নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যস্ত মানুষ https://www.facebook.com/sajjadustc

সাাজ্জাাদ

আমিতো গিয়েছি জেনে ,প্রণয়ের দারুণ আকালে,নীল নীল বনভূমি ভিতরে জন্মালে,কেউ কেউ এভাবে চলে যায়,চলে যেতে হয়..................... কেউ কেউ এভাবে চলে যায়বুকে নিয়ে ব্যাকুল আগুন।

সাাজ্জাাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বাবার অপহরনকারীরা এবং তার উদ্ধার অভিযান....... (পর্ব-৩)

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

আগের দুই পর্ব পড়তে নিচে ক্লিক করুন।
আমার বাবার অপহরনকারীরা এবং তার উদ্ধার অভিযান....... (পর্ব-১)
আমার বাবার অপহরনকারীরা এবং তার উদ্ধার অভিযান....... (পর্ব-২)

পর্ব - ৩



আমরা মনস্থির করতে না পারার ফলে চলে গেলাম নিকটস্থ থানায়।ওসি সাহেব মন দিয়ে বিস্তারিত শুনলেন।টুকটাক কিছু যা দরকার ছিল তিনি জেনে নিলেন।তারপর বললেন,যেহেতু আপনারা জানেন কোথায় আছে সেক্ষেত্রে আপনারা একটা মামলা করেন।সেই মামলার রেফারেন্সে আমরা একঘণ্টার মধ্যে সবাইকে গ্রেফতার করে হাজির করে দিবো।কিন্তু আমরা পুলিসি একশনে গেলে বাবার যে কোনও ক্ষতি হবে না সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাচ্ছিলাম না।পুলিশের শেষ কথা হচ্ছে আপনারা আগে মামলা করেন।তারপর আমরা একশন নিবো।শেষমেশ থানাতেও আমরা কোনও ডিসিশন নিতে না পেরে পুলিশের কাছে সময় নিয়ে চলে এলাম।
বাসায় এসে মামা ও অন্যান্য মুরুব্বীদের বৈঠক চলতে লাগলো।পুলিশের ব্যাপারে আমরা কনফার্ম হতে পারছিলাম না।শেষমেষ আলোচনা শেষে এক বড়ভাইয়ের বুদ্ধিতে সবাই সিধান্ত নিলো স্থানীয় এক উঠতি রাজনৈতিক নেতার তত্ত্বাবধানে কিছু টাকা দিয়ে আমরা উনাকে মুক্ত করে আনার চেষ্টা করব।
ওইদিনই একটা দল চলে গেল জনৈক রাজনৈতিক নেতার খোঁজে এবং রাতের মধ্যে উনাকে বাসায় নিয়ে আসা হল।উনি তখন মদ্যপান করে অন্য দুনিয়ায় বিচরন করছেন।উনাকে স্থির করে সব কিছু বুজিয়ে বলা হল। উনি সমানে বকে যাচ্ছেন আর বারবার বলছেন, উনার এলাকায় কার সাহস হল এই কাজ করার।উনি বললেন, টেনশন করবেন না, রাতের মধ্যেই বাবাকে তিনি আমাদের হাতে বুঝিয়ে দিবেন।আমরা উনাকে বুঝাতে চাচ্ছি যে, আমাদের মুল টেনশন হচ্ছে উনার নিরাপত্তা নিয়ে।আমরা চাচ্ছি উনি সহি-সালামতে বাসায় ফিরে আসুক আর “আমরা টাকা দিতে রাজি”।
আর নেতা সাহেব “আমরা টাকা দিতে রাজি” এই কথাটাই শুধু ভালোভাবে শুনল আর সেই মোতাবেক উনার কাজ শুরু করল।

ওদিকে আমরা একবার হানা দেয়ার পর বাবাকে নিয়ে তারা ২ বার জায়গা বদল করলেন।তবে দূরে কোথাও না শুধু আশেপাশে ঘর পরিবর্তন করেছে।

ঐদিন রাতে একজন লোক বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন।বললেন তারাতারি জামা পড়ে নিতে।সময় একদম নেই। জলদি এখান থেকে ভাগতে হবে।বাবা বুঝে গেলেন যে উনি আমাদের লোক, বাবাকে উদ্ধার করতে এসেছেন।বাবা তাড়াতাড়ি জামাটা গায়ে দিয়ে উনার সাথে বের হয়ে গেলেন। উনি খুব দ্রুত দৌড়াছিলেন কিন্তু বাবা বয়সের কারনে তার সাথে তাল মিলাতে পারছিলেন না। উনি বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে হই-হই আওয়াজ আসতে লাগলো।এবং অপহরণকারীরা কোনোভাবে খবর পেয়ে তাদের পিছু দৌড়াতে লাগলো। তখন ছিল অনুমান রাত ৩ টা। একে তো রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার আর তার উপর উনার বয়সের কারনে ঠিকমত দৌড়াতে পারছিলেন না।তারা পথ চেঞ্জ করে রেল-লাইনের উপর উঠে গেলেন।কিন্তু রেল লাইনে উঠেই বাবা বিপদে পড়ে গেলেন,উনি আর দৌড়াতে পারছিলেন না। বাবার সাহায্যকারী ততোক্ষণে অনেক দূরে চলে গেছেন। আর বাবার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। অপহরণকারীরা ততোক্ষণে বাবার কাছে এসে গেছে। বাবাকে তারা ধরে ফেললেন এবং হেঁটে হেঁটে অন্য পথ দিয়ে অন্য একটা বাসায় এনে আবার বন্ধী করে রাখলেন।
পরদিন বাবা ভয়ে ছিলেন যে আমাদের এ কর্মকাণ্ডে তারা আমাদের উপর বা বাবার উপর অন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা।কিন্তু তাদের উত্তেজিত কথাবার্তায় ও পরে জিজ্ঞেস করে যা জানতে পারল তাতে আমরা পরবর্তীতে হতবাক।
বাবাকে স্থানীয় অন্য আরেকটা গ্রুপ অপহরন করতে ছেয়েছিল টাকার জন্য।

সেই অন্য গ্রুপটা আর কেউ না। আমাদের বাসায় আসা কথিত নেতা সাহেব। "আমরা টাকা দিতে রাজি" শুনে উনি আর লোভ সামলাতে পারেননি। ঝামেলা ছাড়া পুরো টাকাটাই নিজে হজম করতে চেয়েছিলেন। ................ (চলবে)


অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কেমন হচ্ছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক দিন পর ৩য় পর্ব পোষ্ট করলেন।
আচ্ছা, সত্য করে বলেন তো ঘটনা কি সত্য? না আপনার বানানো?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাাজ্জাাদ বলেছেন: হ্যা ভাই, কাজের চাপে লেখা হয়ে উঠে না।
ঘটনা কিন্তু সত্যি। বিন্দুমাত্র বানানো না।
আপনার কমেন্ট আমার লেখা কে আরও গতিশিল করে।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিনেমার মতো

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: হুম। সিনেমার মতই। জীবন থেকে নেয়া।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

জগতারন বলেছেন:
এ ঘটনা সত্যি না হলে এ সমস্ত গল্প এখানে পোষ্ট করা সোভন না।
এ তে করে অন্য সন্ত্রাসীদের অনুপ্রেরনা দেওয়ার ধারনা যোগান হতে পারে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ঘটনা সত্যি। তবে সন্ত্রাসিরা কিভাবে অনুপ্রেরণা পাবে তা বুজলাম না।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

করুণাধারা বলেছেন: লেখাটা আগ্রহ জাগানিয়া হচ্ছে, এটুকু বলতে পারি।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.