নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তর ভারতের হিমালয় (পর্ব - সারাংশ)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮



পরের পর্ব
সবগুলো পর্ব
অক্টোবরের ১ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত ভারত ট্যুরে ছিলাম। ২১ দিনের অধিকাংশ সময়টাই কেটেছে হিমালয়ের সান্নিধ্যে। আমার এবারের ট্যুর ছিলো দেবভূমি খ্যাত উত্তরাখন্ড রাজ্যে। ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যটি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে গাড়োয়াল বিভাগ আর অন্যটি হচ্ছে কুমায়ুন বিভাগ।আমার ট্যুরটা ছিলো মূলত গাড়োয়াল অংশ কেন্দ্রিক। রুটটা ছিলো, কলকাতা>হরিদ্বার>জানকিচাট্টি>যমুনাত্রী>উত্তরকাশী>গঙ্গোত্রী>ভুজবাসা> গোমূখ>তপোবন>শ্রীনগর>শোনপ্রয়াগ>কেদারনাথ>চোপতা>তুঙ্গনাথ>চন্দ্রশীলা>
বদ্রীনাথ>হরিদ্বার>সিমলা>দিল্লী>কলকাতা। এই ২১ দিনে বিভিন্ন রকমের বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।

হিন্দুদের তীর্থস্থান সম্পর্কে আমার মনে একটা বিরূপ ধারণা ছিলো। আমি ভেবেছিলাম এই জায়গাগুলো নিশ্চয় খুব নোংরা হবে। আর যেহেতু তীর্থস্থান তাহলে সেখানকার স্থানীয় লোকেরা অবশ্যই খুবই টাউটবাজ হবে। ( ধর্মীয় স্থান সম্পর্কে আমার এই বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হবার কারণ হচ্ছে খুব ছোটবেলায় আমি একবার বাগেরহাটে খান জাহান আলীর মাজারে গিয়েছিলাম। সেখানকার দীঘিতে কুমিরকে খাওয়ানোর নাম করে একটাই মুরগী ১০ বার করে বিক্রি হচ্ছিলো। এই ব্যাপারটা নিশ্চয় আমার মনে নেতিবাচক একটা প্রভাব ফেলেছিলো)। তাই এবারের দেবভূমি ভ্রমনে আমি আমার টাকা-পয়সা আর লাগেজ নিয়ে সবসময় খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যেহেতু আমি একা মানুষ, কোন কিছু খোয়া গেলে আমাকে চরমভাবে বিপদে পড়তে হতো। বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে দেশে ফেরত আসার পর আমি আমার এই বিরূপ ধারণার জন্য এখন লজ্জ্বা পাচ্ছি।

সুদীর্ঘ ২১ দিনে আমার সহযাত্রী হিসাবে ছিলো কখনো মায়ানমারীয়, কখনো নেপালি, কখনো সাউথ-আফ্রিকান, কখনো জাপানি, কখনো রাশিয়ান আর অতি অবশ্যই ইন্ডিয়ান। সেই ইন্ডিয়ানেও ভেরিয়েশন ছিলো। কেউ মহারাষ্ট্রীয়, কেউ কেরালার, কেউ বাঙালী, কেউ দেরাদুনের, কেউ লখৌয়ের, কেউ উত্তরপ্রদেশের, কেউ গাড়োয়ালের আবার কেউবা দিল্লীর।

আমি কখনো থেকেছি আশ্রমে, কখনো তাবুতে, কখনো যাত্রীনিবাসে, কখনো রিটায়ারিং রুমে আবার কখনো হোটেলে। কখনো আমার শয্যাসঙ্গী ছিলো কোন জটাধারী ভারতীয় সন্ন্যাসী, কখনো অতিরিক্ত সুদর্শন ফরাসী যুবক আবার কখনো নীলনয়না মোহনীয় লাস্যময়ী ইজরাইলী নারী। সত্যি বলছি, যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে যে আমার জীবনে এখনো পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সবচাইতে আশ্চর্যজ্বনক ঘটনা কোনটি, তাহলে আমি অবশ্যই যে ঘটনাটি বলবো তা হচ্ছে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমার শরীরের সাথে কুন্ডলী পাকিয়ে এক ইজরাইলী নারী অঘোরে ঘুমাচ্ছে। পুরো হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলাম আমি সেসময়।

একরাতে সহযাত্রী রাশিয়ানরাও আমাকে তাদের শয্যাসঙ্গী হবার আমন্ত্রন জানিয়েছিলো। কিন্তু সুদর্শন ফরাসী যুবক আর প্রিয়দর্শিনী ইজরাইলী তরুনীর পর দুটো রাশিয়ান হিপি!!! ওরে বাবা!! এতোটা আমার সহ্য হতো না। ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।

কখনো কোন হোটেলওয়ালা আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে আমি মুসলমান বলে, আবার কখনো কোন সাধু-সন্ন্যাসী আমার কাছে মাথা নিচু করে জোড় হাতে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এই ঘটনা শোনার পর। বারবার সে আমাকে বলেছিলো, যারা এই কাজগুলো করে তারা কখনোই ধার্মিক নয়। আবার বাংলাদেশী হিসাবে আমি কখনো অতিরিক্ত সুবিধাও পেয়েছি, কখনো খাবারের নিমন্ত্রন, কখনো থাকার জায়গা।

হিমালয়ের এই অংশে এতো পরিমানে সাদা চামড়ার ইউরোপীয় ট্যুরিস্টকে দেখে অত্যান্ত আশ্চর্য হয়েছি। ৮ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বুড়ি পর্যন্ত। আসলে পর্যটনে ভারত অনেক উন্নত। মোটকথা সে পৃথিবীর সবাইকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে।

যাত্রাপথে কখনো কোন সুইডিশ যুবক আমাকে শিখিয়েছে “ইয়োগ এলক্সার দে”, আবার কখনো কোন রাশিয়ানকে আমি শিখিয়েছি, “খানকির পোলা”। একবার এক মন্দিরের সন্ন্যাসী আমাকে বিকট জোরে ধমক দেবার সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে, “ধূর! চুদির ভাই” বলে সঙ্গে সঙ্গে পিছন ঘুরে চলে এসছিলাম। একসাথে হেঁটে আসার পথে কেদারনাথ মন্দিরের পুরোহিত আমাকে শুনিয়েছিলো পূজোর সংস্কৃত শ্লোক, বিনিময়ে আমি তাকে শুনিয়েছিলাম নজরুলের ইসলামিক বাংলা গজল।


আমি মোটামুটিভাবে ১২ টি নদীর আঁতুড়ঘর অথবা শৈশব দেখেছি। এগুলো হচ্ছে যমুনা, অমরগঙ্গা, আকাশগঙ্গা, রক্তগঙ্গা, দুধগঙ্গা, ধৌলীগঙ্গা, নন্দাকিনী, পিন্ডার, বাসুকিগঙ্গা, মান্দাকিনী, স্বরস্বতী, অলোকানন্দা। আর দেখেছি একটা নদীর জন্মানো । পৃথিবীর সবচাইতে বিখ্যাত নদীগুলোর একটি। জন্মস্থানে সে ভাগীরথী নামে পরিচিত। ১৩,২০০ ফিট উঁচুতে মায়ের জরায়ু থেকে তার মুচড়ে মুচড়ে বের হয়ে আসার ভঙ্গিটা দেখা আমার কাছে ছিলো চরম বিস্ময়কর। আমি সত্যিকারভাবে অভিভূত হয়েছিলাম। সদ্য জন্মানো ভাগিরথী সেখান থেকে ২০৫ কিলোমিটার দূরের দেবপ্রয়াগে গিয়ে যখন অলকানন্দার সাথে সঙ্গমে ব্যাস্ত ঠিক সেখান থেকে তার নাম হয়েছে গঙ্গা। আমি কিশোর ভাগীরথী আর তরুণী অলোকানন্দার এই সঙ্গম দৃশ্যেরও সাক্ষী হয়েছিলাম। গাড়োয়াল রাজ্যের অনেককেই আমি বলেছি যে, তোমাদের এখানের ৩০ ফিট চওড়া গঙ্গা বাংলাদেশে ৬ কিলোমিটারের পদ্মা। মজার ব্যাপার হচ্ছে বেশিরভাগ লোকই আমার কথা বিশ্বাস করেনি।

তপোবন ছিলো আমার দেখা আর একটা পরম বিস্ময়। গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ারের বরফ আর বড় বড় বোল্ডারের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে সেখানে যেতে হয়। প্রায় ১৫ হাজার ফিট উচ্চতার প্রচন্ড দুর্গম আর আবহাওয়ার চরম ভাবাপন্ন প্রতিকূল এই স্থানে শুধুমাত্র একজন মহাত্মা বাস করেন। এটি শীতে ৩০ ফুট বরফের নীচে চাপা পড়ে। সবচেয়ে কাছের শহর যেখানে বছরে শুধুমাত্র ৬ মাসের জন্য মানুষ বাস করে সেটিও এখান থেকে যেতে পুরো দুটোদিন লাগে। আর জনমানবহীন এই রূপসুধায় তিনি শুধুমাত্র একা তপস্যা করেন। তার তপস্যার অনেকগুলো স্তরের একটি হচ্ছে যে তিনি ১২ বছর যাবত কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না। এই তপোবনে সেই মাহাত্মাকে ঘিরে আশ্রয় বেধেছে একপাল পাহাড়ী বন্য প্রানী। এই প্রাণিগুলোর কি যেন একটা স্থানীয় নাম আছে, আমি ভুলে গেছি। আমি অবশ্য এগুলোকে হরিণ বলতে বেশি আগ্রহী। তো অমরগঙ্গা নদীর পাশে এই একপাল বন্য পাহাড়ী হরিণের (আমার ভাষায়) মাঝে ছোটাছুটিতে যে এডভেঞ্চার তা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। চারপাশের বরফের চূড়া থেকে আলো ঠিকরে আসছে। বহুদূরে আরো উঁচু পাহাড়ের হাতছানি। কৈলাস, ভগিরথী ১, ভগিরথী ২, ভগিরথী ৩, মেরু, শিবলিঙ্গ, কুন্ডসহ আরো কয়েকটা বিখ্যাত পর্বত চূড়া মন্ত্রমুগ্ধের মতো আকরষণ করে। কোন কোন উপন্যাসে স্বর্গের বর্ণনা বুঝি এভাবেই পেয়েছিলাম।

হিমালয় নির্মমও বটে। তাকে স্পর্শ করতে গিয়ে আমি প্রতিবন্ধকতারও সম্মুক্ষীন হয়েছি। আমি প্রচন্ড জ্বরে ভুগেছি, আমার পায়ে বড় বড় ঠোলা পড়েছে, আমার হাতের নখগুলো দিয়ে রক্ত পড়েছে, আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়েছে, আমার পুরো মুখের চামড়া পুড়ে গিয়ে খসে খসে পড়েছে, দুবার আমি বুঝি অজ্ঞানও হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সবসময়ই বিস্মিতভাবে আমি ভেবেছি, ইয়াল্লা!!! হিমালয়ের এতো রূপ!!!!

হিমালয়ে পথ চলার সময় কখনো কোন ভারতীয় পুরুষ ঠোঁট বেকিয়ে তীব্রভাবে আমাকে ব্যাঙ্গ করেছে আবার কখনো কোন নেদারল্যান্ডের নারী উদাত্তকণ্ঠে প্রশংসা করে আমাকে বলেছে,”ইউ আর দ্যা রিয়েল হিরো।“ ( যদিও তার প্রশংসার যোগ্য আমি ছিলাম না, পরে তার ভুল ভাঙিয়েছিলাম।) তবু এই প্রশংসাটুকুই আমাকে পরবর্তী পথটুকু চলতে দারুনভাবে সাহায্য করেছিলো।

একবার সত্যিকারভাবে মন খারাপ হয়েছিলো। বিশাল হিমালয়ের একটা অংশ থেকে বের হয়ে আসার সময় সেখানকার প্রহরী আমার শরীর আর ব্যাগ চেক করেছিলো। তাকে দেখাতে হয়েছিলো যে আমি এই বিশাল অভয়ারণ্যের কোথাও এতোটুকু ময়লা ফেলে আসিনি। গুনে গুনে তাকে দেখাতে হয়েছিলো বিস্কুটের ছেঁড়া প্যাকেট আর পানির খালি বোতল। আচ্ছা কি হতো একটা বিস্কুটের প্যাকেট এই বিশাল পাহাড়ের কোন এক কোনে ফেলে আসলে! কিন্তু ভারত সরকার তাতে রাজী নয়। সে একটা প্লাস্টকের টুকরো ফেলেও হিমালয়কে কলঙ্কিত করার ব্যাপারে খড়্গহস্ত। অথচ আমরা আমাদের সুন্দরবনকে কিভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যাবহারের মাধ্যমে, আর সেই ধ্বংস সাধনের জন্যও কি বিশাল বিপুল মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে।
হিমালয়কে ভালোবাসি। সবকিছু সুষ্ঠভাবে শেষ হবার জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া।



যশোরের বেনাপোল




কলকাতার বিবাদীবাগ




সকালে ইন্ডিয়ান ট্রেন থেকে আশেপাশে যা দেখা যায় :P B-))





হরিদ্বারের হোরি কি পৌরি ঘাট। এখান থেকেই গঙ্গা সমতলে চলা শুরু করেছে।





বারকোট যাবার পথে পাইনের সারি




জানকিচাট্টি যাবার পথে যমুনা নদী





যমুনাত্রী মন্দিরে যাবার পথ





হিমালয়ে এক পথের মাঝে





যমুনা নদী যে কয়টা পাহাড়ি ঝরনা থেকে উৎপত্তি তারমধ্যে প্রধানতমটি আমার পায়ের নীচে





গঙ্গোত্রী যাবার হাইওয়ে





গঙ্গোত্রীতে ভাগীরথী গঙ্গা





ভাগীরথী গঙ্গার মাঝে





ভুজবাসা যাবার পথ





এই পাহাড়কে পাশ কাটিয়ে ভুজবাসা যেতে হয়





গোমূখ, গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার থেকে গঙ্গা নদী তৈরি হচ্ছে। এখানে নদীটার নাম ভাগীরথী। এটি প্রায় ১৩ হাজার ফিট উঁচু।





এটা গঙ্গোত্রী হিমবাহ। এই বরফ আর বোল্ডারের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে তপোবনে যেতে হয়। বরফ আর বোল্ডারগুলো সবসময়েই
ধ্বসে পড়ছে। স্থির নয় পুরোই অস্থির একটা পথ।





আহ!! তপোবন!!! এটি প্রায় ১৫ হাজার ফিট উঁচু।





তপোবনে পাহাড়ী বন্য ছাগল। (আমার কাছে অবশ্য এগুলো হরিণ।)





একপাল পাহাড়ী বন্য হরিণের মাঝে আমি




কেদারনাথ মন্দির প্রাঙ্গণ





কেদারনাথ





চোপতা বুগিয়াল





আহা!! আমি গোধূলি বেলায় হিমালয়ের এই রূপের সাক্ষী হয়েছিলাম!!






বদ্রীনাথ মন্দির





প্রিয় শহর সিমলাতে





আমার সবচাইতে প্রিয় বাহন সিমলার টয় ট্রেন






দিল্লীর জামে মসজিদে





আমার মুখ কিভাবে পুড়েছিলাম তার ছোট্ট একটা নিদর্শন




বিঃদ্রঃ শয্যাসঙ্গী শব্দটার ভিন্নার্থ না করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। :P







মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আরে আরে করেছেন কি ? আপনি তো সত্যিকার অর্থেই এক পরিভ্রাজন কারী ( বানান ঠিক লিখলাম কি না পরিভ্রমণ হবে ?) অসাধারণ ভ্রমণ !!! আরো অনেক অনেক বার Incredible India আসার আমন্রণ রইলো। আর ওহ হ্যাঁ , পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী হিসাবে যে বা যারা আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে তার জন্য আমি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রাথী। আরও অনেক বার আসুন --অতিথি দেব: ভব: ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা হা ;)
বানান যাই হোক না কেন আমি বুঝেছি। :#)

আপনাকে এতোটা লজ্জ্বিত এবং ক্ষমাপ্রাথী হতে হবে না। :)

আমি আবারো ভারতে ভ্রমনে যেতে আগ্রহী। :>

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটাকেই হয়তো বলে সত্যিকারের এ্যডভেঞ্চার, তবে পশ্চিম বঙ্গের লোকদের ব্যাপারে আমিও আপনার সাথে খারাপ ধারণা পোষণে একমত, যদিও আপনার সাথে ইতিমধ্যেই হাওড়ার একটা বাঙালী পরিবার ভালো ব্যবহার করে ফেলেছে, এটা কাকতালীয় নাকি কে জানে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, আমার নিজের কাছে কিন্তু মনেহয় আপনি যেভাবে বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ান সেটা আরো বড় এ্যডভেঞ্চার। :)


পশ্চীমবঙ্গের বাঙালিদের ব্যাপারে আপনার নিজেরও নিশ্চয় কিছু অভিজ্ঞতা আছে। ;) (এবং সেটা নিশ্চয় তিক্তকর)

হাওড়ার পরিবারটির ব্যাপারে বলতে পারি যে তাদের কিছু আচরণে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি তাদের সাথে এক রাত এক খাটে ঘুমিয়েছি। কিছু ব্যাতিক্রম মানুষ বুঝি দুনিয়ার সবজায়গাতেই থাকে। :)

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৬ কিলোমিটারের পদ্মা কোথাও আছে নাকি ভাই!! বিষয়টা আমার জানা নাই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইরে, আপনি তো প্রথমে আমারে ভয় পাওয়ায়ে দিছিলেন। X( ৬ কিলোমিটারের পদ্মার কথা আমি বলেছিলাম পদ্মা সেতুর উপর ভিত্তি করে। সেটা তো ছয় কিলোমিটারের বেশিই হচ্ছে। সেতুর চাইতে নদীর প্রশস্থতা কিছুটা কম হবে এটা ভেবেই আমি ওকথা বলেছিলাম।

কিন্তু আপনার মন্তব্য আমাকে দ্বিধাগ্রস্থ করে দিয়েছিলো। ভেবেছিলাম, তাহলে কি আমি ভুল বললাম!! যাই হোক আশা করি এই নদীলিঙ্কটা থেকে আপনার মন্তব্যের জবাব পাবেন।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আর জনমানবহীন এই রূপসুধায় তিনি শুধুমাত্র একা তপস্যা করেন। তার তপস্যার অনেকগুলো স্তরের একটি হচ্ছে যে তিনি ১২ বছর যাবত কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না।...........বলেন কি সত্যিই অকল্পনীয় ব্যাপার স্যাপার!!


চারপাশের বরফের চূড়া থেকে আলো ঠিকরে আসছে। বহুদূরে আরো উঁচু পাহাড়ের হাতছানি। কৈলাস, ভগিরথী ১, ভগিরথী ২, ভগিরথী ৩, মেরু, শিবলিঙ্গ, কুন্ডসহ আরো কয়েকটা বিখ্যাত পর্বত চূড়া মন্ত্রমুগ্ধের মতো আকরষণ করে। কোন কোন উপন্যাসে স্বর্গের বর্ণনা বুঝি এভাবেই পেয়েছিলাম। .......এমন শুনলে ইচ্ছে করেনা আর ঘরে থাকতে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা হা হা =p~

আর ওখানে গেলে তো ফেরত আসতে ইচ্ছা করবে না। B-))

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাকে দেখাতে হয়েছিলো যে আমি এই বিশাল অভয়ারণ্যের কোথাও এতোটুকু ময়লা ফেলে আসিনি। গুনে গুনে তাকে দেখাতে হয়েছিলো বিস্কুটের ছেঁড়া প্যাকেট আর পানির খালি বোতল। আচ্ছা কি হতো একটা বিস্কুটের প্যাকেট এই বিশাল পাহাড়ের কোন এক কোনে ফেলে আসলে! কিন্তু ভারত সরকার তাতে রাজী নয়।......অথচ এই বিষয়গুলোর দিকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ঠিক উল্টো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: খুবই কষ্ট লাগে। :|

ঢাকা শহরের কথাই ভাবেন। দুটো কর্পোরেশন থেকে গাদাখানেক ডাস্টবিন বসানো হলো। খুব বেশিদিন আগের কথা না, অথচ এখন আর সেগুলো নেই। নেই মানে নেইই। শহরের অন্য অংশে যাই হোক না কেন, সেনানিবাসে ঢুকে দেখেন কি সুন্দর ঝকঝকে তকতকে। সেখানে কিন্তু ময়লা ফেলার ব্যাপারে সবাই খুব আইন মানতেছে। অথচ বাইরে বের হলেই শহর নোংরা করার প্রতিযোগিতায় সবাই যেন মেতে উঠি আমরা। /:)

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

রঞ্জন সরকার জন বলেছেন: দারুণ লেখা। পড়ে খুব ভাল লাগল। তবে এবার যাত্রা পথের খরচ খরচা সুচতুর ভাবে বাদ দিয়ে গেছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা। :)


যাত্রা পথের খরচ খরচা তো বাদ দিইনি। ;) এখনো তো যাত্রা শুরুই করিনি। B-))

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

আমি গাডডুর বাপ বলেছেন: অসাধারণ এক ভ্রমন কাহিনী সিরিজ এর জন্ম হচ্ছে মনে হয়। আপনি তো জানেন আমি আপনার লেখার বিশেষ ভক্ত। আপনার আর সব লেখার থেকে এই ভ্রমন কাহিনীর শুরুটা সবচেয়ে ভালো হয়েছে।

এবারের ভ্রমন কাহিনীটা চালিয়ে যাবেন আশা করি।
দ্রুত পরের পর্বটা লিখুন।
আর পোস্ট প্রিয়তে নিলাম।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: কখনোই অসাধারণ নয়, বরাবরের মতো সাধারণ একটা ভ্রমন কাহিনী।

আমি নিজে কিন্তু আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়তে বিশেষ আগ্রহী। আশাকরি সেটা খুব দ্রুত পাবো। শুভকামনা জানবেন।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আহা রুবন বলেছেন: পড়ার সময় মনে হচ্ছিল পাশে বসে শুনছি। খুব ভাল লাগল।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, দাওয়াত দিলে সত্যিকার ভাবেই পাশে বসে শোনাতে পারি। B-))

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন: ভ্রমন কাহিনীর পুরো বিবরন চাই............

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: চেষ্টা করবো ভাইয়া। :)

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

বিলুনী বলেছেন: আমি কখনো থেকেছি আশ্রমে, কখনো তাবুতে, কখনো যাত্রীনিবাসে, কখনো রিটায়ারিং রুমে আবার কখনো হোটেলে। কখনো আমার শয্যাসঙ্গী ছিলো কোন জটাধারী ভারতীয় সন্ন্যাসী, কখনো অতিরিক্ত সুদর্শন ফরাসী যুবক আবার কখনো নীলনয়না মোহনীয় লাস্যময়ী ইজরাইলী নারী। সত্যি বলছি, যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে যে আমার জীবনে এখনো পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সবচাইতে আশ্চর্যজ্বনক ঘটনা কোনটি, তাহলে আমি অবশ্যই যে ঘটনাটি বলবো তা হচ্ছে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমার শরীরের সাথে কুন্ডলী পাকিয়ে এক ইজরাইলী নারী অঘোরে ঘুমাচ্ছে। পুরো হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলাম আমি সেসময়।

একরাতে সহযাত্রী রাশিয়ানরাও আমাকে তাদের শয্যাসঙ্গী হবার আমন্ত্রন জানিয়েছিলো। কিন্তু সুদর্শন ফরাসী যুবক আর প্রিয়দর্শিনী ইজরাইলী তরুনীর পর দুটো রাশিয়ান হিপি!!! ওরে বাবা!! এতোটা আমার সহ্য হতো না। ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।


উপরের বোল্ড করা লিখাটুকুর মধ্যে সত্য কতটুকু বিধাতাই জানে ।

যেসমস্ত ছবি দেয়া হয়েছে সে রকম ছবি গুগলের ইমেজে রয়েছে হাজারে হাজারে । এত ছবি না দিয়ে একটি ছবির বিস্তারিত ইতিকথা , বিবরণ এবং তার সাথে জড়িত ঐতিহ্য ও অজানা কথা থাকলে ভাল হত অনেক । বিবরণে আমিত্বের ব্যবহার এতই যা মুল পোস্টের কথাকেও যায় ছাপিয়ে , নীজের কালী নীজের কলম নীজের পোস্ট নীজের কথা বেশীতো লিখতে পারা যাওয়ারই কথা যেমন এখানে আমি লিখেছি নীজের কাছে যা মনে হল তাই ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা হা হা =p~ =p~

ভাইয়া, সত্যতা অনুসন্ধানে ব্যাপৃত না হয়ে ভাবেন যে সায়েন্স ফিকশন পড়তেছেন। তাহলে দেখবেন যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। ;)

যেসমস্ত ছবি দেয়া হয়েছে সে রকম ছবি গুগলের ইমেজে রয়েছে হাজারে হাজারে, সেখানে আরো কয়েকটা যোগ হলে বোধহয় ক্ষতি নেই। :>

যেহেতু গুগলে হাজার হাজার ছবি রয়েছে, দেখবেন যে সেখানে হাজার হাজার ইতিকথা , বিবরণ এবং তার সাথে জড়িত ঐতিহ্য ও অজানা কথাও রয়েছে। একটু কষ্ট করে সেখান থেকে আপনার পছন্দের বিষয় খুঁজে নেন। :#)

ভাইয়া, (আপনাকে ভাইয়া বলেই সম্বোধন করছি, যদিও আপনার নাম দেখে আমি কিছুটা দিধাগ্রস্থ :``>> ), আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে সামু কতৃপক্ষ আমাকে এই পেজটা বরাদ্দ দিয়েছে। আমি এই পেজটাতে টুকটাক লেখি, আর এই লেখা নিয়ে সামু এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমাকে করেনি। লিখতেছি নিজের ভ্রমণ কাহিনী, যে ভ্রমনে গিয়েছি আমি একা। এখানে স্বাভাবিকভাবেই আমিত্ত্বের ব্যাবহার বেশি থাকবে। (যদি দুজন বা তার বেশি যেতাম তাহলে অবশ্যই "আমরাত্ত্ব" শব্দটা ব্যাবহার করতাম B-)) )। যাই হোক, আমি যদি কখনো আপনার ভ্রমণ কাহিনী লিখে দিই তাহলে কথা দিচ্ছি সেখানে "আমিত্ত্বের" বদলে অতি অবশ্যই "আপনিত্ত্বের" ব্যাবহার করে দেব। :P :-P ;)

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আর আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: তাহলে আশা করি এবার আপনাকে হিমালয়ে দেখতে পাবো। :)
শুভকামনা জানবেন। :>

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখার হাত দিন দিন ভালো হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে ভিটা মাটি খুইয়ে
যারা পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে গেছে। তাদের কাছে
বাংলাদেশী মুসলমান হিসাবে এর চেয়ে ভালো ব্যবহার আশা করা বোকামি।
তবে সব দেশেই কিছু ভালো মানুষ আছে বলেই প্রিথিবীটা এখনও টিকে আছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: সত্যি ভালো হচ্ছে!! :-B
থ্যাঙ্কু ভাই থ্যাঙ্কু। :D



বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে ভিটা মাটি খুইয়ে
যারা পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে গেছে। তাদের কাছে
বাংলাদেশী মুসলমান হিসাবে এর চেয়ে ভালো ব্যবহার আশা করা বোকামি।


আসলে সত্যিই তো কখনো এভাবে ভেবে দেখিনি। এটা হওয়ায় তো স্বাভাবিক। নিজের জন্মস্থান থেকে যারা উচ্ছেদ করেছে সেই জায়গার মানুষদের প্রতি রাগ, ক্ষোভ, হতাশা, ঘৃণা এসব থাকতে পারে, এবং এটাই তো হওয়া উচিৎ। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এরকমভাবে আমি ভাবিনি। এদেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য হওয়া মানুষদের প্রতি সত্যিই সমবেদনা প্রকাশ করছি।



ভাইয়া, এবার ইন্ডিয়াতে গিয়ে যেসব বাঙ্গালির সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারা কেউ কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত মানুষ ছিলো না। তাহলে তাদের কাছ থেকে কি আমি ভালো ব্যাবহার আশা করতে পারিনা?


ভাইয়া, আপনাকে আরেকটা কথা বলি। ছোট ছোট দুটো শিশুকে কোলে নিয়ে আমার নানা-নানীকে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে এদেশে চলে আসতে বাধ্য হতে হয়েছিলো। আমার নানা-নানীকে ভিটে মাটি তো খুইয়ে আসতে হয়েছিলোই, এমনকি তারা পরনের কাপড় ছাড়া আর কিচ্ছু নিয়ে আসতে পারেননি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। ভালোবাসা জানবেন। :>

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নতà§

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, কিছুই বুঝতেছি না তো!! :|

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

জাহিদুস সেলিম বাঁধন বলেছেন: ইন্ডিয়ান বাঙালীদের আচরণের কথা শুনে খারাপ লাগলো। যাই হোক খরচাপাতি সহ আরো বিস্তারিত পোস্টের আশায় থাকলাম। :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: খারাপ লাগার কিছু নেই ভাইয়া। একেক অঞ্চলের মানুষ একেক রকম হবে এটাই তো স্বাভাবিক।(কেউ কেউ অবশ্য বেশিই অন্যরকম :#))।


বিস্তারিত পোস্ট দেবার চেষ্টা করবো, আশা করি সাথেই থাকবেন সেই পর্বগুলোর।

১৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

নতুন বলেছেন: অসাধারন হয়েছে। যেতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনার লেখা পড়ে....


কবে যাবো পাহাড়ে... আহারে... :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, পাহাড়ের আনন্দ আর অন্য কোথাও হয় না। বিশেষ করে সেটা যদি হয় হিমালয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই। B-)

১৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আইডি কি আবার ফেরত পেলেন। লেখা নিয়ে কি আর বলব। আপনার উপর হিংসে হয় কত কিছু দেখলেন আপনি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইয়া, আইডিতে কোন সমস্যা হয়নি। আইপিতে সমস্যা হয়েছিলো। আপাতত সমস্যার সমাধান হয়েছে।


আমার উপর হিংসা করে লাভ নেই, আমিও একগাদা মানুষের উপর হিংসা করি। :-*

১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০২

শেখ সৌরভ বলেছেন: অসাধারণ বরাবরের মতো কিন্তু এবার লেখার ধরন টা আগের লেখা গুলো থেকে আলাদা ছিল।চালিয়ে যান সাথেই আছি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: সাথে থাকবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। :)

আচ্ছা, বদলানো নূতন ধরনটা পড়তে খারাপ লাগছে না তো?

১৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

অদৃশ্য বলেছেন:



রাজ ভাই... এইটা কি করলেন আপনি?... ২১ দিনের একটি সফর আর সেটা আপনি কিনা দু'পাতা লিখে দু'টা ছবি দিয়ে পোষ্ট করে দিলেন!!!... মোটেও ভালো লাগবার কথা না আমার, আমি চাই এই ভ্রমণের ডিটেইল নিয়েই আপনি একটি সিরিজ শুরু করেন...

যদিও আপনার এই শর্টকাটে লিখা ঘটনাগুলো আমার দারুন লেগেছে, বরাবরেই মতোই... কিন্তু মোটেও তৃপ্তি পাইনি...

আপনার নেটের সমস্যা কিছুটা সমাধান হেয়েছে জেনে খুশি হয়েছি, চাই সব সমস্যার সমাধান হোক... আর আপনি নিয়মিত আপনার অতি চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের সাথে আপনার অতি চমৎকার লিখনীর মাধ্যমে শেয়ার করেন... অপেক্ষায় থাকলাম... ( লেহ/লাদাখ টু কাশ্মির সিরিজটার কি হবে? )

শুভকামনা...

( মন্তব্য প্রকাশ হচ্ছেনা, চেষ্টা করছি )

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: অদৃশ্য মানব, আপনাকে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। :)

২১ দিনের ঘটনা লিখতে তো আমার দুবছর লেগে যাবে, এতোদিন ধরে পড়ার ধৈর্য থাকবে তো? ;)

নেটের সমস্যার পুরোপুরি সমাধান এখনো হয়নি। :||

এখনো কাশ্মীর সিরিজটার প্রতি আগ্রহ আছে!!! B:-) আমি নিজেই তো ওটার কথা ভুলে গিয়েছি। |-)

সবশেষে আমার নিজস্ব আক্ষেপ, এতো কষ্ট করে লিখি কিন্তু আপনি একজন ব্যাক্তি যাকে আমি তৃপ্ত করতে পারলাম না। আমি সত্যিই হতাশ। :-<

১৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: " আগে থেকেই কলকাতার লোকদের সম্পর্কে আমার ধারণা ভাল ছিলো না। আমি গড়ে তাদেরকে খারাপ ভাবতাম। কিন্তু এখন আমার এই ধারনাটাও বদলে গেছে। এরা হচ্ছে অতিরিক্ত খারাপ।" :#)
অসাধারণ বলেছেন ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা হা :#)

ভাইয়া, এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত অভিব্যাক্তি। এটাকে সরলীকরণ করা বোধহয় ঠিক হবে না। হয়তো অন্যদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। আসলে ভালো-মন্দ নিয়েই তো মানুষ।

২০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে আমি যদি ২১ দিন ভ্রমণ করি সেক্ষেত্রে পোষ্ট হবে মিনিমাম ১০০, আপনার কাছ থেকেও তেমনটি চাই :)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: ও ভাই, আপনার কাশ্মীর ট্যুরের ১০০ পোস্টগুলো কই? B-))

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার লিঙ্কে তো নদী বিষয়ক কোন কিছুই পাইলাম না :(

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, যে পেজটার লিঙ্ক দিতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে না। আপনি লিঙ্কের যে পেইজে ঢুকতে পারছেন সেখানে "ন" বর্ণটি প্রেস করেন। তারপর যে পেজ আসবে সেটার " নদীভাঙন" নামে একটা আর্টিকেল আছে, সেখানে ঢুকবেন। আশা করি সেটাতে তথ্যগুলো পাবেন। :)

২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমার নানা-নানীকে ভিটে মাটি তো খুইয়ে আসতে হয়েছিলোই, এমনকি তারা পরনের কাপড় ছাড়া আর কিচ্ছু নিয়ে আসতে পারেননি।
বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ, এটা তো আর নতুন না। এভাবেই অজান্তেই ঘৃণার চাষাবাদ হয়, কখনো ধর্মের কারনে, কখনো রাজনৈতিক কারনে। এটা শেষ হওয়ার না। এর মধ্যে যদি কিছু ভালো পাওয়া যায় সেটাই ভালো।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: হুম, সেটাই। :>

২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

রাজীব বলেছেন: কেমন আছেন? নেট সমস্যার কারনে অনেকদিন ব্লগে ঢুকতে পারিনি। এবার সবগুলো মজা করে পড়বো ও আপনার চোখে পাহাড় দেখবো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: রাজীব ভাই!!!! আপনি!!!! এত্তোদিন পরে!!!!!
কেমন আছেন ভাই?

আপনি এসেছেন আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। আপনাকে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।

আশা করি সবগুলো পর্বেই আপনার দেখা পাবো।

২৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

অদৃশ্য বলেছেন:




আমিও হতাশ... কেননা আপনি এমন অসাধারণ একটি ভ্রমণ কাহিনী আমাদের সাথে শেয়ার করলেন কিনা এভাবে!!! ... আপনার চমৎকার লিখাগুলো পাঠের জন্য অপেক্ষায় থাকি আর আপনি কিনা পাঠকদের এভাবে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন!!...

আপনার কাছে এই ব্লগের অন্য ভ্রমণ কাহিনী লেখকদের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা থাকে এজন্যই আপনার এই অতি শর্টকাট টাইপ লিখগুলো মনে অতৃপ্তির জন্ম দেয়... ভালো লাগে বলেইতো এমন হয় নাকি? লেখক আশাকরি পাঠকের মনকষ্টের ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করবেন...

শুভকামনা...

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার কবিতার খাতায় আমার কতোগুলো আঁচড় পড়েছিলো, বিনিময়ে আমি একমুঠো সুখ পেয়েছি। সত্যি বলছি, মন্তব্যও যে এমন তৃপ্তিময় হতে পারে তা আমার জানা ছিলোনা। আমার অনুভূতি এমন, যেন তের বছরের এক কিশোরী যে সবে প্রেমপত্র পাওয়া শুরু করেছে। রক্তিমাভা, ভালোলাগা, অস্থিরতা, চাঞ্চল্য সবকিছু জমাট বেধেছে সেই উত্তরগুলোতে।


ভালো থাকবেন এই কামনা করি।

আপনার মন্তব্যের কোন জবাব কিন্তু দিলাম না... সেটা অন্যসময়...

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ লিখেন ভাই, খুব ভাল লাগল পড়ে... :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, আপনি কিন্তু অসাধারণ লেখেন। আমি আপনার একজন নিয়মিত পাঠক। B-)

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

অদৃশ্য বলেছেন:




আরেকজন লাদাখ নিয়ে লিখা শুরু করলো আর আপনি লাদাখ পর্যন্ত লিখে গোঁফে তা দিয়ে ঘুমচ্ছেন!... পরের পর্ব কবে পাচ্ছি আপনার কাছ থেকে?...

আর একটি কথা, একজন পরিব্রাজক যখন কবি/সাহিত্যিক হয়ে ওঠেন তখন আর সাধারণ কবি/সাহিত্যিকের থেকে তিনি উৎকৃষ্ট অবস্থানে থাকেন কেননা তখন তার শব্দ থেকে তৈরিকৃত দৃশ্যগুলো প্রকৃত/সুন্দর দৃশ্য হয়ে ওঠে... আমি আন্তরিকভাবেই চাই আপনিও উপভোগ করুন শব্দের সৌন্দর্য...

শুভকামনা...
শুভকামনা...

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: কিন্তু একজন কবি যখন যখন ভ্রমনকারী হয় সেটা নিশ্চয় সর্বচ্চো পর্যায়ে পৌছায়। আমি সেটার স্বাদ পেতে চাই। আশা করি আপনার কাছ থেকে সেটা পাবো। একজন কবি তার ভ্রমণ কাহিনী ফুটিয়ে তুলছেন, আমি সেই সময়টার অপেক্ষাতে বসে আছি। আশা করি নিরাশ হবো না।

২৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

জে আর সিকদার বলেছেন: আপনার রুট ফলো করে, ভ্রমণ পিপাসায় আকটু জল দিতে চাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমাকে কমিশন দিতে হবে কিন্তু। B-) আমি এই রুটের পেটেন্ট নিয়েছি। B-))

২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

পরাগ ০৪ বলেছেন: ২১ দিনের সফরের জন্য ২১টি সিরিজ পোস্ট চাই, এইভাবে ফাকি দিলে চলবে না ! কখনো যাবার সৌভাগ্য হলে যাবো তবে তার আগে বিনা পাসপোর্ট, ভিসায় আপনার সাথে এইভাবে বেড়াতে চাই, আপনি আগের সিরিজটাই এখনো শেষ করলেন না :(
এনিওয়ে ভাই বইমেলায় বই বের করেন, আপনার বই বেস্টসেলার হবে চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি :) ভালো থাকবেন ভাই।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: মাত্র ২১ টি পোস্ট!!! #:-S এর বেশি হলে কি কোন সমস্যা হবে? 8-|

ভাই, আপনি বিনা পাসপোর্ট, বিনা ভিসায়, ফ্রী ফ্রী বেড়াতে চান, সেটা তো হবে না। আমাকে কমিশন দিতে হবে। :#)

বইমেলায় বই কে বের করবে? আমি!!!!
:D :D :D

ভালো থাকবেন ভাই। মন্তব্যের জন্য শুভকামনা।

২৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৫

রুবাইয়াত শোভন বলেছেন: আগের সিরিজ শেষ না করলে এই সিরিজের উপর অবরোধ চলবে। বলে দিলাম কিন্তু। :`>

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ;)
আপনি নিজেই তো আপনার সিরিজ কন্টিনিও করতেছেন না। X(

৩০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনুসরন শুরু করে দিলাম আপনাকে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। :)

৩১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন!!!
প্রিয়তে রাখলাম!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আশাকরি পরবর্তী পর্বগুলোতেও আপনাকে পাশে পাবো।

৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

masswood বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি লেখাই পড়েছি, অসাধারণ গুছিয়ে লিখেন।
এই সিরিজটা পড়ার সময় এখনও হয়ে ওঠে নি তবে স্টাট করলাম আজ।
ভাল থাকবেন আর আপনার সাথে ট্যুর-এ যাব বলছিলাম যদি নেন, ৬-৭দিনের প্ল্যান থাকলে দয়া করে জানাবেন :`>

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

আমি তো হুঠহাট করেই ট্যুর দিই। কখনোই তো সেভাবে প্ল্যান করিনা।
আপনি একটা প্ল্যান করে আমাকে নিয়ে যান। :)

৩৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

masswood বলেছেন: রেডি থাকবেন কিন্তু :P

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ওক্কে :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.