নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জীবন।

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১০:৪১



মানুষের জীবনকাল খুব বেশি বড় বা বেশি দীর্ঘ নয় । মহাকালের হিসাবে মানুষ খুব সামান্য সময় পায় বেঁচে থাকার জন্য।

কেউ বা সময় পায় ৫০/৬০ বছর। কেউবা আবার ৬০/৮০ বছর। ১০০ বছরের উপর আয়ুস্কাল পায় এমন ভাগ্যবান মানুষের সংখ্যা খুব কম। তবে বেশির ভাগ মানুষ মোটামুটি ৫০,৬০,৭০ বা ৮০ বছরের মধ্যেই তার জীবন কাল সমাপ্ত করে।

আসলে বছর নয়। মানুষ মহাকাল থেকে মাত্র কিছু সেকেন্ড সময় লাভ করে বেঁচে থাকার জন্য। অর্থাৎ আমরা মহাকাল থেকে কিছু সেকেন্ড সময় নিয়ে বেঁচে থাকি এবং প্রতি দিনই সেকেন্ডগুলো খরচ করি। প্রতি মুহূর্তে আমাদের জীবন থেকে একটি করে সেকেন্ড হারিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে। বেঁচে থাকাটা আসলে একটা রুটিন মাফিক বিষয়। এটার বেশীর ভাগই চলে যায় একটি রুটিন মাফিক কার্যক্রমের মাধ্যমে। প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রাতঃক্রিয়াদি সম্পাদন করা, কাজের জন্য বের হওয়া, রাতে আবার বাসায় এসে আহারগ্রহণের পর নিদ্রাগমন। প্রায় একই রকম চলতে থাকে দিনের পর দিন। তারপর এক সময় মৃত্যু এসে থামিয়ে দিয়ে যায় জীবন।


মানুষের পৃথিবীতে আসার একটি সিরিয়াল থাকে। কিন্তু পৃথিবী থেকে চলে যাবার কোন সিরিয়াল নেই। ছোট বড় নেই। কে যে কখন চলে যায় কেউ জানে না। বড়, মেজ, সেজ আর ছোট । এদের মধ্যে বড়ই যে আগে চলে যাবে তার কোন ঠিক নেই। ছোট ও আগে চলে যেতে পারে।

মাঝে মাঝে আমার কাছে মনে হয়- মরে যাওয়া নয় বেঁচে থাকাটাই আমাদের জন্য আশ্চর্যের। প্রতি দিন আমরা মৃত্যু মাথায় নিয়ে ঘর থেকে বের হই। পথে চলতে বাস কিংবা ট্রাক এসে আমাকে পিষে শেষ করে দিতে পারে। পথে হাঁটার সময় উচু দালানের উপর থেকে ইট কিংবা ফুলের টব মাথায় পড়ে ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যেতে পারে। সন্ত্রাসী. মাস্তান কিংবা ছিনতাইকারী যে কোন মুহূর্তে আমাদের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিতে পারে। বড় ভবনে আটকে পড়ে আগুণে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া এখন আর কোন বিচিত্র ঘটনা নয়।

তাই আজকাল মনে হয় – বেঁচে যে আছি এটাই তো অনেক বড় আশ্চর্য ঘটনা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার ভাবনা। ভালো লেগেছে :)

০৯ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভালো। থাকুন সব সময় ।জীবন হোক আরও সুন্দর।

২| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১১:০৫

মুক্তা নীল বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই
গভীর ভাবমূলক কথা । কেউ বেঁচে থাকে আনন্দে ,কেউ কষ্টে । কেউ মৃত্যুকে ভয় পায় আর কেউ মৃত্যু কামনা করে ।

০৯ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাইয়া, আপনি অনেক সুন্দর বলেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো । ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সমাপ্ত করে কথাটা সঠিক নয়।আসলে সমাপ্ত হয়ে যায়।

৪| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ১২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই ছোট জীবনেই মানুষ টাকার জন্য, ক্ষমতার জন্য হেন অকাম-কুকাম নাই যা করে না। ক'দিন আগে 'গালিবয়' নামের একটা হিন্দী মুভি দেখলাম। তাতে একটা গানের কলি ছিল এমন,
তু নাঙ্গা হি তো আয়া হ্যায়, কেয়া ঘান্টা লে কার যায়েগা!

আপনার পুরোটা লিখার সারাংশ বোধহয় এই এক লাইনেই আছে।

৫| ০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:০২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বানী ঃ
" মৃত্যুর লক্ষ্য হলো সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে ফিরিয়ে নেয়া এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।" (সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩৫)
"তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরও অবস্থান করো, তবুও।" (সূরা-নিসা, আয়াত-৭৮)
"আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুকে নির্ধারণ করেছি।" (সূরা-ওয়াকিয়াহ, আয়াত-৬০)
মৃত্যু যন্ত্রনা সম্পর্কে নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন ঃ
" তরবারীর তিন শ'টি আঘাতের যন্ত্রনা একত্র করলে যা দাঁড়াবে, মৃত্যু যন্ত্রনা তার চেয়েও অনেক বেশী কষ্ট দায়ক বিবেচিত হবে।" (ইবনে আবিদ-দুনিয়া)

৬| ০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই ভাল কথা বলেছেন ।
মহাকালের হিসাবে এই জীবনটা খুবই ছোট হলেও
অনেকেই সাথে করে নিয়ে আসে এক মৃত্যুহীন প্রাণ
সুকর্ম করে মৃত্যুর পরে তা জগতকে করে যায় দান।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.