নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ্ বলেন, তোমরা ডাকবে নিজের প্রভুকে নম্র ভাবে ও গোপনে, নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারীদেরকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না। সুরা -আ’রাফ ৫৫।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
”তোমরা কোন বধির ও অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছোনা, বরং এমন এক সত্তাকে ডাকছো যিনি সব দেখেন ও শুনেন।” – বুখারী (আধুনিক প্রঃ) ৫৯৩৬ নং হাদিস।
যারা একত্রিত হয়ে উঁচু আওয়াজে ” আল্লাহু আল্লাহু” বা শুধু ”আল্লাহ্ আল্লাহ্” বা ”হু হু” ইত্যাদি শব্দে জিকির করেন তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত আয়াতই যথেষ্ট।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে কিংবা সাহাবি (রাঃ) দের থেকে এমন কি প্রখ্যাত ইমামগণ থেকে কোন ভাবেই প্রমাণিত নয়, ”আল্লাহু আল্লাহু” বা শুধু ”আল্লাহ্ আল্লাহ্” বা ”হু হু” ইত্যাদি শব্দে জিকির !!!
আল্লাহকে ডাকা মানে এই নয় যে, ”আল্লাহু আল্লাহু” বা শুধু ”আল্লাহ্ আল্লাহ্” বা ”হু হু” বলে ডাকা। এভাবে ডাকার আবিষ্কারক হচ্ছে শিয়ারা যাদের থেকে সূফীবাদের উৎপত্তি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কোন সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় তিনি কখনও ”আল্লাহু আল্লাহু” বা শুধু ”আল্লাহ্ আল্লাহ্” বা ”হু হু” জিকির করেছেন বা করতে বলেছেন।
অনেকে আবার শুধু ”ইল্লাল্লাহ” বলে উঁচু আওয়াজে জিকির করে। কিন্তু ”ইল্লাল্লাহ” শব্দের অর্থ যদি তাদের জানা থাকত বা জানা থাকলেও যদি একটু চিন্তা করত যে কি জিকির করছে তাহলে কখনোই এই ”ইল্লাল্লাহ” বলে চিৎকার করে জিকির করত না।
”ইল্লাল্লাহ’ শব্দের অর্থ -‘আল্লাহ্ ছাড়া’ !
বলেন তো এইটা কি ধরনের জিকির – ‘আল্লাহ্ ছাড়া’ ‘আল্লাহ্ ছাড়া’ ‘আল্লাহ্ ছাড়া’ !!
এটা কোন জিকির হল? এগুলো পাগলামি ব্যতীত কিছুই নয়! বিবেচনা আপনার !
আল্লাহ্ বলেন, তোমরা আল্লাহর জিকির কর (ঐভাবে) যেভাবে আল্লাহ্ জিকিরের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। সুরা বাক্বারাহ ১৯৮।
“যে ব্যক্তি শরীয়তে নতুন কিছু আবিষ্কার করল যা, শরীয়তের অংশ নয় তা বর্জনীয়’’। (মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনও একাকী বা সাহাবিদের নিয়ে উঁচু স্বরে জিকির করেন নি।
সর্বোচ্চ তিনি সাহাবীদের শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে হালকা ফিস ফিস আওয়াজে জিকির করতেন। এবং কখনও সাহাবিদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে জিকির করেছেন এমন প্রমান পাওয়া যায় না !
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব’ (সূরা আল গাফের/ সূরা আল-মু’মিন (মক্কায় অবতীর্ণ) : ৬০)।
আবার অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন,
রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর।” সুরা হাশর ৭।
এবং আরও বলেন,
‘তোমরা ডাকবে নিজের প্রভুকে নম্র ভাবে ও গোপনে, নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারীদেরকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না।’ সুরা -আ’রাফ ৫৫।
হাদিসে বর্নিত জিকির থেকে কমের পক্ষে জিকির হচ্ছে,
”আল্লাহু আকবার” বা সুবাহানাল্লাহ বা আলহামদুলিল্লাহ, বা ”লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” !
অতএব রাসুল (সাঃ) এর দেখানো জিকির বাদ দিয়ে মনগড়া সূফী বাদীদের জিকির ”আল্লাহু আল্লাহু” বা শুধু ”আল্লাহ্ আল্লাহ্” বা ”হু হু” জিকির বা শুধু ‘ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ’- ‘আল্লাহ্ ছাড়া’ ‘আল্লাহ্ ছাড়া’ ‘আল্লাহ্ ছাড়া’ ! জিকির নুন্যতম সওয়াব তো আনেই না বরং গুনাহের সৃষ্টি করে। কারন এই ধরনের জিকির রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধাচরণ।
তাছাড়া যেকোনো জিকির উঁচু আওয়াজে করলে তা ”রিয়া” তথা ”লোক দেখানো” আমলে পরিণত হওয়ার সুযোগ থাকে। এমন কি কখনও কখনও তা আশেপাশের মানুষের বিরক্তের কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আলোর পথে বিডি বলেছেন: শরীয়তের আলোকে জিকির বলা হয়, মুখে বা অন্তরে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা এবং প্রশংসা করা, পবিত্র কুরআন পাঠ করা, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা, তার আদেশ-নিষেধ পালন করা, তার প্রদত্ত নেয়ামত ও সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর। এবং সকাল বিকাল আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর। [সূরা আহযাব ৪১,৪২]
সুন্দর পোস্ট । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।