নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত শেখ সাদি (রহ) একজন বিশ্ব বিখ্যাত কবি এবং আলেম ছিলেন। তিনি একবার বাদশাহের কাছ থেকে রাজকিয় দাওয়াত পেলেন।
তিনি রাজ মহলে জাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলেন। যেতে যেতে রাত হলো। হযরত শেখ সাদি (রহ) তখন একটি বাড়ীতে গিয়ে বললেন, ভাই আজ রাতটুকু আমাকে আপনার বাড়ীতে থাকার জন্য অনুমতি দিবেন। তারা তখন একটি ছোট্ট ঘর ও কিছু বাসি খাবার দিলেন উনাকে।
পরের দিন হযরত শেখ সাদি (রহ) বিদায় নিয়ে রওনা হলেন। সম্রাটের কাছে পৌছে গেলে তিনি। সম্রাট হযরত শেখ সাদি (রহ) সাথে গল্প-উপন্যস-কবিতা নিয়ে আলোচনা করে খুব খুশি হলেন। শেষ সাদির বিদায় বেলায় তাকে সম্রাট বেশ দামি জিনিষ পত্র উপহার দিলে। সেই সাথে একটি খুব সুন্দর ও দামি একটি পোষাকও উপহার দিলেন। শেখ সাদি সেই পোষকা পরে এবং উপরহার নিয়ে বিদায় নিলেন।
ফিরার পথে সেই স্থানেই আবার রাত হলো। সে ঠিক সেই ভাবেই অনুরোধ করলেন রাত থাকার জন্য। সেই বাড়ির লোকেরা তাকে দেখে সন্মানের সহিত তাদের সোবার ঘরে ঘুমানো ব্যবস্থা সহ খুব বড় ধরনের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করলেন। শেখ সাদি সকলের সাথে থেতে বসলেন। কিন্তু তিনি না খেয়ে তার পোষাকের পকেটে খাবার গুলো ভোরতে লাগলেন। তা দেখে বাড়ির একজন কৌতুহল ধরে না রাখতে পেরে তাঁকে জ্ঞিগাসা করলেন, আচ্ছা আপনি না খেয়ে খাবার গুলোকে পোষাকের পকেটে কেন রাখছেন।
হযরত শেখ সাদি (রহ) বললেন : আমি যখন ক’দিন আগে এ বাড়িতে রাত্রি যাপন করেছিলাম তখন আমার অবস্থা এমন ছিল না। খুব সাধারন ছিলাম আমি। তাই আমার সমাদরও ছিল খুব সাধারন। আজ আবার যখন এবারিতে আসলাম রাত্রি যাপন করার জন্য তখন আমার অবস্থা খুব উচ্চ অবস্থায়। এসব এই পোষাকের গুনেই হয়েছে। তাই খাবার গুরো তারই প্রাপ্য। তাই আমি না খেয়ে পোষাকে তা খাওয়াচ্ছি।
একথা শুনে তাদের খুব লজ্জা হলো এবং এরকম ব্যবহারের জন্য তারা শেখ সাদির কাছে খমা চাইলেন।
* তাই মেহমানদারী টাকা পয়সা আর পোষাক দেখে নয়। সর্বদা মেহমানদের জন্য নিজ সাদ্যমত মেহমানদারীতে আল্লাহ খুশি হন ।
* আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন...আমিন
* ভাললাগলে শেয়ার করুন:পেইজটিতে #লাইকদিন:- Sayed Mokarram Bari
©somewhere in net ltd.