নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় কিছুই পরিবর্তন করে না, যদি না তুমি পরিবর্তন এর চেষ্টা করো।
আরাফ ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। সে গল্পের বই পড়তে অনেক পছন্দ করে। এই বয়সেই সে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের উপর শিশুতোষ বইগুলো পড়ে ফেলেছে। সে স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিবে। সে পড়া শেষে সকল গল্পের বই সুন্দর করে জমিয়ে রাখে, তার মা-বাবা বলেছে তাদের আশেপাশে যেসকল বাচ্চারা বই কিনতে পারেনা তাদের কে দিবে বই গুলো
সৈকত আরাফদের পাশের এলাকাতে থাকে। সে বই পড়তে পছন্দ করে অনেক, কিন্তু বই কেনার মতো অবস্থা তাদের নেই। তাদের বাসার পাশের একটা স্কুলে সে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে।
একদিন তাদের স্কুলে অনেকগুলো গল্পের বই নিয়ে আসলো পাশের এলাকার কিছু ছেলে মেয়ে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই ছিলো। সৈকত এতো গল্পের বই দেখে খুশি হয়ে যায়, তার চোখ চকচক করতে থাকে। তাদের স্কুলে একটা ছোট লাইব্রেরি করা হয়, সৈকত সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে বই নিয়ে পড়তো। সৈকত সেখানে অনেক বইয়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বই পায়। সৈকত স্বপ্ন দেখে, সে একদিন দেশের জন্য কাজ করবে।
২৫ বছর পর......
আরাফ সেনাবাহিনীর একজন মেজর হয়েছে। তার সহকারী আরেকজন মেজর সৈকত তার ভালো বন্ধু। আরাফ ও সৈকত মিলে প্রতি বছর বিভিন্ন জেলার স্কুলে গল্পের বই দিয়ে লাইব্রেরি করে দেয়।
[আমাদের দেশে এমন হাজারো আরাফ ও সৈকত রয়েছে আমাদের বিশ্বাস। প্রতিটি আরাফ যদি এগিয়ে আসে, তবে এমন হাজারো সৈকত আমরা পাবো দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে]
আপনার একটি বই হতে আরেকজনের জীবনের স্বপ্ন।
#পড়ুয়া_উৎসব_২০১৭
#happy_reading
#donate_at_least_one_story_book
ইভেন্ট লিংকঃ Click This Link
যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ ০১৯৪৪৯১২৭২৯
১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। সম্ভব হলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। আর তাদের বলুন কম করে হলেও ২জনকে যেনো জানায়। এতে একসময় কেউ না কেউ বই দিবে তাদের লাইব্রেরি করার জন্য। ^_^
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
কানিজ রিনা বলেছেন: খুবভাললাগল।