই প্রত্যশা...

শুভকামনা...

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আল্লাহর রহমতে পরীক্ষা শেষ। :D তবে এর জন্য আমাকে অনেক ষড়যন্ত্র করতে হয়েছে। B-)) আপনি আগ্রহী থাকলে ষড়যন্ত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে। :#)

প্রথম কয়েকটা ছবি আমার তোলা না বলেই কি অসাধারণ মনে হচ্ছে??? X((


আসলে হয়েছে কি, কাশ্মির সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করার জন্য প্রথম ৮টি ছবি নেট থেকে ধার নিতে হয়েছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে কোন টুরিস্ট জায়গার ছবি খুজলে নেটে অসাধারণ অসাধারণ ছবি পাওয়া যায়। এইসব ছবির যতোগুলো সত্যিকারের সুন্দর, তারচেয়েও সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ফটোগ্রাফারের দক্ষতায় অথবা দামী ক্যামেরার জন্য অথবা এডিট এর কারসাজির জন্য। আমার মনে হয় এখানে দেয়া প্রথম ৮ টি ছবি এই কারণেই অতোটা সুন্দর দেখাচ্ছে।

এবার আমার তোলা ছবির প্রসঙ্গে আসি। প্রথম কথা, আমি একেবারেই ফটোগ্রাফারের পর্যায়ে পড়ি না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, আমার ক্যামেরা একেবারেই নিম্নমানের। তৃতীয় কথা হচ্ছে, আমার কোন ছবিই এডিট করে রং-চং করা না। এখনো পর্যন্ত আমি আমার কোন ছবি এডিট করে সৌন্দর্য বাড়ায়নি। তবে আগামীতে হয়তো বাড়াতে পারি। :-P


উপস্থাপনা ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো আমারো মনে হচ্ছে যে নাস্তার আগে আরো কয়েকটা পর্ব পার হয়ে যাবে। হা হা =p~

ভালো থাকবেন সবসময়। ;)

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

রমিত বলেছেন: অপূর্ব হয়েছে আপনার ছবিগুলো, প্রশংসা না করে পারা যায়না।
চমৎকার সব তথ্য দিয়েছেন। অনেক কিছু জানাই ছিলোনা।
কাস্মীর-এর একটি অংশ যে চীনে রয়েছে তা আপনার লেখা পড়ে আজকেই প্রথম জানলাম। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত লেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১২

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, কাশ্মীরের যে অংশ চীনে রয়েছে সেটা সম্পর্কে আমি খুব কম জানি। যতোটুকু জানি ঠিক ততোটুকুই লিছেছি। এর চেয়ে বেশী লিখলে ব্যপারটা আরোপিত হয়ে যাবে।

তারপরও খোজ-খবর করে আরো লেখার চেষ্টা করা যেতে পারে।


আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। :)

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ সব ছবি। :)

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। B-)

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৭

ফয়সাল আহেমদ বুলবুল বলেছেন: আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারতেছি না...। ভাই আপনার মতো একজন বন্ধু পেলে আমার ভারত ভ্রমণ ভালোই হতো।কিন্তু আফসোস আপনিতো দ্বিতীয়বার আর যাবেন না.. আমি িএকা যেতে সাহস পাবো না। যা হোক কখনো আবার অল্প খরচে যাওয়ার প্ল্যান করলে আমাকে রাখবেন । আমার মেইল দিলাম ওখানে আপনার নাম্বার আমাকে দিবেন আ্শা করি। [email protected]

২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, আপনাকে আমি বার্তা পাঠিয়েছি। B-)

১৬| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

তৃতীয় পক্ষ বলেছেন: "এই শহরটি বছরে প্রায় পাঁচ মাসের জন্য সড়ক পথে খোলা থাকে। তবে শ্রীনগরের যাবার রাস্তাটি আরো কিছুদিন খোলা থাকে। বাকী সময়টা বরফের তলায় শহরটা লুকিয়ে থাকে। তখন পৃথিবীর সাথে এর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লেহ শহরের বিমানবন্দরটি"।
বাকি সাত মাস সময় ঐখানকার সাধারণ নাগরিক কি করেন? কিভাবে পর্যটক ঐখানে যায় বা ঐ শহরে নাগরিকদের আয়ের উৎস কি ? একটু বিস্তারিত বলবেন। উপকৃত হবো,ইচ্ছা আছে যাওয়ার।। খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: বাকী সময়টা ওখানে বাই এয়ারে যেতে হয়।

ওখানকার সবাই কি করে আমি বেশ কবার জিজ্ঞাসা করেও জানতে পারিনি, আসলে ভাষার ব্যাবধান ছিলো তো দুস্তর। তবে শহরটার জনসংখ্যা খুব কম। শীতের সময় সবাই হয়তো এখানে থাকেও না।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

তৃতীয় পক্ষ বলেছেন: ও তাই! খুব জটিল জায়গা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: জ্বী ভাইয়া । ;)

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩১

ফারহান সীমান্ত বলেছেন: দেখুন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ একুরিয়াম "Georgia Aquarium Atlanta"
চমৎকার একটি মৎস্য চিড়িয়াখানা
যেখানে আছে তিমি, হাঙ্গর,ডলফিন আরও অনেক ধরনের সামদ্রিক ও সাগরের মাছ।
সাগরের নিচে একুরিয়াম ভাবতেই অন্যরকম।

আরও দেখতে্ ও জানতে ক্লিক করুন এখানে বাকিটুকু পড়ুন

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: দেখলুম :D

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩

নুকুল দানা বলেছেন: রাজ ভাই,দারুন।
লাদাখ যাওয়ার অনুমতি কিভাবে পাওয়া যায়,দয়া করে বলবেন !
ভারতীয় ভিসা থাকলেই তো মনে হয় যাওয়া না?
উপকার হবে যদি জানান।
[email protected]

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমি আপনাকে মেইল করেছি।

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম... :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জহিরুল ভাই :D

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

Joynal বলেছেন: হ্যালো ভাইয়া, কেমন আছেন? গতকাল ( ২৭ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা থেকে আজকে এখন পর্যন্ত টানা ২৩ টি পর্ব পড়ে শেষ করলাম, বাকি সবগুলো শেষ করে উঠব। এককথায় আসধারন আপনার ভ্রমণ কাহিনী, আপনার ভ্রমণ রুট ফলো করার ইচ্ছা আছে। লেহ তে কি এখন বাংলাদেশী যেতে পারবে? আপনি পরবর্তী টুরে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা আছে যদি নিতে রাজি হন। [email protected]

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

Joynal বলেছেন: হ্যালো ভাইয়া, কেমন আছেন? গতকাল ( ২৭ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা থেকে আজকে এখন পর্যন্ত টানা ২৩ টি পর্ব পড়ে শেষ করলাম, বাকি সবগুলো শেষ করে উঠব। এককথায় আসধারন আপনার ভ্রমণ কাহিনী, আপনার ভ্রমণ রুট ফলো করার ইচ্ছা আছে। লেহ তে কি এখন বাংলাদেশী যেতে পারবে? আপনি পরবর্তী টুরে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা আছে যদি নিতে রাজি হন। [email protected]

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, আপনি কেমন আছেন? ধৈর্য সহকারে আমার লেখাগুলো পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাইয়া আপনি একটু দেরী করে ফেলেছেন, আপনি যখন এই মন্তব্যটা লিখেছেন তার দুদিন আগেই আমি আমার পরবর্তী ট্যুরের উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছি।
ব্যাপার না, আরো সময় তো রয়েছেই।

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

আব্দুল মজিদ রকি বলেছেন: অাপনার লেখা শুধু পড়িনি,মোবাইলে পিডিএফ করে রেখেছ। সময় পেলেই পড়ি। সেখান থেকেই আগ্রহ সৃষ্টি। ইনশাআল্লাহ আগামী ২৪/০৮/২০১৭ তারিখে যাব। প্লিজ, আপনাকে দরকার। [email protected]

২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে লোভ হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনই ছুটে যাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.