নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামান্য একজন মানুষ। বোধহয় বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি। তেমন বেশি কিছু করতে চাইনা, শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। এই প্রতিজ্ঞা-ই রইল।।

সাঈদ জামিল

সাঈদ জামিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটি কাঁদে,, প্রতি রাতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১০

আমি যে মেয়েটিকে চিনি, সে চারদেওয়ালির আড়ালে কাঁদতে ভালবাসে। তার রুমটিতে কয়েক বছর ধরে আলোর দেখা নেয়। সে এখন বোধহয় আলো পছন্দ করেনা। সে একা একা বাঁচার কথা বলে প্রায়। তাকে যেন কেউ-ই বিরক্ত না করে তা ঘরের প্রত্যেকটা সদস্যকে বলা আছে। কি জানি মেয়েটিকে কোন অশুভ মায়া গ্রাস করেছে? মেয়েটি কাঁদে। প্রায় সময় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।
.
মেয়েটি অনেক ভাল ছিল। হঠাৎ কি জানি কি হল? আদৌ কি এর ভেতর কোন রহস্য লুকিয়ে আছ? এই ব্যাপারটা কি কেউ জানেনা? হ্যাঁ! অনেকেই জানে। তাইতো এখন মেয়েটির কথা ওঠলে সমাজে ছি ছি করে। এই অপমানে মেয়েটি অনেকবার আত্নহত্যা করতে গিয়েছিল, কিন্তু পারেনি। সে এখন সবদিক থেকে বাঁধাগ্রস্ত। সে পবিত্র ছিলি। সে নিষ্পাপ ছিল। কিন্তু যারা বুঝার, তারা বুঝেনি। মাঝে মাঝে মেয়েটির মনে হাবিজাবি প্রশ্ন জাগে। 'আসলে যারা ধর্ষক সমাজে কেন তাদের নিয়ে ছি ছি করেনা?' 'কেন মেয়ে বলে আমরা ধর্ষিতা হয়ে গেলাম এবং সোসাইটি আমাদের নিয়ে কেন এত ছি ছি করে?' 'আর যারা ধর্ষক কেন তারা এত বড় অপরাধের শর্তেও বেঁচে যায়?' 'কেন নির্দোষ হয়েও আমাদের এই অভিশাপ কাঁধে বয়ে বেড়াতে হবে?'
.
আমাদের সোসাইটি আছে। আর এই সোসাইটিতে কিছু মানুষ আছে। যারা নিমেষেই কোন ঘটনাকে অন্যরূপ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যারা তিলকে তাল করতে ভালবাসে! যারা রতনকে হরতন বানাতে ভালবাসে! আসলে তারা কি মানুষ? তাদের মধ্যে কি হিউম্যানেটি বোধ আছে? কিন্তু তারাই হচ্ছে আজকের সমাজের সচেতন নাগরিক। একটা মানুষ বিপদে পড়েছে। পারলে এই সোসাইটি সেই মানুষটাকে ভরসা দেবে সেই না, বরংচ তার বদলে তারা আরো মানুষটাকে তুবড়ে ফেলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা হয় মানসিক ভাবে। যার কারণে এক সময় মানুষটাকে সত্যি সত্যিই ভারসাম্যহীন হতে হয়।
.
মেয়েটি এখন পাগল। সমাজ তাকে বাধ্য করেছে পাগল হতে। আর যে ধর্ষক সে এখনো পাখির মত উড়ে বেড়াচ্ছে। হইত অন্য কোন অবুঝ বালিকার পেছনে। হইত কারো মেয়ে বা বোনের পেছনে। ঠিক একই উদ্দেশ্যে। হইত তারাও একসময় ছোবলের শিখার হতে পারে। কিন্তু এই মেয়েটির কি হবে? সমাজ চাইলে মেয়েটিকে বাঁচিয়ে তুলতে পারত। সাহস দিয়ে হোক কিনবা ভরসা দিয়ে। সমাজের অবশ্যয়ই সঠিক প্রেক্ষাপট জানার দরকার ছিল! কিন্তু তারা জানার প্রয়োজন বোধ করেনি। কারণ, এতে হইত কারো স্বার্থ ছিলনা।
.
এতক্ষণ যে মেয়েটির কথা বলছিলাম, তার কক্ষের দিকে এখন কারোর চোখ পড়েনা। কারণ মেয়েটি নষ্ট পতিতা। হ্যাঁ! তাইতো বদ্ধ কক্ষে সে মেয়েটি এখনো কাঁদে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

মহা সমন্বয় বলেছেন: কেন এত কাঁদে.... :(

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সমাজের কথা বাদ দ্যান। এরকম কিছু হলে সবার আগে মেয়েটিকে তার পরিবারকে সাপোর্ট দিতে হবে কিন্তু পরিবারের সদস্যরা অনেক সময় দেয় না উল্টা নিজের মেয়েকেই দোষ দেয়। তাই সমাজের কাছ থেকে এরকম প্রত্যাশা করার আগে নিজের ঘরের সাপোর্ট পাওয়া জরুরী, তাতে মনোবল আরো বাড়ে। কান্দাকাটি করে লাভ তেমন হয় না বললেই চলে

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

সাঈদ জামিল বলেছেন: ধর্ষিতা বলে।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪২

সাঈদ জামিল বলেছেন: পরিবারের কথা সরাসরি না থাকলেও উজ্জ আছে। কারণ, পরিবার যদি চাইত মেয়েটির হইত প্রতি রাতে কাঁদতে হত না। আর কক্ষে বন্দীও থাকতে হত না।। :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.