নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামান্য একজন মানুষ। বোধহয় বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি। তেমন বেশি কিছু করতে চাইনা, শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। এই প্রতিজ্ঞা-ই রইল।।

সাঈদ জামিল

সাঈদ জামিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকেই জেনে অভাক হবেন!! (কবি ভানুসিংহ এবং তার পরিবার ঠাকুর বংশ নিয়ে কিছু তথ্য)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

কাজী মোতাহের হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোন লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলেন, "কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের রসূলের জীবন চরিত ও ভালো লাগে নি ৷" [ বিতণ্ডা, সৈয়দ মুজিবুল্লাহ, পৃ- ২২৯]
বঙ্কিম চন্দ্রের "বন্দে মাতরম" গানের সুরকার ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ৷ ইতিহাস জ্ঞান না থাকার দরুণ অনেকের কাছেই "বন্দে মাতরম" গানের মূল উদ্দেশ্য অজ্ঞাত ৷ ভারতের মুসলমানদের শহীদ করা হয় বন্দে মাতরম স্লোগানে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে ৷ ভারতে হিন্দু আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করাই ছিলো রবীন্দ্রনাথের আজীবন সাধনা ৷ এসব কারনে পাকিস্তান আমলে তাকে এদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিলো ৷
স্বাধীনতার পর "র" এর চক্রান্তের অংশ হিসেবে কিছু নামধারী মুসলমান রবীন্দ্রনাথের মাহাত্ম্যের (!) মিথ্যা কাহিনী ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করে ৷ "র" এর এজেন্টদের প্রচারণার ফসল হিসেবে পশ্চিম বঙ্গের শান্তি নিকেতনের আদলে বাংলাদেশে ৩৫ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় "রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়" এর নির্মাণ কাজ চলছে ৷
শান্তি নিকেতনটা আসলে কি? শান্তি নিকেতন হচ্ছে হিন্দুদের ব্রাক্ষ্ম সমাজের মন্দির, আশ্রম ও বিভিন্ন পূজার আখড়া ৷
শান্তি নিকেতনে স্কুল প্রতিষ্ঠার পূর্বে রবীন্দ্রনাথ তাঁর চিন্তাধারা সম্পর্কে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর কাছে লিখিত এক পত্রে জানিয়েছিলেন, "শান্তি নিকেতনে আমি একটি বিদ্যালয় খুলিবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতেছি ৷ সেখানে ঠিক প্রাচীন কালের গুরুগৃহ বাসের মত সমস্ত নিয়ম ৷ ধনী- দরিদ্র সকলকেই কঠিন ব্রক্ষ্মচুর্যে দীক্ষিত হইতে হইবে ৷ ছেলে বেলা হইতে ব্রাক্ষ্মচর্য না শিখিলে আমরা প্রকৃত হিন্দু হইতে পারিব না ৷" (চিঠিপত্র, রবীন্দ্রনাথ, পৃ-৩৫)
১৯০২ সালে শান্তি নিকেতন ব্রাক্ষ্ম বিদ্যালয়ে ব্রাক্ষ্ম শিক্ষক কুঞ্জ লাল ঘোষ কবির নিকট জানতে চায়, ছাত্ররা প্রণাম করলে তা নেওয়া হবে, না নিষেধ করা হবে? উত্তরে কবি লিখেন, "যাহা হিন্দু সমাজ বিরোধী তাহাকে এ বিদ্যালয়ে স্থান দেওয়া চলিবে না; সংহিতায় যেরূপ উপদেশ আছে, ছাত্ররা তদনুসারে ব্রাক্ষ্মণ অধ্যপকদিগকে পদ স্পর্শ পূর্বক প্রণাম ও অন্যান্য অধ্যাপক দিগকে নমস্কার করিবে ৷ এই নিয়ম প্রচলিত করাই শ্রেয় ৷" (রবীন্দ্র জীবনী, ২য় খন্ড, পৃ- ৪৭)
বাংলার মুসলমান শাসকগণের উদারতার সুযোগ নিয়ে বাণিজ্যিক কেন্দ্রের কথা বলে "ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ" নির্মাণের মাধ্যমে রচিত হয়েছিলো বাংলার গোলামীর ইতিহাস ৷ বৃটিশদের প্রথম থেকেই যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছিলো ঠাকুর পরিবার তাদের মধ্যে অন্যতম ৷ "র" পৃষ্টপোষকতায় নির্মিত "রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়" এর মাধ্যমে নতুন কোন গোলামীর ইতিহাস রচনা হতে যাচ্ছে সেটাই ভাবার বিষয় ৷

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মাইরালচে!!

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

সাঈদ জামিল বলেছেন: আর বাকি কিছু থাকার উপায় রাখছে কি ভাই!!

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৭

বিপরীত বাক বলেছেন: স্বাধীনতার পর "র" এর চক্রান্তের অংশ হিসেবে কিছু নামধারী মুসলমান রবীন্দ্রনাথের মাহাত্ম্যের (!) মিথ্যা কাহিনী ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করে ৷


রবীন্দ্রনাথ যখন প্রচার ও প্রসার লাভ করে (১৮২০ ১৮৪০) তখন " র" এর বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্টি র কারুরই জন্ম হয়নি।।


বাংলার মুসলমান শাসকগণের উদারতার
সুযোগ নিয়ে বাণিজ্যিক কেন্দ্রের
কথা বলে "ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ"
নির্মাণের মাধ্যমে রচিত হয়েছিলো
বাংলার গোলামীর ইতিহাস

বরং এ সময়ই বাঙালা যা একটু জাতে উঠেছিল।।। এখনকালের যা একটু ভব্যতা সভ্যতা এই বাঙালা রা শিখেছে তা ওই বৃটিশদেরই অবদান।


"র" পৃষ্টপোষকতায় নির্মিত "রবীন্দ্র
বিশ্ববিদ্যালয়" এর মাধ্যমে নতুন কোন
গোলামীর ইতিহাস রচনা হতে যাচ্ছে
সেটাই ভাবার বিষয় ৷

পা এর নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত আপাদমস্তক চামচা ( চাকরও নয়, ডাইরেক্ট চামচা) র জাত, দাস, গোলাম এই বাংলা কুত্তাবিলাই গুলোকে নতুন করে গোলাম বানানোর কি আছে সেটাই ভাবার বিষয়।।
ভাবুন,, আরেকটু ভাবুন,, গভীর ভাবে,,, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণথেকে।।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১১

বিপরীত বাক বলেছেন: জগৎের নিকৃষ্ট তম জাতি,, দেউলিয়া, অন্তঃসারশূণ্য, টাউট বাটপার ধান্দাল জাত এই বিশ্বাসঘাতক বাংলা জাতের যদি একটা মাত্র গর্বের বিষয় বা বস্তু থাকে তা হবে এই রবীন্দ্র সংগীত আর রবীন্দ্র সাহিত্য।।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩২

সাঈদ জামিল বলেছেন: আপনিও ভাল করে জানবেন। ইতিহাস কি বলে? রবিদ্রনাথ যে একজন কপিবাজ তা বিভিন্ন ব্লগার প্রমাণ করেছেন। কপিবাজি করে ওনি কুখ্যাত থেকে বিখ্যাত হয়েছেন। তবে যতই বিখ্যাত হন না কেন ওনি আমার চোখে কুখ্যাত।।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪০

সাঈদ জামিল বলেছেন: যদি বাংঙ্গালী টাউট বাটপার ধান্দাবাজী হয়, আপনিও জাতির সন্তান হিসেবে টাউট বাটপার-ই। ভাই গাল মাইরা লাভ নাই, রবিন্দ্রনাথ আমাদের দেশের নাগরিক ও না, কচুও না। রবিন্দ্রনাথের যে জাতীয় সঙ্গীত আছে তাও বাউল গান হতে সুর নকল করে করেছেন।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪১

চ্যাং বলেছেন: রবিন্দ্রনাথ দাদুর মেধা আছিল, তয় হের লগে ধান্দাবাজিটা, জমিদারিটা ভালুই জানত। হে মুসলমানরে হিংসাইতো এইডা যেমন ঠিক আছে তেমনি ঠিক আছে শান্তিনিকেতনের ব্যাপারটা। ঐহানে হেয় হিন্দুয়ানি চালাইতে চাইছিল।

আফটার অল দাদুরে মাফ করি দিসি। কারন হের গীতাঞ্জলি বাংলা ভাষার সম্পদ না?

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

সাঈদ জামিল বলেছেন: আমার বাংলা ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর স্যার বলেন, আগের কবি, সাহিত্যিক, উপন্যাসিকরা তাদের মন মত কতগুলো লিখে গেছেন। তা এখন আমাদের বাংলা ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্যারের মতে, এই ভাষার নাকি কোন মা বাপ্ নেই, এতিম একটি ভাষা আমাদের বাংলা ভাষা(রসিকতা পূর্ণ বাক্য)

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৫

সাঈদ জামিল বলেছেন: আমার বাংলা ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর স্যার বলেন, আগের কবি, সাহিত্যিক, উপন্যাসিকরা তাদের মন মত কতগুলো লিখে গেছেন। তা এখন আমাদের বাংলা ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্যারের মতে, এই ভাষার নাকি কোন মা বাপ্ নেই, এতিম একটি ভাষা আমাদের বাংলা ভাষা(রসিকতা পূর্ণ লাইন)

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সেই সে কয়েকটি কথা দিয়ে কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়?পুরো সৃষ্টিকে অস্বীকার করা যায়? নিরপেক্ষভাবে বিচার করলেই ভালো হয় বোধহয়। আর আদর্শিক ব্যাপারটা আসলেই দ্বন্দ্বের। আর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ব্যতিক্রম হবে?

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

সাঈদ জামিল বলেছেন: আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.