নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ছেলেটা, নাম কি রে তোর?আমি বললাম, “ফুসমন্তর !”

পার্থিব পার্থ

এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি। শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও–

পার্থিব পার্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিং টিং ছট প্রশ্নগুলো

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪






ভূমিকম্প কিংবা সুনামি হলে যেমন হঠাৎ করে সব ভেঙে-চুড়ে ধ্বংস হয়ে যায় তেমন এক ধ্বংসলীলা মানুষের মনোজগতেও হয়। যখন দিনের পর দিন লালন করা বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ভালোলাগার বোধগুলো কোন এক শক্তিশালী ধাক্কায় এক নিমিষে টলে যায় তখন মনে হতে থাকে নিজের ভেতরে এতদিনের গড়ে ওঠা এক নগর যেন তার সব ইতিহাস নিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভেতরের সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নতুন নগর সভ্যতার সৃষ্টি খুব কম মানুষই করতে পেরেছে। বাকিরা দিশেহারা নাবিকের মত শুধুই একটুকরো জমিনের আশায় অপেক্ষায় করে গেছে। আমি কোন দলে পড়ব তা বলার সময় এখনো আসেনি। যদিও আমি দিশেহারা নাবিকের মতই খুঁজে চলছি কোন এক ইউটোপিয়ান সাম্রাজ্য। শেষ পর্যন্ত কি খুঁজে পাব আর কি পাবনা তা হয়তো সময়ই একদিন বলে দিবে।

একটি শিশু যখন এক অপার্থিব মায়ার জগত ছেড়ে যখন এমন এক জগতে এসে পড়ে যেখানে বেঁচে থাকার অর্থ মানেই এক নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তখন অনেক কিছুই মেনে নিতে কষ্ট হয়। ছোটকাল থেকেই সারভাইবের নামে তাকে শেখানো হয় সমাজের কিছু প্রচলিত নিয়ম কানুন। পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসের কিছু বীজ তার উর্বর মস্তিষ্কে এমন ভাবে রোপণ করে দেওয়া হয় যেন ধীরে ধীরে তা এক বৃক্ষ হয়ে ওঠে। আমিও ব্যাতিক্রম কেউ ছিলাম না। আমি অনেক আদর যত্নেই বেড়ে উঠেছিলাম। তবে সেই ছোটকাল থেকেই আমার খুব অবাক হওয়ার স্বভাব ছিল। যেমন যে বয়সে রাস্তায় হাঁটতে গিয়েও ভয় পেতাম সে বয়সে যখন দেখতাম আমার বয়সি কেউ রাস্তা ঘাটে শ্রম দিচ্ছে, এমনকি ছোট একটা শরীর নিয়ে কি অবলীলায় রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন এক দৃশ্য দেখে একদিন খুব হিংসা হয়েছিল আমার। সেদিন মনে মনে প্রায় ঠিকই করে ফেলেছিলাম যে, যেভাবেই হোক একদিন আমাকে রিক্সাচালক হতে হবে! এমন অনেক কিছুই আমার হতে ইচ্ছা করত। আমার মনে হত আমার বয়সি সেসব শ্রমজীবী শিশুরা আমার চেয়ে অনেক স্বাধীন এবং আনন্দে জীবন যাপন করে। সবকিছু পেয়েও নিজেকে কেমন যেন বন্দি মনে হত। যদিও তারপর আরেকটু বড় হয়েই আমি অনেক কিছুই বুঝে ফেলেছিলাম।

একদিনের কথা খুব স্পষ্টভাবে মনে আছে। রেল স্টেশনে বসে আছি। সেখানে আমার বয়সী এক পরিচিত ছেলে ছিল। তার সাথে অনেক কিছু নিয়েই কথা হচ্ছিল। যেমন কমিক্সের কোন চরিত্র পছন্দ! কার শক্তি বেশী! টিপু সুলতান থেকে শুরু করে শচিনের ব্যাটিং কিছুই বাদ যাচ্ছিল না। হঠাৎ করে দেখলাম আমাদের বয়সেরই আরেক ছেলে মাথার উপর দুইটা ব্যাগ আর হাতে একটা বস্থা নিয়ে এক লোকের পিছে পিছে দৌড়াচ্ছে। আমি মুগ্ধ হয়ে সে ছেলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এই লিকলিকে শরীরে এত শক্তি সে পেল কোথায়! তার জন্য আমার খুব মায়া হচ্ছিল। আমি আমার বন্ধুকে বললাম, ওদের অনেক কষ্ট। দেখ, আমরা কত আরামে আছি। অথচ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ। কিন্তু আমরা যে বয়সে পড়ালেখা করছি, কমিক্স পড়ছি কিংবা শচিনের মত ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি সেই একই বয়সে এই ছেলে কুলিগিরি করছে। কিন্তু কেন? বন্ধুকে বলতে সে খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল এই ছেলেত কুলিই হবে। কারন সে পূর্ব জন্মে পাপ করেছিল। যারা অনেক পাপ করে তারা আবার পরের জন্মে গরিব হয়ে জন্ম গ্রহন করে। তাকে নাকি তার বাবা এসব কথা বলেছে। আমি বললাম তুমি হাস্যকর কথা বলছ। এমন কিছু হতেই পারেনা। সে বলল যেহেতু তার বাবা বলেছে তাই সেটাই ঠিক। ভাবলাম এই বিষয় নিয়ে আমার বাবার সাথেও কথা বলতে হবে। একদিন বাবাকে বললাম আচ্ছা কেউ কেউ এত গরিব হয় কেন যে তাদের বাচ্চাদের কাজ করে ক্ষেতে হয়। এসব কি পাপের ফল? নাকি অন্য কিছু। বাবা মুচকি হেসে বলেছিলেন এই বয়সেই এসব চিন্তা মাথায় ঢুকে গেছে! আরেকটু বড় হলে এসব প্রশ্নের জবাব নিজেই বুঝে যাবি! আমিও মনে মনে ভাবতাম আমাকে বড় হতে হবে। অদ্ভুত সব প্রশ্নের জবাব আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে।

হঠাৎ করেই একদিন খুব পড়ার অভ্যাস হয়ে গেল। পাবলিক লাইব্রেরীতে ভর্তি হয়ে গেলাম। স্কুলে খুব ভালো ছাত্র ছিলাম। কিন্তু পড়ালেখায় ক্ষতি হতে পারে এই অজুহাতে কেউ আমাকে লাইব্রেরী যেতে নিরুৎসাহিত করেনি। বরং বাবা মায়ের উৎসাহে আমার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। একদিন সুকান্তের এক ছড়া পড়লাম। ছড়ার নাম পুরনো ধাঁধা।

বলতে পার বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে?
গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?
বড়মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি,
গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি?
বলতে পার ধনীর বাড়ি তৈরি যারা করছে,
কুঁড়েঘরেই তারা কেন মাছির মতো মরছে? ধনীর মেয়ের দামী পুতুল হরেক রকম খেলনা,
গরীব মেয়ে পায় না আদর, সবার কাছে ফ্যালনা।
বলতে পার ধনীর মুখে যারা যোগায় খাদ্য,
ধনীর পায়ের তলায় তারা থাকতে কেন বাধ্য?
'হিং-টিং-ছট্' প্রশ্ন এসব, মাথার মধ্যে কামড়ায়,
বড়লোকের ঢাক তৈরি গরীব লোকের চামড়ায়।।


একদম আমার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নগুলো নিয়ে কি অসাধারন এক ছড়া লিখে ফেলেছেন কবি সুকান্ত।


একদিন মাক্সিম গোর্কী নামক এক লেখকের আমার ছেলেবেলা নামক এক বই পড়া শুরু করলাম। যতই পড়তে থাকলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল নতুন কোন এক রাজ্যে আমি ঢুকে পড়েছি। আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল সেই স্টেশনে দেখা কুলির শৈশব এই বইয়ের পরতে পরতে মূর্ত হয়ে উঠেছিল। বাবা বলল এত মনোযোগ দিয়ে কি পড়ছিস, দেখি! বইয়ের নাম দেখে বলল এইত খুঁজে পেয়েছিস! এখন দেখবি অল্প সময়েই অনেক বড় হয়ে যাবি! হাসি মুখেই সে কথাগুলো বলেছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম আমি কৈশোরের ঘোর ভেঙে কঠিন বাস্তব এবং নিষ্ঠুর এক জগতের মুখোমুখি হচ্ছি। অনেক কিছু জানার এক অদম্য ইচ্ছা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলছিল!


চলবে



মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

বনমহুয়া বলেছেন: পার্থ..........:)
তোমার লেখা!

থ্যাংক ইউ..... ওয়েট আগে পড়ি।:)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

পার্থিব পার্থ বলেছেন: মজা পেয়েছ মনে হয়! কেন, আমি কি লিখতে পারিনা?

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

বনমহুয়া বলেছেন: সেদিন মনে মনে প্রায় ঠিকই করে ফেলেছিলাম যে, যেভাবেই হোক একদিন আমাকে রিক্সাচাল্ক হতে হবে!

তুমি রিক্সাচালক হতে চেয়েছিলে? :(

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

পার্থিব পার্থ বলেছেন: আরো অনেক কিছুই হতে চেয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত পারলাম কই???

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার লেখা।

স্তরবিন্যাসের ভিতরের রূপটা ফুঁটে উঠেছে লেখায়। সাথে বিবেককে নাড়া দেওয়ার মত প্রশ্নও। কিন্তু, সত্য কথা এই যে- এগুলোর উত্তর কারো জানা নেই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

পার্থিব পার্থ বলেছেন: রক্তিম ভাই, উত্তর হয়তোবা জানা আছে। কিন্তু সমাধান নাই!!!

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

বনমহুয়া বলেছেন: বন্ধুকে বলতে সে খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল এই ছেলেত কুলিই হবে। কারন সে পূর্ব জন্মে পাপ করেছিল। যারা অনেক পাপ করে তারা আবার পরের জন্মে গরিব হয়ে জন্ম গ্রহন করে।

ছোটবেলায় তোমার এত গাধা এক বন্ধু ছিলো আমি জানতাম না। :(

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

পার্থিব পার্থ বলেছেন: মহুয়া, এমন গাধা তোমার চারপাশেও অনেক আছে! শুধু তারা একটু স্মার্ট বলে তুমি ধরতে পারনা!!!!

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

বনমহুয়া বলেছেন: একদম আমার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নগুলো নিয়ে কি অসাধারন এক ছড়া লিখে ফেলেছেন কবি সুকান্ত।


একদিন মাক্সিম গোর্কী নামক এক লেখকের আমার ছেলেবেলা নামক এক বই পড়া শুরু করলাম। যতই পড়তে থাকলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল নতুন কোন এক রাজ্যে আমি ডুকে পড়েছি।


সেই রাজ্যে এখনও আছো তুমি কিন্তু তুমি ঢুকে বানান ঠিক করো।

অনেক ভালো হয়েছে লেখাটা। একদম তোমার মতনই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

পার্থিব পার্থ বলেছেন: কি যে বল তুমি!

আমি আবার লিখতে পারি নাকি?

বানান ঠিক করছি।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

বনমহুয়া বলেছেন: রক্তিমভাই স্তরবিন্যাস কি?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

পার্থিব পার্থ বলেছেন: আমি মনে হয় বুঝেছি!

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

বনমহুয়া বলেছেন: ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩ ০
লেখক বলেছেন: মহুয়া, এমন গাধা তোমার চারপাশেও অনেক আছে! শুধু তারা একটু স্মার্ট বলে তুমি ধরতে পারনা!!!!


পার্থ তুমিও আমার আশে পাশে মানে পাশে পাশে আছো তাই বলে তুমি গাধা না। তুমি আমার দেখা মহা বুদ্ধিমান যাযাবর। !:#P

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

পার্থিব পার্থ বলেছেন: আমি স্পয়েলড ওয়ান!

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

বনমহুয়া বলেছেন: না তুমি স্পয়েল্ড হবে কেনো?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

পার্থিব পার্থ বলেছেন: কেন তুমি জান না? সমাজের মূল ধারায় না থাকলেই বিচ্ছিন্নতাবাদী খেতাব দিয়ে দেওয়া হয়!

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সমাধানের প্রথম ধাপই তো প্রশ্নের উত্তর।

উত্তর থাকলে তো সমাধান থাকতই। তবে এইক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম। উত্তর আছে, সমাধানও আছে। সেই উত্তর-সমাধানেও আছে কিছু প্রশ্ন। সেইগুলোরও নেই উত্তর। থাকলেও আছে আরো প্রশ্ন।

সর্বোপরি, হিং টিং ছট প্রশ্নগুলো শিরোনামটা তো বিনা কারণেই আপনার মাথায় আসেনি। শিকল-বিক্রিয়ায় ঘুরছে শুধু প্রশ্নগুলো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

পার্থিব পার্থ বলেছেন: মাঝে মাঝে উত্তর থাকে। কিন্তু সমাধান থাকেনা। যেমন ধরেন সব ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এটা নিউটনের গতিসূত্রের একটা সূত্র। কেউ এটা বলে দিলে উত্তর দেওয়া হবে। এখন যদি তাকে আবার বলা হয় এটা প্রমান করতে তখন এবং সে যদি না জানে কেমনে প্রমান করতে হবে তাহলে কিন্তু বিপদ! মানে সে তখন উত্তর জানবে কিন্তু সমাধান না! এমন কিছু ব্যাপার আছে যার উত্তর সবাই জানে, কিন্তু প্রমান করতে গেলেই ডিগবাজি খায়!!

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

বনমহুয়া বলেছেন: ইয়া আল্লাহ। রক্তিমভাই আপনি আমার মাথায় তো জট পাকায়া দিবেন আজকে। কি বিপদ কিচ্ছু বুঝিনা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

পার্থিব পার্থ বলেছেন: মহুয়া, একটা সিগারেট ধরাও। অর্ধেক টেনে বাকিটা আমার জন্য রেখে দিও!!!

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গভীর চিন্তা-ভাবনার বিষয়, উপলোব্ধির বিষয়!

লেখা ভালো লেগেছে । প্রতিটা মানুষেরই কুসংস্কারাচ্ছন্ন বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে অাসা উচিত ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

পার্থিব পার্থ বলেছেন: মানুষ আসলে শক্তের ভক্ত আর নরমের যম টাইপ। পড়েছেন দেখে ভালো লাগল।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

বনমহুয়া বলেছেন: পার্থ

তোমার পোস্টের শেষে লেখা কবিতাটা নিয়ে আমারও একটা মজার অভিজ্ঞতা আছে। কালকেই বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি যদি আবার রাগ করো তাই বলিনি। আজ অনেক সাহস সঞ্চয় করে ভাবলাম বলেই ফেলি।

ছোটবেলায় ৫/৬ বছর বয়সে আমার মায়ের সাধ হয়েছিলো আমাকে গান শিখাবেন তাই গানের স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। আমি যেদিন প্রথম গানের স্কুল যাই সেদিন দেখলাম বড় ভাইয়ারা কি একটা অনুষ্ঠানের জন্য এই গান গাইছে। হারমোনিয়ান নিয়ে। আমি তো কথাগুলো শুনে থ!

বলতে পার বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে?
গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?

ভাবলাম, তাইলে কি বড়লোকেরা গাড়ির তলায় পড়েনা? এক্সিডেন্ট কি শুধুই গরীবদের জন্য? তাইলে মা কেনো বলে, সাবধানে হাঁটিস না কেনো? গাড়ি চাপা পড়বি নাকি? আমরা কি বড়লোক নাকি গরীব? সেই চিন্তায় পড়ছিলাম।

বড়মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি,
গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি?

এই লাইনগুলোতে হলো আরও বিপদ। আমার তো লুচি মিষ্টি চেনা আছে কিন্তু খোলামকুঁচিটা ঠিক খেতে কেমন ? আমার তো সেটা খেতেই তখন ইচ্ছে করছিলো। মাকে জিগাসা করতে এমন চোখ পাঁকালো। :( আমি মনে করবার চেষ্টা করলাম খোলার পিঠে কবে যেন শুনেছিলাম। আর মনে পড়লো মাটির খোলায় করে একদিন আমার দাদী পিঠা বানিয়েছিলো। খোলামকুঁচি মনে হয় ঐ খোলাটাকেই ভেঙ্গে কুঁচি করে খেতে হবে। তক্কে তক্কে থাকলাম কবে সেটা ভাঙ্গা যায় আর টেস্ট করে দেখা যায়।

ছোটবেলায় আমি খুব পেটুক ছিলাম।
আরও বাকী গানটা শুনে শুনে কি হয়েছিলো জানতে চাও? জানতে চাইলেই বাকীটা বলবো। তুমি কিন্তু রাগ করতে পারবেনা আগেই বলে দিচ্ছি।:(

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

পার্থিব পার্থ বলেছেন: মহুয়া,

তোমার সব অভিজ্ঞতার গল্প শুনতেই আমার ভালো লাগে। আসলে তুমি যা কিছুই বল আমি খুব মুগ্ধ হয়ে শুনি। তবে আমি প্রকাশ করিনা। তাই তোমার মনে হয় আমি বুঝি রাগ করতে পারি। রাগ করার প্রশ্নই আসেনা!

আসলে ছড়াটি একটি রূপক। যেমন ধর একই বয়সি কোন মেয়ে গাড়িতে করে স্কুলে যাচ্ছে, আবার কেউ রাস্তায় ঘুরে সেই গাড়িতেই ফুল বিক্রি করছে। কিন্তু কেন? যে মেয়েটি গাড়িতে করে স্কুলে যাচ্ছে সেত আর নিজের চেষ্টায় গাড়ি কিনেনি। আবার যে মেয়েটি ফুল বিক্রি করছে সে হয়তোবা তার মত সুযোগ পেলে অনেক বড় কিছু হতে পারত।

আবার এ দেশেই কত শিশু দরকার মত প্রোটিন পাচ্ছেনা তা তুমি জান। এখন কেন এসব হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রবন্ধের পর প্রবন্ধ লিখতে হবে। কিন্তু তাতে তুমি বিরক্ত হবে। তুমি যেমন আমাকে মুগ্ধ কর তোমাকে তেমন ভাবে মুগ্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই। তাই বলে তোমাকে বিরক্ত করব, তা কি হয়?? :P

কি হয়েছিল আমি জানতে চাই। আমি রাগ করবনা। তুমি পিচ্ছি থাকতে কেমন ছিলে, কি করতে সেটা কল্পনা করতে ভালোই লাগবে। :)

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিবেককে ব্যবহার করে জ্ঞানার্জন করা হলে সেটাই প্রকৃত কার্যকরী জ্ঞান। কারণ সেটাই মানুষ জাতির জন্য কার্যকরী কোন উপায় বের করতে প্রলুদ্ধ করে।

আপনার পোস্টে চিরন্তন কিছু সামাজিক বৈষম্য উঠে আসছে। ধন্যবাদ জানবেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

পার্থিব পার্থ বলেছেন: জ্ঞানার্জন মানেই কিছু নিয়ম শিখে ফেলা না!! বরং অসংগতি গুলো খুঁজে বেড় করে তাকে পরিবর্তন করাটাই জ্ঞানের প্রয়োগ হতে পারে।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

বনমহুয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: মহুয়া,

তোমার সব অভিজ্ঞতার গল্প শুনতেই আমার ভালো লাগে। আসলে তুমি যা কিছুই বল আমি খুব মুগ্ধ হয়ে শুনি। তবে আমি প্রকাশ করিনা। তাই তোমার মনে হয় আমি বুঝি রাগ করতে পারি। রাগ করার প্রশ্নই আসেনা!



পার্থ

লজ্জা পাচ্ছি তো। :`>

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১

পার্থিব পার্থ বলেছেন: লজ্জা পাওয়ার মত কিছু বলেছি নাকি? বেশী লজ্জা লাগলে হিজাব পড়ে বসে থাকতে পার!!! :P

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

বনমহুয়া বলেছেন: পার্থ সেকেন্ড পার্ট কবে লিখবে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

পার্থিব পার্থ বলেছেন: খুব দ্রুতই লিখে ফেলব। তবে তুমিত জানোই যে, আমি একটু অলস!!

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: নিজের স্বত্তাকে জাগ্রত করে নিজেকে জানার চেষ্টা এবং নিজের বিবেক সজাগ রেখে নিজের ভেতরের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলে সঠিক পথ-মতের সন্ধান কিছুটা হলেও পাওয়া যায়।
লেখাতে অনেকগুলো বিষয় আসছে।ভালো লেগেছে চলতে থাকুক+++

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

পার্থিব পার্থ বলেছেন: নিজেকে জাগ্রত করার সে পথে অনেক বাঁধা বিপত্তি আছে। খুব কম মানুষই সেসব অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

শায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর পার্থীবভাইয়ু। তুমি কি খুব গম্ভীর টাইপ চুপচাপ?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

পার্থিব পার্থ বলেছেন: হ্যাঁ এবং না!!!!!

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এবং না এটা আবার কি???? :(

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

পার্থিব পার্থ বলেছেন: এটা আপনার প্রশ্নের উত্তর! :)

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

বনমহুয়া বলেছেন: শায়মাআপু পার্থ গুরু গম্ভীর। পেটে বোম্ব মারলেও সহজে কথা বের হয়না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

পার্থিব পার্থ বলেছেন: তুমি কি বোমার চাইতেও ভয়াবহ???

তোমাকে দেখলেত আমার সব কিছুই বলে ফেলতে ইচ্ছে করে! তারপরও চুপ থাকার চেষ্টা করি!!!

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

বনমহুয়া বলেছেন:

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

লেখক বলেছেন: তুমি কি বোমার চাইতেও ভয়াবহ???

তোমাকে দেখলেত আমার সব কিছুই বলে ফেলতে ইচ্ছে করে! তারপরও চুপ থাকার চেষ্টা করি!!!


বলে ফেলতে ইচ্ছা করে কিন্তু বলো নাতো! :((

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

পার্থিব পার্থ বলেছেন: বলবনা!!

তুমি সামলাতে পারবে না!! পরে আসলেই বোম মেরে দিতে পার!!!

২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

বনমহুয়া বলেছেন: বোম মারবো কেনো? নিশ্চয় বোম খাওয়া কাজ করেছো। দাঁড়াও মজা দেখাচ্ছি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

পার্থিব পার্থ বলেছেন: আমি এমনিতেই অনেক মজায় থাকি!! তুমি মজা দেখালে ভেসেই যাব!!! :P

২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

বনমহুয়া বলেছেন: এই মজাতে ভাসতে হবেনা। পানিতে চুবাবো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

পার্থিব পার্থ বলেছেন: সাঁতার পার? আমি কিন্তু পারিনা! সলিল সমাধি হইলে কিন্তু আমার দোষ নাই!!

২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

বনমহুয়া বলেছেন: না না সলিল সমাধি হবে কেনো? আমি তো সাঁতার পারি। তুমি যে পারোনা সে তো জানাই আছে। ভয় নাই। মরার আগে উঠায় দেবো। আর স্যুইমিং পুলে চুবাবো । মরার চান্স কম।:)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

পার্থিব পার্থ বলেছেন: পানি খাইতে হবে মনে হচ্ছে। চুবানোর আগে স্যুইমিং পুলে একটু চিনি আর লেবু দিয়ে দিও!!! সরবত খাইতে খুব একটা খারাপ লাগবে না!! :P

২৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

বনমহুয়া বলেছেন: শরবৎ বানান ভুল করছো। তোমার শরবতে করলা সিদ্ধ দেওয়া হবে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

পার্থিব পার্থ বলেছেন: ঠিক আছে! একটু মিষ্টি দেখে করলা দিও!!

২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

বনমহুয়া বলেছেন: মিষ্টি করলা না ঠিক আছে কাঁঠালের আমসত্ব দেবো ।:)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

পার্থিব পার্থ বলেছেন: তুমি আর আমি মিলেত একরকম কাঁঠালের আমসত্বের মত ব্যাপারই হয়!!!!

২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

বনমহুয়া বলেছেন: তুমি কাঁঠাল। আঁঠাওয়ালা বিচ্ছিরি তাইনা? :)

আর আমি আমসত্ব হবো। আমসত্ব দুনিয়ার সবচাইতে ভালো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

পার্থিব পার্থ বলেছেন: তোমার মনের সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করলে আমি অবশ্যই কুৎসিত! অনেক কুৎসিত! তুমিও দুনিয়ার সবচাইতে ভালো। :)

ঠিক আমসত্বের মত!!! :P

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

বনমহুয়া বলেছেন: পার্থ :`>

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

পার্থিব পার্থ বলেছেন: একটা কবিতা লেখার চেষ্টায় আছি!! সরকার সব বন্ধ করে দিয়েছে। কি আর করব বল?

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

বনমহুয়া বলেছেন: কি আর করা বাংলাদেশে আছো। আমি একাই ফেসবুকে থাকি প্রবাসীদের সাথে।:(

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

পার্থিব পার্থ বলেছেন: অনেক কিছুই করার আছে। না দিলে আদায় করে নিতে হয়!!!

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

বনমহুয়া বলেছেন: পার্থ ওয়েটিং ফর ইওর গপ্পু!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

পার্থিব পার্থ বলেছেন: কিছুদিন পর থেকেই শুরু হবে গল্পঝড়!!! আরেকটু অপেক্ষা কর!

৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ১৩. ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬ ০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিবেককে ব্যবহার করে জ্ঞানার্জন করা হলে সেটাই প্রকৃত কার্যকরী জ্ঞান। কারণ সেটাই মানুষ জাতির জন্য কার্যকরী কোন উপায় বের করতে প্রলুদ্ধ করে।
আপনার পোস্টে চিরন্তন কিছু সামাজিক বৈষম্য উঠে আসছে। ধন্যবাদ জানবেন।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮ ০
লেখক বলেছেন: জ্ঞানার্জন মানেই কিছু নিয়ম শিখে ফেলা না!! বরং অসংগতি গুলো খুঁজে বেড় করে তাকে পরিবর্তন করাটাই জ্ঞানের প্রয়োগ হতে পারে।


পার্থ ভাই, একমত।

নেক্সট পোস্ট তো দেন নাই।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

পার্থিব পার্থ বলেছেন: সময় পেলেই লিখে ফেলব!

৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

নিমগ্ন বলেছেন: একদিন বাবাকে বললাম আচ্ছা কেউ কেউ এত গরিব হয় কেন যে তাদের বাচ্চাদের কাজ করে ক্ষেতে হয়। এসব কি পাপের ফল? নাকি অন্য কিছু। বাবা মুচকি হেসে বলেছিলেন এই বয়সেই এসব চিন্তা মাথায় ঢুকে গেছে! আরেকটু বড় হলে এসব প্রশ্নের জবাব নিজেই বুঝে যাবি! আমিও মনে মনে ভাবতাম আমাকে বড় হতে হবে। অদ্ভুত সব প্রশ্নের জবাব আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে।


আপনার বাবাকে আমার অন্তরের অন্থঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই। আমার বাবাও এইরকম সৃজনশীল ছিলেন। আই লাইক হিম ভেরি ভেরি মাচ____________

পরের পোস্টের অপেক্ষায়____

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

পার্থিব পার্থ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.