নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তর ভারতের হিমালয় (পর্ব - প্রারম্ভিকতা)

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১



আগের পর্ব
পরের পর্ব
সবগুলো পর্ব
অনেক আগে একটা উপন্যাস পড়েছিলাম, যেটার নায়ক থাকে ১১/১২ বছরের একটা ছেলে। আমি যখন সেটা পড়ি তখন আমিও সেই বয়সি ছিলাম, তাই উপন্যাসটার সাথে একেবারে মিশে গিয়েছিলাম। কাহিনীটা ছিলো ব্রিটিশ আমলের। গল্পের বিষয়টা থাকে এরকম যে, ছেলেটার বড় চাচী রেঙ্গুন শহরে থাকে। যেটি এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বেশি নারী অধিকার সম্বলিত দেশের সবচেয়ে বড় শহর। তার চাচী অপূর্ব কারুকার্যখচিত সুদৃশ্য কাঠের বাক্সে গহনা রাখে, কুচি দিয়ে শাড়ি পড়ে, শাড়ির আচল থাকে ছোট। খোপায় ফুলের মালা জড়িয়ে আর রঙিন বার্মিজ ছাতা হাতে নিয়ে রোজ বিকালে ঘুরতে বের হয়।

তো এই দৃশ্যটা আমার মনে গেথে গেছে, আর এটিই আমাকে বার্মার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিলো। আমি জানি সেখানে কোন বাঙালি রমনীকেই আমি ছোট আঁচলের কুঁচি দিয়ে পড়া শাড়ি, খোপায় গোঁজা ফুল আর রঙিন বার্মিজ ছাতি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখবো না, কিন্তু সত্যিই তেমন কিছু আছে কিনা শুধুমাত্র তা খোজার জন্য মায়ানমার যাবো।

এবং অবশেষে একটা পর্যায়ে আমার ইয়াঙ্গুন শহরে যাবার সুযোগ এসেছিলো। পর্যটন মেলা থেকে এক বন্ধুর বদৌলতে এই সুযোগটা পেয়েছিলাম। আমার প্রথমে ঠিক বিশ্বাস হয়নি!! কৈশরের স্বপ্নটুকু একেবারে হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছিলো! আমি খুবই খুশি ছিলাম, প্লেনের টিকিট পর্যন্ত কনফার্ম হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু হঠাত করে আমার বাবা বেঁকে বসেছিলেন, তিনি আমাকে কিছুতেই মায়ানমার যেতে দিতে রাজী হননি।

যেহেতু তিনি রাজী হননি এজন্য ইয়াঙ্গুন যাওয়াটা আমার পক্ষে অসম্ভবপর হয়ে দাড়িয়েছিলো। ব্যাপারটা নিয়ে আমি খুবই মনোকষ্টে পড়েছিলাম।আমার বাবা আমার এই দূরাবস্থা দেখে বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কয়েকদিন পর তিনি আমাকে বলেছিলেন যে মায়ানমারের বদলে আমি অন্য কোথাও যাতে পারি। আমি আর সময়ক্ষেপণ না করে তাকে বলেছিলাম,”ঠিক আছে, আমি তাহলে হিমালয়ে যাবো।“ স্মিথ হেঁসে বাবা আমাকে সম্মতি জানিয়েছিলেন।


আমার পক্ষে ভারতে যাওয়ায় সবথেকে সুবিধাজ্বনক ছিলো। কিন্তু ভারতে যাবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে অসুবিধা সেটি হচ্ছে ভিসার জন্য ইটোকেন পাওয়া। ভিসা সহজে পাওয়া যায়, কিন্তু ই টোকেন সহজে পাওয়া যায় না। একটা ট্রাভেল কোম্পানিকে দিয়েছিলাম ই টোকেন করতে। কিন্তু মাসখানেক পার হয়ে যাবার পরেও সেটি না হওয়াই আমি রিপন ভাইয়ের দারস্থ হলাম।
রিপন ভাই হচ্ছেন এমন একজন মানুষ যিনি আমার যতো অপ্রয়োজনীয় কথা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং আমার যতো অপ্রয়োজনীয় কাজ খুবই গুরুত্বের সাথে করে থাকেন। এই মানুষটা ৫ দিনের মাথায় আমাকে ই টোকেন করে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু মাঝের চারটি দিন আমি তাকে প্রচন্ড ভাবে বিরক্ত করেছি, আসলে আমিও তখন অস্থির হয়ে ছিলাম। রিপন ভাইয়ের মেয়েটা হাসপাতালে অথচ আমি তখন তাকে ক্রমাগত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি, এই ব্যাপারট ভাবলে এখন আমি সত্যিকারভাবে অপরাধবোধে আক্রান্ত হই। রিপন ভাই, আমি আপনার কাছে সেই সময়টার জন্য ক্ষমা প্রাথনা করছি।


ই টোকেন হয়ে গেল, সব কাগজপত্র ঠিকঠাক এখন শুধু নির্দিষ্ট দিনে জমা দিতে পারলেই হলো। হঠাত কি মনে হওয়াতে একদিন বিকালে কৌতুহলবশত ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারে কল দিলাম, তখন সেখান থেকে আমাকে জানালো যে ডলার এন্ডোসমেন্ট লাগবে ২ সপ্তাহের মধ্যকার তারিখের।


আমার ৬ মাস আগে থেকে এন্ডোস করা ছিলো, কিন্তু সেটাতে নাকি চলবে না। নূতন করে করা যেতেই পারে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কি কারনে যেন সরকারি আর সাপ্তাহিক মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি, আর তারপরেই আমার জমা ডেট। এখন এন্ডোস করাই কোথা থেকে!! সে সময় হাজির হলেন আমি গাডডুর বাপ । আমার দেখা সবচাইতে বুদ্ধিদিপ্ত মানুষদের একজন। (আগের ভ্রমন সিরিজটাতে আমি একটা ধাধা ধরেছিলাম, তিনিই ছিলেন সর্বপ্রথম সঠিক উত্তর প্রদানকারী। আরো কয়েকটি ব্যাপারে তার চটজলদি মন্তব্যে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছি। তবে তিনি সবসময়ই আক্ষেপ করেন, কারণটা হচ্ছে ভাবী নাকি তার মেধার একেবারেই মূল্যায়ন করতে চায় না। আমি সবসময় তাকে স্বান্তনা দিই এই বলে যে ভাবীর আইকিউ নিশ্চয় তার থেকেও বেশি। তিনি কি ভাগ্যবান!! এরকম বুদ্ধিমতি বউ কজনের ভাগ্যে জোটে?) তো গাড্ডুর বাপই কিভাবে কিভাবে যেন আমার ডলার এন্ডোস করে দিলেন।


সব ঝামেলা শেষ, নির্দিষ্ট দিনে গুলশানে গেলাম ফর্ম জমা দেবার জন্য। কি বোকা আমি!! আমার সিরিয়াল পড়েছে তিনতলায়, আর আমি দু ঘণ্টা যাবত দোতলায় বসে আছি!! দোতলার কাউন্টারের লোকটা আমার উপর চরম বিরক্তি প্রকাশ করলো। আবার গেলাম তিনতলায়, সেখানে একেবারেই সময় লাগেনি। মাঝখান থেকে এতোক্ষন সময় নষ্ট হলো।


সপ্তাহখানেক পরে গেলাম পাসপোর্ট ফেরত আনতে। এক বছরের ভিসা হয়েছে, কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গাতে। অমানিশার কালো মেঘ আমার মুখে প্রতিফলিত হইলো, তলপেট চিনচিন করিয়া উঠলো, আর অনাগত ভয়ঙ্কর দুর্যোগের দুশ্চিন্তায় অস্থির হইয়া উঠিলাম আমি। মানসপটে ভাসিয়া উঠিলো বিশালবপুর বাড়িওয়ালি আন্টির মুখখানি। এবার ভিসা ফরমের সাথে বিদ্যুৎ বিলের আসল কপি জমা দিয়েছিলাম। ইন্ডিয়ান এম্বাসি সেটা ঝেড়ে দিয়েছে!!! (এই ঘটনার পর থেকে আমি এখনো পর্যন্ত আর আমার বাড়িওয়ালি আন্টির মুখোমুখি হইনি)।


ভিক্ষা দাও হে পুরবাসী :#)
এই ব্যাপারে প্রথম ঝাপটা গেল আমার মামাতো ভাইয়ের উপর দিয়ে। আমার ঘ্যানঘ্যানে অস্থির হয়ে সে একদিন আমাকে উত্তরাতে নিয়ে গেল। তারপর অসাধারণ একটা ট্রাভেল ব্যাগ কিনে দিলো। ব্যাগ কেনা শেষে আমাকে খাওয়ালো। তারপর একগাদা ঝাড়িঝুড়ি আর উপদেশ দিয়ে আমাকে বিদায় দিলো। আমি তার ঝাড়িঝুড়িতে কিছুই মনে করিনাই। কারণ আমার মন জুড়ে তখন আছে শুধুই অসাধরন ব্যাগটা। বড় ব্যাগটার একটা ছোট বাচ্চাও আছে। ব্যাগ যে এরকম হতে পারে তা আমার ধারণাতেও ছিলো না। আমি বাচ্চা ব্যাগটা নিয়ে খুবই আপ্লুত ছিলাম। (এই বাচ্চা ব্যাগটা পরে আমাকে হিমালয়ের গহীনে সত্যিকারভাবে সাহায্য করেছিলো।)


হেঁটে হেঁটে উত্তরা থেকে মিরপুর আসছি ( সেদিন এক অপ্সরীর স্বর্গ থেকে মর্তে আরোহণ উপলক্ষ্যে এয়ারপোর্ট থেকে দুপাশের রাস্তা পুরো বন্ধ ছিলো) মূর্তিমান বিভীষিকার মতো দেখি সামনে সেতু আর নিয়ন। ( এই বাংলাদেশী রাজপুত্রদ্বয়ের সাথে আমার কলকাতাতে পরিচয়, যা আগের সিরিজে বিস্তারিত আছে)। তবে লস হয়নি এদের সাথে এই হঠাত সাক্ষাৎকারে। আমি ইন্ডিয়াতে যাবো এই উপলক্ষ্যে তারাও কিছু দান করলো (অবশ্যই কিছু স্বার্থের বিনিময়ে)। একফাকে ১০০ টাকার বিনিময়ে আমি আমার পুরানো সানগ্লাস সেতুকে গছিয়ে দিলাম (রাতের অন্ধকারে বেচারা বোঝে নাই নূতন নাকি পুরাতন সানগ্লাস)।


এবার আমার মামা-মামীর পালা। মামারা রাগে গজগজ করতে করতে আমাকে কিছু ধরিয়ে দিলো। অবশ্য যা ধরিয়ে দিলো তার থেকে বেশি শুনিয়ে দিলো। মামীরা অবশ্য খুব খুশিমনেই দিলো। একগাদা টাকার সাথে একগাদা ফরমায়েশও দিলো।(তাদের ফরমায়েশি জিনিসপত্র আনতে আমার খুবই কষ্ট ও হ্যাপা সহ্য করতে হয়, সকরুণ ভাবে এটা বোঝানোতে অনুদানের পরিমাণ আরো বাড়লো।)


একদিন বড় খালা বাড়ি বেড়াতে গেছি, খালাম্মা আমাকে চুপিসারে একটা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার ট্যুর উপলক্ষ্যে একটা বড় নোট দিয়ে বললেন যে খালু যেন টের না পায়। তারপর খালু আমাকে চুপিসারে আলাদা একটা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনটে বড় নোট ধরিয়ে দিয়ে বললেন যে খালাম্মা যেন ঘুণাক্ষরেও টের না পায়।(আমি অবশ্য কাউকেও কিচ্ছু টের পেতে দিইনি।)


এতো জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করলাম, তারপরেও অনেকখানি কম। কিছুটা মন খারাপ, কারণ যতো বেশি টাকা ততো বেশিদিনের ট্যুর। ঢাকা থেকে রওনা দেবার আগেরদিন বিকালে আশিক আমার বাসায় এসে উপস্থিত। আশিক হচ্ছে আমার অসম্ভব প্রিয় একজন সহপাঠী ও বন্ধু। অসম্ভব ভালো এই মানুষটা জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলেনি। (আমি বেশ কয়েকবার ওকে দিয়ে মিথ্যা বলানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু লাভ হয়নি। হুজুর মানুষ, খুব ভালো গজল গাইতে পারে। আমার ক্লাসের অধিকাংশ সময় এই ছেলেটার পিছনে দুষ্টুমিতে কাটে।) একগাদা ডেঙ্গু জ্বর গায়ে নিয়ে সে উপস্থিত। তারপর একতোড়া ঝকঝকে নোট আমার দিকে এগিয়ে দিলো। (আল্লাহ নিশ্চয় ওর এই সাহায্যের খুব ভালো প্রতিদান দেবেন, আমীন)।


ঢাকার সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ করে যশোরের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য যশোরে বাড়িতে গিয়ে দুদিন বিশ্রাম নেব, তারপর কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করবো।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

আমি গাডডুর বাপ বলেছেন: আপনি তো ভাই আমাকে লজ্জিত করে ফেললেন। আপনার মত বিখ্যাত লোকের ব্লগে আমার নাম। B-) B-)

সত্যি টা হোলও আমি মোটেও তেমন বুদ্ধিমান না। হয়ত বা আপনি আমার থেকেও বেশি বোকা এইজন্য আমাকে বুদ্ধিমান ভাবেন :D :D

কিন্তু যে এত সুন্দর করে লেখে সে কিভাবে বোকা হয়।

যাইহোক নুতুন লেখার শুরু করার জন্য ধন্যবাদ। এতদিন আপনাকে করা অনুরধ রেখে অবশেষে নূতন সিরিজ শুরু করলেন।

ভাই পরের লেখাটা তাড়াতাড়ি দিয়েন। এই লেখাটা ভালো হইছে।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

আমি গাডডুর বাপ বলেছেন: আপনি তো ভাই আমাকে লজ্জিত করে ফেললেন। আপনার মত বিখ্যাত লোকের ব্লগে আমার নাম। B-) B-)

সত্যি টা হোলও আমি মোটেও তেমন বুদ্ধিমান না। হয়ত বা আপনি আমার থেকেও বেশি বোকা এইজন্য আমাকে বুদ্ধিমান ভাবেন :D :D

কিন্তু যে এত সুন্দর করে লেখে সে কিভাবে বোকা হয়।

যাইহোক নুতুন লেখার শুরু করার জন্য ধন্যবাদ। এতদিন আপনাকে করা অনুরধ রেখে অবশেষে নূতন সিরিজ শুরু করলেন।

ভাই পরের লেখাটা তাড়াতাড়ি দিয়েন। এই লেখাটা ভালো হইছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনাকে লজ্জ্বায় ফেলবো এরকম সাহস আমার নেই। বাপরে!!! বিপদে পড়বো নাকি!!!! :-B
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, "আমি বিখ্যাত লোক'' আপনার এরকমটা মনে হবার কারণ কি? :D


সত্যি টা হোলও আমি মোটেও তেমন বুদ্ধিমান না। হয়ত বা আপনি আমার থেকেও বেশি বোকা এইজন্য আমাকে বুদ্ধিমান ভাবেন এটা হতে পারে। =p~ =p~ =p~

নূতন সিরিজ শুরু করতে পেরে আমার নিজেরও ভালো লাগছে। সিরিজটা শুরুর ব্যাপারে আপনার "বাঁশ" থেরাপিরও যথেষ্ট অবদান আছে। ;) তবে জানিনা যে কতোদিন কন্টিনিও করতে পারবো। দিনদিন আমি ধৈর্যহারা হয়ে যাচ্ছি।

খুব তাড়াতাড়িই পরের পর্বটা দেবার চেষ্টা করবো। লেখার কাজ চলতেছে। সমস্যা হচ্ছে ধৈর্য ধরে লিখতে পারছি না।

ভালো থাকবেন ভাই। আপনার সাথে আমার কি যেন একটা দেনা-পাওনা রয়েছে। B-)) তাড়াতাড়িই সেটা মিটিয়ে ফেলতে হবে। B-)

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: যাক বাঁচলাম! আরেকটা সিরিজ তাহলে শুরু করলেন। অনুরোধ রইল, লিখে যেতে কার্পণ্য করবেন না একদম। ☺
আপনাকে তো সবাই ভালবাসে, আর আপনার ট্যুর নিয়েও আত্মীয়-স্বজন ও আশেপাশের সবাই উৎসাহী বলে মনে হচ্ছে।
"""স্মিথ হেঁসে বাবা আমাকে সম্মতি জানিয়েছিলেন""" এখনে দুইটা বানান ভুল, "স্মিত হেসে" হবে। তার একটু নিচেই "সুবিধাজ্বনক" বানানটাও ভুল। তবে তাতে কিছু যায় আসে না। বিশাল লেখায় অগোচরে এমন ভুল হয়েই থাকে।

দুয়া করি, আপনি দারুণ সব লেখা লিখে পাঠকসেবায় ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। ২০০ বছর বেঁচে থাকুন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: বাঁচলেন মানে কি? এতোদিন কি বেঁচে ছিলেন না? =p~

আমাকে সবাই ভালোবাসে এটা সত্যি, তবে ট্যুর নিয়ে আমার কোন আত্মীয়-স্বজন একেবারেই উৎসাহী না। বরঞ্চ তাঁরা এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার উপরে খুবই বিরক্ত থাকে সবসময়।

ভাই, বানান ভুল না ধরলে হয় না? :-* আমি বাংলাতে খুবই খারাপ। এসএসসি এবং এইচএসসিতে বাংলাতে পাশ মার্কের কাছাকাছি পেয়ে কোনরকমে পাশ করেছিলাম। :||

ভাই, আপনিও কিন্তু বানান ভুল লিখেছেন। B-))


ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

অদৃশ্য বলেছেন:




প্রারম্ভপর্ব দুর্দান্ত... চমৎকারভাবেই উপস্থাপন করতে পেরেছেন এই পর্বটা... ভ্রমণ কাহিনী এভাবে পাঠ করতেই সম্ভবত বেশি ভালোলাগে... আমি আগেও বলেছি যে অনেক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ও একটি ভ্রমণ কাহিনীর সৌন্দর্য বর্ধন করতে পারে। আর ফাঁকে ফাঁকে যদি চমৎকার কিছু ঘটনা বা গল্প যোগ করতে পারেন তাহলে সেটা আরও উপভোগ্য হয়... আশাকরছি সামনের পর্বগুলো আরও চমৎকারভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন...

আরও যা বলবার আছে তা হলো, আপনি অতিমাত্রায় স্লো... যদিও জানি যে আপনার সমস্যার কারনেই এমনটা হয়েছে তাই এর থেকে বাড়তিকিছু আর বলছিনা... আশাকরবো এখন থেকে নিয়মিত বিরতিতে আপনি আপনার লিখাগুলো আমাদেরকে পাঠের সুযোগ করে দেবেন... জানি যে চাপ প্রয়োগ করে ভালো কিছু পাওয়া যায় না, এটাকে তাই চাপ হিসেবে না নিয়ে বা না দেখে পাঠকের আগ্রহ /প্রত্যাশা হিসেবে দেখার জন্য আপনাকে অনুরোধ করবো... কেননা আমি অন্তত চাই আপনি আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও কাহিনী দারুন লিখার মাধ্যমে উপস্থাপন করুন... যেহেতু আপনি লিখছেন আর পাঠক তা উপভোগ করছে তাই পাঠকে অবহেলা করবার কোন সুযোগ নেই আপনার... অথবা তা করা ঠিক হবেনা...

হিমালয়ের ইতিহাস জানা হলো... আমি ভাবছি হিমালয়ের খুব কাছে যাবার পর আপনি হিমালয়কে কিভাবে দেখেছেন আর হিমালয় আপনাকে কিভাবে ডেকেছে... নিশ্চয় কোন একদিন আপনি তা প্রকাশ করবেন...

পরেরটার জন্য অপেক্ষা শুরু হলো...

রাজের জন্য
শুভকামনা...


১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অদৃশ্য মানব,


আপনাকে অসংখ্য ভালোবাসা। আপনি যে আমার লেখাগুলো পড়েন এটা আমার জন্য অন্যরকম আনন্দের। একজন কবি, যার লেখা একটা কবিতা আমার শারীরিক কষ্টের কারণ হয়েছিলো, আমি প্রচন্ডভাবে মুগ্ধ হয়েছিলাম যার সৃষ্টিতে, সেই স্রষ্টা ছেলেমানুষির কৌতূহলে আমার দুর্বল লেখাগুলি মনোযোগ সহকারে পাঠ করে এটা আমাকে মুগ্ধতার অন্য এক স্তরে নিয়ে যায়।


আমি লেখালেখির ক্ষেত্রে শুধু যে স্লো তাই না, আমার ধৈর্যও অনেক কম। তারপরও আমি চেষ্টা করব যতোদ্রুত সম্ভব পরবর্তী পর্বগুলো লিখতে। আমি জানি সবসময়েই আপনাকে আমার পাশে পাবো।

একজন কবির সাথে আমি হিমালয় দেখতে চাই। আমি হিমালয়কে দেখবো না, আমি তখন কবিকে দেখবো। আমার কি সেই সৌভাগ্য হবে?

ভালো থাকবেন অদৃশ্য মানব ...

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যাক অবশেষে আপনার সাথে আমরাও একটা ভ্রমনে যাচ্ছি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: যাচ্ছেন তো, কিন্তু টিকিট কেটেছেন কি? B-))

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার একজন ভ্রমন কাহিনী লিখকের সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছি ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে আমি একজন চমৎকার পাঠকের সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছি। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.