নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

শাহজাহান সাঈফ

একাকিত্ব হলো জীবনের সাধনা লাভের উত্কৃষ্ট উপায়। উর্দু বা হিন্দুতে একাকিত্বকে বলা হয় তানহা। একাকিত্ব মানুষের জীবনে পূর্ণতা দেয়। পৃথিবীর তাবত্ বিখ্যাত ও মহান ব্যক্তি তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ একাকিত্বে কাটিয়েছেন। কখনো ইচ্ছা করে আবার কখনো বা বাধ্য হয়ে। তারা কেউবা গেছেন নির্জন পাহাড়ের কোনো গুহায়, অথবা গভীর জঙ্গলে।

শাহজাহান সাঈফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফর-ই-হিন্দুস্তান - দীর্ঘ ভ্রমণের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি পর্ব ০১ : ঢাকা টু অম্রিতসার ভায়া কলকাতা বাই ট্রেন

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৮


ফেইসবুকের মাধ্যমে কাশ্মীরের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়েছিল। পরিচয় পর্বের পর থেকে তার সাথে আমার হৃদ্যতা অন্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। তাকেঁ আমার কাশ্মীর ভ্রমণের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলাম।সেও খুব আন্তরিকতার সহিত তার গ্রাম পাহালগাম (Pahalgam) এ যাবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কাশ্মীর ভ্রমণে গেলে একবার পাহালগাম (Pahalgam)না গেলে নাকি ভ্রমণই অপূর্ণ থেকে যায়। তাই পাহালগাম (Pahalgam) কে কেন্দ্র করেই মুলত আমার ট্রাভেল প্লানটা সাজানো ছিল। বিভিন্ন তারিখ করতে করতে সবশেষে জুলাই মাসের ০৪ তারিখ ফিক্সড করলাম কাশ্মীর ভ্রমণে যাব। কিন্তু ট্রেণ / এয়ারের টিকেট বুকিং দিতে গিয়ে আমার মাথায় হাত। নেটে গাটাগাটি করে জানতে পারলাম, জুলাইর ০২ থেকে আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত অমরনাথ যাত্রা। যার কারণে টিকেটের আকাশচুম্বী দাম। আর এই অমরনাথ যাত্রার সময় পাহালগাম (Pahalgam) তথা আশেপাশের এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। আমার মত সোলো ট্রাভেলাররা এই সময় কাশ্মীর ভ্রমণ করে কোনো তৃপ্তি পাবে না। তাই ০৪ জুলাইর সিডিউল পরিবর্তন করলাম।যদিও কাশ্মীরের বন্ধুটি খুব জোড়াজুড়ি করছিল যাবার জন্য। অবয় দিয়ে বলেছিল, তোমার কোনো সমস্যা হবে না, তুমি আমার গ্রামে থাকবে, তোমার হোটেলে থাকতে হবে না। কিন্তু নিজের স্বার্থেই কাশ্মীরী বন্ধুটিকে বুঝিয়ে সুজিয়ে ঈদ পর্যন্ত সময় নিলাম।যদিও সে একটু অভিমানের সুরে বলেছিল, ঠিক আছে তুমি তোমার সময় করেই আস। তখন কি আর জানতাম, কাশ্মীর ভ্রমণের সময় আর মনে হয় জীবনে তাড়াতাড়ি আসবে না। ঈদের আগ থেকে এখন পর্যন্ত কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সকলেই প্রায় অবগত আছি। জানি না আমার বন্ধুটি কেমন আছে, কেমন আছে তার পরিবার পরিজন, সর্বোপুরি কাশ্মীরবাসী জনগণ।

কাশ্মীর পরিস্থিতির কারণে, আমার ইন্ডিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা প্রায় বাদই দিয়েছিলাম। পরে ফেইসবুকে চট্টগ্রামের একজনের সাথে পরিচয় হয়ে জানতে পারি তারা দুই বন্ধু ইন্ডিয়া ভ্রমণে যাবে। তাদেরও কাশ্মীরকে ঘিরেই ট্রাভেল প্লান ছিল। যেহেতু পরিস্থিতি আর অনুকূলে নাই, তাই আমরা কাশ্মীরকে বাদ দিয়েই আমাদের তিনজনের ট্রাভেল পরিকল্পনা করলাম। সিদ্ধান্ত হল ঈদের পরদিন অর্থাৎ ১৩ই আগস্ট দিনগত রাতে আমরা ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হব। সেই মোতাবেক ১৪ তারিখের ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন টিকেট এবং একই দিনে হাওড়া লুদিয়ানা অম্রিতসার মেইল ট্রেন টিকেট কনফার্ম করে রাখলাম।

১৩ই আগস্ট রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আমরা তিনজন বেনাপোলের উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা শুরু করলাম। ১৪ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে বর্ডারে পৌছঁলাম, ততক্ষণে লোকে লোকারাণ্য বর্ডারের আশপাশ। দীর্ঘ লাইন দেখে আমার মাথায় হাত। কম করে হলেও ৩-৪ হাজার মানুষে পেছনে আমাদের লাইন। যেভাবে কচ্ছপ গতিতে লাইন সামনে এগুচ্ছে তাতে করে আমাদের অম্রিতসারগামী ট্রেন ধরতে পারব কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিল। বেলা যত বাড়তে থাকল আমাদের দুশ্চিন্তা আরো বাড়তে থাকল। অবশেষে বেলা দ্বেড়টার দিকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পাড় হলাম।

পেট্রাপোলে গিয়ে দেখি সেখানেও দীর্ঘ লাইন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে যখন ঘড়িতে তিনটা বেজে যাচ্ছে তখন বুঝতে পারলাম, আমাদের অগ্রীম টিকেট কেটে রাখাটাই বিফলে যাবে। কারণ আমরা লাইনের যেখানে আছি সেখান থেকে ইমিগ্রেশন ডেস্ক পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে, তারপর আমরা কখন হাওড়া স্টেশন পৌঁছব।অবশেষে কোনো উপায় না দেখে, দায়িত্বরত বিএসএফকে আমাদের অম্রিতসারগামী ট্রেনের টিকেট দেখিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বলতেই, উনারা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। বললে তোমরা তিনজন তাড়াতাড়ি কাউন্টারে চলে যাও, তোমাদের হাতে সময় খুবই কম। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমরা ছুটলাম, ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে পেট্রাপোল থেকে কিছু ডলার আর বাংলা টাকা রুপি করে সিএনজি করে বনগাঁ রেল স্টেশনের দিকে ছুটলাম।কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয়, স্টেশনে পৌছা মাত্র, তিনটার ট্রেন প্লাটফর্ম ছাড়তে শুরু করেছে, চেষ্ঠা করেও ট্রেন ধরতে ব্যর্থ হলাম।পরবর্তী ট্রেন ৪টা ২৫ মিনিটে, শিয়ালদাহ পৌছবে সন্ধ্যা ৬ টা ১৭ মিনিটে। আমাদের অম্রিতসারগামী ট্রেন ছাড়বে হাওড়া থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে।যদি বনগাঁ শিয়ালদাহগামী লোকাল ট্রেন কোন কারণে সামান্য লেট করে তাহলে আমরা হাওড়া আর সময়মত পৌছতে পারব না। দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে গেল।তবে দীর্ঘদিন এই পথে চলাচলের কারণে বিশ্বাস ছিল আমরা ঠিক টাইমেই শিয়ালদাহ পৌছতে পারব।তারপর শিয়ালদাহ থেকে হাওড়া পৌছানো ভাগ্যের ব্যাপার।অবশেষে ঠিক টাইমেই ট্রেন শিয়ালদাহ স্টেশনে থামল, ট্রেন থামতে দেরি, আমাদের মেরাথন দৌড় শুরু করতে দেরি নাই। ট্যাক্সি নিয়ে সোজা হাওড়া স্টেশন। স্টেশনে নেমে আবার দৌড়, কারণ হাতে সময় আছে মাত্র আর পাঁচ মিনিট।স্টেশন এবং প্লাটফর্ম পরিচিত হওয়ায় সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের নিদির্ষ্ট বগি পর্যন্ত পৌছে গেলাম।ঠিক ৭টা ১০মিনিটেই অম্রিতসার মেইল হাওড়া স্টেশন ছাড়ল।আমরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে সিটে বসলাম।

আমাদের পরিকল্পনা ছিল লুদিয়ানা নামব, তারপর লুদিয়ানা থেকে বাসে করে অম্রিতসার যাব, সেই মোতাবেক আমাদের টিকেটও করা ছিল। কিন্তু আমার সাথের দুজন তারা বলল, এই ট্রেন যেহেতু অম্রিতসার পর্যন্ত যাবে তাহলে এই ট্রেনে করেই সরাসরি অম্রিতসার নাম।বাকি পথে টিকেট ম্যানেজ করেন। রাতে টিটিকে বললাম আমাদের লুদিয়ানা থেকে অম্রিতসার পর্যন্ত তিনটা টিকেট দেওয়ার জন্য। বলল সকালে বানিয়ে দেব।সকালবেলা দেখি এই টিটি আর নাই। ইতিমধ্যে আমরা লুদিয়ান স্টেশন ছেড়ে চলে এসেছি। তার মানে হল এখন আমরা ট্রেনে টিকেট ছাড়া অবৈধ যাত্রী। কপাল খারাপ হলে জরিমানা নিশ্চিত। ইন্ডিয়ান ট্রেনের নিয়ম কানুন সর্ম্পকে আগে থেকেই অবগত ছিলাম বিধায়, আগেই থেকে ৩৬০ রুপি আলাদা করে রাখলাম (লুদিয়ানা থেকে অম্রিতসার পর্যন্ত ১২০ রুপি করে প্রতিজন ননএসি স্লিপার)। লুদিয়ানা স্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনও প্রায় খালি হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই টিটির আগমন, টিকেট চেক এর কথা বলতেই, আমি আগ বাড়িয়ে বললাম, আমাদের লুদিয়ানা থেকে অম্রিতসার পর্যন্ত তিনটা টিকেট দেন, আমাদের লুদিয়ানা পর্যন্ত টিকেট আছে।কথা শুনেই টিটি বেকে বসল, বলল ১১১০ রুপি দিতে। বললাম কেন? টিটির উত্তর তোমরা লুদিয়ানা স্টেশন ত্যাগ করার পূর্বেই টিকেট কেন নেওনি? লুদিয়ানা স্টেশন অনেক আগেই ছেড়ে এসেছে এখন ট্রেনে তোমরা অবৈধ, তাই জরিমানা প্রতিজন ২৫০ রুপি + ১২০ ভাড়া।মনে মনে বললাম, বেটা এই চিন্তা তো আমি রাতেই করে রেখেছি এই রকম পরিস্থিতি সামনে আসতে পারে।এবার কাউন্টার এটাক, বললাম, দেখ আমি মুরদাবাদ (তখন রাত ৯টার কিছু বেশি) থাকতেই তোমার টিটিকে বলেছি আমাকে টিকেট দেবার জন্য এবং সেই মোতাবেক এই দেখ আমি ৩৬০ রুপি আলাদা করে রেখেছি, সে বলেছে সকালে টিকেট বানিয়ে দেবে। এরপর তো তোমার টিটিকে আর আমি পাইনি, আমি টিকেট কাটব কিভাবে? এখন তুমি এসেছো, তোমাকে বললাম তুমি আমাদেরকে টিকেট দাও। চেহারার দিকে তাকিয়ে বুঝলাম কিছুটা নরম হইছে। এরপর জানতে চাইল তোমরা কোথায় যাবে? টিটি শিক দেখে উত্তর দিলাম তার দুর্বল পয়েন্ট ধরে, বললাম, প্লান করে এসেছি সর্বপ্রথম গোল্ডেন টেম্পলে যাব, সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে আমরা পাঠানকোট হয়ে মানালি যাব। স্বর্ণমন্দিরের কথা শুনেই একেবারে লেভেল। বলল তোমরা নেমে যেও, তোমাদের টিকেট লাগবে না।ভাব নিয়ে বললাম, জরিমানা না নিলেন, অনন্ত লিগ্যাল ভাড়াটা নেন? হাসি দিয়ে বলল ভাড়া লাগবে না, ধন্যবাদ দিয়ে বললাম, আসলেই তোমরা অনেক ভাল মানুষ, এজন্য আমরা বার বার ইন্ডিয়া ভ্রমণে আসি।

১৪ই আগস্ট সন্ধ্যা ৭:১০ এ কলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকে রওয়ানা হয়ে প্রায় ৩৮ ঘন্টা (১৯১০ কি.মি.) ট্রেন জার্নি করে ৩য় দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে আমরা অম্রিতসার স্টেশনে পৌছাই।স্টেশন থেকে বের হয়ে দেখি মাথার উপর ঠাডা পড়া রোদ। কিছুক্ষণ রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে নাস্তা সেরে আবার স্টেশনে চলে আসলাম। কারণ স্টেশন থেকে গুরুদুয়ারা (Golden Temple/স্বর্ণ মন্দির) বাস যায়।এই বাসটিতে সম্পূর্ণ ফ্রি যাতায়ত করা যায়। কোনো পয়সা লাগে না। অটোতে গেলে ৫০-১০০ রুপি নিয়ে নিবে (সিঙ্গেল ২০ রুপি স্টেশন থেকে গোল্ডেন টেম্পল)।

বাস যখন আমাদের মন্দিরের সামনে নামিয়ে দিল, তখন মূল স্বর্ণ মন্দির কোথায়, সেটা না খুজেঁই আমরা রাস্তায়ই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কি অপূর্ব জায়গা।বাহির সাইড দেখেই বুঝতে পারছিলাম, মন্দিরের ভেতরের অংশে কি সৌন্দার্য আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। অবশেষে আমরা সেই কাঙ্খিত Golden Temple বা স্বর্ণ মন্দিরে প্রবেশ করলাম। স্বর্ণমন্দির এলাকায় আমরা ২/৩ ঘন্টা ছিলাম। পুরো মন্দিরের ভেতরের অংশটা কোনো মতে একটা প্রদক্ষিণ দিয়েই আমাদের পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হবে।কারণ আমাদের প্লানে অম্রিতসার এর জন্য খুব বেশি সময় রাখা হয়নি, ইচ্ছে থাকা সত্বেও ওয়াগা বর্ডারে যাওয়া হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যতটুকু পেরেছি, স্বর্ণ মন্দিরের সৌন্দার্য উপভোগ করেছি। ভবিষ্যতে যদি কখনো অম্রিতসার যাই, তাহলে অবশ্যই সময় নিয়ে যাব।

এই পর্বের খরচ এবং অন্যান্য কিছু তথ্য (খাবার বাদে) :
০১। ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০টাকা
০২। ঢাকা থেকে বেনাপোল, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ভাড়া ৫৩৫ টাকা
০৩। স্টেশন থেকে বর্ডার ২০ টাকা অটোতে করে।
০৪। পেট্রাপোল থেকে বনগাঁ রেল স্টেশন ৩০ রুপি।
০৫। বনগাঁ থেকে শিয়ালদাহ ২০ রুপি
০৬। শিয়ালদাহ থেকে হাওড়া স্টেশন ৩০০ রুপি (তিনজনের ট্যাক্সি ভাড়া, সময় থাকলে আমরা বাসে যেতাম, ভাড়া পড়ত ১০-১৫রুপি প্রতিজন)
০৭। হাওড়া থেকে অম্রিতসার ১০০০ টাকা (আমরা বাংলাদেশ থেকে টিকেট কেটেছি, এজন্য একটু বেশি, অরিজিনাল ভাড়া ৬৯৫ রুপি নন এসি স্লীপার SL।
মোট আনুমানিক ২৩০০ টাকার মত খরচ হয়েছে ঢাকা থেকে অম্রিতসার পর্যন্ত পৌছতে (খাবার বাদে)

কলকাতা থেকে অম্রিতসারগামী ট্রেনের ভাড়া এবং সময়সূচী।
AMRITSAR MAIL - 13005, Departs: HOWRAH JN (HWH) - 19:10, Arrives: AMRITSAR JN (ASR) - 08:55(day 3) সপ্তাহের প্রতিদিনই ছাড়ে হাওড়া স্টেশন থেকে। সময় লাগবে ৩৮ ঘন্টার মত। ভাড়া SL-Rs 695 (Non AC), 3A Rs 1850 (AC)

AMRITSAR EXP - 13049, Departs: HOWRAH JN (HWH) - 13:50, Arrives: AMRITSAR JN (ASR) - 10:20(day 3) সপ্তাহের প্রতিদিনই ছাড়ে হাওড়া স্টেশন থেকে। সময় লাগবে ৪৫ ঘন্টার মত। ভাড়া SL-Rs 695 (Non AC), 3A Rs 1850 (AC)

JALIANWALA B EXP - 12379, Departs: SEALDAH (SDAH) - 13:10, Arrives: AMRITSAR JN (ASR) - 19:45 (day 2) শুধুমাত্র শুক্রবারে ছাড়ে শিয়ালদহ থেকে। সময় লাগবে ৩১ ঘন্টার মত। ভাড়া SL-Rs 720 (Non AC), 3A Rs 1880 (AC)

AKAL TAKHT EXP - 12317, Departs: KOLKATA (KOAA) - 07:40, Arrives: AMRITSAR JN (ASR) - 17:20(day 2) শুধুমাত্র রবিবার আর বুধবার ছাড়ে কলকাতা স্টেশন (চিতপুর) থেকে। সময় লাগবে ৩৪ ঘন্টার মত। ভাড়া SL-Rs 720 (Non AC), 3A Rs 1880 (AC)

*** পরবর্তী পর্ব >> অম্রিতসার টু মানালী ভায়া পাঠানকোঠ

এই পর্বের কিছু ছবি।




[ *** প্রথম পর্ব, ভূমিকার জন্য লেখা হয়তো একটু দীর্ঘ হয়ে গেছে, এজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী ]

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সেইভ করে রাখলাম। কাজে লাগবে।
ফেব্রুআরিতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ট্রেন মিস করা অনেক কষ্টের।
যাই হোক, ভ্রমনে গেলে তাড়াহুরো করবেন না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ভাই কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। সবকিছুই প্লান মত ছিল। কিন্তু বর্ডারে যে এই রকম দীর্ঘ লাইন থাকবে কে জানত? ১০টার দিকে বেনাপোল বর্ডারে পৌছলাম অথচ ইমিগ্রেশন শেষ করতে করতে আমাদের প্রায় ৩টা বেজে গেল। অথচ ৩টার আগেই আমাদের কলকাতা পৌছার কথা ছিল। হাওড়া থেকে ট্রেন ছিল সন্ধ্যা ৭:১০ এ।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: ভূমিকা দীর্ঘ এজন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনো কারণ নেই বরং দীর্ঘ হলেই পাঠকের বোঝার সুবিধা। বিশেষ দিনগুলোতে বেনাপোলে লম্বা লাইন হয়। আড়াই -তিন হাজার লোকের লাইন দেখেছি, কিন্তু চার হাজার লোকের লাইন দেখেনি, তবে ঈদের পর এরকম ভিড় হওয়ারই কথা। ওখানে এপারে কিছু দালাল আছে, সাধারণভাবে একশ টাকার বিনিময় ইমিগ্রেশন তাড়াতাড়ি পার করে দেওয়ার কথা বলে। আপনি ওপারে যেভাবে বিএসএফকে ম্যানেজ করলেন বা ট্রেনে যেভাবে টিটিকে ম্যানেজ করলেন তা থেকে বোঝা যায় আপনি পোড়খাওয়া অভিযাত্রী । আরো লেখার অনুরোধ থাকলো।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১২

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: সঠিক শিক্ষার জায়গা হল নিজে পোড় খাওয়া। ঘাটে ঘাটে পোড় খাইছি, আর পোড় খাইয়াই কিছুটা শিক্ষা নিছি কোথায় কি কিভাবে, কাকে কখন কেমনে মেনেজ করতে হবে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

আরিফ ই্সলাম বলেছেন: lrbinventiveit

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.