নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন, পোশাকের গুণ-কীর্তণ করি

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়া-তে অবস্থিত পুত্রা মসজিদ। বামপাশে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এই দুইটি জায়গায় প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসে।


আমি যখন তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি সঠিক মনে করতে পারিছি না। আমাদের বাংলা বইয়ে একটি লেখা ছিল যার শিরোনাম ছিলো - পোশাকের গুণে। সেই প্রথম জানতে পারি - মানুষের জীবনে পোশাকের গুরুত্ব।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়াতে যে ভাবে দেয়া হয় ঈদের সেলামী

সেই রচনাটিতে দেখানো হয়েছিলো- শেখ সাদী সিরাজী যিনি পারস্যের বিখ্যাত কবি ছিলেন। তিনি একবার কোন এক বিশেষ প্রয়োজনে দূরে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে সন্ধ্যা হয়ে এলে তিনি এক আমীরের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
কিন্তু তখন তার গায়ে সাধারণ পোশাক থাকায় আমিরের বাড়ির কোন লোক তার কোন সমাদর করেনি।

কিন্তু ফেরার পথে তিনি রাজার দেয়া দামী পোশাক পরিধান করে আবার যখন তিনি সেই একই আমিরের বাড়িতে উঠলেন তখন সবাই খুব ব্যস্ত সমস্ত হয়ে উঠলো। স্বয়ং আমির এসে তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন।

রাতে খাবার সময় তার সামনে দেয়া হলো মুখরোচক আর দামী দামী সব খাবার । কিন্তু কবি মহোদয় কোন খাবার মুখে না তুলে তা তার পরনের পোশাকের পকেটে পুরতে লাগলেন।

কবির কান্ড দেখে আমির মহোদয় জিজ্ঞেস করলেন- কবিবর, খাবার কি সুস্বাদু হয়নি? আপনি খাবার মুখে না তুলে কেন জুব্বার পকেটে পুরছেন?

- আমির সাহেব, খাবার খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কিন্তু এই খাবার তো আর আমার প্রাপ্য নয়। তাই আমি খেতে পারছি না। যার খাবার তাকেই খাওয়াচ্ছি।

আমি মহোদয় বিস্মিত হলেন। বললেন- আমার কোন গোস্তাকি হয়েছে কি জনাব?

কবি বললেন- না আমির সাহেব। আপনার কোন গোস্তাকি হয়নি। বিষয়টি খোলাসা করে বললেই আপনি বুঝতে পারবেন।

প্রথম যে দিন আামি আপনার বাড়িতে আসি তখন আমার পরনে ছিল খুবই সাধারণ পোশাক। তাই আপনারা কেউ কোন খাতির যত্ন করনেনি।

আর আজ আমার পরনে দামী পোশাক দেখে আপনারা সবাই খাতির যত্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই আমি মনে করি - আজকের এই সব দামী মুখরোচক খাবারও আমার জন্য নয়। পোশাকের জন্য। তাই আমি যার খাবার তাকেই খাওয়াচ্ছি।

এই ঘটনায় আমির সাহেব খুব লজ্জিত হলেন এবং মহান কবি শেখ সাদীর কাছে বার বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।

পোশাকের গুণের কথা শেখ সাদী জানেন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ জানেন।

কিন্তু আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা হয় তো জানেন না।

গতকাল কুয়ালালামপুরের একটি ঈদের জামাতে শরীক হয়েছিলাম। সেখানে অনেক দামী দামী জামাকাপড়েরর ভিরে চোখে পড়লো অনে ক বাংলাদেশী ভাইদেরকে যারা পোশাকের ব্যাপারে কেন জানি মনে হলো খুব বেশী সচেতন নন।

তাদের বেশীর ভাগের পরনে দেখলাম- ময়লা টি শার্ট। কারো পরনে ময়লা শার্ট। কেউ কেউ আবার লুঙ্গি পড়েই চলে এসেছেন। খুব সহজেই বুঝে ফেলা যায় যে এরা বাংলাদেশী।

ভাইরে- একটা পাঞ্জাবীর দাম কত? একটা পাঞ্জাবী কিনে, গোসল করে, শেভ করে মাথায় একটা টুপি পরে হাসি মুখে মসজিদে এলে কি এমন ক্ষতি? সাথে একটু আতর মেখেও আসা যেতে পারে।

বাসায় ব্যবহারের জন্য এক ধরনের পোশাক, কাজে যাবার জন্য এক ধরনের পোশাক, উতসবের জন্য এক ধরনের পোশাক ঘুমানোর জন্য এক ধরনের পোশাক। একটু সচেতন হলেই হয়।

মালয়েশিয়ার মানুষ জন আমাদেরকে কেন যে কামলা মনে করে বুঝি না। আমাদের একটু সচেতন হতে হবে। যখন কাজে যাবো তখন কাজের পোশাক পড়বো। যখন কাজ শেষ কাজের পোশাক বদলে বাসার জন্য সুন্দর পোশাক পড়বো। যখন ধর্মীয় প্রয়োজনে যাবো তখন ধর্মীয় পোশাক পরবো।

সব সময়ই উত্তম পোশাক ( সাধ ও সাধ্যের ভেতর) পরিধান করা উচিত। আপনি লক্ষ্য করে দেখুন- মানুষ কিন্তু পণ্য কেনার সময়ও মোড়কটাই আগে দেখে। ভেতরের পণ্য বাসায় গিয়ে খুলে দেখে। পোশাক এক অর্থে মানুষের মোড়ক। মোড়ক সুন্দর না হলেও ভেতরের জিনিসের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এটা জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

সালাত আদায়ের সময় উত্তম ধর্মীয় পোশাক পরিধান করলেই বেশী ভালো হবে।

বাঙ্গালী জাতির এক জন সদস্য হিসাবে আমি বিদেশে এসে অনেক কিছুতেই লজ্জা পাই। সামনে এরকম কিছু পোস্ট দেব। মনে হয় আমার মতো আপনিও লজ্জা পেতে পারেন।

পোশাক মানুষকে বড় করে না। বড় করে তার গুণ। পোশাকের কারণে মানুষের মর্যাদা বাড়ে।
আমরা একটু সচেতন হলেই প্রবাসী শ্রমিক ভাইরা এটা করতে পারেন।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন ভাইয়া । আল্লাহ যাকে যতটুকু সামর্থ দিয়েছেন সেটুকু তার পোশাক পরিচ্ছদে ফুটিয়ে তোলা উচিত অহংকার না করে । নতুন কাপড় না থাকলেও পরিস্কার পোশাক পরা উচিত।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপু, বিরাট সমস্যা এটা। আমি যখন শ্রীলঙ্কায় ছিলাম তখন দেখেছি । বাসায় কোন ইলেকট্রিসিয়ান ডাকলে কেতাদুরস্ত পোশাক পরে আসতো। কিন্তু কাজ শুরু করার আগে সেই পোশাক বদলে কাজের জন্য আলাদা পোশাক পরত।
কাজ শেষ হলে আবার কেতাদুরস্ত পোশাক পড়ে চলে যেত।

আমরা দুখি বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ছেড়া পোশাক পরে থাকতে চাই । কেন যে এমনটা করি আমরা বুঝি না।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

বিজন রয় বলেছেন: পোশাক আসলে অনেক কিছুই বলে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পোশাক এর কারণেই আমরা সাধু চিনি। সন্যাসী চিনি। পুলিশ চিনি। রাব চিনি।
সাহেব চিনি । তাই পরিবেশ বুঝে সুন্দর পোশাক সবারই পরিধান করা উচিত।

এতে করে নিজেও আরাম পাওয়া যাবে। দেশের মানও বৃদ্ধি পাবে।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: হে মানবসন্তান আমি নানান রুপে তোমাদের সামনে নিজেকে উপস্থিত করেছি। চোখ মেললেই আমাকে দেখবে। কান পাতলেই আমাকে শুনবে। কেন তোমরা চোখ ও কান দুই-ই বন্ধ করে রেখেছ?

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তাই তো। এই ব্যাপারটি তো কখনো ভেবে দেখিনি।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছিলাম শেখ সাদীর কথাটা হয়ত পোস্টে থাকবে। এবং পেলামও। তবে পড়তে পড়তে আমি দ্বিধায় ছিলাম, পোশাকের হয়ত আজ আপনি বারোটা বাজিয়ে ছাড়বেন। শেষে এসে একটু আশ্বস্ত হলাম।

বিদেশে কী দেশে, আমরা অনেকেই পোশাকের ব্যাপারে সচেতন নই। ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের এক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। যেখানে সবাই ছিলেন স্যুট-টাই পরা, তাঁর গায়ে ছিল একটা টি-শার্ট এবং খুব সাধারণ ভাবে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। আমরা তখন বিদেশের মাটিতে বসে খেলা দেখছিলাম। আমরা সবাই বাংলাদেশীই ছিলাম, কিন্তু নিজেদের খুব খাটো মনে হচ্ছিল, আমরা নিজেরাই খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম।

বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ বিদেশে নন-স্কিল্ড হ্যান্ড হিসাবে নিম্ন পর্যায়ের কাজ করেন। সরকারি পর্যায়ে স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুবিধা পর্যাপ্ত না হওয়ায় এরকম হচ্ছে। আর যেখানে তারা কাজ করেন, অনেককেই নিম্ন পর্যায়ের কাজ করতে হয় বলে তারা নিজেদেরকে সবসময় ঐভাবেই রাখেন এবং কোথাও বের হলে খুব একটা ভালো বেশভূষা পরার তেমন তাগিদ অনুভব করেন না মনে হয়। ফলে, বৃহত্তর পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের একটা নেগেটিভ ইমেজ ছড়িয়ে পড়ে বিদেশিদের সামনে। এমনকি, বিমানে যাতায়াতের সময়ও তাদের পোশাক-আশাকের অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না। এর নিষ্ঠুর বাস্তব দিকটা হলো, দেশেও এদের আর্থিক অবস্থা খুব অসহায় পর্যায়ের, হয়ত দেশেও সবসময় লুঙ্গি আর টি-শার্ট পরেই কাজ করতে হয় (আমার দেখা মানুষজনের কথা বলছি); সব শেষে সহায়-সম্বল বিক্রি করে উন্নত জীবিকার আশায় তারা বিদেশের পথে পা বাড়ান। আমার পরিচিত অনেক পরিবারের কথা জানি, যারা বিদেশে গিয়ে মাসের পর মাস চাকরি না পেয়ে অন্যদের ঘাড়ে বসে খাচ্ছেন। দেশে মা-বাবা-পরিবার আগের দেনা সহ নতুন দেনায় ডুবতে থাকে, আর তারা ঐখানে কিছু না পেয়ে দেনা করতে থাকে। চাকরির বাজার, বিশেষ করে শ্রমিকদের, বিদেশে এখন খুব মন্দা যাচ্ছে। এজন্যই হয়ত মানবেতর জীবন যাপন করার পর পোশাক-আশাকের দিকে নজর দেয়ার তেমন একটা মনোভাব তাদের মধ্যে থাকে না।

বিষয়টা ভেবে দেখার। আমাদের দেশের যে-সব মানুষ উচ্চ পর্যায়ে কাজ করছেন, তারা হয়ত কাউকে সামাজিক ভাবে আঘাত না করে একটু উন্নত পোশাক-আশাক পরে সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় চলাচলের জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।

তবে, কিছু মানুষের স্বভাবই থাকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কঞ্জূষপনা করার। তাদের বলেকয়ে তেমন লাভও হবে না।

শুভেচ্ছা রইল সাজ্জাদ ভাই।


২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাইয়া, আমার পোস্ট র চেয়ে আপনার মন্তব্যটাই বরং বেশী ভালো আর বড় হয়েছে। আপনার মন্তব্য থেকে আমি বরং আরো বেশী জানতে পারলাম।

সবাই যাতে সামর্থ্য অনুযায়ী পরতে পারে তাই তো নানান দামের পোশাক তৈরী হয়। মার্কেটেরও ভিন্নতা আছে। তবে বেশী দামী পোশাক না পরে কম দামী পোশাকও ধুয়ে ইস্ত্রি করে পরলে দেখতে খুব একটা খারাপ লাগবে না।

যাদের টাকা আছে তারা দামী দামী পোশাক পরুন। আমাদের যাদের টাকা নেই তারা কম দামী পোশাক পরিস্কার করে ইস্ত্রি করে সুন্দর ভাবে পরিধান করি।

সুন্দর জিনিস চিরকালই আনন্দদায়ক। আমরা সুন্দরের পুজারী হতে পারি। জীবন অনেক সুন্দর। আমরা জীবকে সাজাতে পারি।

আপনার জন্য সীমাহীন কৃতজ্ঞতা আর শুভ কামনা। ভালো থাকুন সব সময়। জীবন হোক সুন্দরতর।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। সবাইকে বোঝাতে হবে সে দেশের একটা সাইনবোর্ড। অনেক বছর আগে আমাদের কোম্পানীতে এক লোক নতুন এসে ম্যাসে গিয়েছে খালি সেন্ডো গ্যাঞ্জি পরে। তখন আমাদের এক সিনিয়র কলিগ তাকে বকা দিল যে, এখানে কী মাটি কাটার কাজ করতে এসেছেন? পরে সে তার ভুল বুঝতে পারে। আমরা প্রবাসীরা আশে পাশের সবাইকে এ ব্যপারি সচেতন করতে পারি। আমাদের এপিয়ারেন্সের কারণেই আমাদেরকে কেউ অফিসিয়াল পোস্টে দেখলে অবাক হয়ে যায়!...

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়াতে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে- এদেশের মানুষ ধরেই নিয়েছে আমরা কামলা বেঁচে খাই। কাজ করে খাওয়া কোন অন্যায় নয়। কিন্তু পোশাকে আশাকে চাল চলনে একটু স্মার্ট হওয়া খুব কঠিন কোন কাজ নয়।

প্রতি মাসে যে নতুন নতুন পোশাক কিনতেই হবে তা নয়। একটি পোশাক ধুয়ে আর ইস্ত্রি করেও অনেক বার ব্যবহার করা যেতে পারে। সুন্দর পোশাক পড়লে মনও সুন্দর হয়।

আমার এক ক্লাসমেট বন্ধু আছে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু প্রদেশের সুলতান জয়নাল আবেদীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার সেই বন্ধু বলল- বন্ধু, মালয়েশিয়াতে আর চাইলেও থাকতে পারছি না।
আমি বললাম- কেন।
এরা আমাদেরকে অন্য চোখে দেখে। মনে করে আমাদের দেশে কামলা ছাড়া আর কোন মানুষ নেই।

আমার সেই বন্ধু অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশন নিয়েছে। এ বছরের শেষে চলে যাবে। তার মনে যেমন কষ্ট সেই কষ্টটা আমাদের মতো আরো অনেকেরই ।

পোশাক মানুষকে বড় করে না। বড় করে তার গুণ। পোশাকের কারণে মানুষের মর্যাদা বাড়ে।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রবাসী শ্রমিক ভাইরা ভালো থাকলে, আমরা ভালো থাকবো। তারা ভালো থাকুক।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তারা মোটামুটি আছে। এটাকে ভালো বলা ঠিক হবে না। তবে তাদের উচিত সাধ্য মতো পরিস্কার জামা-কাপড় পরিধান করা। এটা করলে দেশের এবং নিজেও ইজ্জত বৃদ্ধি পাবে।

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা এ ব্যাপারে খুবই অসচেতন, বিশেষ করে ওয়ার্কাররা, তারা দেশে বিল্ডিং করলেও ওখানে ছেড়া কাপড় ময়লা কাপড় পরবে, ভাববে কেউ দেখার নেই, এ ব্যাপারে কিপ্টামি করে খুব। সামর্থ থাকার পরও কাজটা করবে

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই বিষয়টি আমাকে খুব পীড়া দেয়। ময়লা জামা-কাপড় পরে কারো সহানুভূতি পাবার চেষ্ট করা ঠিক নয়। সাধ্য মতো পরিস্কার জামা-কাপড় পরিধান করলে দেশের এবং নিজেও ইজ্জত বৃদ্ধি পাবে। পরিস্কার জামা পরলে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকে। এটা আমাদের শ্রমিক ভাইদের বুঝা দরকার।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

টুনটুনি০৪ বলেছেন: পোষ্টটি থেকে অনেকের শিক্ষনীয় আছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, টুনটুনি আপুনি। শেখার কোন শেষ নাই, কোন বয়স নাই। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়। জীবন হোক ফুলের মতো সুন্দর।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

এটম২০০০ বলেছেন: (What Mr. X told).. I read in a private university. My girl friend complained, her parents want her to wear Burkha, Nekab and she said- she does not like it. Then she told she would do that if I can do the same. I procured such a dress. Our university is strict where no one is allowed inside without ID card and there are cctv camera every where. In such a situation I procured such a dress and wore in in bath room. I called my girl friend in the garden. She was amazed to see me. The following day she came in Burka Nekab dress. She told her parents were happy. Happier was I myself. From then onwards we two sat beside the bush side by side with books open on our lap and pretended to read. Our hands however touched one another in all possible places. The feeling was wonderful. Within a week my girl friend grew impatient. My parents flew to Singapore, the house was vacant. I invited and we got each other in my bedroom. Ever since I myself and my girl friend love Burka nekab an also Hizab. I forgot to say, my girlfriend has long hair and Hizab gives excellent service.'

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Dear Atom 2000, I enjoyed your story. Your story may happened. But it depends on the user how they treat it. We should respect our noble quality of human being. Thank you very much.

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

এটম২০০০ বলেছেন: Burka/Nekab Hizab are worn by FIVE groups of women/girls;
(01) Innocent women who believe, it is endorsed by their religion.
(02) Ugly women who want to keep their faces hidden.
(03) Poor women who want to hide their old/cheap dress.
(04) Private university female students who want to keep their identity secret, specially from cctv camera or the guard.
(05) Private university female students who want to keep identity hidden, sit closely beside his burkawali girl friend to touch her body and to visit private places with her.
Yes, Burka/Nekab, Hizab can reduce the number of raping. The young men, specially university students get such wide scope to fulfill desire that they become non-interested for risky raping.
Yes, Burka/Nekab, Hizab would increase pickpocketing because the criminals can easily hide them inside it.

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সালাতের সময় অবশ্যই উত্তম পোশাক পরতে হবে।যেনতেন অপরিষ্কার জামা গায়ে তো আর সালাত আদায় করার কথা বলা হয়নি।
আমরা বাঙালীরা সব কিছুতেই ঢিলেমি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সব সময়ই উত্তম পোশাক ( সাধ ও সাধ্যের ভেতর) পরিধান করা উচিত। আপনি লক্ষ্য করে দেখুন- মানুষ কিন্তু পণ্য কেনার সময়ও মোড়কটাই আগে দেখে। ভেতরের পণ্য বাসায় গিয়ে খুলে দেখে। পোশাক এক অর্থে মানুষের মোড়ক। মোড়ক সুন্দর না হলেও ভেতরের জিনিসের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এটা জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

সালাত আদায়ের সময় উত্তম ধর্মীয় পোশাক পরিধান করলেই বেশী ভালো হবে।

বাঙ্গালী জাতির এক জন সদস্য হিসাবে আমি বিদেশে এসে অনেক কিছুতেই লজ্জা পাই। সামনে এরকম কিছু পোস্ট দেব। মনে হয় আমার মতো আপনিও লজ্জা পেতে পারেন।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: আমি এই ব্যাপারে পুরাপুরিই একমত ভাইয়া।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার আপু‌নি আমার সা‌থে এক মত তো হ‌বে। শত হ‌লেও ভাই বোন যে।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ‌প্রিয় ক‌বি‌,দু‌নিয়াখানা বড় বি‌চিত্র। এখা‌নে জীবন যেমন বৈ‌চি‌ত্রে ভরা তেম‌নি ক‌ঠিন।

১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

রাকু হাসান বলেছেন:
দুঃখজনক । একটু চেষ্টা করলেই সমাজের সাথে তাল মেলানো যায় । আর সেটা তো বিদেশ ।সেখানে সব কিছুতেই নিজের দেশ চলে আসে । সুনাম বা দুর্নাম ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপ‌নি অ‌নেক সুন্দর মন্তব্য ক‌রে‌ছেন। বি‌দে‌শে বাংলা‌দে‌শের প্র‌তি‌টি নাগ‌রিকই নিজ নিজ দে‌শের প্র‌তি‌নি‌ধিত্ব ক‌রে। তাই দে‌শের যেন বদনাম না হয় সেই চেষ্টাই করা উ‌চিত।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

এ.এস বাশার বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট। পরে হলেও পড়তে পেরে ধন্য হলাম.....
বিনম্র শ্রোদ্ধা জানবেন........

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এটি কোন পোস্টই হয়নি। আপনি অনেক বিনয়ীও ভদ্র এক জন মানুষ । তাই এমন করে বলেছেন।

ভালো থাকুন সব সময়। জীবন হোক আরো বেশী সুন্দর আর আনন্দময়।

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০০

মো঳ নজরুল ইসলাম বলেছেন: This writing is very informative. This post will be very helpful to be conscious about our dress. Good dress makes good impression .Thank you for sharing this writing.
We have good collection of best quality latest shirt in cheap price. We offer 10% discount only for the online customers. To enjoy the offer

Click here

০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Dear Sir
Thank you so much for your excellent impressive and motivating comment.

We should put on our dresses at a reasonable price and at a good taste.

Please encourage our expatriate workers.

With best regards

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.