নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যান্ডেড জব-ইসলামী মোড়কে তোমরা শুদ্ধ করতে পারবেনা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

ইজ্জত-অাব্রু ঢেকে রাখা ফরজ।
নামাজ পড়া ফরজ।
এখন কেউ কোন এক হুযুরের নিকট শুনলো যে, পাপড়ী মাথায় দিয়ে নামাজ পড়লে নামাজে কয়েকগুন সওয়াব বেশি হয়।
তো, উনি এই মসলা শুনে নামাজ পড়তে গিয়ে স্বরণ হলো পাগড়ী অানেন নাই।
এখন, অধিক সওয়াবের অাশায় লুঙ্গি খুলে মাথায় বেঁধে নামাজ শুরু করলেন।
তার মানে হলো, ফরজ তরফ করে ফেলেছেন। অর্থাৎ নামাজই নষ্ট করে ফেলেছেন।
যেটা বলতে চাচ্ছি,
যেসব যুবক সাধারণ মানুষকে (তা সে যে ধর্মরেই হোক না কেন) হত্যার মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা উপরের উদাহরনটির মতই অবস্থা।
মানুষ হত্যা (কবিরা গোনাহ অর্থাৎ বড় গোনাহ) করে ইসলাম কায়েম করা কোন কিতাবে তারা পেয়েছে অামার জানা নেই।
ইসলামে কয়েকটি ক্ষেত্রে হত্যা করা জায়েজ। তারপরও সেই মৃর্ত্যুদন্ড কার্যকর করবে রাষ্ট্র। কোন ব্যক্তি নয়।
রাষ্ট্র যদি না করে তবে ঈমানী দায়িত্ব হবে অান্দোলন করা। তবে সেটা কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ফ্যাসাদ করে নয়।
একজন ভিন্ন কোন ধর্মের পরিবারে জন্মা হলো -নিশ্চই এটা তার অপরাধ নয়।
এটা বিধাতার ইচ্ছা।
সে যদি মৃর্ত্যুর পূর্বেও সঠিক পথ পায় বা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়-তবে সেটাই হবে তার সাফল্য।
এগুলো পথভ্রষ্টঃ
এই বিপথগামী যুবকগুলো রেষ্টুরেন্টের ভীতর নামাজ পড়েছে, সেহরী করেছে, নামাজ পড়িয়েছে, জিম্মিদের ভীতর কাউকে অাবার পরীক্ষা স্বরুপ সুরা কেরাত পড়তে বলা হয়েছে।
হে যুবক, তোমার কিসের মুসলমান! তোমার বেহেস্তের টিকিট কাটতে যেয়ে দোযখের টিকিট কেটে ফেলেছো।
অাল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন কি-না জানিনা।





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার ব্যখ্যাকে আপনি বলতে পারেন আপনার ইসলাম। আপনার ব্যখ্যা তো আমি মানতে বাধ্য নয়, আপনি তো ইসলামী আইনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ (আল্লাহ) নন।
আমি ’ইসলাম’ নামক ধর্ম খুজছি, এখনো পায়নি। কেউ কি পেয়েছেন?

কুরআনের আইন কি সৃষ্টিকর্তার আইন?

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: মিয়া ভাই, অাপনার লিংকের লেখাগুলো পড়ে মনে পড়লো সেই "ষোল অানা মিছে" কবিতার কথা।
অারো বেশি করে জানার চেষ্টা করেন তারপর ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার চেষ্টা করেন। ইসলাম সম্পর্কে যত বেশি জানবেন অাপনার কলম ততই দূর্বল হয়ে পড়বে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: মি. বিবেক, অাপনার কোন ধর্ম-কর্ম না থাকলে ব্যক্তিগত কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকুন।
"খাও দাও ফূর্তি করো-দুনিয়াটা মস্ত বড়"-মি. বিবেক।
এই সমস্ত ইসলাম বিরোধী লেখায় ২ অানার কাজ হবেনা।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমার জীবনের ২০ টি বছর টানা কেটেছে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের চেষ্টা-সাধনা করে। তবে শেষ পর্যন্ত পারিনি কুরআনকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে প্রমান করতে। যারা পক্ষপাতমুলক মন নিয়ে কুরআনের আংশিক পড়ে থাকে, তারাই ইসলামের কথা বলে। আপনি আমার লিঙ্কের একটি কথাও কি যুক্তি দিয়ে ভূল প্রমান করতে পারবেন? তবে অনুরোধ প্লিজ নিরপেক্ষ মন নিয়ে আমার লিঙ্কের লেখা ভাল করে পড়ুন।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আরো কয়েকটি লিঙ্ক দিচ্ছি-
পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা-১(এক)/প্রামান্য ব্যখ্যা

আপনি যদি আপনার সমালোচককে অপছন্দ করেন ------------

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

সেলিম৮৩ বলেছেন: ভাই, যেহেতু অাপনি সব ধর্মই নিয়ে অ্যনালাইজ করার চেষ্টা করে তার জন্য ধন্যবাদ।
একটা কথাই বলি, কোরঅানে দেখবেন দোযখ বা জাহান্নামের চিরস্থায়ী অাবাস সম্পর্কে কাদের উদ্দশ্যে বলা হয়েছে।
অবিশ্বাসী বা অস্বীকারকারী কাফের, মুসরিক তথা শিরিককারী।
এখন মূল ফাউন্ডেশন যদি ঠিক থাকে তবে মতামতগত বা ব্যখ্যাগত সামান্য ভূল ত্রুটি নিশ্চই অাল্লাহপাকের ক্ষমার উর্দ্ধে নয়।
মূল ফাউন্ডেশন কি?
অাল্লাহর প্রতি এবং তার একত্ববাদ প্রতি এবং তার রাসুলের প্রতি বিশ্বাস ।
নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি।
অস্বীকার এক জিনিস অার পালন না করা অারেক জিনিস।
যারা ভিন্ন মতামতে বিভক্ত তাদের মূল ফাউন্ডেশন দেখবেন ঠিক অাছে।
অর্থাৎ বিশ্বাস অাছে- যদিও মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসিন ।
অার যারা ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে অধর্মের কাজ করে এটা সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়।
এখন অাপনি কাদিয়ানীকে যদি ইসলামের একটা দল মনে করে, শিয়াকে একটা দল মনে করেন, অাইএস, হিযবুল তাহরিক এসমস্ত জঙ্গিকে একটা ইসলামের একটা দল মনে করেন তবে সেটা ভুল হবে।
কারণ এরা ইসলামের ফাউন্ডেশনের বাইরে।
১০০% ধর্ম পালনকারী বা কোরঅানের অনুসারী হয়ে চলা মানুষের চেষ্টা থাকলেও চলা অসম্ভব। কেননা, মানুষ ভুল করবেই। এটা তার সহজাত প্রবৃত্তি।
অার এই ভুলের জন্যই অাল্লাপাক ক্ষমার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু মূল বিষয়গুলো অস্বীকার করার উপায় নেই।
এখন ভাই, ইসলাম মুহম্মদ (সাঃ) থেকে উৎপত্তি লাভ করে নাই। এটা মানব সৃষ্টির শুরুর থেকেই বিদ্যমান।
বাপদাদার নিয়ম দিয়ে ইসলাম চলেনা এবং চলা সম্ভব নয়। এটা অাপনার নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি।
অাপনাকে একটা সঠিক পরিচয়ে থাকতে হবে।
কেননা, একটা নিখুত এবং নিয়ন্ত্রিত সৃষ্টি অাপনি। এখন এই নিখুত সৃষ্টিকে স্রষ্টা ছাড়া ব্যখ্যা করবেন কিভাবে?




৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

সিগনেচার নসিব বলেছেন: ইসলামে কয়েকটি ক্ষেত্রে হত্যা করা জায়েজ।
তারপরও সেই মৃর্ত্যুদন্ড কার্যকর করবে রাষ্ট্র।
ভালো বলেছেন। কিন্তু কথা হল এটা বাংলাদেশ

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ লেখককে। যারা মুসলমান তাদের ৯০% ইসলাম শিখেছে হুজুরদে মুখ থেকে এবং কিছু ইসলামি বই পড়ে। আংশিক কুরআন পড়ে। সম্পূণ কুরআন পড়ে দেখেনি যে হুজুরে যা বলে আর কুরআনে যা বলে তা সঠিক কিন।
লেখক বলেছেন মুল ফাউন্ডেশন ঠিক থাকলে ক্ষুদ্র কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ থাকলে সমস্যা নেই। আমি একমত। আমি বলবো ইসলামের মুল ফাউন্ডেশন নিয়েই সমস্যা আছে। ইসলামি জীবন বিধানের মাত্র ১০% আসে কুরআন থেকে। আর হাদিস সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয়।
বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য প্রথমে দেয়া লিঙ্কদ্বয় আরেকবার মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি।
আল কুরআনের প্রায় প্রতিটি আয়াত মতবিরোধের সুযোগ রেখেছে। আর হাদিস শাস্ত্রের মতবিরোধের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কুরআনের দাবী হল আল কুরআনে বিস্তারিতভাবে সকল কিছু বর্ননা করা আছে। তার অর্থ ইসলামের পূর্ণাঙ্গরুপ কুরআনে আছে, আর হাদিসে আছে ব্যখ্যা।
সত্য কিন্তু ভিন্ন। ইসলামি জীবন বিধানের ১০% আসে সরাসরি কুরআন থেকে। আর বাকিটা বাইরের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.