নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি *****************************

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

বাংলাদেশে এক সময় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল সর্বোচ্চ ২৭ বছর আর অবসরের বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর। এটা হয়তো সেই সময়ের জন্য সঠিক ছিল। পরবর্তী কালে সময়ের প্রয়োজনে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ করা হয় আর অবসরের বয়স করা হয় ৫৯ বছর। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যথেষ্ট নয়।
যেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে সেহেতু অবসর গ্রহণের বয়সও ৩ বছর বৃদ্ধি করা যুক্তিসঙ্গত। কেননা আগে কেউ চাইলেই সর্বনিম্ন ( ৫৭-২৭)=৩০ বছর চাকরি করতে পারতো। আর বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করাতে এখন সর্বমোট চাকরি করতে পারবে ( ৫৯-৩০)= ২৯ বছর। অর্থাৎ ধরেই নেয়া যায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করাতে এখন সর্বমোট চাকরি করতে পারবে আগের চেয়ে ১ বছর বছর কম। এটা অনেকের জন্যই পীড়াদায়ক ব্যাপার বলে মনে হয়েছে। সম্ভবত এটি আগে কারো নজরে আসেনি।


ইদানিংকালে তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বশেষ বয়সীমা ৩০ বছর থেকে আরো বৃদ্ধি করারও দাবি ওঠেছে। আমি মনে করি এটা খুবই ন্যায্য ও সময় উপযোগী দাবি। সময়ের প্রয়োজনেই এখন চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা আরো বৃদ্ধি করা সমীচীন হবে। বর্তমানের বাস্তবতাও তাই।

বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশী উন্নত একটি রাষ্ট্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগয়ে যাচ্ছে আমাদের সকলের প্রিয় মাতৃভূমি। পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
আমেরিকা, কানাডাসহ পৃথিবীর বেশীর ভাগ উন্নত দেশেই চাকরিতে প্রবেশের ও অবসর গ্রহণের কোন বয়সসীমা নেই। মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে যার যত বছর খূশী চাকরি করে। রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেয়। এই প্রথা বাংলাদেশেও থাকা উচিত। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এই সব দেশে চাকরিতে প্রবেশ আর অবসরের কোন বয়সসীমা যদি না থাকে তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশেও এটা থাকা বেমানান।

জ্ঞান বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে পুরো পৃথিবীটাই এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নের সুফল ভোগের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ও কর্মক্ষমতা উভয়ই আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু বেড়ে প্রায় ৭২ বছর হয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই গড় আয়ু ছিল ৭০ বছরের নীচে। সেই বিবেচনায় অবসর গ্রহণের বয়সসীমা এখন কমপক্ষে ৬৫ বছর করা যেতে পারে। এতে বিরাট সংখ্যক সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। অবসরের পর মানুষের হাতে কোন কাজ থাকে না। সীমিত আয়ে সংসার চলে না। মানুষ বিরাট হতাশায় দিন অতিবাহিত করে।

বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা প্রয়োজন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: অবসরের বয়সসীমা বাড়ালে কি বেকারত্ব কমবে নাকি বাড়বে??

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


না, এতে বেকারত্ব বাড়বেও না কমবে না । এখন যেমন আছে তেমন থাকার সম্ভাবনাই বেশি । কিন্তু যিনি চাকরি করছেন তার চাকরির মেয়াদ আরেকটু বাড়বে এবং শেষ বয়সটা তিনি অন্তত একটু ভালো চলতে পারবেন। কেননা এই বয়সে তার বেশি খরচ হয় । ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে হয় । নিজের চিকিৎসা খরচে বেড়ে যায়।

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখনো অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর । সুতরাং অন্যান্য চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এটা করাই যেতে পারে।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার শ্বশুর সরকারি করতেন।
সরকারি নিয়ম হিসেবে তাকে অবসরে যেতে হয়। তিনি কাজ পাগল মানুষ। গত ১৫ বছর ধরে তিনি ওকালতি করছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



সবাই তো আর আপনার শ্বশুরের মত উকিল হতে পারবেন না ।
তাই অন্য সবার এই চান্স নাই ।
যাদের যে সুযোগ আছে সেই সুযোগটাই কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করাটা উচিত।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: আরো কমিয়ে দেয়া দরকার, বেকারদের কথা একটু ভাবুন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এটা করা হলে বর্তমান বেকাররাও এটা থেকে উপকৃত হবেন সন্দেহ নেই ।
আপনি একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন ।
ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: না, এতে বেকারত্ব বাড়বেও না কমবে না । এখন যেমন আছে তেমন থাকার সম্ভাবনাই বেশি । কিন্তু যিনি চাকরি করছেন তার চাকরির মেয়াদ আরেকটু বাড়বে এবং শেষ বয়সটা তিনি অন্তত একটু ভালো চলতে পারবেন। কেননা এই বয়সে তার বেশি খরচ হয় । ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে হয় । নিজের চিকিৎসা খরচে বেড়ে যায়।

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখনো অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর । সুতরাং অন্যান্য চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এটা করাই যেতে পারে।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ৫৭-২৭ = ৩০ এবং ৫৯-৩০ = ২৯; মূল হিসাবটা এত সহজ না।

চলেন, পুরান সময়ে ফেরৎ যাই। যখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল সর্বোচ্চ ২৭। এখন ধরেন প্রবেশের সময়সীমা না বাড়িয়ে সরকার শুধু অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ করলো। তাহলে কি হলো? ৫৯-২৭ = ৩২ হয়ে গেলো। অর্থাৎ যে সব "যোগ্য লোক" ২৭ বছরে ঢুকছে, তাদের জন্য সরকার ২ বছর অলরেডি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা একটা চরম আনন্দের খবর; তাই না?

এখন সেই অযোগ্য লোকের কথা চিন্তা করেন, যে ২৭ বছর বয়সে ঢুকতে পারে নি, কিন্তু সরকার তাকে আরও ৩বছর ট্রাই করার সুযোগ করে দিয়েছে। তার তো আনন্দে বাকবাকুম থাকার কথা। তার যেখানে চাকরীতে ঢোকারই কোন সুযোগ থাকার কথা না, সেখানে সে যদি ২৭ এর পরেও চাকরীতে ঢোকার সুযোগ পায়, তার জন্য ৩০ হোক আর ২৯ হোক, পুরাটাই লাভ! এটা তার জন্য পীড়াদায়ক বিষয় হওয়াটা অন্যায়!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার উচিত পুরো বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা। ‍
শেষ বয়সে টাকার দরকার বেশী।
তাই অবসরের বয়সটাকে হাইলাইট করা উচিত ।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সরকারী চাকুরীতে অবসরের বয়স সীমা বাড়ানো উচিত ।
এর সপক্ষে আনেক জোড়ালো যুক্তি দেখানো যায় ।
এ কথা সত্য যে একজন চাকুরীজিবী অবসরে গেলে
তার স্থলে একজন বেকারের চাকুরির সুযোগ হয় একেবারে
চাকুরীর কাঠামোর প্রথম পর্যায়ে, বলা চলে জাতীয় বেতন
স্কেলের সর্ব নিন্ম পর্যায়ে । কারণ একজন চাকুরীজিবী
অবসরে গেলে তাঁর অধন্তন স্তর সমুহে সিরিজ পদোন্নতি
হয় । পোষ্ট মুলত শুন্য হয় একটি চাকুরী কাঠামোর
সর্ব নিন্ম স্তরে ।

অপরদিকে বলা যায়, একজন চাকুরীজিবী তাঁর চাকুরী জীবনের
সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে যথা জেষ্ঠ সচিব হিসাবে অবসরে গেলেন ।
তাঁর অবসরে মাত্র একটি পদ শুন্য হবে যার সুফল পদোন্নতির
মাধ্যমে পেতে পারেন ২০ জন ( জাতীয় বেতন স্কেলে ২০ টি
গ্রেডে কর্মরত ২০ জনের মধ্যে ১৯ জন পদোন্নতি পেয়ে আর
শুন্য পদে নিয়োগ পেয়ে একজন) অর্থাৎ মাত্র একজন বেকারের
কর্মসংন্থান হবে একজন চাকুরীজিবীর আবসরে যাওয়ার কারণে ।

এখন কথা হলো যিনি অবসরে যাবেন ধরে নিই তিনি চাকুরী কাঠামোর
সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে অবসরে গেলেন ( যদিউ সকলের কপালে এমন জোটেনা,
অনেকেরই চাকুরী জীবনে একের অধিক পদোন্নতি পাওয়ার ভাগ্য হয়না )
তিনি অতি দক্ষ এবং সুযোগ্য চাকুরীজিবী হওয়ারই কথা । তাঁর পক্ষে বা
লিডারশীপে, অবশ্যই একক ভাবে নয় , কারণ একটি প্রকল্প প্রনয়ণ
ও বাস্তবায়ন হলো একটি টিম ওয়ার্ক , রাষ্ট্রিয় নীতি , কৌশল ও প্রয়োজনীয়
অর্থের যোগান নির্ভর ) একটি উপযুক্ত ও লেবার ইনটেনসিভ ( শ্রম ঘন )
প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন হয় তাহলে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ
ও পরোক্ষভাবে হাজারটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে হাজার বেকারের
কর্মসংস্থান হতে পারে , যা একজন নতুন চাকুরীজিবীর পক্ষে ( তিনি যতই দক্ষ
হোন না কেন ) তাঁর চাকুরী জীবনের প্রথম ৪/৫ বছরের মধ্যে তাৃর লিডারশীপে
করা সম্ভব নয় ।

তাই, বিবিধ দিক বিবেচনায় সরকারী চাকুরীজিবীদের অবসরের বয়স সীমা
বৃদ্ধি করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবার অবকাশ আছে বলে মনে করি ।

মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বয়স বাড়ালে ত্রিশোর্ধ্বদের ভালো হলেও এরচেয়ে কম বয়সিদের হতাশা বাড়বে। সরকারি চাকরির পেছনে ছুটে কত শ্রম, কত সময় বৃথা যায়! এত সময় কাজে লাগালে নিজের ও দেশের মঙ্গল। সরকারি চাকরি তো সবাই পাবে না, কর্মও এত খালি নেই।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার পর্যাপ্ত টাকা পয়সা থাকলে আমি কাম কাজ থেকে সম্পূর্ন অবসর নিতাম।
তারপর বাকি জীবনটা আনন্দে নেচে গেয়ে পার করে দিতাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমার প্রচুর পরিমাণে টাকা থাকলে আমি সর্বপ্রথম ঢাকা শহর থেকে পালিয়ে যেতাম ।‌তারপর গ্রামে সুন্দর একটি জায়গা দেখে একটি বাগান বাড়ি বানাতাম । যেখানে আরামসে সময় পার করা যায় ।‌ এছাড়া আমি যে কাজটা করতাম দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতাম । জনসেবা করতাম । আনন্দের সাথে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতাম। মানুষের কল্যাণ করতাম।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একজন গবেষক যখন অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার সবোর্চ্চ অবস্থায় তখন তাকে অবসরে পাঠানো হয়। ফলে দেশ তার সেবা তথা গবেষণা থেকে বঞ্চিত হয়। এ ধরনের চাকুরীজীবীদের অবসর বয়স বাড়ানো দরকার। তাহলে দেশের উন্নয়নে দারুন ভাবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
আর নতুন দের জন্য দরকার নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি উদ্যোক্তা তৈরি ইত্যাদি।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার সুন্দর মন্তব্য আমার খুবই ভালো লেগেছে। এটা আসলেই উপলব্ধি করার মতো বিষয়।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.