নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের গল্পঃ ইলিশের ঘ্রাণ

১৩ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০




রোজ রোজ একই রকম লতাপাতা, শাক আর কচু ঘেচু দিয়ে ভাত খেতে মন চায় না আয়না বিবির। গলা দিয়ে যেন ভাত নামতে চায় না। এক লোকমা ভাতের সাথে অনেক খানি পানি খেতে হয় ঢক ঢক করে। ভাত কেন যেন পেটের ভেতর যেতে চায় না। শেষ পর্যন্ত ভাত পেটের ভেতর গেলেও সব কিছু খালি খালি লাগে। পেট ভরে না। অতৃপ্তি রয়ে যায়। মনে হয় কত দিন ধরে না খেয়ে আছে। রাতে ঘুম আসে না। ক্ষুধার জ্বালা যেন রয়েই যায়। বার বার হা পিত্যেশ করে সময় কাটে।

কোন রকমে পেটে ভাত চালান করে দিতে পারলেও তৃপ্তি পায়না বুড়ি। আগে এই কষ্টটা ছিল না তার। মরিচ, পেয়াজ যা পেত সবই ভাতের সাথে মেখে খেয়ে নিত গপগপ করে। খেতে খুব একটা খারাপ লাগতো তার। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে জিহ্বা যেন রুচি পাল্টিয়ে ফেরেছে। গরীব মানুষের খাবার যেন তার কাছে আর সমাদর পায় না। খালি মাছ মাংস খেতে মন চায় ।

অনেক দিন ধরে ইলিশ মাছ খেতে মন চাইছে আয়না বুড়ির। প্রায়ই মনে মনে ভাবে- আহা, যদি এক টুকরো ইলিশ মাছ ভাতের থালার এক কোনে রাখতে পারত তাহলে সেই সুবাসেই সে পুরো থালা ভাত খেয়ে নিতে পারতো।

ছেলের সংসারে সে বোঝা হয়ে আছে। এটা সে খুব ভালো ভাবেই বুঝে। তাই কখনো কোন কিছু খেতে মন চাইলে আজকাল আর বলতে মন চায় না। এমন তো না যে ছেলে তার তালেবর। বিরাট তালুক আছে। সংসারের চার জনের মুখের আহার জোটাতেই সে হয়রান। তার উপরে সে তো এক রবাহুত। তার মুখের মাছ মাংস জোটানোর জন্য কাউকে কষ্ট দিতে চায় না সে।

অনেক রাতে পাতলা ঘুম ভেঙ্গে গেলে ব্যাপারীর কথা খুব মনে পড়ে। পাশের বাড়ির রহমানকে নিয়ে পদ্মায় মাছ ধরতে যেত মানুষটা। বিকেলে নৌকা সাজিয়ে নিয়ে বের হয়ে যেত। রাতের খাবারও নিয়ে যেত। সকালে আলো ফুটতে না ফুটতে নৌকা নিয়ে এসে হাজির হতো তারা। বাগিতে এসেই হাক দিত –কইরে বদরুল জলদি আয় । দেইখা যা।

বদরুল তখনো ঘুমে। এতো সকালে তার ঘুম ভাঙ্গে না। তবু বাবার হাক ডাক আর মায়ের চিৎকারে সে উঠে পড়তো। তার বাপে নাও ভর্তি করে ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে এসেছে। কত মাছ । যেন পদ্মার সব মাছই নিয়ে এসেছে। এতো মাছ কে খাবে? বড় বড় ২/৩ টা মাছ রেখে বাকি মাছ নিয়ে তারা চলে যেত দেবী নগর হাটে। সেই মাছ বিক্রি করে ঝাৎপি ভর্তি বাজার করে বাড়িতে ফিরতো। সপ্তাহের সেই দিনটি তার কাছে মনে হতো ঈদের দিন। এতো খুশী লাগতো তার। সে মাছ কেটে নিয়ে কয়েক পদের রান্না করতো। সব চেয়ে ভালো লাগতো ইলিশ ভাজা। কড়াইয়ের তেলে ইলিশ দিলে যে ঘ্রাণ বের হতো সেই ঘৃাণ ১০ বাড়ির পর থেকেও টের পেত সবাই। ভাতের সাথে সেই মাছ ভাজা মুখে দিলে মনে হতো বেহেশতী খাবার খাচ্ছি।

বদরুল তখন চুলোর পার থেকে সরতেই চাইতো না। আধা ভাজা মাছ তুলে না দিলে সেই কান্না জুড়ে দিত। আয়না বিবি বলতো- একটু তো ধৈর্য ধরবি বাজান। মাছ ভাজতেও তো সময় দেওন লাগে। ছেলেটা কোন অপেক্ষাই করতে চাইতো না।

ছেলের বউকে বলতে সাহস পায় না। যদি আবার রেগে যায়। আকামের মানুষ। তাকে খেতে দিচ্ছে এটাই বা কম কিসে। তারপর আবার ইলিশ মাছ। তবে সাহস করে একবার বদরুলকে বলে দেখা যেতে পারে। মায়ের এই সামান্য আব্দার কি সে রাখবে না।

আয়না বিবির মনে আজ একটি কথা জাগে। সকালে একবার বলবে বদরুলকে। কত দিন একটুকরা ইলিশ মাছ খায়না। পরানডা কান্দে। বলেই দেখবে। ছেলে যদি কোন উপায় করে। বলা তো যায় না।

বদরুল তার এক মাত্র ছেলে। জয়পাড়া বাজারে রিক্সা চালায়। উপজেলা সদরে আর তেমন রুজি রোজগার নেই। আজকাল কেউ আর মানুষ চালিত রিক্সায় উঠতে চায় না। ব্যাটারী লাগানো কলের রিক্সা এসে গেছে। সেই রিক্সা যেন ঘোড়ার বেগে দেৌড়ে চলে। তিন চারজন এক সাথে চড়ে। ভাড়াও হয় কম। তাই তার মতো রিক্সাচালকদের কাজ কমে গেছে।

তবে বিলাসী আর আয়েশী লোক এখনো প্রচুর আছে। তারা ভাগের ব্যাটারী চালিত গাড়ীতে উঠতে চায় না। একা একটা রিক্সা নেয়া দরকার। এতে মান সম্মানের বিষয় জড়িত। একটা রিক্সায় যদি একাই না উঠতে পারলো তাহলে আর ইজ্জত থাকে কই। টাকার চেয়ে ইজ্জত অনেক বড়। এই সব ইজ্জতী মানুষ জন এখনো আছে বলেই না তার মতো রিক্সা চালকরা এখনো কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে।

বুড়ি ঠিক করেছিল- কখনোই বলবেই না ছেলেকে।
কিন্তু সন্ধ্যা বেলায় ছেলে খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বাড়ি ফিরলো। দেখে তার মন ভালো হয়ে গেল। তাই সে মনে করলো এক বার বলেই দেখি না।
- একটু ভালো মন্দ খাইতে মন চায় রে বাপ। কয় দিনই আর বাঁচুম ক তো বাজান।
বদরুল খুব আগ্রহ নিয়ে মায়ের দিকে তাকায়। অনেক দিন কোন আব্দার করে না মা। হঠাৎ করে মায়ের কথা শুনে তার মন প্রাণ আকুল হয়ে উঠলো।

কি খাইতে মন চায় মা। তুমি কও আমারে।আমি কালই কিনা আনমু।
মনডা খুব ইলশা মাছ খাইতে মন চায়। কোন রকমে একটু মাছ অইলেই অইবো। আমি বাসনা দিয়াই ভাত খাইতে পারুম। আইচ্ছা, ইলিশা মাছ কি আইজ কাইল আর উডে না বাজারে?

-ঠিক আছে মা। আমি দেখুম অনে। কাইল এক বার বাজারে খোজ নিমু। তুমি অহন খাইয়া ঘুমাও।

পরের দিন খুব ভোরে বদরুল রিক্সা নিয়ে বের হয়ে পড়ে। তার কপাল খুব ভালো। খুব তাড়াতাড়ি বেশ ভালো কয়েকটা খ্যাপও পেয়ে গেল।

ইউরোপ আমেরিকায় চাকরি করে এমন কয়েক জন যুবক দেশে এসেছে বিয়ে করবে বলে। এদের হাত খুব বড়। রিক্সা নিলে দরদাম করে না। বিদেশে বড় চাকরি করে। টাকা এদের কাছে কোন ব্যাপারই না। দুই হাতে এরা খরচ করে। যেই খ্যাপ মানুষ ২০/২৫ টাকার বেশী দিতে চায় না সেই খ্যাপ এরা এক শ দেড়শ টাকা দিয়ে দেয়। রিক্সায় উঠে এরা দামী বিদেশী সিগারেট ধরায় । তাকেও একটা দিয়েছে।

২০/২৫ মিনিটের খ্যাপে সে আজ দুটি চকচকে একশ টাকার নোট পেয়েছে। তার মনটা খুবই ভালো। বদরুল ঠিক করলো আজ আর রিক্সা চালাবে না। তার চেয়ে বাজার করে বাড়িতে গিয়ে লম্বা একটা ঘুম দেবে।

বাজারে গিয়ে অবাক হলো বদরুল। দার মনটা গেল দমে। সে ঠিক করে রেখেছিল- ইলিশ মাছ কেটে ভাগা দিয়ে যে বিক্রি হয় তার একটা ভাগা সে কিনে নিয়ে যাবে। অনেক আগে বাজারে মাছ কেটে ভাগা দিয়ে বিক্রি করতো। অনেক দিন ইলিশ মাছ কেনা হয় না বলে তার ঠিক খেয়াল নেই কত বছর আগে।


বেশ কয়েক জন বিক্রেতার কাছে বড় ও মাঝারী সাইজের কিছু ইলিশ মাছ থাকলেও কেউ কেটে ভাগ দিয়ে বিক্রি করছে না। তার সামনেই এক জন এসে আস্ত একটা ইলিশ কিনে নিয়ে চলে গেল। লোকটা কোন দামাদামিও করলো না। মনে হয় তার কাছে টাকা কোন বিষয় না। মাছটা পেলেই হলো। টাকা যেন তার কাছে হাতের ময়লা।

কাহা, ইলিশের ভাগা দেও না ? আমি একটা ভাগা কিনতে চাই।
না রে ভাতিজা । অহন আর ভাগা চলে না। সবাই আস্ত মাছই কিনতে চায়। সবার হাতে এখন কাচা পয়সা। কেউ আর ভাগা কিনে না। আমার ও মেহনত কম। আবার লাভ ও হয় অনেক বেশী। তোমার লাগবো নি মাছ একখান?
কাহা, এই মাছ খানের দাম কত?
তিন হাজার এর নীচে দেওন যাইবো না।

দাম শুনেও বদরুল খুব দমে গেল। মাছ খাওয়া তার জন্য না। সে ফিরে চললো বাড়ির দিকে।
এক সময় বদরুল আনমনা হয়ে যায়। মনে পড়ে বাজানের সাথে সেও অনেক বার নেৌকা নিয়ে গিয়েছে পদ্মায়। প্রচন্ড ভয় করতো তার। নৌকার মাঝ খানে শক্ত হয়ে বসে সে বাজান আর রহমান চাচার মাছ ধরার কৌশল দেখতো। ইলিশ উঠলেই সে আনন্দে চিৎকার করে উঠতো।

বাড়িতে মাছ আনার পর মা কাছ কাটতো। সে মায়ের সামনে বসে থাকতো। সব চেয়ে মজা লাগতো রান্নার সময়। যখন মা কড়াইয়ে মাছ ছেড়ে দিত তখন যে ঝাৎ করে একটা শব্দ হতো সেই শব্দটা তার কানে বাজে এখনো। কড়াইয়ের তেলে মাছ দেয়ার একটু পড়েই মিষ্টি ঘ্রাণ বের হতে শুরু করতো। সেই ঘ্রাণ কে যেন সে আজও টের পেতে শুরু করেছে।

হঠাৎ করেই তার আগের জীবনে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে করল। সেই বাল্যকালে। সকালে ঘুমের ঘোরে থাকবে। তার ঘুম ভাঙ্গবে বাজানের চিৎকারে।
বদরুল, কইরে বাজান আয় দেখ আজ কত মাছ ধরছি।


( কুয়ালালামপুরঃ মে, ২০১৯)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার মানুষের মাঝে ভয়ংকর অসমতার সৃষ্টি করেছে সাইফুর রহমান, মুহিত, ক্রিকেট কামাল, জিয়া, এরশদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা; এগুলো আসলেই অমানুষ

১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি পাঠ করেছেন জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য সবাইকে উৎসাহিত করে । তুমিও উৎসাহিত বোধ করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময়। আপনার প্রবাস জীবন হোক অনেক অনেক সুন্দর।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছি না, মন খারাপ করে দিলেন :(

১৭ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনে আমি খুবই আনন্দিত বোধ করছি। আপনার মতো কেউ একজন যদি কারো লেখা পড়ে তবে , আমি মনে করি, তার লেখা সার্থক।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়। জীবন হোক অনিন্দ্য সুন্দর।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: নিম্নও মধ্য বিত্যদের জীবনের গল্প এমন করে জানে কয়জন! এমন কতো স্বাধ যে পূরণ হয়না।

১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি কষ্ট করে পড়েছেন জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনার প্রতি আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।

অনেক অনেক ভালো থাকুন সব সময়।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫১

শায়মা বলেছেন: মায়ের আর মাছ খাওয়া হলো না। :(

১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপুমনি। তুমি পড়েছ জেনে খুবই ভালো লাগলো। তুমি তো আর সবার লেখা পড়ার সময় পাও না। ভালো থেকো। শুভ কামনা।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫১

আরোগ্য বলেছেন: এটা কি করলেন সাজ্জাদ ভাই?
এখন তো ইলিশের ভাজা ঘ্রান আমার নাকে ভেসে আসছে। দেখি আগামীকাল মাছ কিনতে হবে, যদি একখান ইলিশ কিনতে পারি।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই , এখন একমাত্র সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরাই তরতাজা ভালো ইলিশ কিনতে পারে। আমাদের মত যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের কাছে ইলিশ মাছ এখন শুধুই একটা স্বপ্ন বিলাস । আমাদের এখন সময় এসেছে সামনে ইলিশ মাছের ছবি রেখে ভাত খাওয়া। এ ছাড়া উপায় নেই । শুধু দেখেই আমরা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই । এ ছাড়া আমরা কিই বা করতে পারি। ভালো থাকবেন, সুখে থাকবেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

জুন বলেছেন: আমার আব্বাও গল্প করতো আমার দাদাও নাকি ধলা কাকাকে সাথে নিয়ে নৌকা ভরে ইলিশ মাছ নিয়ে আসতো পদ্মা থেকে ।
আয়না বিবির জন্য খুব খারাপ লাগছে । আজ গ্রামীন জীবনে ব্রয়লার মুরগী ঢুকে পরেছে । মেহমান গেলে তাই রান্না করে । মাছ কেনার সামর্থ্য নেই কারো ।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার বাবা ও পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। তার কাছে শুনে আমার খুব ভাল লাগত। মনে হতো আমিও এক সময় নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাব প্রমত্তা পদ্মার বুকে। অজস্র ইলিশ মাছ ধরে আমি বিক্রি করব এলাকার বাজারে। কিছু মাছ বিলিয়ে দেবো আশেপাশের প্রতিবেশীদেরকে।

পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন সব।সময়।

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ মন কেমন করা গল্প :(
বদলে যাওয়া সময়ের গল্প।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপু, আপনি পাঠ করেছেন জেনে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার মত জ্ঞানীগুণী মানুষ পড়লে অবশ্যই ভালো লাগার কথা। আপনার প্রতি আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন সব সময়। আপনার জীবন হোক আনন্দময়।

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৭

বলেছেন: সময় বড়ই নিষ্ঠুর!!

বিষাদময় গল্পে ভালোলাগা

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি একজন গুণী লেখক। আপনি পাঠ করেছেন এটা তো আমার পরম সৌভাগ্য। আপনার প্রতি আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা ।আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন ।সুন্দর থাকুন । আপনার জীবন হোক আনন্দময়।

৯| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: কত দিন ইলিশ মাছ খাই না !!!!

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি তো প্রায়ই আপনার ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে মাওয়াঘাটে চলে যান । মাওয়া ঘাটে মাঝে মাঝে খুব তাজা ইলিশ পাওয়া যায় । যদিও তেমন খুব বেশি। একবার সময় করে কামারগাঁও বেড়াতে যান । খুব ভোরে সময় করে মাওয়া ঘাটে গিয়ে ইলিশ কিনে নিয়ে আসতে পারেন । অথবা ওখানকার রেস্তোরাঁগুলি ভেজে রান্না করে খাওয়াবে।

১০| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দেশের বৈষম্যের একটা চরম দিকে উঠে এসেছে গল্পে। এটাই এদেশের দরিদ্র পরিবারগুলোর বাস্তবতা। গল্পটি খুউব ভালো লেগেছে। নিয়মিত গল্প লিখুন প্রিয় সাজ্জাদ ভাই।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি এ বছরের বই মেলার সেই বায়োস্কোপের স্রষ্টা। ব্লগে এসে আপনি সবার হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন। আপনি আমার লেখাপড়া মনে আমার জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা উৎসাহ।

আপনার প্রতি আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা ।ভালো থাকুন । সুন্দর থাকুন আনন্দের সাথে থাকুন।

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৩২

মুক্তা নীল বলেছেন:
এত কষ্টের গল্প পড়তে ভালো লাগে না। তবে এমনটাই হয়
এখন। এরপরেও গল্পে ভালো লাগা।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি একজন অসাধারণ লেখক। আপনি আমার লেখা পড়েছেন এটাই আমার পরম সৌভাগ্য । আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন। সুন্দর থাকুন , সুখে থাকুন।

১২| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আহারে ইলিশ মাছ!! দিন দিন সোনার হরিণ হয়ে যাচ্ছে।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সত্যি বলতে কি ইলিশ মাছ আমার কাছে খুবই প্রিয় । কিন্তু আমি এক জন গরিব মানুষ । আমার পক্ষে কখনো ইলিশ কেনা সম্ভব নয় । ভালো শেয়ার বাজারে মাঝে মাঝে ছোট সাইজের বাচ্চা ইলিশ মাছ ওঠে। সেগুলো কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করি ।

আজ অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ,সুন্দর থাকুন সব সময়।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু কিছু জিনিস এখন গরীবের ধরা-ছোয়ার বাইরে। ইলিশ মাছ তার মধ্যে একটা।
আয়নাবিবির জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেল। আয়নাবিবি যদি সত্যিই থাকতো তাহলে আজই একটা ইলিশ মাছ কিনে দিতাম।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি আমার যে গ্রামে বসবাস করতাম সেই গ্রামের একজন মহিলা বেশ অনেক বছর আগে এই ধরনের একটি আক্ষেপ করেছিলেন । তার সেই আক্ষেপের কথাটি থেকে গল্পটি লিখেছি। তবে এই ধরনের আক্ষেপ করার মধ্য বয়স্ক মুরুব্বি এখনও অনেক আছেন । তাদের সবার হাতে এক টুকরো ইলিশ মাছ তুলে দেওয়ার মত সাধ্য আমার নেই।

আপনার প্যারিসের কাহিনী আরো পড়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকবো। আপনার প্রবাস জীবন সুন্দর হোক । সুখের
হোক । ভালো থাকবেন সব সময়।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুরুতে মনে হয়েছিল, হয়ত সন্তানের একটা নিষ্ঠুর চরিত্র দেখবো। কিন্তু গল্পের শেষে যে পরিণতিটা দেখলাম, সেটা আরো অনেক বাস্তব ও অনেক বেশি নিষ্ঠুর। ছেলের মনের আশা পূরণ হলো না মাকে ইলিশ খাওয়াবার, মায়েরও ইলিশ খাওয়া হলো না। এই শ্রেণির মানুষ কখনো ইলিশ চোখে দেখে না, চেখে দেখারও সুযোগ হয় না।

গল্পের শেষে কান্না পাচ্ছিল।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি আমার একজন প্রিয় লেখক, কবি, ও ফেসবুকার। আপনার ব্লগের লেখা যেমন আমি পাঠ করি । তেমনি আপনার ফেসবুকের পোস্টগুলিও দারুণ আগ্রহ নিয়ে পড়ি।

আপনি অসাধারণ লিখতে পারেন। আপনার বেশ কিছু বই আমি পড়েছি। আপনি একজন গুণী লেখক।

আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।

১৫| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মনটা বিষাদে ভরে গেল। মনে হল যেন একটা বাস্তব ঘটনা আপনি লিখেছেন।++

পোস্ট তৃতীয় লাইক।

শুভকামনা প্রিয় সাজ্জাদ ভাইকে।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ওপার বাংলার বেশ কিছু প্রিয় লেখকদের মধ্যে আপনি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। আপনি আমার লেখা পড়ছেন জানতে পারলে আমার খুব ভালো লাগে। খুব ইচ্ছা আছে হঠাৎ করে একদিন কলকাতা আগ্রা দিল্লি শহর ঘুরে আসবো।


দাদা, আপনি অনেক অনেক ভালো থাকবেন । আপনার জন্য সীমাহীন শুভকামনা। অশেষ কৃতজ্ঞতা ।ভালো থাকুন সব সময় ।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

আহা রুবন বলেছেন: গল্প পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বেশ লিখেছেন--গরিবদের চাওয়া, ছোট্ট অথচ পূরণ হবার নয়। জয়পাড়া, দোহার কত গিয়েছি! পরিচিতরা আজ কোথায় কে জানে!

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি এই অধমের লেখাপরাট করেছেন জেনে আমি খুবই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আপনার মন্তব্য আমার কাছে উৎসাহ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সব সময়।

১৭| ১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার লেখাটি রিপোষ্ট করতে হয়েছে, অনুগ্রহ করে আরেকবার কমেন্ট করে যাবেন। পূর্বের লেখাটি মুছে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি একজন গুণী বিদগ্ধ একজন মানুষ। আপনার পোস্টটি আমার ভালো লেগেছিল। প্রথম মন্তব্যটি ও আমি করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আপনি পোস্টটি সরিয়ে নেওয়ার পর আমার মন্তব্যটিও চিরতরে সরে যায় । কিন্তু আমি আমার মন্তব্যটির মনে করতে পারিনি। পরে নতুন একটি মন্তব্য করে এসেছি । ভালো থাকবেন।

১৮| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৯

করুণাধারা বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া গল্প। ভালো লাগলো।

আগে ইলিশের ভাগা পাওয়া যেত, ইলিশের ডিমও বিক্রি হত। এখন আর সেসব দেখা যায় না।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অসাধারণ সব পোস্ট দেন । আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন জেনে আমার খুব ভালো লাগলো । আপনার জন্য আমার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.