নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অস্থির মানুষ। বৈপরীত্যকে লালন করি নিজের ভিতরে । সময়ের ধুলোবালি দৃষ্টিকে ঝাপসা করে- তবু চোখ মেলে চেয়ে থাকি নির্বিকার। অন্তরাত্মা চিতকার করে তবু শান্ত ভাবে হেঁটে চলি -যেন অন্যকারো চলা । উচ্চারিত কথামালা-সে ও যেন অন্য কারো বলা।

সেজুতি_শিপু

লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?

সেজুতি_শিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রদর্শনী

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪




চারপাশের উচ্চকিত প্রদর্শনীর ভীড়ে
ক্লান্ত হতে হতে -
আর কোন প্রদর্শনী ভালো লাগছিলো না বলে-
স্বস্তি তখন অজ্ঞাতবাসে যেতে চেয়েছিল।
কেননা, গোলাপী কাপড়ে মোড়া উৎসবের রং
তখন বড় উৎকট মনে হচ্ছিল, সোনালী দেয়ালে
আলোর রোশনাই, লাউড স্পীকারে গান-বাজনা ,
চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ দরজায় দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই
বেজে উঠা নুপুর। চোখ ফেরানোর আগেই
গমগম গলাতে কেউ একজন বলে উঠেছিল, দেখ ,
দেখ, কী নিয়ে এসেছি ! যাদুর বাক্স।
যেখান থেকে একে একে বেরিয়ে এসেছে-
সহস্র স্বর্ণ মুদ্রা, নতুন মডেলের গাড়ী , মেডেল,
মুকুট, রাজনীতি, ল্যাং মেরে উপরে উঠে যাওয়া ।
কতকি যে আরও ! বেজে উঠেছে ডুগডুগি।
দিকে দিকে দুন্দুভি !

পাতা খুললেই, বিজ্ঞাপন!

আজ , কৈ মাছে কাঁঠালের ঝোল রান্না হয়েছে !
টমের জন্যে শ্বেত পাথরের বাটিতে
পরিবেশন করেছি অমৃত!
চাঁদের মিহি সুতোয় বুনে বুনে শাড়ী ,
কেমন মানিয়েছে, বল?
গরমের ছুটিতে ভূমি থেকে
তিন লক্ষ সাতাত্তর হাজার পাঁচশ কিলোমিটার
উচ্চতায় পরিবার পরিজন নিয়ে হাসিমুখে আমি ।
দেখ, দেখ আমি গিলেই ফেলেছি
তিনশ কোটি জ্ঞানের বটিকা!

কে, কাকে, কী দেখাচ্ছে, কেন দেখাচ্ছে -
কিছুই স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছিল না!

প্রচারেই প্রবল প্রসারের এই যুগ!

স্বস্তি তখন সৃষ্টির বিসর্জন কামনা করেছিল কিনা
কাউকে জানাবার সাহস পায়নি ।
কেননা উইকিলিকসের এই সময়ে -
বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা প্রথম গোলাপের মত
একান্ত, কোমল, অসূর্যস্পৃশ্যা একটুকরো গোপন অনুভব
পাছে আছড়ে পরে মানুষের সজাগ আদালতে !
পাছে, সহস্র বছরের ফেসবুক স্ট্যাটাস দর্শনের
সশ্রম কারাদন্ড ঘোষণা করা হয় !

তাই সে সভয়ে অজ্ঞাতবাসের আড়াল চেয়েছিল।

যেখানে প্রদর্শনী বলতে ময়ূরের সংযত পেখম মেলা
আর মেঘেদের সেজে ওঠা । প্রেম বলতে
ফুলের রং মেখে প্রজাপতির জন্যে প্রতীক্ষা ।
সকালের সূর্য প্রবেশের আগে যেখানে
সলজ্জ অনুমতি প্রার্থনা করে -
জড়াজড়ি করে একে অপরের
বুকের কাছে নত হয়ে
দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষদের কাছে ।

স্বস্তি সেখানেই আনত কাটিয়ে দিতে চেয়েছিল
বাকীটা সময় ।

——————-

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অসূর্যস্পৃশ্যা একটুকরো গোপন অনুভব
পাছে আছড়ে পরে মানুষের সজাগ আদালতে!
পাছে, সহস্র বছরের সশ্রম স্ট্যাটাস দর্শনের
কারাদন্ড ঘোষণা করা হয় !

.......................................................... ভালবাসার মন ভীতু হবে না,
গোলাপের প্রস্ফুটিত অবয়ব সৌরভ ছড়ায়,
গোপন অনুভব আর নীরব কবির মধ্যে কোন পার্থক্য নাই,
ভাললাগা থাকল কবিতায় ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনন্য অসাধারন কাব্য!

জীবনের চলমান জীবনবোধের বানিজ্যায়ন,
কেবলই শো-অফের দারুন রাপায়ন
আর মুক্তিআশে
সুস্থ মানুষদের অজ্ঞাতবাসেরই পথ - -

ভাললাগা টুকু ছুঁয়ে রইল - - -

+++++++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রেরনা পেলাম। ভাল থাকবেন।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: অসাধারন ভালোলাগায় মন ভরে গেলো- কানায় কানায়...
অভিবাদন কবি- অনেক শুভকামনা জানবেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা আপনার জন্যেও ।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার কাব্যখানি সুখ পাঠে মুগ্ধ হয়েছি। ধন্যবাদ কবি। ভার থাকুন সবসময় কবিতা হউক জীবনের প্রতিটি বাঁকের ইশারা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন আপনিও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.