নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূতাবাস আর হাইকমিশন কী?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪




বর্তমান বিশ্বে কোন দেশই একা চলতে পারে না। দেশ গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই। এক দেশের সাথে আরেক দেশের সম্পর্ক চালু রাখার জন্য এক দেশ আরেক দেশে তাদের দফতর স্থাপন করে এবং প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়। এই অফিসগুলোই মূলত দূতাবাস।

দূতাবাসগুলো ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে পরিচালিত হয়।

সাবেক বৃটিশ কলোনীভুক্ত দেশ সমুহ একে অপর দেশে যে দূতাবাস স্থাপন করে তাকে বলে হাইকমিশন। সহজে বললে বলা যায়, যারা এক সময় বৃটিশ কর্তৃক শাসিত ও শোষিত হয়েছে তারা বর্তমানে কমনওয়েথ নামে একটি সংগঠনের সদস্য। তাদের দূতাবাসগুলোই হাইকমিশন নামে পরিচিত।

দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের র‌্যাঙ্ক সমূহ।

১। রাষ্ট্রদূত (Ambassador) : হাইকমিশনার: তিনি রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক বিশেষ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। হোস্ট দেশে তিনি রাষ্ট্র প্রধানের ন্যায় মর্যদা লাভ করেন। তিনি গাড়ীতে নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল করেন। তাকে সাধারন – মান্যবর বা His Excellency বলে সম্বোধন করা হয়।
২। মিনিস্টার বা Minister: উপরাষ্ট্রদূত যিনি থাকেন তাকে দূতাবাসের ভাষায় মিনিস্টার বলা হয়। কিন্তু তিনি কোন মন্ত্রী নন।
৩। কাউন্সেল (Counsellor) : দূতাবাসে মিনিস্টারের নিচের পদটিকে কাউন্সেলর বলে।
৪। প্রথম সচিব( First Secretary):
৫। দ্বিতীয় সচিব (Second Secretary):
৬। তৃতীয় সচিব (Third Secretary):
৭।এ্যাটাশে ( Attaché):
৮। এসিস্ট্যান্ট এ্যাটাশে ( Assistant Attaché):
মোটামুটি একটি দূতাবাস আ হাইকমিশনের উপরের পদগুলোকে কূটনৈতিক পদ বলা হয়। এর বাইরে স্থানীয় ভাবে হোস্ট দেশ থেকে বাকি কর্মচারীদেকে নিয়োগ করে দূতাবাস পরিচালিত হয়।

দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত যখন অনুপস্থিত থাকেন তখন যে সিনিয়র কূটনীতিক দূতাবাস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তাকে কূটনৈতিক ভাষায় Chargé d'affaires চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলা হয়। হাইকমিশনে এটাকে বলা হয় Acting High Commissioner.

একটি দূতাবাসের পুরো টিমকে কূটনৈতিক ভাষায় মিশন বলা হয়। সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে মিশন প্রধান বা Head of the Mission বলা হয়।

লক্ষ্যনীয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র বৃটিশ শাসনে থাকলেও সে কমনওয়েলথ এর সদস্য নয়। তাই তার রাষ্ট্রদূতকে হাইকমিশনার বলা হয় না।

( বদের বদ বৃটিশরা তাদের শাসন ধরে রাখার জন্য কমনওয়েলথ তো বানিয়েছেই। তারপর তারা নাম দিয়েছে হাইকমিশন। যেন মনে পড়ে আমরা এক সময় বৃটিশ শাসনে ছিলাম। আফসোস।)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, বৃটিশ, ভারতের মতো দেশগুলো দুতাবাসকে স্পাইং'এর জন্যও ব্যবহার করে; বাংলাদেশ কি অন্য দেশের উপর স্পাইং করে?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এটা নির্ভর করে কোন দেশ কত টা শক্তি শালী তার উপর।

নিয়ম অনুযায়ী, দূতাবাসের সীমানার ভেতর স্বাগতিক দেশের কোন সাধারণ জনগণ তো বটেই সরকারের কোন লোকজন্ও দূতাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না। তাই ভেতরে কি হয় না হয় তা কারো পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। আর দূতাবাসের ভেতর দেশের সব বিভাগের এমন কি প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও থাকেন। ফলে তারা স্বাগতিক দেশের সব খবরই রাখেন এবং নিজ দেশে প্রেরণ করেন।

তবে বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এর মূল কূটনীতি হ্ওয়া উচিত অর্থনীতি ও শ্রমিক ভিত্তিক। কোন দেশে কত বেশী শ্রমিক পাঠিয়ে টাকা আয় করা যায় এটাই এখনকার মূল প্রতিপাদ্য। অর্থনীতি ও বাণিজ্যে প্রসারও অন্যতম কাজ।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



১৯৪৯ সালের লন্ডন ঘোষণা (London Declaration) অনুসারে রানী এলিজাবেথ কমনওয়েলথ প্রধান।

একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রর দূত যখন আরেকটা সার্বভৌম দেশ অবস্থান করে তখন তাকে অ্যাম্বাসেডর বা রাষ্ট্রদূত বলে।

কিন্তু একই শাসকের অধীন এক অঞ্চলের কোন প্রতিনিধি যখন অন্য অঞ্চলে অবস্থান করে তখন তাকে হাই কমিশনার বলে।

ব্রিটিশ সরকার তার সরাসরি অধীনে থাকা অঞ্চলগুলিতে যে প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করতো তাকে গভর্নর বলা হতো।

আর স্থায়িত্ব শাসিত অঞ্চলগুলিতে যে প্রশাসক পাঠাত তাকে বলা হতো হাই কমিশনার।

কমনওয়েলথ ভুক্ত ৫২ দেশ ভৌগোলিক ভাবে স্বাধীন হলেও, মনে ও মগজে এখনও ব্রিটেনের কাছে পরাধীন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

কিন্তু আপনার "কিন্তু একই শাসকের অধীন এক অঞ্চলের কোন প্রতিনিধি যখন অন্য অঞ্চলে অবস্থান করে তখন তাকে হাই কমিশনার বলে। " কথাটি সঠিক নয়।

সহজ কথায় বর্তমানে বৃটিশ কমওয়েলথ ভুক্ত দেশ সমূহের রাষ্ট্রদূতরা হাইকমিশনার নামের পরিচিত এবং দূতাবাসকে বলা হয় হাইকমিশন।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় অবতারনা করেছেন।
মন্তব্য গুলো ভালো লাগছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যদিও আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে আমার দীর্ঘদিন সময় লেগেছে।
তারপরও আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমার ২ নং মন্তব্যের জবাবে লেখক বলেছেন,
""কিন্তু আপনার "কিন্তু একই শাসকের অধীন এক অঞ্চলের কোন প্রতিনিধি যখন অন্য অঞ্চলে অবস্থান করে তখন তাকে হাই কমিশনার বলে। " কথাটি সঠিক নয়।""

আমার ব্যাখ্যা--
"কিন্তু একই শাসকের অধীন এক অঞ্চলের কোন প্রতিনিধি যখন অন্য অঞ্চলে অবস্থান করে তখন তাকে হাই কমিশনার বলে।" এই বাক্যটার সাথে পরের দুটা বাক্য মিলিয়ে পড়লে প্রথম লাইনটার অর্থ বুঝতে সহজ হয়।

পরের বাক্যটাতে আছে, "ব্রিটিশ সরকার তার সরাসরি অধীনে থাকা অঞ্চলগুলিতে যে প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করতো তাকে গভর্নর বলা হতো।"
তার পরের বাক্যটাতে আছে, "আর স্থায়িত্ব শাসিত অঞ্চলগুলিতে যে প্রশাসক পাঠাত তাকে বলা হতো হাই কমিশনার।"
"বলা হতো" মানে অতীতকাল। এটা ইতিহাস।

ইতিহাসটা হচ্ছে--
বাসুতুল্যান্ড (বর্তমানে লিসোথো), বিচুয়ানাল্যান্ড (বর্তমানে বতসোয়ানা) এবং সোয়াজিল্যান্ড এই দেশগুলি ছিল ব্রিটিশদের আশ্রিত রাজ্য (protectorate) . এই দেশগুলিতে ব্রিটিশ শাসকদের পদবি ছিল হাই কমিশনার। পক্ষান্তরে, উপনিবেশগুলোতে ব্রিটিশ শাসকের পদবি ছিল গভর্নর জেনারেল বা সংক্ষেপে গভর্নর বা ভাইসরয়। ইন্ডিয়াতে ব্রিটিশদের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন মউন্টবেটন।

এরপরও যদি আপনি মনে করেন আমার কথাটা সঠিক না। তা হলে সঠিক কোনটা তা জানালে বাধিত হব।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সাবেক বৃটিশ কলোনীভুক্ত দেশ সমুহ একে অপর দেশে যে দূতাবাস স্থাপন করে তাকে বলে হাইকমিশন। সহজে বললে বলা যায়, যারা এক সময় বৃটিশ কর্তৃক শাসিত ও শোষিত হয়েছে তারা বর্তমানে কমনওয়েথ নামে একটি সংগঠনের সদস্য। তাদের দূতাবাসগুলোই হাইকমিশন নামে পরিচিত।

বুঝতে পারছি, আপনি প্রচুর পড়াশোনা করেন । ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমার বক্তব্যের মূল সুরটা ছিল, ব্রিটিশরা তাদের আশ্রিত রাজ্যগুলিতে শাসন করার জন্য হাই কমিশনার নিয়োগ দিতো।
কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলি ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পরও হাই কমিশনার পদটা নামে হলেও রেখে দিয়েছে।
কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলির অনুভব করা উচিত ছিল, এটা ব্রিটেনের উপনিবেশিক মানসিকতা। এখন থেকে বের হয়ে আসা।

আমি প্রচুর পড়াশোনা করি এটা এখানে প্রাসঙ্গিক না।
আপনিও ভালো থাকুন।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.