নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী শ্রমিকদের মাহাথির প্রীতি!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৮



২০১৮ সালের ৯ মে-র সাধারণ নির্বাচন নিয়ে সারা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের মাঝে তুমুল আলোচনা। কে আসছেন ক্ষমতায়।
পুত্রজায়ার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কে বসছেন?

স্বাধীনতার পর থেকেই ক্ষমতায় থাকায় ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গাইজেশন ( UMNO) এর জোট বারিসান ন্যাশনালের ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা নাজিব তুন রাজ্জাক নাকি ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ও স্বেচ্ছায় ক্ষমতায় ছেড়ে দেয়া আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহামাদ?

লাখ লাখ প্রবাসী শ্রমিকের অনেককেই বলতে শোনা গেছে – মাহাথির তো বাংলাদেশের বংশধর। উনি ক্ষমতায় এলেই লাখ লাখ শ্রমিকের সুবিধা। হাজার হোক উনি আমাদের নাতি তো !

মাহাথিরের জোট পাকাতান হারাপান ন্যুনতম সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেয়ে সরকার গঠন করেন। পার্লামেন্টে মাহাথিরের নিজের দলের সিট ছিল মাত্র ১২টি। এই ১২ টি সিট নিয়েই তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন। শর্তসাপেক্ষে। তিনি প্রথম ২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আনোয়ার ইব্রাহিমকে জেল থেকে মুক্ত করবেন। পরের ৩ বছর আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

তিনি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশী শ্রমিকদের কোন লাভ হয়নি। কেননা, মাহাথির তো আর বাংলাদেশের কেউ নন। তার পূর্বপুরুষ ভারতের কেরালা থেকে আগত। তিনি নিজেও চান না তার দেশে প্রচুর পরিমাণ বিদেশী শ্রমিক থাকুন। তাই নাজিব আমলের শ্রমিক বিষয়ক নানা কারসাজি তিনি বন্ধ করার প্রয়াস নেন। ফলে বাংলাদেশীরা হতাশ। ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখুন।

এখানে একটি কথা বলে নিই। মালয়েশিয়াতে প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৩ জন বাংলাদেশী শ্রমিক মারা যায়। তাদের বেশীর ভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে।

আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া নির্মাণে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অসামান্য অবদান আছে। তাদের রক্ত আর ঘাম মিশে আছে মালয়েশিয়ার উন্নয়নের সর্বত্র।

সেই দেশের অনেকেই এটা মানতে চান না। তারা মনে করেন- বাংলাদেশের শ্রমিকরা তাদের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আসছেন। তা কিন্তু নয়। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেন। প্রতি বছর গড়ে ৩ হাজার রিঙ্গিত ভিসা ফিস আর লেভি দেন সরকারকে। এই টাকা জমা দিতে আবার দালালরা ও বেশ কিছু টাকা খেয়ে ফেলে। বোঝার উপর শাকের আটির মতো বদ মালয় পুলিশ। তারা প্রতিনিয়ত টাকা খায়।

আমি মনে করি, বাংলাদেশী শ্রমিক না থাকলে মালয়েশিয়া আবার থমকে যাবে।

তুন মাহাথির যে বক্তব্য দিলেন সেই একই জায়গায় বসে এই বক্তব্যটা যদি জার্মানীর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, কানাডার জাস্টিন ট্রুডো কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প দিতেন তাহলে এই বক্তব্যটা কেমন হতে পারতো একবার ভেবে দেখুন তো।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: মাহাথীর ভালো।
উনি দেশের উন্নয়ন ছাড়া আর কিছু ভাবেন না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সব নেতারই উচিত নিজের দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থকে বড় করে দেখা।
এটাই দেশপ্রেম।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীরা হতাশ.....হতেই পারে কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে, উনি যেটা করছেন সেটা উনার দেশের ভালোর জন্যই করছেন। অন্য কোন বিষয় এখানে নাই।

ড: মাহাথির আমার কাছে একজন প্রকৃত নেতা। এমন নেতা পাওয়া যে কোন দেশের জন্যই অত্যন্ত সৌভাগ্যের।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অবশ্যই উ‌নি যোগ্য নেতা। কিন্তু বাংলা‌দেশী শ্র‌মিকরা উনা‌কে তা‌দের দে‌শের না‌তি ধ‌রে নি‌য়ে‌ছেন। উনার পূর্বপুরুষরা বৃ‌টিশ ভার‌তের কেরালা থে‌কেরআগত। আর হাল আম‌লে বাংলা‌দে‌শের অ‌নেক মানুষ ভ্রান্ত ধারণায় ভুগ‌ছেন যে, উনার দাদা পরদাদারা চট্টগ্রা‌মের।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

হাবিব বলেছেন: আমার মামা, এক চাচাতো ভাই এবং আমার শ্বশুর মালয়েশিয়া থাকেন। লেবার ভিসায় সবাই। তাদের কাছে শুনিনি এমন কথা। হয়তো তারা এসব নিয়ে ভাবেনই না। এর মধ্যে আমার শ্বশুরকে যে দালাল মালয়েশিয়া নিয়েছিলো সে বলেছিলো বেতন দিবে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু যাবার পর দেখে বেতন ২০ হাজার টাকা। এইটা দেখে ওখানেই পাসপোর্ট রেখে পালিয়ে যায়। আর এখন কাজ করছেন পালিয়ে পালিয়ে। কি যে অবস্থা!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যখন প্রথম এখানে আসি তখন ১ রিঙ্গিত = ২৬ বাংলাদেশী টাকা ছিল। এখন ১ রিঙ্গিত = ২০ টাকার একটু বেশী।

আগে কেউ এক হাজার রিঙ্গিত বেতন পেলে বাংলা টাকায় ২৬ হাজার টাকা পেত। এখন এক হাজার রিঙ্গিত বেতন পেলে ২০ হাজার টাকা পায় । মানুষের বেতন কমে গেছে। ১ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে নিজে খাবার পর দেশে পাঠাবে কি?

দেশের শ্রমিকদের দেশেই কাজ দেয়া হোক। তাদের পারিবারিক জীবন হোক।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ঠিকই আছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাাহাথিরের এই ভাষণ শুনে কেউবা বেজায় খুশী। আবার কেউবা রাগে ফুসছে।
টেক্সাসে প্রবাসী আমার বন্ধু ব্লগার স্বপ্নীল ফিরোজ এই ভিডিও দেখে প্রচন্ড খেপে গেছে।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাাহাথিরের এই ভাষণ শুনে কেউবা বেজায় খুশী। আবার কেউবা রাগে ফুসছে।
টেক্সাসে প্রবাসী আমার বন্ধু ব্লগার স্বপ্নীল ফিরোজ এই ভিডিও দেখে প্রচন্ড খেপে গেছে।


এ জন্যই বর্তমানে কোন মানুষের কাছ থেকে বেশী আশা রাখতে নেই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। যাদের দেশে তাদের নেতা। তাদের মঙ্গল চিন্তাই করবেন। আমাদের কি।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

জুন বলেছেন: আমাদের বাংগালীরা সব জায়গাই আত্নীয়তা খুজে বেড়ায়। কিন্ত আত্মীয় হলেই যে আমার জন্য জান দিবে এটা ভুল ধারণা। এ ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সবাই নিজ নিজ স্বার্থ দেখবে এটাই দুনিয়ার রীতি। যেমন ভারত তাদের আমরা বড় ভাই বড় ভাই বলে জান দিচ্ছি কিন্ত অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে তারা তাদের স্বার্থ দেখছে। কথায় বলে "গলা ধরে কাদছে তালুই পোটলা ছুতে দিচ্ছে না " অবস্থা। মাহাথির তো আর নানী নানী করছে না, নাতির কাছে পোটলা অধরাই থাকছে । ভালোই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখানে একটি কথা বলে নিই। মালয়েশিয়াতে প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৩ জন বাংলাদেশী শ্রমিক মারা যায়। তাদের বেশীর ভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে।

আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া নির্মাণে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অসামান্য অবদান আছে। তাদের রক্ত আর ঘাম মিশে আছে মালয়েশিয়ার উন্নয়নের সর্বত্র।
সেই দেশের অনেকেই এটা মানতে চান না। তারা মনে করেন- বাংলাদেশের শ্রমিকরা তাদের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আসছেন। তা কিন্তু নয়। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেন। প্রতি বছর গড়ে ৩ হাজার রিঙ্গিত ভিসা ফিস আর লেভি দেন সরকারকে। এই টাকা জমা দিতে আবার দালালরা ও বেশ কিছু টাকা খেয়ে ফেলে। বোঝার উপর শাকের আটির মতো বদ মালয় পুলিশ। তারা প্রতিনিয়ত টাকা খায়।

আমি মনে করি, বাংলাদেশী শ্রমিক না থাকলে মালয়েশিয়া আবার থমকে যাবে।

তুন মাহাথির যে বক্তব্য দিলেন সেই একই জায়গায় বসে এই বক্তব্যটা যদি জার্মানীর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, কানাডার জাস্টিন ট্রুডো কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প দিতেন তাহলে এই বক্তব্যটা কেমন হতে পারতো একবার ভেবে দেখুন তো।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Okay

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.