নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন রাখুন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭


স্কুলে আর কলেজে পড়ার সময়ে বাংলা প্রথম পত্রে নামকরণে সার্থকতা বিষয়ক একটি প্রশ্ন থাকতই । যেমন- মেজ দিদি কিংবা হৈমন্তী গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর। উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি কিংবা পুঁথি ঘরের নোট থেকে মুখস্ত করে করে আমরা বুঝাতে চেষ্টা করতাম যে, লেখক যে মেজ দিদি কিংবা হৈমন্তী নামকরণ করেছেন তা কেবল সার্থকই নয় অনেক সুন্দরও বটে।

কানা ছেলের নাম নাকি পদ্মলোচন হতে নেই। তাতে নামের সার্থকতা থাকে না। তাই নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এক নোট বইয়ে পড়েছিলাম: নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নামকে জাকাইয়া (নাকি জাগিয়ে) তুলে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসএসসি-র সনদে যে নাম দেয়া হয় সেটাই তার আসল নাম। সারা জীবন সেই নামের বানান অনুসরণ করতে হয়। তবে পরবর্তী জীবনে অনেকেই তাদের নামকে অনেক ভাবে প্রকাশ করে। সে এক বিরাট কাহিনী।

একটি বিষয় বাংলাদেশে বেশী দেখা যায়। তা হলো কর্মজীবনের পদ অর্থাৎ পেশাগত পরিচয়টাকেই নামের আগে জুড়ে দেয়া হয়। তবে সব পেশার ক্ষেত্রে নয়। কিছু কিছু পেশার লোক এটা করেন। অন্যরা করেন না। তবে করলে যে কি ক্ষতি আমি বুঝি না। যেমন কোন লোক যদি ডাক্তার হয় তার নাম হতে পারে – ডা: আবুল হোসেন, ডা: আ: রহমান মিয়া। কেউ যদি উকিল হয় তার নাম হবে- এডভোকেট আব্দুল করিম, আব্দুল হামিদ, এডভোকেট। আবার কেউ যদি আরো বড় উকিল হয় তবে তার নাম হতে পারে – ব্যারিস্টার আব্দুল করিম, ব্যারিস্টার আব্দুল হক ।

যারা শিক্ষকতা করেন তাদের নামের আগে একটা কিছু লাগানো প্রয়োজন। কিন্তু স্কুলের কোন শিক্ষক এটা পারছেন না। তবে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যখন প্রমোশন পেয়ে সব চেয়ে বড় শিক্ষক হয়ে যান তখন তারা অনায়াসে নির্বাচনের সময় পোস্টারে নামে এটা বাহারী আমেজ আনতে পারেন। সেটা হতে পারে এই রকম- অধ্যাপক কালাম আজাদকে ভোট দিন। প্রফেসর আসাদ উল্যাহকে ভোট দিন।

তবে আমি বেশ কয়েক জন লোককে বিখ্যাত হতে দেখেছি যারা অধ্যাপক নন। যেমন আহসান উল্লাহ মাস্টার। তিনি এক জন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তবে তার পেশা শিক্ষকতা ছিল কিনা আমি নিশ্চিত নই।

এছাড়া কলেজের প্রিন্সিপাল না হতে পারলেও কেউ যদি উপাধ্যক্ষ হন সেটা ব্যবহার করেও বিখ্যাত হতে পারেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর এক জন উপাধ্যক্ষ মো: ইউনুস নামে এক জন এমপি ছিলেন। তিনি সম্ভবত শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিগত জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ সম্ভবতঃ এক জন উপাধ্যক্ষ ছিলেন।

তাই যারা স্কুলে সহকারী শিক্ষক বা কলেজে প্রভাষক তারা হতাশ না হয়ে নামের আগে বা পরে সহকারী শিক্ষক কিংবা প্রভাষক শব্দটির ব্যবহার শুরু করতে পারেন। দেখবেন এক সময় হয়তো এটাই চালু হয়ে গেছে।


তবে সমস্যা হবে যারা শ্রমজীবী মানুষ তাদেরকে নিয়ে। যারা খেটে খায় তারা যদি নামের আগে বা পরে পেশাগত শব্দ ব্যবহার করতে চায় তা বেশী জুতসই হবে না। যেমন জেলে, কুমার, কামার, কৃষক, রিক্সাওয়ালা ইত্যাদি। তবে এক জন কৃষক অবশ্য অনেক বিখ্যাত ছিলেন। তিনি হলেন কৃষক মো: সাদেক। অসংখ্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এই কৃষক সাহেব এবং হেরেছিলেন। হারলেও বিখ্যাত হওয়া যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই কৃষক সাহেব।


(উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতিগণের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক বলছি) বিচার বিভাগে যারা কাজ করেন তারা অনেকেই শেষ কর্মজীবনে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিযুক্ত হন। কর্মজীবনে তারা বিচারপতি এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা অবসরে গেলেও তাদের নামের শেষে বিচারপতি শব্দটি রেখে দেয়া হয়। কিন্তু বিচারপতি শব্দটি যদিও তার নামের অংশ নয়। এই বিচারপতি যদি কখনো আবার রাষ্ট্রপতি হয়ে যান তখন পতি শব্দটি আবার দু’বার ব্যবহার করতে হয়। যেমন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি জনাব সাহাব উদ্দিন আহমেদ।


সেনাবাহিনীর লোকেরা অবশ্য একটু ব্যত্ক্রিম। তারা তাদের পদবী নামের সাথে ব্যবহার করলেও বেশীর ভাগ সময়ই (অবঃ) কথাটি ব্যবহার করেন। এটা আমি অনেক ভাল দিক মনে করি। তারা যে এক এক সময় এটা ছিলেন তা বুঝনো হয়।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর কেউ কেউ যদি বেশী পড়াশোনা করতে চায় তাহলে পিএইচডি করে। যারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তাদের কর্মজীবনে প্রমোশনের জন্য এই পিএইচডি অনেক দরকারী একটি জিনিস । একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গবেষণা করে অভিসন্দর্ভ বা থিসিস রচনা করার পর এক জন লোক পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এই পিএইচডি-র এমনই গুণ যে এটা পাবার পরপরই মানুষ তার নামের আগে ডঃ লিখতে শুরু করে। যদিও ডঃ তার নামের কোন অংশ নয়।


এক সময়ে তারা এই পদে ছিলেন বলে সারা জীবনই কি এই পদ তার নামের সাথে ব্যবহার করা উচিত? কেউ যদি তার নাম লিখেন প্রফেসর আবুল হোসেন। তাহলে কি আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে না যে প্রফের শব্দটা তার নামেরই অংশ কিনা? এক সময় শিক্ষকতা করতেন এবং প্রফেসর ছিল তার চাকরির .ব্যাংক। তাই বলে কি এই .ব্যাংকটা সারা জীবনই সবাইকে বলে বেড়াতে হবে? অথচ এটাই তো চলছে। চলবে হয়তো অনন্তকাল।

আমাদের আমলাকুল শিরোমণি সচিবগণ এই ঝামেলা থেকে মুক্ত। তারা তাদের নামের আগে বা পরে কোন সচিব শব্দ ব্যবহার করেন না। প্রফেসর, উকিলরা পারলে সচিবরা কেন পারেন না আমি বুঝি না। তাদেরও নামের আগে বা পরে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে কি ভাবে মানুষ বুঝবে যে তারা এক সময় সচিব ছিলেন কিংবা এখন সচিব।


বড় বড় পদ ধারীরা না হয় তাদের নামের আগে বা পরে পেশাগত পরিচয় লিখে নামের সৌন্দর্য বাড়ালেন । কিন্তু ছোট ছোট পদে যারা চাকরি তারা কি করবেন? তারাও করতে পারেন। তবে র্ব্তমান বাজারে মানুষ বড় শেয়ানা। তাই ইচ্ছে করলেই আর ছোট পদবী নামের আগে পরে ব্যবহার করে বাহার বাড়াতে পারবেন না। তবে আমাদের দোহারে কাজেম পেশকার নামে এক জন লোক ছিলেন। তিনি তার নামের শেষে পেশকার লিখতেন। এক সময় তিনি মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন সম্ভবত।

বর্তমানে কোন লোক কি আর পারবে নামের আগে পেশকার, মোক্তার, দফাদার কেরাণী ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করতে? পারলে তিনি যে পরবর্তী জীবনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা পৌরসভার মেয়র হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।

অনেক খারাপ পেশার লোক আছে যেমন মাস্তানী যারা করে তাদের নামের আগে বা পরে আবার নানা ধরনের বাহারী শব্দ ব্যবহার করতে হয়। যেমন কানকাটা রমজান, ঠোট কাটা মিঠু, মুরগী মিলন, নাক কাটা কুদ্দুছ ইত্যাদি। কে কত বড় মাস্তান সেটা বুঝাতে হলে একটা টাইটেল থাকা প্রয়োজন। তা না হলে মানুষ ভয় পাবে কেন? বর্তমান সমাজে মাস্তানরা অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের প্রভাবশালী মানুষ। সমাজের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের জড়িত থাকা এক কমন বিষয়।

তবে নামের আগে বা পরে এই সব শব্দ লাগানো হলেও তা কিন্তু অবশ্যই কারণ তার নামের বানান সহ জন্ম তারিখের বড় একটা প্রমাণ দেবে তার এসএসসি-র সনদ। তাই ব্যবহার করলেও এই সব নাম যুক্তি সিদ্ধ নয়। জানি অনেকেই আমার সাথে এক মত হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই । কারণ আমাদের বেশীর ভাগ মানুষেরই জন্ম সনদ নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এমন মানষের সংখ্যা কিন্তু নেহায়েত কম নয়।

এক জন মানুষের নামের শেষে খান, মোল্লা ইত্যাদি লাগানো হয়। এটাকে কি বলে? উপাধি কিংবা পদবী এই ধরনের কিছু একটা হয়তো হবে। মূল নামের সাথে কিছু একটা উপাধি জাতীয় শব্দ কেবল বাংলাদেশেই নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও প্রচলিত রয়েছে। তবে এই পদবী বা উপাধি নামের শেষে না বসে প্রথমেও বসতে পারে।

আমি এই ধরনের পদবী বা উপাধি কি ভাবে এলো তা আমি নিজে নিজে কিছুটা চিন্তা করে বের করেছি। ব্যাপারটা এই রকম। অনেক অনেক আগে যদি কোন লোক বড় জমিদারের বাড়িতে জসা-খরচের হিসাব তথা লেখালেখির কাজ করত তার পদ ছিল সরকার। পরবর্তীতে ঐ লোকের ছেলে জন্ম নিলে তার নামের পাশেও লাগানো হল সরকার। এক লোকে চৌকিদারদের প্রধান ছিল। পরে তার পদবী অনুসারে ছেলেরাও ব্যবহার করতে থাকে দফাদার উপাধি। বড় নবাব কিংবা জমিদারের বাড়িতে দোয়া দরুত পড়ত তাকে বলা হত মোল্লা। এই ভাবে তার ছেলেরাও মোল্লা উপাধি ব্যবহার করতে থাকে। যদি কেউ সঠিক জানেন তিনি আরো ভাল বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে পাঠকের মন্তব্য আশা করছি।

এই উৎপত্তি বিষয়ে আমি আর যাচ্ছি না। বে আমি দেখাব যে, বাংলাদেশে এই ধরনের উপাধি অনেকটাই আঞ্চলিকতার দোষে দুষ্ট। ব্যতিক্রম যে নেই তা কিন্তু নয়। আসুন, কয়েকটা দেখি।
যেমন: ১। বিক্রমপুর অঞ্চলে ঢালি উপাধিটা বেশী প্রচলিত- সোলেমান আলী ঢালী, বেলায়েত হোসেন ঢালী ইত্যাদি।
২। উল্লাহ কিংবা উল্যাহ- এটি নোয়াখালী অঞ্চলে বেশী প্রচলিত। যেমন – ওয়ালী উল্লাহ, নেয়ামত উল্লাহ, মুহাম্মদ উল্যাহ ইত্যাদি।
৩। জমাদার কিংবা জমাদ্দার- এটি বরগুণা অঞ্চলে বেশী প্রচলিত। যেমন – জাহাঙ্গীর জমাদ্দার, হোসেন আলী
জমাদ্দার।
৪। চৌধুরী – বৃহ্ত্তর সিলেট বিশেষ করে মৌলভী বাজারে বেশী প্রচলিত- আবু লেইচ মো: মবিন চৌধুরী।
৫। শেখ – এটি বৃহত্তর ফরিদপুরে বেশী প্রচলিত- শেখ হারুন, শেখ জব্বার ইত্যাদি।
৬। মীর- এটি বেশী প্রচলিত কুষ্টিয়া অঞ্চলে। যেমন – মীর মশাররফ হোসেন, মীর আবুল কাসেম ইত্যাদি।

ছেলে হোক না সে কানা। তার নাম পদ্মলোচন রাখুন।

এই রকম আরো মেলা আছে। পাঠকরা আরো যোগ করতে পারেন।

স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হবার পর আমি এক জন সহপাঠী পেয়েছিলাম যার নাম ছিল ফারুক হোসেন ডাকুয়া। সম্ভবত তার পূর্বপুরুষের কেউ ডাকু, ডাকাত কিংবা এই জাতীয় কিছু একটা ছিল। ২০০২ সালে বাকৃবি ক্যাম্পাস ছাড়ার পর আর ফারুক হোসেন ডাকুয়ার সাথে আর দেখা হয়নি। গাইবান্ধার বাসিন্দা ফারুক হোসেন ডাকুয়া এখন কোথায় আছে আমি জানি না। তবে ডাকুয়া উপাধিটি আমার কাছে ছিল অনেক নতুন। তাই আজো মনে পড়ে ফারুক হোসেন ডাকুয়াকে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

বিজন রয় বলেছেন: ডাকুয়া মানে যে ডেকে বেড়ায়, অথবা ডাকাত।

লেখার বিষয়টি ভাল।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদা। আমার সেই বন্ধুটি খুব স্মার্ট ছিল। সে দেখতে অনেকটা রমনা আসনের এক সময়ের এমপি এইচ বি এম ইকবালের মতো। এই কথা তাকে বললে সে ভয়ানক ক্ষেপে যেত। কেননা, সে ছিল ছাত্রদলের নেতা। তাকে ক্ষেপিয়ে খুব আরাম পেতাম।

পড়া ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নামের পূর্বে পদবি জুড়া নিয়ে দারুণ পোস্ট। তবে এসব পদবী-টদবী মানুষ এখন আর খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না। একটা সময় হয়তো এসব কেউ আর এসব ব্যবহারইই করবে না।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে উন্নত বিশ্বে এটা এখনো চালু আছে। আমাদের দেশে এগুলো বাদ দেয়া আমার মনে হয় ঠিক হয়নি। বিভিন্ন ফরম পূরণ করতে গেলে দেখবেন Surname এর একটা জায়গা থাকে। পদবী , উপাধি, মোল্লা, শেখ , চৌধুরী না থাকলে কি লিখবেন সেখানে?

পাসপোর্ট করতে গেলেও এটা কাজে লাগে।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

কাইকর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, নবীন চিত্র পরিচালক। আপনার সাফল্য কামনা করি সব সময়।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নামের প্রথম বা দ্বিতীয় অংশ তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও শেষের টা যেটাকে সার নেইম বা বংশ নাম বলে সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, অন্ততঃ বিদেশে। এজন্য অনেককে বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয়। আমার পরিচিত এক ছেলের নাম হলো রফিকুল ইসলাম হিরণ, পাসপোর্টে। তার পদবী ইসলাম, ডাকনাম হিরণ। হিথ্রোতে ইমিগ্রেশান অফিসার তাকে জিজ্ঞেস করেছে সার নেইম। সে বলেছে, ইসলাম। ইমিগ্রেশান অফিসারের কাছে তার পাসপোর্ট অনুযায়ী সার নেইম হিরণ। কাজেই তাকে প্রায় চার ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বেচারা অনেক কষ্টে ছাড়া পেয়েছিল!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মফিজ ভাই, আপনার মন্তব্য সঠিক। এই মালয়েশিয়াতে নামের বিড়ম্বনায় অনেক মানুষ নাকাল হয়েছে। পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে নিজের পৈত্রিক নাম হারিয়ে ফেলছে শ্রমিকরা।

পড়াশোনা না জানা এই সব শ্রমিকরা সব সময়ই অবহেলিত।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রবাসে অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: আরব দেশে আকামা / রেসিডেন্ট পার্মিট কার্ডে নামের সাথে বাবার নাম জুড়ে দেয়, এমনও হয় বাবার নাম এমনভাবে জুড়ে দিয়েছে যে নিজের নামটাই নাই। এই লেখার সাথে এই মন্তব্য জুতসই হয়নি, লেখাটা পড়ে কথাটা মনে পড়ল তায় মন্তব্যে ঢেলে দিলাম

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই একই ঝামেলায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক ভুগছে। কারো কারো আসল নামটি হারিয়ে গেছে চিরতরে। অনেকেই নিজের নামটি সঠিক ভাবে জানেন না। কেউ কেউ বাবার আসল নামটি হারিয়েছেন।

আপনাকে ধন্যবাদ। বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে আমাকে ধন্য করলেন বলে।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দারুন একটি বিষয় নিয়ে লেখেছেন; আশা করবো এমন পোস্ট নিয়মিত লেখবেন। ধন্যবাদ প্রিয় সাজ্জাদ ভাই। +++

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আপনি পড়েছেন জেনেই আমি ধন্য হয়ে গেছি। আপনার মতো বিজ্ঞ মানুষ যখন পড়েন তখন যে কোন লেখাই মূল্যাবান হয়ে উঠতে পারে। আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন। শিক্ষিত সুন্দর একটি জাতি গঠনে আপনার ভূমিকা আরো বেগবান হোক।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

অচেনা হৃদি বলেছেন: যার হৃদয়টা তুলোর মত নরম তার নাম হয় হৃদি! :(

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপুমণি! তোমার হৃদয়টা তুলোর মতো নরম হলে তো তুমি নাম রাখতে পারতে 'তুলি'। অথবা "তুলো হৃদয়"। স্ই যাই হোক মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভালো থেকো সব সময়।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রধর্ম
রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যকার ব্যাভিচারমূলক সম্পর্কের সন্তান ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কি? রাষ্ট্র কি মানুষ?
কেবল মানুষই ধর্ম পালন করে।
মানুষই বেহেশত আর দোযখের চিন্তা করে।
রাষ্ট্র কি বেহেশেতে যাবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.