নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

শাহজাহান সাঈফ

একাকিত্ব হলো জীবনের সাধনা লাভের উত্কৃষ্ট উপায়। উর্দু বা হিন্দুতে একাকিত্বকে বলা হয় তানহা। একাকিত্ব মানুষের জীবনে পূর্ণতা দেয়। পৃথিবীর তাবত্ বিখ্যাত ও মহান ব্যক্তি তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ একাকিত্বে কাটিয়েছেন। কখনো ইচ্ছা করে আবার কখনো বা বাধ্য হয়ে। তারা কেউবা গেছেন নির্জন পাহাড়ের কোনো গুহায়, অথবা গভীর জঙ্গলে।

শাহজাহান সাঈফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরিল, তবে পুরো সাম্রাজ্য ধ্বংস করে তবেই মরিল

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০০


যেইদিন থেকে ইব্রাহীম পাশার সাথে শত্রুতামি শুরু করেছে, সেইদিন থেকে অপেক্ষায় ছিলাম, এই চরিত্রটির কবে মৃত্যু হবে। পুরো অটোমান সাম্রাজ্য মরতে বসেছে। কিন্তু হুররাম সুলতান আর মরেনা। যেনো কই মাছের প্রান নিয়ে সুলতান সুলেমান সিরিজে প্রবেশে করেছে।ক্লিকবাজনী হুররাম সুলতানের ক্লিকবাজির কারণে ইব্রাহীম পাশার মৃত্যু হল। আস্তে আস্তে অটোমান সাম্রাজ্য ধ্বংশ হতে শুরু হল। এরমধ্যে আবার বহুরূপী হুররাম শাহজাদা মোস্তফার পিছনে লাগল। মেজাজ মর্জি হারিয়ে সিরিজ দেখাই বন্ধ করে দিলাম। মাঝে মাঝে একটু আধটু দেখতাম শাহজাদা মোস্তাফার জন্য। কিন্তু যেদিন শুনলাম বহুরূপী হুররাম সুলতানের কুটচালে নিরাপরাধ শাহজাহাদা মোস্তাফার মৃত্যু হয়েছে। সেইদিন থেকে আজ পর্যন্ত সুলতান সুলেমান সিরিজ আর দেখা হয়নি। ইউটিউব থেকে তার্কিস পর্ব দেখে বুঝতে পারছিলাম এই বহুরূপীর মৃত্যু হতে অনেক দেরি আছে। পুরো অটোমান সাম্রাজ্য ধ্বংস না করে মরবে না। অবশেষে গতকাল পত্রিকায় এবং অনলাইলে দেখলাম আজকের পর্বে ক্লিকবাজনীর মৃত্যু হবে। ইচ্ছে ছিল মৃত্যু স্বচক্ষে দেখার কিন্তু রাস্তার জ্যামের কারণে দেখতে পারিনি। তারপরও নিজের কাছে খুশি খুশি লাগতাছে হুররাম সুলতানের মৃত্যুতে। জন্মিলে মরিতে হইবে। যতই বহুরূপী হও, চলনাময়ী ক্লিকবাজনী হও, মৃত্যুর স্বাধ তোমাকে লইতে হবে।
ইব্রাহীম পাশা এবং শাহজাদা মোস্তফার মৃত্যুর শোকে কুলখানির দাওয়াত দিতে পারিনি।
কিন্তু হুররাম সুলতানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুশিতে আপনাদের মিষ্টিমুখ করাতে মন চাইছে।নেন, একটু মিষ্টিমুখ করেন। আগে মরলে আরো বেশী মিষ্টি দিতাম।সাম্রাজ্য ধ্বংস তো, তাই অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মজা পাইলাম। হুররেমের করার কিছু ছিল না। মুস্তফা যদি সিংহাসনে যেত, তবে তার সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হত। বাচার তাগিদেই হুররেম মুস্তফাকে সরিয়ে দেন। আর ইব্রাহিম পাশা? তার মৃত্যুর সময় হুররেম ততটা ক্ষমতাধর ছিলেন না। ইব্রাহিমের মৃত্যুর জন্য হুররেম সেভাবে দায়ী নন।

রাজনীতির খেলায় হুররেম বিজয়ী হয়ে যান সবাইকে পেছেনে ফেলে। হুররেমের অনেক দোষ থাকলেও তার চরিত্রের একটি দিক ছিল হারেমের বাইরের রাজনীতিতে খুব একটা না জড়ানো। এদিক দিয়ে তিনি কিছুটা আলাদা, কারন সুলেমানের মা আয়েশা হাফসা সহ অটোম্যানদের বেশীর ভাগ ক্ষমতাধর নারীরা সামগ্রিক রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

রুহুল আমিন খান বলেছেন: মুস্তাফা তাই ভাইদের ভালোবাসতো কিন্তু সুলতান হবার পরে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাকে তার ভাইয়ের হত্যাকাতি এবং ভাইদের তার প্রতি বিদ্রোহী করে তুলতো। অটোমান সুলতানরা প্রজাহিতৈষি ন্যায়পরায়ন কিন্তু ক্ষমতার ব্যাপারে আত্মকেন্দ্রিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.