নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশের বুকে দূতাবাস মানে এক টুকরো স্বদেশ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৫২


একটি দেশের নাগরিকরা যখন অন্য দেশে থাকে তখন সেখানে তাদের দেশের দূতাবাস তাদের কাছে যেন এক টুকরো স্বদেশ। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মানুষই এটা মনে করে। এজন্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষের খুবই মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হয়। প্রতিটি নাগরিককে আপন মনে করে তাদেরকে আপ্যায়ন করতে হয়।

বিদেশে স্বদেশের যে সব নাগরিক দূতাবাসে কোন সমস্যা নিয়ে সেবা পেতে যান তখন দূতাবাসের যে শাখা তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলে, সমাধান দেয় সেই বিভাগের নাম কনস্যুলার শাখা। প্রতিটি দূতাবাসের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কনস্যুলার শাখা। এখানে থেকে স্বদেশের নাগরিকরা পাসপোর্ট বানাতে পারে, রিইস্যু করতে পারে, যে কোন ডকুমেন্ট সত্যায়িত করতে পারে, কোন নাগরিক বিদেশে গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে তাকে বিকল্প পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিট প্রদানের ব্যবস্থা করে। মোদ্দা কথা স্বদেশের যে কোন নাগরিকের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য দূতাবাসতে তৎপর থাকতে হয়।

এটি দূতাবাসের ভবনের দুইটি অংশ রয়েছে। এর একটিকে বলে চ্যান্সারী ভবন আর আরেকটিকে বলে রেসিডেন্স। চ্যান্সারী ভবনে দূতাবাসের কর্মকর্তারা দাফতরিক দায়িত্ব পালন করেন। এখানে স্বদেশের পতাকা উড়ানো হয়।
আর রেসিডেন্স ভবনে রাষ্ট্রদূত মহোদয় বাস করেন । রেসিডেন্স ভবনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত সহ কূটনীতিক, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নানা গণ্য মান্য ব্যক্তিগণ নানা প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করেন। রেসিডেন্স ভবনেও স্বদেশের পতাকা উড়তে থাকে।

উপরের সবগুলোই ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম মেনে করা হয়।

একটি দূতাবাস বা হাইকমিশনের পদগুলোকে কূটনৈতিক পদধারী কর্মকর্তাগণকে সাধারণ বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট না দিয়ে বিশেষ পাসপোর্ট দেয়া হয় তাকে Diplomatic Passport বলা হয়। মিশনের কূটনীতিকগণ, তাদের স্পাউজরা ও ১২ বছরের কম বয়সী সন্তানেরা কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রাপ্ত হন।

দূতাবাসে কর্মরত প্রতিটি ব্যক্তিই স্বদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাদের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশা অনেক। তাই তাদেরকে হতে হবে অনেক যোগ্যতা , অনেক ধের্য।

নিয়ম অনুযায়ী, দূতাবাসের সীমানার ভেতর স্বাগতিক দেশের কোন সাধারণ জনগণ তো বটেই সরকারের কোন লোকজন্ও দূতাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না। তাই ভেতরে কি হয় না হয় তা কারো পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। আর দূতাবাসের ভেতর দেশের সব বিভাগের এমন কি প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও থাকেন। ফলে তারা স্বাগতিক দেশের সব খবরই রাখেন এবং নিজ দেশে প্রেরণ করেন।

তবে বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এর মূল কূটনীতি হ্ওয়া উচিত অর্থনীতি ও শ্রমিক ভিত্তিক। কোন দেশে কত বেশী শ্রমিক পাঠিয়ে টাকা আয় করা যায় এটাই এখনকার মূল প্রতিপাদ্য। অর্থনীতি ও বাণিজ্যে প্রসারও অন্যতম কাজ।

স্বাগতিক দেশের পুলিশ বিভাগে দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য Diplomatic Security Division বা এই ধরনের কাছাকাছি নামের পৃথক বিভাগ থাকে। দূতাবাস গুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি স্বাগতিক দেশগুলো খুবই গুরুত্বের সাথে দেখে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সৌদী, কুয়েত, ওমান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী দুতাবসগুলো আদম ব্যবসায়ী, ক্রীতদাস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার এটা জানা নেই। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার কুফল এগুলো। চালাক প্রাণীরা সুযোগ নেয়।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শুনেছি বাংলাদেশের দূতাবাস গুলো খাই দায় আর ঘুমায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খালি শুনলেই তো হবে না। দেখার চেষ্টাও তো করতে পারেন।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:



ভালো থাকুন প্রিয় প্রবাসী

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গায়ের শ্রম বেচতে যারা বিদেশে গেছেন তাদেরকে যদি আপনি প্রবাসী বলেন তাহলে বলা যেতে পারে তাদের বেশীর ভাগই খুব ভালো নেই। পেটে ভাতে কোন রকমে বেচে আছে।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: দূতাবাস!!!!!!!!!!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Embassy/High Commission

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল লাগলো তথ্যগুলো

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশী হলাম। ভালো থাকুন সব সময়।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: মালয়েশিয়াতে যারা থাকে তারাই বুঝে বিদেশের বুকে দূতাবাস মানে কি??

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলে আমার অনেক কিছু জানতে পারতাম।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

আটলান্টিক বলেছেন: হাই কমিশনের অবস্থা আরো খারাপ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খারাপ বিষয়গুলো লিখুন। আমরা পড়তে চাই।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। আমারও আছে।
আমি জেনেছি, দূতাবাসে যারা কাজ করেন তারা বিসিএস ফরেন ক্যাডারের অফিসার। কিন্তু তাদেরকে করতে হয় প্রটোকল ডিউটির নামে সরকারী বড় আমলা, নেতা, মন্ত্রী এই সব লোকের চামচাগিড়ি। এটাকে নাকি প্রটোকল দেয়া বলে। এ কারণে তারা সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করার সময় পায় না।

সরকারের বাজেটের বিরাট অংশ ব্যয় হয় বিদেশে ঘুরে বেড়ানো মন্ত্রী, বড় আমলা আর সরকারী দলের নেতা পাতি নেতাদের পিছনে।

প্রতিটি দূতাবাসে ৩/৪ টি সরকারী গাড়ী থাকে এই সব কাজের জন্য । অথছ এই সব বাজেট জনতার কল্যাণে খরচ করার কথা।

আরেকটি বিষয়, দূতাবাসের কর্তারা নাকি সব ধরনের জবাবদিহিতার উপরে। তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারে না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার নামে চলছে হরিলুট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ। সরকারী টাকা যে কত সস্তা তা এখানে একবার না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না। তাদের দেশের প্রতি দরদ দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।


প্রায় বছর দুয়েক আগে অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রবাসী জনগণকে আরো বেশী করে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার আব্দার করে দূতাবাসে খোলায় হয় পৃথক পাসপোর্ট বিভাগ। সেখানে বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। দূতাবাসে পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও পাসপোর্ট বিভাগে ঢাকা থেকে আনা হয় প্রশাসন ক্যাডার থেকে এক জন সিনিয়ার সহকারী সচিব যিনি কিনা এখানে প্রথম সচিব নামে পরিচিত। সেই সাথে ঢাকা থেকে পাঠানো হয় আরো চার জন পদস্থ কর্মচারী। ফলে দূতাবাসে অতিরিক্তি জন বল হিসাবে যোগ হয় আরো ৫ জন। সরকারের খরচ বেড়ে যায় কোটি কোটি টাকা।

এছাড়া ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রায় প্রতি মাসেই কর্মকর্তারা নানা ছল ছুতোয় মালয়েশিয়া সফর করছেন। বিদেশ সফরের সময় কর্মকর্তারা নিয়মিত বেতন ভাতার বাইরেও প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার করে ভাতা নেন সরকারের কোষাগার থেকে। ফলে শ্বেতহস্তী পোষতে সরকারকে গুণতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

জানা গেছে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের বড় কর্তারাই নন, প্রায় সময়ই সেখান থেকে ১০/১৫ জন কর্মচারী বিশেষ সেবা দেয়ার নাম করে মালয়েশিয়া সফর করেন। প্রতিবার সফরে তারা ১ মাস বা তার চেয়েও বেশী সময় কাটান। ফলে তাদের পেছনে নিয়মিত বেতন ভাতা ছাড়াও ডলারে ভাতা দিতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে।

চলতি মাসে ঢাকার আগারগাঁও থেকে সেবার দেয়ার নাম করে আবার পাঠানো হয়েছে ২৫ জন কর্মচারী আর ২ জন কর্মকর্তা।তারা নাকি ২ মাস ধরে প্রবাসী জনগণকে সেবা প্রদান করবে।
এদিকে তারা পাসপোর্ট অফিসে সেবা দেয়ার নাম করে রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলেছেন। কারণ এই মুহূর্তে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত বেতন ভাতা দেয়া ছাড়াও তাদেরকে প্রতিদিন জন প্রতি ২/৩ শত মার্কিন ডলার করে বিদেশ ভাতা দিতে হচ্ছে। যা আসছে গরীব দেশের গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা বাজেট থেকে। এর বিনিময়ে সাধারণ মানুষ কি পাবে। লাভের মধ্যে লাভ হবে এই সব কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারী টাকায় বিদেশে ঘুরবে আর শপিং করে লাগেজ ভর্তি করবে। খুব্ই আনন্দের বিষয়।

সেবা দেয়ার নাম করে এতো মানুষ এক সাথে মালয়েশিয়াতে আসার কোন রেকর্ড নেই বলে জানা গেছে। কারণ দূতাবাসে এক সাথে এতো গুলো মানুষ কাজ করার মতো কোন জায়গা, মেশিন বা অবকাঠামোগত কোন সুযোগই নেই।

এ ব্যাপারে ভালো জানেন এমন এক জন সাবেক সরকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, পৃথিবীর অনেক দেশের দূতাবাসে মোট স্টাফ সংখ্যাএ ৩০ জন হয় না।অথচ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে জনগণের টাকার শ্রা্দ্ধ আর হরিলুটের জন্য নানান রাজনৈতিক তদবির করে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে যে অফিসে থেকে পাঠানো হয়েছে সেই অফিসের কাজ কর্ম কি করে চলে এটাও একটা বিরাট প্রশ্ন। কারণ কোন একটি অফিস থেকে এক সাথে ২৫/৩০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ২ মাসের জন্য বিদেশে চলে গেলে সেই অফিসটি কি ভাবে চলে।

এই লুটপাট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ দেখার মতো কোন লোক নেই বাংলাদেশে?

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। এর কোন জবাব আমার জানা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.